নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বেশি বুঝে

বেশি বুঝে

চাইল্ড লেবার

পচা ছেলে

চাইল্ড লেবার › বিস্তারিত পোস্টঃ

এসব কি হচ্ছে??

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:১৪

হটাৎ সিকিউরিটি সাহেব কম্প্লাইন্স রুমে এস ডাকলেন। তার সাথে গেলাম মেডিকেল রুমে। দেখলাম অনেকে দাড়িয়ে মেডিকেলের সামনে। তারা ফিটনেস পরীক্ষার জন্য অপেক্ষমান। ফিটনেস পাস হলেই কপালে জুটে যাবে ৪৩৫০ টাকার শ্রমিকের চাকুরি। আমাকে তিনি দেখালেন একটা মেয়ের দিকে। মেডিকেল ও প্রশাসন বিভাগ তাকে নিয়োগ দিতে নিষেধ করেছে। মেডিকেলের আপা বললেন-- ”বলেনতো ভাইয়া এই বাচ্চা মেয়েকে কিভাবে চাকরিতে নেই। এটা অনেক ছোট বাচ্চা”। আমি মেয়েটির দিকে তাকালাম। বয়স মনে হল ১৪-১৫ হবে । বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে কোন শ্রমিক নেয়া যাবেনা। আর ১৪-১৭ বছরের হলে আবার বিশেষ প্রক্রীয়ার তাকে কাজ করানো যাবে। কিন্তু সেই প্রক্রীয়ার যে ফরমালিটি তাতে কোন মালিকই কিশোর শ্রমিকদের চাকুরি দিবে না।
আমি তার কাগজ পত্রে দেখলাম অসত্য কাগজ পত্র বানিয়ে সে কাজ নিতে এসেছে। মিথ্যে বলবো না আমি। বাচ্চা মেয়েটির চেহারা আপনারা দেখলে আমার মতই মনে করতেন। নিষ্পাপ চেহারা। যেন শুভ্র এক খন্ড গোলাপ। আমি অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলাম মেয়েটির পক্ষে রায় দেব। বললাম মেডিকেলকে “নিয়ে নিন, একটা মেয়েতো, অডিট ফডিট আসলে তেমন কোন সমস্যা হবে না একে লুকিয়ে রাখা যাবে” মেডিকেলতো আমার কথা শুনে অবাক??? “আপনারাই আইনের কথা বলেন আবার ..........”, “হ্যা নিতে পারি তবে দায় আপনার..” এধরনের কচু চুলকানি প্যাচাল শুরু করে দিলো যা শুনতে আর ভালো লাগলো না। মেয়েটিকে বললাম “সরি আপুতু তোমাকে নিতে পারলামনা। আর একটু বড় হও তুমি, তার পরে নিবো”। কয়েক সেকেন্ডর মধ্যে ঐ নিষ্পাপ চেহারাতে বিশাল পরিবর্তন এলো। আশ্চর্যজনকভাবে তার দু গন্ড বয়ে নিরব অশ্রু বের হতে লাগলো। মনে হল বিশাল একটা আশা নিয়ে সে ৪৩৫০ টাকার চাকরি করতে এসেছিল। কিন্তু পেটে ভাতের চেয়ে ফালতু আইনের বয়স তার চাকুরির বাধা হলো।
আমি আর চুপ থাকতে পরলাম না। প্রশাসন বিভাগে ফোন করে বললাম মেয়েটির কথা। উত্তরে বলল “অপনি ভালো মনে করলে নিয়ে নিন” ।পরে তার চাকুরির ব্যবস্থা হয়ে গেল ।

এই সব ফালতু আইনের কারনে আমাদের শ্রমিকদের-
ক) মিথ্যা কাগজে বয়স বাড়িয়ে নিয়ে আসতে হচ্ছে।
খ) চেহারাতে কৈশরের ভাব থাকার কারণে গেট থেকেই বিদায় নিতে হচ্ছে। মেডিকেলে আর আসতে পারছেনা।
গ) বয়সের জন্য চাকরি না পেয়ে বাসায় না খেয়ে বসে থাকে আর সরকার তাকে পড়াশুনার ও ব্যবস্থা করতে পারে না। ফলো আইনের ফাইজলামির কারনে সে বাসার সকলের বোঝা হয়ে দাড়ায়।

অমি এধরণের ফাইজলামি আইনের বিপক্ষে তিব্র ভাবে অবস্থান নিচ্ছি।

আমার প্রস্তাবহচ্ছে,হয়ঃ
ক) তাদের ১৩ বছর বয়স থেকেই চাকুরির ব্যবস্থা করে আইন পাশ করতে হবে। অথবাখ) চাকুরি না দিলে পরিবারের সেই কিশোর বা কিশোরির বিনামুল্যে পড়ালেখার ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সাথে সাথে প্রত্যেক মাসে তার খরচের কমপক্ষে ৫০% সরকারের বহন করতে হবে। অথবা-
গ) সরকার বা ব্যাক্তি উদ্যোগে এমন প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হবে যা হবে শুধু কিশোর শ্রমিকদের জন্য হবে। যে প্রতিষ্ঠানে হালকা কাজ হবে যা কিশোরদের উপযোগী। বিশ্বের প্রত্যেক মানুষ জানবে যে এই প্রতিষ্ঠানটি একটি মহতি প্রতিষ্ঠান তাই তার এই প্রতিষ্ঠানের পন্য কিনে বাজার কে আরো সক্রিয় করবে। যেখানে শ্রম আইন অনুযায়ী তাদের কমর্ঘন্টা, পড়া শুনা সবকিছুর সামঞ্জস্য বিধান করা হবে।
কিন্তু---------
”চাইল্ড লেবার প্রতিরোধ করার নামে কিশোরদের নাখেয়ে মারার অধিকার আইনের নেই X( X( X(

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.