নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেমিকেল আলী

[email protected]

সেলিম

কেমিকেল আলী http://www.gwc2.on.ca ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৯৭ সালে এইচএসসি পাস করার পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মাষ্টার্স জৈব রসায়নে। ২০০৬ সালে লেকহেড ইউনিভারসিটি থেকে জৈব রসায়নে মাষ্টার্স করার পরে ২০০৬ থেকে গুয়েলফ - ওয়াটারলু সেন্টার ফর গ্রাজুয়েট ওয়ার্ক ইন কেমিষ্ট্রির জৈব রসায়নের পিএইচডি'র ছাত্র দ্যা ইউনিভারসিটি অব গুয়েলফ ক্যাম্পাসে। নাটক, সিনেমা, আড্ডাবাজি বেশ পছন্দ করি।

সেলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ ২২ শে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস

০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ সকাল ৭:০৭

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকুক প্রতিটি বাঙালীর অন্তরে..



মহাকবির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি।





ফোঁটা ফোঁটা বৃষ্টি হয়ে আকাশের মেঘ নামে--- মাটির কাছে ধরা দেবে ব'লে। তেমনি কোথা থেকে মেয়েরা আসে পৃথিবীতে বাঁধা পড়তে।



তাদের জন্য অল্প জায়গার জগত্‍‌, অল্প মানুষের। ঐটুকুর মধ্যে আপনার সবটাকে ধরানো চাই--- আপনার সব কথা, সব ব্যথা, সব ভাবনা। তাই তাদের মাথায় কাপড়, হাতে কাঁকন, আঙিনায় বেড়া। মেয়েরা হল সীমাস্বর্গের ইন্দ্রাণী।



কিন্তু, কোন দেবতার কৌতুকহাস্যের মতো অপরিমিত চঞ্চলতা নিয়ে আমাদের পাড়ায় ঐ ছোটো মেয়েটির জন্ম। মা তাকে রেগে বলে `দস্যি', বাপ তাকে হেসে বলে `পাগলি'।



সে পলাতকা ঝর্নার জল, শাসনের পাথর ডিঙিয়ে চলে। তার মনটি যেন বেণুবনের উপর-ডালের পাতা, কেবলই ঝির্ ঝির্ করে কাঁপছে।





আজ দেখি, সেই দুরন্ত মেয়েটি বারান্দায় রেলিঙে ভর দিয়ে চুপ করে দাঁড়িয়ে--- বাদলশেষের ইন্দ্রধনুটি বললেই হয়। তার বড়ো বড়ো দুটি কালো চোখ আজ অচঞ্চল, তমালের ডালে বৃষ্টির দিনে ডানাভেজা পাখির মতো।



ওকে এমন স্তব্ধ কখনো দেখি নি। মনে হল, নদী যেন চলতে চলতে এক জায়গায় এসে থমকে সরোবর হয়েছে।





কিছুদিন আগে রৌদ্রের শাসন ছিল প্রখর; দিগন্তের মুখ বিবর্ণ; গাছের পাতাগুলো শুকনো, হলদে, হতাশ্বাস।



এমন সময় হঠাত্‍‌ কালো আলুথালু পাগলা মেঘ আকাশের কোণে কোণে তাঁবু ফেললে। সূর্যাস্তের একটা রক্তরশ্মি খাপের ভিতর থেকে তলোয়ারের মতো বেরিয়ে এল।



অর্ধেক রাত্রে দেখি দরজাগুলো খড়্খড়্ শব্দে কাঁপছে। সমস্ত শহরের ঘুমটাকে ঝড়ের হাওয়া ঝুঁটি ধরে ঝাঁকিয়ে দিলে।



উঠে দেখি, গলির আলোটা ঘন বৃষ্টির মধ্যে মাতালের ঘোলা চোখের মতো দেখতে। আর, গির্জের ঘড়ির শব্দ এল যেন বৃষ্টির শব্দের চাদর মুড়ি দিয়ে।



সকালবেলায় জলের ধারা আরও ঘনিয়ে এল--- রৌদ্র আর উঠল না।





এই বাদলায় আমাদের পাড়ার মেয়েটি বারান্দায় রেলিঙ ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে।



তার বোন এসে তাকে বললে, `মা ডাকছে।' সে কেবল সবেগে মাথা নাড়ল, তার বেণী উঠল দুলে; কাগজের নৌকো নিয়ে তার ভাই তার হাত ধরে টানলে। সে হাত ছিনিয়ে নিলে। তবু তার ভাই খেলার জন্যে টানাটানি করতে লাগল। তাকে এক থাপড় বসিয়ে দিলে।





বৃষ্টি পড়ছে। অন্ধকার আরও ঘন হয়ে এল। মেয়েটি স্থির দাঁড়িয়ে।



আদিযুগে সৃষ্টির মুখে প্রথম কথা জেগেছিল জলের ভাষায়, হাওয়ার কণ্ঠে। লক্ষকোটি বছর পার হয়ে সেই স্মরণবিস্মরণের অতীত কথা আজ বাদলার কলস্বরে ঐ মেয়েটিকে এসে ডাক দিলে। ও তাই সকল বেড়ার বাইরে চলে গিয়ে হারিয়ে গেল।



কত বড়ো কাল, কত বড়ো জগত্‍‌, পৃথিবীতে কত যুগের কত জীবলীলা! সেই সুদূর--- সেই বিরাট, আজ এই দুরন্ত মেয়েটির মুখের দিকে তাকালো মেঘের ছায়ায়, বৃষ্টির কলশব্দে।



ও তাই বড়ো বড়ো চোখ মেলে নিস্তব্ধ দাঁড়িয়ে রইল, যেন অনন্তকালেরই প্রতিমা।



(তাঁর স্মরনে তাঁরই লিপিকার অংশবিশেষ)



মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ সকাল ৭:৩২

থার্ডআই বলেছেন: অপরাধ নিয়েন না , এই ব্লগে বানান ভুল করার দলে আমি এক নম্বর রেটিংয়ে থাকার কথা। তবুও যদি (মহাকবির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জল) শ্রদ্ধাঞ্জলি বানানটা যদি ঠিক করে দিতেন ..

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০০৭ সকাল ৭:৩৫

সেলিম বলেছেন: ধন্যবাদ, তানভীর ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.