নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক! ঈদ মুবারক!!

জালিমের ফাঁসি হোক, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হোক, রাজাকারদের ফাঁসি হোক

মাটির কথা

আমি সেই বাংলার জনগণের একজন, যারা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে, অধিকারের জন্য জান-মাল দিয়েছে , শুনুন ইন্টারনেট রেডিওঃ http://al-hikmah.net

মাটির কথা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাতের মত ওশর ও ফরয। ওশর দিবেন না তো হারাম খাবেন ------------(পর্বঃ২)

১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

পবিত্র উশরের নিছাবঃ

সম্মানিত হানাফী মাযহাব মতে পবিত্র উশর উনার কোন নিছাব নেই। বিনা পরিশ্রমে উৎপাদিত ফসল ও ফল ফলাদির দশ ভাগের এক ভাগ বা তার মূল্য দান করে দিতে হবে। আর পরিশ্রম করে ফসল বা ফল ফলাদি ফলানো হলে তখন বিশ ভাগের এক ভাগ বা তার মূল্য দান করে দিতে হবে। ধান, চাল, গম ব্যতীত ফল-ফলাদির ১০টির ১টি বা ২০টির একটি দিতে হবে। আর যদি ৫টি হয় তবে একটার অর্ধেক দিতে হবে।



পবিত্র উশর আদায়ের হুকুমঃ

পবিত্র উশর আদায় করা পবিত্র যাকাত উনার মতই ফরয। কেউ যদি পবিত্র উশর আদায় না করে তাহলে সে ফরয অনাদায়ের গুনাহে গুনাহগার হবে।

কর ও খাজনা প্রদানকৃত যমীনের ফসলে পবিত্র উশর দেয়ার হুকুম : কর ও খাজনা প্রদানকৃত যমীনের ফসলেরও পবিত্র উশর আদায় করতে হবে। কেননা কর ও খাজনা দেয়া হয় সরকারি খাতে জমি জরিপ ও দেখাশুনা করার জন্য। অনেক জমিতে ফসল না হলেও খাজনা দিতে হয়। আবার পূর্ব যামানায় জমিতে খাজনাও দিতে হতো না। অতএব, কর ও খাজনা প্রদানকৃত যমীনের ফসলেরও পবিত্র উশর আদায় করতে হবে, যা ফরযের অন্তর্ভুক্ত।

পবিত্র উশর আদায়ের উদাহরণঃ

কারো যমীনে পরিশ্রমের মাধ্যমে ৫০ মণ ধান উৎপন্ন হলো তিনি নিছফু উশর অর্থাৎ বিশ ভাগের ১ ভাগ পবিত্র উশর প্রদান করবেন, অর্থাৎ আড়াই মণ ধান দান করবেন। আর যদি বিনা পরিশ্রমে উৎপন্ন হয় তাহলে পবিত্র উশর তথা দশ ভাগের একভাগ ধান দান করবেন, অর্থাৎ ৫ মণ ধান পবিত্র উশর হিসেবে আদায় করবেন।



পবিত্র উশর আদায়ের ফযীলতঃ

পবিত্র যাকাত আদায় করলে যেমন সম্পদ বৃদ্ধি পায় এবং পবিত্র হয়, ঠিক তেমনি পবিত্র উশর আদায় করলেও ফসল, ফল-ফলাদি বৃদ্ধি পায় ও পবিত্র হয়। সাথে সাথে বিভিন্ন প্রকার দুর্যোগ যেমন- ঝড়-তুফান, বন্যা-খরা, পোকা-মাকড়ের আক্রমণ ইত্যাদি থেকেও ফসল ও ফল-ফলাদি হিফাযত হয়। সুবহানাল্লাহ!





উল্লেখ্য, ওশর না দিলে কোন ফসলই হালাল হবে না। তাই ফসলের পবিত্রতার জন্য ওশর আদায় করতে হবে। ওশর আদায় না করলে সমস্ত ফসলই হারাম হয়ে যাবে। আর হারাম খেলে কোন ইবাদতই কবুল হবে না।



...........................চলবে (ধারাবাহিক)



১ম পর্ব।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: মুসলিম জাতীর জন্য এইসব জানা ফরজ এবং সত্য হেদায়েত
আল্লাহ আমাদের রহমত ও হেদায়েত দিন , আমিন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.