নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাওকে মন দিতে হলে মনের ফটোকপি দেওয়া উচিৎ। মূলকপি দিলে ফুলকপি ভেবে খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা থাকে।

চেতনার ফেরিওয়ালা

আসমান জমিন যার বিধানও চলবে তাঁর

চেতনার ফেরিওয়ালা › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্ধ পৃথিবীর শাসক খলীফা ওমর (রা)’র ঈদ শপিং.....

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৬

প্রায় অর্ধ পৃথিবীর শাসক হযরত উমর
(রাঃ)এর খিলাফতের প্রথম দিকে হযরত
আবু উবাইদা (রাঃ) তখন রাষ্ট্রীয়
কোষাগার দেখাশুনা করতেন। মানে,
অর্থমন্ত্রী ছিলেন হজরত আবু উবাইদা
(রাঃ)।
ঈদের আগের দিন খলীফার স্ত্রী
খলিফাকে বললেন - ‘আমাদের জন্য
ঈদের নতুন কাপড় না
হলেও চলবে। কিন্তু ছোট বাচ্চাটি
ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে’।
খলীফা বললেন,- ‘আমার তো নতুন কাপড়
কেনার সামর্থ্য নেই!'
পরে খলীফা উমর (রাঃ) বায়তুল মাল
(অর্থবিভাগের প্রধান) হযরত আবু
উবাইদাকে এক মাসের অগ্রিম বেতন
দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন।
সমগ্র মুসলিম জাহানের খলীফা যিনি,
যিনি অর্ধ পৃথিবী শাসন করছেন, তাঁর এ
ধরনের চিঠি পাঠ করে হযরত আবু
উবাইদার চোখে পানি এসে গেল।
উম্মতে আমীন হযরত আবু উবাইদা (রাঃ)
বাহককে টাকা না দিয়ে চিঠির
উত্তরে লিখলেন - ‘আমীরুল মুমিনীন!
অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে
আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে।
প্রথমত, আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে
থাকবেন কি না?
দ্বিতীয়ত, বেঁচে থাকলেও
মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের
দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা?’
চিঠি পাঠ করে হযরত উমর (রাঃ) কোন
প্রতি উত্তর
তো করলেনই না, বরং এত কেঁদেছেন
যে তাঁর
চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেল

আর হাত তুলে হযরত আবু উবাইদার জন্য
দোয়া
করলেন- ‘ হে আল্লাহ! আবু উবাইদার উপর
রহম কর, তাঁকে হায়াত দাও।'

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৩

আহলান বলেছেন: আহহ !!চোখে অশ্রু আসার মতো ঘটনা ... !! আর আমরা কি করছি? :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.