নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি জাতির আধার রাতের আলো...

আমি জাতির আধার রাতের আলো...

আধার রাতের আলো

আমি জাতির আধার রাতের আলো...।

আধার রাতের আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

'ব্রিটিশ' হতে হলে তথা বৃটেনে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে হলে আপনাকে জানতে হবে ব্রিটেনের ইতিহাস, রাজনীতি, সাহিত্য, ধর্ম ও সংস্কৃতিসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনালীর ইতিহাস অথ্যাত শেক্সপিয়র থেকে বিটল্স পযন্র্ত জানতে হব; তাহলে একজন মুসলমান আল্লাহ পাকের কাছে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে হলে, হাশরে-নশরে নাজাত পেতে হলে তার কি কি জানতে হবে/মানতে হবে, জমিনে কি আমল করতে হবে, কিভাবে চলাফেরা করতে হবে এ বিষয়ে আমি আপনি একটিবারও চিন্তা করেছি কি?

০৭ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৩৬



টোরি-লিবডেম সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইমিগ্রেশন আইন পরিবর্তনের হিড়িক পড়ে গেছে। নতুন করে আরো অনেক নিয়ম-কানুন আসছে। বৃটেনে ওভার স্টেয়ারদের জন্য আরো দুঃসংবাদ আসছে। পহেলা অক্টোবর ২০১২ থেকে ভিসা শেষ হওয়ার পর কেউ যদি ২৮ দিনের বেশী অবৈধভাবে অবস্থান করে তাহলে সে আর বৃটেন থেকে কোন ধরনের আবেদন করতে পারবে না। ঐ ব্যক্তিকে তখন তার নিজ দেশে ফিরত যেতে হবে।

বৃটেনে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে হলে সামনে আসছে কঠিন পরীক্ষা। জানতে হবে ব্রিটেনের ইতিহাস, রাজনীতি, সাহিত্য, ধর্ম ও সংস্কৃতির নানা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনার জ্ঞান থাকতে হবে অভিবাসীদের। জানতে হবে জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম স্থবক। জানতে হবে উইলিয়াম শেক্সপিয়র। জানতে হবে বায়রন। জানতে হবে বিটল্স। জানতে হবে আরও অনেক কিছু।

ব্রিটেনের স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে হলে অভিবাসীদের এমন অনেক জিনিস সম্পর্কে আদ্যোপানত্দ জানতে হবে, যা হয়তো কোনও সাধারণ ব্রিটিশ নাগরিকও জানেন না। অভিবাসন রুখতে এই নতুন পন্থাই নিয়েছে ডেভিড ক্যামেরনের সরকার। ২০০৫ সালের লেবার সরকার অভিবাসীদের জন্য ৪৫ মিনিটের যে পরীক্ষা 'লাইফ ইন দি ইউ কে টেস্ট' চালু করেছিল, সেই পরীক্ষা পদ্ধতিকেই ঢেলে সাজাচ্ছে কনজারভেটিভ সরকার। ওই পরীক্ষায় বসতে হলে 'দ্য লাইফ ইন দি ইউ কে হ্যান্ডবুক' ঝালিয়ে নিতে হত আবেদনকারীকে। সেই বইটিও আমূল পরিবর্তন।

হোম সেক্রেটারী টরেসা মে জানিয়েছেন, আগে যে সব বিষয়ে প্রশ্ন রাখা হত, সেগুলো আর প্রাসঙ্গিক নেই। ব্রিটেন যে সব আবিষ্কার এবং উদ্ভাবন করেছে, যিনি ব্রিটেনের নাগরিকত্ব পাবেন তাঁকে অবশ্যই সে সব সম্পর্কে জানতে হবে। পাশাপাশি জানতে হবে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গল থেকে ডিউক অফ ওয়েলিংটন। ট্রাফালগার বা ওয়াটারলু যুদ্ধ এবং কিং জেমসের বাইবেল। সঙ্গে জেন অস্টেন, চার্লস ডিকেন্স, টমাস হার্ডি, রবার্ট ব্রাউনিং তো আছেই।

তিনি বলেন, আমাদের দেশ সবাইকে অভ্যর্থনা জানায়। কিন্তু সবাইকে এ দেশের আইন মেনে চলতে হবে এবং বুঝতে হবে, এমন অনেক কিছু আছে, যা অন্য দেশের আইনি ব্যবস্থায় গ্রহণীয় হলেও এ দেশে মানা হবে না। এ দেশের আইনকে যাঁরা সম্মান করবেন না, তাঁরা এ দেশের স্থায়ী নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নন। 'দ্য লাইফ ইন দ্য ইউ কে হ্যান্ডবুক'-এ অভিবাসীদের জানানো হচ্ছে, ব্রিটেন ঐতিহাসিক ভাবে 'খ্রিস্টান দেশ।' মুসলিম কট্টরপন্থীদের আক্রমণ করে বলা হচ্ছে, ব্রিটিশ সমাজে চরমপস্থা এবং অসহিষ্ণুতার জায়গা নেই। নিজের ধর্ম বেছে নেওয়ার অধিকার সকলের আছে। আবার সেই ধর্ম চর্চা করা বা না-করারও অধিকার আছে। নাগরিকত্ব পাওয়ার এই কড়াকড়িতে ব্রিটেনেরই একটি সংবাদপত্র সম্পাদকীয়তে লিখেছে: 'এ বার দেখা যাবে, এ দেশের নাগরিকদের চেয়ে নতুন নাগরিকরাই ব্রিটেন সম্পর্কে বেশি জানে!'

পাঠক,যদি 'ব্রিটিশ' হতে হলে তথা বৃটেনে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে হলে আপনাকে জানতে হবে ব্রিটেনের ইতিহাস, রাজনীতি, সাহিত্য, ধর্ম ও সংস্কৃতিসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনালীর ইতিহাস অথ্যাত শেক্সপিয়র থেকে বিটল্স পযন্র্ত জানতে হব; তাহলে একজন মুসলমান আল্লাহ পাকের কাছে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে হলে, হাশরে-নশরে নাজাত পেতে হলে তার কি কি জানতে হবে/মানতে হবে, জমিনে কি আমল করতে হবে, কিভাবে চলাফেরা করতে হবে এ বিষয়ে আমি আপনি একটিবারও চিন্তা করেছি কি?

প্লিজ মন্তব্য করুন......।



মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:২১

শুক্রগ্রহ বলেছেন: হক কথাই কইছেন -------------বাহে....................যদি বৃটেনে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে হলে আপনাকেেআমাকে জানতে হবে ব্রিটেনের ইতিহাস, রাজনীতি, সাহিত্য, ধর্ম ও সংস্কৃতিসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনালীর ইতিহাস অথ্যাত শেক্সপিয়র থেকে বিটল্স পযন্র্ত জানতে হব; তাহলে একজন মুসলমান আল্লাহ পাকের কাছে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে হলে, হাশরে-নশরে নাজাত পেতে হলে তার কি কি জানতে হবে/মানতে হবে, জমিনে কি আমল করতে হবে, কিভাবে চলাফেরা করতে হবে এ বিষয়ে আমি আপনি একটিবারও চিন্তা করেছি কি?

০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৩৮

আধার রাতের আলো বলেছেন: বৃটেনে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে হলে আপনাকে/আমাকে যদি বলা হয় ব্রিটেন ঐতিহাসিকগত ভাবে 'খ্রিস্টান দেশ, তাই এদশে বসবাস করতে হলে খ্রিষ্টানদের রীতিনীতি মেনেই এদেশে বসবাস করতে হবে এবং নিজনিজ পূববর্তী ধর্ম ত্যগ করতে হবে তাহলেও বাঙ্গালী মোরা রাজি হয়ে যাব বৃটেনে স্থায়ী নাগরিকত্ব পেতে (নাউযুবিল্লাহ)


২| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ রাত ৩:৫০

বীরেনদ্র বলেছেন: প্রত্যেক দেশের নিজস্ব নিয়ম কানুন আছে। বৃটেন যদি তার নিজস্ব নিয়ম কানুনকে পরিবর্তন করে তাতে যেমন কারো কিছুই বলার নেই একইভাবে আপনি আপনার ধর্ম জানবেন বা পালন করবেন তাতেও কার কিছু বলার নেই।

তবে যদি অন্যের অধিকারে প্রশ্ন তোলা হয় তখন তো সঙ্ঘাত বাধবেই, অর্থাৎ আপনি যদি দাবী করেন বৃটেনকে আমার দাবী মত অভিবাসন দিতে হবে বা কেউ যদি বলে ধর্ম এ ভাবে পালন না করে অমুক ভাবে পালন কর, ইত্যাদি।

আর যদি বৃটেন বলে বৃটেনে অভিবাসন পেতে হলে খৃস্টান হতে হবে বা এমন কিছু তাহলে যিনি খৃস্টান হতে চান তিনি যাবেন বা যিনি চান না তিনি যাবেন না।

তবে বৃটেন যদি বলে খৃস্টান হলে সে দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে তাহলে ১ মাসের মধ্যেই অভিবাসনের কোটা পূরন হয়ে যাবে বাংলাদেশীদের দিয়ে এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই আমার।

০৮ ই জুলাই, ২০১২ দুপুর ১:৪৬

আধার রাতের আলো বলেছেন: আপনার সাথে সহমত

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ৮:৫৪

পাস্ট পারফেক্ট বলেছেন: ইউ কে , ইউ এস এ, আর অস্ট্রেলিয়াতে যত না বাংলাদেশী আছে তার থেকে অনেক গুন "আই ডু- ইউ ডূ" মার্কা ভারতীয় পাওয়া যায়।
তাই বৃটেন যদি বলে খৃস্টান হলে সে দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া যাবে তাহলে ১ মাসের মধ্যেই অভিবাসনের কোটা পূরন হয়ে যাবে নিগৃহীত বঞ্চিত ভারতীয়দের দিয়ে এ ব্যাপারে সন্দেহ নেই আমার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.