নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি নিরপেক্ষ নই, আমি ভাল'র দলে

গালিগালাজ ও ক্যাচালমুক্ত ব্লগ

চিরতার রস

ভাল'র সাথে থাকি। ভাল'র মাঝে বাঁচিতে চাই ফেসবুকে বন্ধু হতে চাইলে- www.facebook.com/chiroter.rosh

চিরতার রস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে আসুন দোহার-নবাবগঞ্জ (কমপ্লিট ট্রাভেল গাইড এন্ড সাইট ডেসক্রিপসান)

২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২০

অনেক দিন যাবত ভাবছি দোহার-নবাবগেঞ্জের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা এবং নিদর্শন নিয়ে কিছু লিখব। তাছাড়া অনেক ব্লগারকে দেখছি দোহার-নবাবগঞ্জ নিয়ে অনেক আগ্রহ প্রকাশ করতে। তাই সকলের দাবি মেটানোর জন্য এবং অন্যদের দোহার-নবাবগঞ্জে ভ্রমনের উৎসাহ যোগানোর জন্য আজ দোহার-নবাবগঞ্জের কিছু দর্শনীয় স্থান এবং এসব যায়গায় ভ্রমনের উপর একটা পরিপূর্ণ দিক নির্দেশিকা দিলাম।আমি আশাবাদী আপনারা যারা ভ্রমন পিয়াসী তারা অতি শীঘ্রই দোহার-নবাবগঞ্জ ভ্রমনের জন্য মনোস্থির করবেন এবং বাংলার কয়েক শত বছরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং নিজের চোখে অবলকন করতে পারবেন। আপনাদের সুবিধার জন্য বেশ কিছু ছবি যুক্ত করলাম। সময় সল্পতার কারনে এবং সংগ্রহে না থাকার কারনে খুব বেশি ছবি দিতে পারলাম না।



ঐতিহ্যবাহী জজ বাড়িঃ





এটি নবাবগঞ্জের কলাকোপা নামক স্থানে অবস্থিত। একটি সুন্দর বাগান ঘেরা এবং বিশালাকৃতির এই জমিদার বাড়িটি মূলত জজ বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়ির পাশেই রয়েছে শান বাঁধানো পুকুর। রয়েছে পোষা হরিনের একটি খামার। বাগানের হাজারো রকমের ফুল আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করবে অনায়াসে। জমিদার বাড়িটি অতি প্রাচীন কালের ঐতিহ্যবাহী নকশায় তৈরী। যা আপনাকে কিছুক্ষনের জন্য হলেও সেই পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দিবে। এই বাড়িটি প্রায়্ই নাটক এবং চলচিত্রের সুটিং স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।







কোকিল প্যারি জমিদার বাড়িঃ





এই জমিদার বাড়িটি জজ বাড়ির ঠিক পাশেই অবস্থিত। বলা যেতে পারে এটি জজ বাড়ির ওল্ড ভারসন। জজ বাড়ি বিভিন্ন সময়ে সংস্কার করা হলেও এটি রয়ে গেছে সেই আগে যেমনটি ছিল। এই জমিদার বাড়িতেও রয়েছে শত শত দৃষ্টিনন্দন ফুলের গাছ আর বাড়ির ঠিক সামনে রয়েছে বিশালাকৃতির স্বচ্ছ পানির পুকুর। রয়েছে বিশালাকৃতির পুকুর ঘাট। ঘাটে বসে ইচ্ছা করলে পানিতে পা ভিজিয়ে আড্ডাও দিতে পারবেন অনায়াসে। হয়তো কিছু ছোট ছোট মাছ আপনার পায়ে কামর দিয়ে ছুটে পালাবে।



বৌদ্ধ মন্দিরঃ





এই বৌদ্ধ মন্দিরটি কোকিল প্যারি জমিদার বাড়ির ঠিক বাইরে অবস্থিত। মন্দিরটির ভেতরে একটি ভাঙা মুর্তি আছে। কথিত আছে ১৯৭১ সালে পাক বাহিনী এই মুর্তিটি ভেঙে রেখে গিয়েছিল। সংস্কারের অভাবে মন্দিরটির দেয়াল খসে খসে পড়ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কারো কোন হস্তক্ষেপ আজ পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি।



খেলালামদার বাড়ি (আন্ধার কোঠা)







এটি এক সময় সকলের আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। কিন্তু সংস্কার এবং রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে এটি এখন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। এখনো মাটির উপর ২ তলা একটি জড়াকীর্ণ ভবন দেখতে পাবেন। কথিত আছে এই পাঁচ তলা ভবনটি এক রাতে ৩তলা পর্যন্ত মাটির নিচে চলে গিয়েছিল। ভবনটির উপরের তলাতে একটি বড় চৌবাচ্চা আছে। কথিত আছে জমিদার খেলালামদা এর মা একদিন তার সন্তানের কাছে দুধ খেতে চাইলে সে তার মায়ের জন্য এই চৌবাচ্চা বানানোর নির্দেশ দেন। পড়ে সেই বিরাট চৌবাচ্চায় দুধ এবং কলা দিয়ে পূর্ণ করে তার মাকে সেই চৌ্বাচ্চায় নামিয়ে দেন। তার মা সাতার কেঁটে কেঁটে মনের সাধ মিটিয়ে দুধ খেয়েছিল। এই বাড়িটির পাশেও একটি বিরাট পুকুর আছে। কথিত আছে এই পুকুরের পাশে এসে কেউ কিছু চাইলে তার পর দিন তাই মিলে যেত। তবে এসব কাহিনীর সত্যতা কতটুকু তা নিয়ে কোন যুক্তিতে যেতে চাচ্ছিনা। এক সময় এই ভবনের নিচের তলাগুলোতে সিড়ি বেয়ে যাওয়া যেত। কিন্তু সিড়িগুলো ধীরে ধীরে ক্ষয় প্রাপ্ত হওয়ায় এখন এর প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই ভবনের ভেতরে অন্ধকার এতই ঘন যে অতি উজ্জল আলোও এখানে স্তিমিত হয়ে যায়। এর জন্যই এই ভবনকে আন্ধার কোঠা বলা হয়ে থাকে।



কলাকোপা আনসার ক্যাম্পঃ

জজ বাড়ির সন্নিকটেই কলাকোপা আনসার ক্যাম্প অবস্থিত। এটিও একটি দৃষ্টিনন্দন স্থান। ছায়া সুনিবিড় সুন্দর একটি পরিবেশ। পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আনসারদের বসবাসের জন্য অনেক বড় একটি এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই নয়নাভিরাম ক্যাম্পটি।



ইছামতি নদীঃ





প্রাকৃতিক সৌদর্যের এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এই নদীটিকে ঘিরে সেই আগের মত প্রাণ চাঞ্চল্য না থাকলেও সূর্য়াস্তের সময় আপনি মূগ্ধ হয়ে এর রুপ অবলকন করতে সক্ষম হবেন।



বান্দুরা ভাঙা মসজিদঃ





কথিত আছে এই মসজিদটি এক রাতে গায়েবীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল। যেরাতে এটি সৃষ্টি হয়েছিল সেদিন ভোরে কোন এক লোক এই মসজিদটি প্রথম আবিষ্কার করেন। কিন্তু তখনও পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণ সৃষ্টি হতে পারেনি। কিন্তু মানুষের চোখে পড়ে যাওয়ায় এটি সেরকম অসম্পূর্ণই থেকে যায়। এর একটি অংশ ভাঙা থাকার কারনে এটি ভাঙা মসজিদ নামেই পরিচিত। মসজিদটি দেখতে দারুন। অনেকে এখানে এসে নিজের মনবাসনা মহান সৃষ্টিকর্তাকে জানান। কেউ কেউ তাদের মনবাসনা পূরণ হয়েছে বলেও জানান।



সাত মাথার মুর্তিঃ

এটি মাঝির কান্দা নামক স্থানের অদূরে অবস্থিত। একটি বিরাট বটগাছের নিচে এই মুর্তিটি নির্মান করা হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের মাধ্যমে। প্রতি বছর এই মুর্তিকে ঘিরে পূজা এবং মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।



বান্দুরা গির্জাঃ





অনেক বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে উঠেছে এই গির্জাটি। গির্জার ভেতরের দিকটা বেশি আকর্ষনীয় এবং সামনে একটি বিশাল খোলা মাঠ এর সৌদর্য হাজারগুন বৃদ্ধি করে দিয়েছে। গির্জাটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কিছু খৃষ্টান মিশনারী ক্যাম্প।



মৌনট ঘাটঃ





বর্ষাকালে এটি তার চুড়ান্ত রুপ লাভ করে। পদ্মানদী যখন কূলকিনারা ভরে প্রবাহিত হয় তখন এই মৌনট ঘাট লাভ করে এক অপরুপ রুপ বৈচিত্র। প্রতিদিন এখানে ভিড় করে হাজার হাজার দর্শনার্থী।







পদ্মার চরঃ





মুলত যখন পদ্মার পানি কমতে থাকে তখন পদ্মার বুকে এসব চর পরতে শুরূ করে। মূল ভুমি থেকে ভাড়া নৌকায় করে এসব চরে যেতে হয়। এসব চর হতে সূর্যাস্ত দেখাটা এক চরম অনুভুতি।



মহাকবি কায়কোবাদের জন্মভুমিঃ

নবাবগঞ্জের আগলা নামক স্থানে মহাকবি কায়কোবাদ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই স্থানটিও ঘুরে দেখার মত। বিশেষকরে যারা মহাকবি সম্পর্কে জানতে চান তারা বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাবেন আগলায় আসলে।



মরিচা এবং তুলসীখালী সেতুঃ





পর পর দুটি বিরাট সেতু পড়বে মরিচা এবং তুলসীখালী নামক স্থানে। গাড়ি থামিয়ে কিছু সময় এই সেতু দুটোতে পার করে দিলে লাভই হবে বলে মনে হয়। কেননা সেতুর উপর থেকে চোখে পড়বে সেতুর নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া ইছামতির রুপ লাবন্য। সাথে বোনাস পাবেন পাশের দিগন্ত বিস্মৃত ফসলের মাঠ। শীতকালে যখন মাঠে রবি শস্য থাকে তখন আপনার চোখ জুড়াবে তার রুপ অবলকন করে।



দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ, শহীদ মিনার এবং আরো অনেক প্রাচীন স্থাপনাঃ

উপরের বর্ণিত স্থান সমূহ ছাড়াও একটু পড়ে পড়েই নানান রকম স্থাপনা আপনাদের চোখে পড়বে। যেগুলো বর্ননা দিতে অনেক সময়ের ব্যাপার। সবগুলো স্থান এবং স্থাপনাই কোন না কোন ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষী।



কিভাবে আসবেন ????

ঢাকার গুলিস্থানের গোলাপ শাহ মাজার থেকে বান্দুরাগামী এবং জয়পাড়াগামী বাস পাওয়া যায়। আপনি বেশি উপকৃত হবেন যদি বান্দুরাগামী কোন বাসে চেপে বসেন। সেক্ষেত্রে আপনি প্রথমেই নবাবগঞ্জ এবং পরে সেখান থেকে সহজেই দোহার যেতে পারবেন। ভাড়া নিবে ৬৫ টাকা।

আর নিজস্ব গাড়ী থাকলেও তো কথাই নেই। দল ধরে গেলে গাড়ি ভাড়া করে নেওয়াই উত্তম হবে। নবাবগঞ্জ হয়ে প্লান করলে যে স্থান সমূহ পর্যায়ক্রমে পড়বে তা হলো----



মরিচা এবং তুলসীখালী সেতু > আগলা > নবাবগঞ্জ (শহীদ মিনার, দোহার নবাবগঞ্জ কলেজ) > কলাকোপা (আন্ধার কোঠা, বৌদ্ধ মন্দির, কোকিল প্যারি জমিদার বাড়ি, জজ বাড়ি, আনসার ক্যাম্প, ইছামতি নদী) > মাজিরকান্দা (সাত মাথার মুর্তি) > বান্দুরা (ভাঙা মসজিদ, হাসনাবাদ গির্জা)



বান্দুরা থেকে চলে যাবেন কার্তিকপুরের মৈনট ঘাটে। সেখান থেকে জয়পাড়া হয়ে নারিসা পদ্মার চরে। নারিসার কিছু দূরেই যেতে পারেন সাইনপুকুর এলাকায়। এই এলাকাটাও ঘুরে দেখার মত। পদ্মার তীরে সুন্দর একটি লোকালয়। এছাড়া আসার পথে জয়পাড়ায় দেখতে পাবেন নব্য নির্মিত স্বাধীনতার ভাস্কর্যটি।







এছাড়াও ঘুরে দেখার মত আরো অনেক জায়গা আছে। কিন্তু সবকিছু ঘুরে দেখার জন্য আপনাকে দুই দিনের ভ্রমন প্লান করতে হবে। একদিনে আমার বর্ণিত স্থানগুলোই দেখতে পারেন। তারপরেও সময়ের অনেক টানাটানি লেগে যাবে। বান্দুরা গেলে মিষ্টি খেতে ভুলবেন না। সাথে রসমালাই।

অনেক সংক্ষেপে দোহার-নবাবগঞ্জের কিছু তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করলাম। কোন ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। আর কোন তথ্য দরকার হলে জানাবেন। আমার সাধ্য মত আপনাদের জোগান দিতে চেষ্টা করবো। তো কবে যাচ্ছেন দোহার-নবাবগঞ্জ ?????

মন্তব্য ১০৩ টি রেটিং +৩১/-০

মন্তব্য (১০৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৬

অয়ন আহমেদ বলেছেন: চমৎকার লাগলো। আপনাকেই আমার দরকার ফোন নং দেন।

২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৩

চিরতার রস বলেছেন: কেন ভাই ভাল পোস্টের অপরাধে কি গুম করবেন নাকি? B:-/ B:-/

হাওএভার, আমাকে লাগবেনা। দোহার-নবাবগঞ্জের প্রতিটি মানুষই বন্ধুসুলভ। সবাই আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে যদি ঘুরতে যান। আশা করছি অতি শীঘ্রই যাচ্ছেন।

২| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

আবদুল্লাহ্‌ আল্‌ মামুন বলেছেন: যাবানে একদিন......দারুন জায়গা...

২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৩

চিরতার রস বলেছেন: হুমমম। না গেলে মিস করবেন।

৩| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৪

গোর্কি বলেছেন: ভার্চুয়ালি ভ্রমন, ছবি ও বর্ণনা খুব ভাল লাগল। সুন্দর একটি পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। পোস্ট সংরক্ষণ করলাম।

২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৩

চিরতার রস বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

স্বপ্নকথন বলেছেন: অনেকদিন পর কোন পোষ্ট এ কমেন্ট করলাম। আমার নিজের বাড়ি দোহারে।এই সব জায়গাই আমার ঘড়া,জজ বাড়ি টা বাদে।এখানে যাবার প্ল্যান অনেক হয়েছিল,কিন্তু যাওয়ার উপায় পাইনি বলে হয়নি।এইবার যাব নিশ্চই।

ধন্যবাদ রস ভাই।আমার আমার এলাকাটা এত্ত সুন্দর আগে জানতাম।নতুন করে মনে পরলো আবার।

২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

চিরতার রস বলেছেন: আপনাকেও অশেষ ধন্যবাদ।

৫| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

জানালার বাইরে বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন তো!

২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৪

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

হেডস্যার বলেছেন:
ঐদিকেই বোধ হয় আপনার বাড়ি তাই না?
পোষ্টে +

২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৬

চিরতার রস বলেছেন: গুমের আতঙ্কে বাড়ি সংক্রান্ত তথ্য দিতে ভয় লাগে। :P :P
+ এর জন্য ধন্যবাদ।

৭| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০১

আরিফ বল্গ বলেছেন: কদিনে যেয়ে সন্ধ্যায় ফিরে আসা যাবে ? রাত কয়টা পূর্যন্ত ঢাকায় ফেরার গাড়ী পাওয়া যায় ?

কাল পরশুই যাব ইনশাআল্লাহ :#) :#) :D :#) :#)

২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৫

চিরতার রস বলেছেন: রাত ৮ টা পর্যন্ত ফিরে আসার গাড়ি পাবেন। আপনার জন্য শুভ কামনা।

৮| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:০৬

অয়ন আহমেদ বলেছেন: আমাদের ফটোগ্রুপ আছে যারা প্রতি নিয়ত এখানে ওখানে দল বেধে ফটো তুলতে যাই। তাই টুকটাক অনেক তথ্য দরকার হতে পারে।

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৪

চিরতার রস বলেছেন: ফটোগ্রাফীর জন্য একটি পারফেক্ট প্লেস। যদি যান তাহলে ফটোগুলো শেয়ার করতে ভুলবেন না। আর কোন তথ্য দরকার হলে ইমেইল করতে পারেন [email protected]

৯| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১০

মশিউর মামা ১ বলেছেন: লেখা ভালো লাগসে | :)

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৪

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ মামা।

১০| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩১

আমি বন্য বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট ++++++++++

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৫

চিরতার রস বলেছেন: পেলাচ দিয়ার লিগা ধন্যবাদ।

১১| ২২ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাজারি বলেছেন: জয় পাড়ার মিস্টি যে খাইনি , বিশেষ করে মহামায়া'র মিষ্টি..........ওয়াও
সে তো বিয়াই করে নি !!!!!

আমার এক্স স্টেশন হওয়াতে মাঝে মাঝে যেতে হয়......... লানচিত হই মিস্টি দিয়ে.........।সামনের স হ্প্তায় আবার .....

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৫

চিরতার রস বলেছেন: বান্দুরার মিষ্টি চেখে দেখেছেন??? জয়পাড়াও ফেল। বিশেষ করে সহদেবের দোকানে গিয়ে খেয়ে দেখবেন।

১২| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ৯:০৭

দা লর্ড বলেছেন: লোভ লাগায়ে দিলেন। যাবো একদিন। আপনাকে +++

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৬

চিরতার রস বলেছেন: হুমম। না গেলে মিস করবেন। + এর জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২২ শে মে, ২০১২ রাত ১০:২১

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আমার বাড়ি নবাবগঞ্জ হলেও এভাবে ঘুরে দেখা হয়নি। কি আশ্চর্য! দেখি যাবো একদিন সময় করে। অফিস অফিস করতে করতে দেশের বাড়িই যাওয়া হয়না। ভালো থাকুন। সুন্দর পোস্ট।

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৮

চিরতার রস বলেছেন: আপনার অবস্থা হচ্ছে-"দেখা হয়নাই চক্ষু মেলিয়া ঘর হয়ে দু'পা ফেলিয়া" এর মত।
আসলে নবাবগঞ্জের এমন অনেক সুন্দর জায়গা আছে যা আমারও এখনও দেখা হয় নাই। বিশেষ করে ইছামতির ওপারের দিকটা।

আপনার জন্য শুভ কামনা। পোস্টকে মূল্যায়ন করার জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৪১

ডেভিড বলেছেন: কামলায় গেসিলাম হের লাইগ্গা ঘুরা হয় নাই, আবার গেলে দেখপানে

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৪৫

চিরতার রস বলেছেন: কামলায় গেসিলেন !!! :-/ :-/

ভ্রমনের উদ্দেশ্যে যেতে হবে। তাহলে মজা পাবেন।

১৫| ২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৪২

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এই ট্যুরটা করেছি কয়েকবার। ইন্টারেস্টিং রুট।+

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৪৬

চিরতার রস বলেছেন: ভাল কোন ফটোগ্রাফী থাকলে শেয়ার করেন। আমার দরকার।
+ এর জন্য ধন্যবাদ।

১৬| ২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৪৪

১১স্টার বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৪৬

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ। আরো ভাল লাগবে যদি সময় করে কখনো দেখতে যান।

১৭| ২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ১০:০৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: ami sob gulate e gechin chorom................

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ১০:৪২

চিরতার রস বলেছেন: তাহলেতো আপনি মজা পেয়েই গেছেন।

১৮| ২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ১০:৪৬

আলীেহােস বলেছেন: যেতে হবে। সময় পেলে যাব। পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:০৮

চিরতার রস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। না গেছে মিস করবেন।

১৯| ২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ১০:৫৪

rasselbd বলেছেন: চমৎকার ! ইছে আছে টুর দেয়ার :)

২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:০৯

চিরতার রস বলেছেন: আসলেই জায়গাগুলো চমৎকার। আপনার ইচ্ছা পূর্ণতা পাক।

২০| ২৩ শে মে, ২০১২ সকাল ১১:৪১

ধর্ম-ঘট বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো, অনেক দিন পরে সামুতে ঢুকে সুন্দর পোষ্ট টা পেয়ে লগ ইন করলাম। দোহার নবাবগঞ্জে আরো অনেক কিছু দেখার আছে।
খেলারাম দাদার কোঠাতে নিচের তালায় মাঝে একটা রুম আছে, অনেক অন্ধকার, কোন আলো আসেনা কিন্তু প্রচুর বাতাশ আসে। অনেক ভালো লেগেছিলো। এর পাশাপাশি সেখানে অনেক পুরানো বাড়ি আছে যা ১৯৭১ এর সময় তত্কালীন জমিদার ও ধনী মানুষগুলো পালিয়ে গেছিলো। সেই বাড়ি গুলো এখনও অনেক সুন্দর লাগে, সেখানে গেলে মনে হয় কয়েকশ বছর পিছিয়ে গেছি, পাশেই ইছামতী নদী। দারুণ।
জজ বাড়িটা বেদখল হয়ে আছে, তবুও এর রক্ষনাবেক্ষন হয় দেখে ভালো লাগে।
গীর্জা টা প্রধানত বান্দুরাতে না সেটা গোল্লা তে, অদ্ভুত সুন্দর লাগে গীর্জাটা, অনেকবার গেছি। তবে সেখানে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো অনেক আগে যখন কাশিয়াখালী বাধ হয়নি, তখন বন্যার সময়, ছোট ছোট নৌকাতে। অপরুপ দৃশ্য।
আর মিষ্টি, !!!! ওয়াও নবাবগঞ্জ, বান্দুরা আর জয়পাড়ার অসাধারণ মিষ্টি, আর ছানার আমিত্তি, কালোজাম, রসমালাই, আর একটা জিনিস খেয়ে দেখতে পারেন, জয়পাড়ার ঝাল চানাচুর, অনেক মজা পাবেন, বান্দুরা বাজারের লরেন্স বেকারীর চাড়া বিস্কুট আছে, যেটা অন্য কোথাও পাওয়া যায়না।
সত্যি অসাধারণ আর সেখানের মানুষগুলোও বেশ আন্তরিক।

২৩ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:১০

চিরতার রস বলেছেন: কমেন্টের জন্য অশেষ ধন্যবাদ। গোল্লাতেও একটা গির্জা আছে। কিন্তু আমি যেটার বর্ণনা দিয়েছি সেটা বান্দুরার অদূরে হাসনাবাদে। হয়তো আপনি দেখেন নি। দেখে আসার আমন্ত্রন জানাচ্ছি।

বাকি বর্ণনাগুলো ভাল লাগলো। আমার পোস্টে এগুলো এড করার চেষ্টা করবো।

২১| ২৩ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৪১

জোবায়ের বলেছেন: খুব ভাল লাগল আপনার পোস্ট। বেশ কয়েকবার গিয়েছি এসব এলাকায়। আর একটু এগুলে মানিকগঞ্জের বাবুরহাটি, ওখানে এক বন্ধুর বাড়ী, সেখানে প্রায়ই যাই। বাবুরহাটি নিয়ে আমার একটা ফটো ব্লগ আছে সম্ভব হল দেখবেন।

২৩ শে মে, ২০১২ দুপুর ১২:৫৪

চিরতার রস বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। মানিকগঞ্জে আমারও আত্মীয় বাড়ি আছে। বলরাতে।
পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। অবশ্যই দেখবো।

২২| ২৩ শে মে, ২০১২ রাত ৯:২৬

মিলু বলেছেন: ঢাকা থেকে যাইতে কতক্ষন লাগে? কোন বাস ধরতে হয়?

২৩| ২৪ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৩০

চিরতার রস বলেছেন: গুলিস্তান গোলাপ শাহ মাজার হতে বান্দুরাগামী বাস পাবেন। নাম- এন মল্লিক, বাংলালিংক, যমুনা সহ অনেক বাস আছে। যমুনা সরাসরি নবাবগঞ্জ হয়ে মৈনট ঘাটে গিয়ে থামে। ঢাকা থেকে নবাবগঞ্জ পর্যন্ত আপনার এক থেকে দেড় ঘন্টা সময় লাগবে।

২৪| ২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৩:৩১

কাউসার রুশো বলেছেন: ধন্যবাদ :)
প্রিয়তে রাখলাম। শীর্ঘ্যই যাওয়ার ইচ্ছে আছে

২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৩:৫৬

চিরতার রস বলেছেন: হুমম। আপনার ভ্রমন শুভ হোক।

২৫| ২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:২৯

মি: জন বলেছেন: আজ সন্ধ্যার দিকে শেওড়াপাড়া যাব। খোজ নিয়ে আসতে পারতাম। শেওড়াপাড়ার কোথায় ভাই-বুফে?

২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩

চিরতার রস বলেছেন: শেওড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ডের আগেই ব্লু লেগুন নামে একটা রেস্টুরেন্ট আছে। ৩০০ টাকা ব্যুফে লানস্।

২৬| ২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩৬

মি: জন বলেছেন: আমি একদিন ধুওয়াইর, পদ্মা নদীর ঘাটে বাহ্রা গেছিলাম। কিন্তু জানার অভাবে অগুলো দেখা হয়ে ওঠেনি। মাঝে মধ্যেই যেতে হবে। এবার একবার যাব ইনশাআল্লাহ।

২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৩৭

চিরতার রস বলেছেন: শুভ কামনা। আমার পোস্ট হয়তো আপনার কাজে লাগবে।

২৭| ২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪৫

মি: জন বলেছেন: ভাই শেওড়াপাড়ার বুফের কথা কইলেন না কিন্তু?

২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৫৪

চিরতার রস বলেছেন: কইছি। তবে একটু দেরি কইরা। একটু বিজি ছিলাম। ডোন্ট মাইন্ড।

২৮| ২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬

মেকগাইভার বলেছেন: পদ্যার চরে একবার সারারাত ছিলাম। জিনিশটা বলে বোঝানো যাবে না।

২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৪:৫৩

চিরতার রস বলেছেন: আমার এই অভিঞ্জতাটা হয় নাই। ইচ্ছা আছে রাতে একদিন থাকব। তবে পূর্ণিমার রাতে।

২৯| ২৪ শে মে, ২০১২ বিকাল ৫:৪৯

মি: জন বলেছেন: একাই নাকি দলবল সহ?

৩০| ২৪ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬

চিরতার রস বলেছেন: দোহার নবাবগঞ্জে আমার বিরাট বাহিনী আছে।

৩১| ২৫ শে মে, ২০১২ বিকাল ৫:০৫

সহ্চর বলেছেন:

ভাল্লাগসে,খুব্বি ভাল্লাগসে পোস্ট।

প্লাস



২৫ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪২

চিরতার রস বলেছেন: পোস্টকে মূল্যায়ন করার জন্য ধন্যবাদ।
যদি কখনো এসব স্থান ঘুরে আসেন তাহলে আরো ভাল লাগবে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

৩২| ২৫ শে মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

জুন বলেছেন: আমার দেশের বাড়ী প্রায়ই যাওয়া। ইছামতী নদী তে নৌকা ভ্রমন অনেক ভালোলাগা। বাংলাদেশের প্রথম মিশনারী স্কুল বান্দুরা হলিক্রস স্কুলের ছাত্র ছিলেন আমার বাবা। পরিচিত জায়গার ছবিগুলো খুব ভালোলাগলো
+

২৭ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৮

চিরতার রস বলেছেন: জেনে ভাল লাগলো আপনার কিছু স্মৃতি আছে এই এলাকা নিয়ে। ইছামতি নদী এখন শুকিয়ে যাওয়াতে আগের মত নৌকা ভ্রমনের মজাটা পাওযা যায়না।

৩৩| ২৫ শে মে, ২০১২ রাত ৯:৪৬

শিপন মোল্লা বলেছেন: সুন্দর।

২৭ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৯

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ। আশা করছি জীবনে একবার ঘুরে আসবেন।

৩৪| ২৬ শে মে, ২০১২ রাত ৮:৩৪

পিদিম বলেছেন: ওরে ভাই জানেরা আমি ঐ এলাকায় চাকর হয়ে জনগনের সেবা করি।দাওয়াত রইলো।

২৭ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:২৯

চিরতার রস বলেছেন: সরকারী চাকুরি নাকি?

৩৫| ২৭ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৪৭

পাঠক1 বলেছেন: দোহার নিয়ে লেখার ব্লগারও আছে এখানে ভাল ভাল ।

২৭ শে মে, ২০১২ সকাল ৯:৫৭

চিরতার রস বলেছেন: মন্তব্যটা ক্লীয়ার না? কি বুঝাতে চাইলেন বুঝলাম না।

৩৬| ০১ লা জুন, ২০১২ রাত ১:১৪

পিদিম বলেছেন: ঐ আর কি।খেটে বুডা হচছি।আসেন মেঘুলা বাজার।

০১ লা জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭

চিরতার রস বলেছেন: গ্রামে গেলে প্রায়ই নারিশা যাই পদ্মার পাড়ে। আসপানে একদিন।

৩৭| ০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ১২:১৫

মুহিব বলেছেন: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া . . .

০৩ রা জুন, ২০১২ দুপুর ১:০১

চিরতার রস বলেছেন: বুঝলাম আপনি এ এলাকার লোক। সময় করে চক্ষু মেলে দেখুন।

৩৮| ০৪ ঠা জুন, ২০১২ দুপুর ১২:৩৩

megher_kannaa বলেছেন: আমার দাদুবাড়ী ঐ দিকেই কিন্তু আমার কখনো যাওয়া হয়নি এই জায়গা গুলতে।
সুন্দর পোস্টের জন্য +

০৫ ই জুন, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৪

চিরতার রস বলেছেন: দাদুবাড়িতে কখনো যাওয়া হয়নি !!!! খুবই দুঃখজনক।
আশা করছি ভবিষ্যতে যাবেন।

+ এর জন্য ধন্যবাদ।

৩৯| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:০৮

megher_kannaa বলেছেন: দাদুবাড়ি যাওয়া হয় কিন্তু আশে-পাশের জায়গা গুলোতে যাওয়া হয়নি।
আপনার মাধ্যমে ছবিগুলত অন্তত দেখা হল।
ধন্যবাদ।

১৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ৯:২৩

চিরতার রস বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। এর পর যখন দাদুবাড়ি যাওয়া হবে তখন একটু ঘুরে দেখবেন এসব যায়গা। কেমন?

৪০| ১৯ শে জুন, ২০১২ রাত ১২:১৭

অতন্দ্র তওসিফ বলেছেন: আমার নানাবাড়ি দোহার। শো-কেসে সাজিয়ে রাখলাম।

১৯ শে জুন, ২০১২ সকাল ৯:২৩

চিরতার রস বলেছেন: দোহারের কোথায় আপনার নানাবাড়ি?

৪১| ১৬ ই জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৫০

লেহালুয়া বলেছেন: গত বছর গিয়েছিলাম কলাকোপা, বান্দুরায় নৌকাবাইচ দেখতে। অন্য জায়গাগুলোর অনেক গল্প শুনলেও সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় আর দেখা হয়ে ওঠেনি।

২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৫

চিরতার রস বলেছেন: আমি অনেক দিন হলো নৌকাচাইচ দেখিনা। জিনিসটা খুবই মজার।

৪২| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:২৭

পারভেজ রবিন বলেছেন: মধ্যযুগীয় নকশার কোনো বাড়ী দেখলে আমরা জমিদার বাড়ী বানিয়ে দেই। অবশ্য এর কারনও আছে, এই ধরনের বাড়ী সাধারণত জমিদাররাই বানাতে পারতেন। তবে কলাকোপার কোনটা জমিদার বাড়ী তা গবেষণার বিষয়, বেশিরভাগ ব্যবসায়ী বা উচ্চপদস্থ পেশাজীবিদের। কলাকোপার মধ্যযুগে একটি নগর ছিল। আপনার লেখায় কিছু তথ্য সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।
১. জজ বাড়ীটি জমিদার বাড়ী নয়।এই তথ্যটি অনেকেই জানেন না।
২. “কোকিল প্যারি জমিদার বাড়িঃ” যেটি লিখেছেন সেটি ব্রজনিকেতন (জজবাড়ীর কাছে তবে পাশে নয়, আর এটি এখন আনসাররা ব্যবহার করছে, এটি ইছামতির পাড়ে।
৩. ‘বৌদ্ধ মন্দিরঃ” এটি বৌদ্ধ মন্দির নয়। ‘মন্দির’টি যে বাড়ীর সামনে দেখছেন তার বাবা ও মায়ের মূর্তি। দুটি মঠের একটিতে বাবা ও আর একটি মা’ এর মূর্তি। সেই সময়ে অস্ট্রেলীয়া হতে খুদিয়ে আনা হয়েছিল মূর্তি দুটি। আও মূর্তি দুটি পাক বাহিনী ভাঙ্গে নি, নব্বই দশকের শুরুতে বাবরী মসজিদ ভাঙ্গার প্রেক্ষিতে এখানে দাঙ্গা হয়েছিল তখন এগুলো ভাঙ্গা হয়েছে।
৪. ‘জমিদার খেলালামদা’ সঠিক উচ্চারণ হবে খেলারম দাতা। তিনি জমিদার ছিলেন না। ছিলেন ব্যবসায়ী। মালয় পর্যন্ত তার জাহাজ যেত। সম্ভবত তিনি জলদস্যূ ছিলেন, পর্তুগীজদের সাথে মিলে। এক সময় তিনি ব্যাপক দান করতে শুরু করেন তখন তার নামের সাথে দাতা শব্দটি লেগে যায়।
৫. আমি বিশ্বাস করি না ভাঙ্গা মসজিদ এক রাতে ‘গায়েবীভাবে’ সৃষ্টি হয়েছিল। এটি নিয়ে আমার নিজস্ব মত রয়েছে। পরে একসময় বলব।
তথ্য সংযোজন:
সাত মাথার মুর্তিঃ টির পোশাকি নাম ‘নিশকান্দা’।
“গির্জাটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে কিছু খৃষ্টান মিশনারী ক্যাম্প।“ ক্যাম্প বলতে কি বুঝিয়েছেন বুঝলাম না।
আর একটা কথা যোগ করি, মিষ্টি সহদেবেরটা সেরা তবে রসমালাই কলাকোপারটি সেরা, দোকানের নাম এখন বলতে পারছি না।

৪৩| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:২৯

পারভেজ রবিন বলেছেন: সংশোধনী: ২. “কোকিল প্যারি জমিদার বাড়িঃ” যেটি লিখেছেন সেটি ব্রজনিকেতন (জজবাড়ীর কাছে তবে পাশে নয়, আর এটি এখন আনসাররা ব্যবহার করছে, এটি ইছামতির পাড়ে। = ২. “কোকিল প্যারি জমিদার বাড়িঃ” যেটি লিখেছেন সেটি ব্রজনিকেতন (জজবাড়ীর প্রকৃত নাম) কাছে তবে পাশে নয়, আর এটি এখন আনসাররা ব্যবহার করছে, এটি ইছামতির পাড়ে।

২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৩:৫৩

চিরতার রস বলেছেন: তথ্য গুলোর জন্য অশেষ ধন্যবাদ। সবাই উপকৃত হবেন আশাকরি। আমি যতটুকু জানতাম শেয়ার করেছি । ভবিষ্যতেও আপনাদের সহযোগিতা আশা করছি নির্ভুল তথ্য তুলে ধরার জন্য।

৪৪| ২৯ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:০২

মোঃ আবদুল হাই বলেছেন: আমার বাড়ি দোহার।

৩০ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১১:০৫

চিরতার রস বলেছেন: চেনা চেনা লাগছে। ;) ;)

দোহার কোথায় ?

৪৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৩৫

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: দারুন :)

পোষ্টে +++++


শুভকামনা :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৩

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫৭

ভুল্কিস বলেছেন: প্রায়ই যাওয়া পড়ে (মাসে দুই চার্বার)- বান্দুরা হৈয়া কাইশাখালী :)

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৪

সাকিল আল মামুন বলেছেন: showcase e tuilla rakhlam, apnare dhoinna

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৩:৩৩

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১

সাগর চক্রবতী বলেছেন: আমার মামাবাড়ী নবাবগঞ্জ ।খুবই সুন্দর জায়গা।এই বাড়ীগুলোর সামনে দিয়ে গেলেও ভাল করে দেখা হয়নি কিছুই।শেষবার ২০০১ সালে গেছিলাম।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

চিরতার রস বলেছেন: মামাবাড়ী মধুর হাড়ি। বার বার যাবেন।

৪৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৭

টুনটুনি সুখি বলেছেন: ভালই লিখেছেন

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫২

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ।।।

৫০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৩

মাইকেল কলিয়নি বলেছেন: আমার গ্রামের বাড়ির এলাকা। ছোট বেলা থেকে দেখে দেখে বড় হয়েছি। মাসে ২-৩ বার যাওয়া পড়ে। এই জিনিশ গুলা নিয়ে আগে থেকেই গর্ব ছিল কিন্তু ব্লগ এ তুলতে পারিনি। আপনাকে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবনা।
বান্দুরা হলি ক্রস হাই স্কুল এর পড়া আর সহদেব এর মিস্তি, রংধুনু হোটেল এর পুরি আহা স্কুল লাইফ মনে পড়ে গেল।
তবে ধর্ম-ঘট ভাইয়া ঠিক বলেছেন। হাসনাবাদ ছাড়া আরও গির্জা আছে গোল্লা আর তুইতাল এ । আপনি যেটা দেখেছেন সেটা হাসনাবাদের। কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর গোল্লার গির্জা। বাংলাদেশ এর মধ্যে অন্যতম সেরা। দেখের আমন্ত্রন দিলাম

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। গোল্লা গির্জাটা দেখা হয়নাই। যাব একদিন হয়তো। ভাল থাকবেন সব সময়।

৫১| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৬

নিঝুম আখতার বলেছেন: আমার দোহার আমার গর্ব। আর একটি দর্শনীয় স্থান ইসমাইল কারী সাহেবর বাড়ী। নবাবগঞ্জের অনেক জায়গাই আমার পরিচিত।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৫৬

চিরতার রস বলেছেন: ইসমাইল কারী সাহেবের বাড়ী সম্পর্কে কিছু জানা নাই। বিস্তারিত বলেন। ঘুরে আসব ইনশাল্লাহ।।।

৫২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

নেট ইনফিনিটি বলেছেন: সদরঘাট হতে লঞ্চে করে ৬/৭ ঘন্টা । মরিচা পার হয়ে খালে ঢোকার পর চারিদিকের অপরূপ দৃশ্যগুলির ( বিশেষ করে বর্ষার সময়) কথা মনে হলে নষ্টালজিয়ায় পেয়ে বসে। কোমরগঞ্জের মাটির রাস্তায় নেমেই মনে হত কি শান্তি ! পাখীদের কলকাকলি, তালগাছে বাবুই পাখীর বাসা, একটা গ্রাম্য গন্ধ বড়ই আলোড়িত করত। কালের যাত্রার সাথে সাথে সেগুলির অনেকাংশই হারিয়ে যাচ্ছে, তারপরও আমার গ্রামটাকেই সবচেয়ে সুন্দর মনে হয়।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

চিরতার রস বলেছেন: ইছামতি মরে গেছে :((
এখন আর লঞ্চ চলে না।

আপনার বাড়ি কৈ ?

৫৩| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

বনসাই বলেছেন: ১৫ তারিখ যাওয়ার প্লান আছে। একটু যদি ক্রমধারা উল্লেখ করতেন কোনটার পর কোথায় যাবো? সুবিধা হতো। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ১০/১২ জন যাবো তবে কারো বাড়ি ওদিকে নয়।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

চিরতার রস বলেছেন: খুব ভাল লাগলো শুনে যে আপনারা যাওয়ার প্লান করতেছেন। মনে হয় অলরেডি রওনা করে দিয়েছেন। আর না করলে ফেসবুকে আলোচনা করতে পারেন।
চিরতার রস লিখে সার্চ দিলেই আমাকে পেয়ে যাবেন।
ধন্যবাদ বনসাই।
আর ভ্রমনের উপর ছবি ব্লগ চাই ই চাই।

৫৪| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ঘুরে আসুন দোহার-নবাবগঞ্জ টপিক দেখে পুলকিত হয়েছিলাম। টেক্সট পড়ার পর মনে হচ্ছে টপিকটা সংশোধন করে ঘুরে আসুন নবাবগঞ্জ-কলাকোপা-বান্দুরা লিখলেই যথোপযুক্ত হয়। কারণ, টেক্সটে কোথাও দোহারের কোনো ঐতিহ্যের উল্লেখ দেখতে পাই নি। দোহার-নবাবগঞ্জ-শ্রীনগরের সবচেয়ে বড় ঐতিহ্য হলো এর আড়িয়াল বিল। আড়িয়াল বিলের কথা এখন এদেশের সবাই জানেন আশা করি।

যাদের গ্রামের বাড়ি দোহারে কিংবা এখনো নিজের বাড়ি দেখার সুযোগ হয় নি তাঁদেরসহ তামাম দুনিয়াবাসীকে জয়পাড়া-দোহার ভ্রমণের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ফিরে যাবার সময় জয়পাড়ার পঁচার দোকান, অথবা মেঘুলা বাজারের রাজলক্ষী মিষ্টিভাণ্ডার থেকে রসযুক্ত রসগোল্লা (সৈয়দ মুজ্‌তবা আলী জানতেন) খিয়ে ও বাসার জন্য নিয়ে যেতে ভুলবেন না যেন; সেই সাথে জয়পাড়ার ঝাল চানাচুর, নিমকি এবং দেশের সবচেয়ে উন্নত মানের লুঙ্গিও একখানা নিয়ে যেতে পারেন (লুঙ্গির দাম আগেই বলে রাখি- যে লুঙ্গিটি আপনার সবচেয়ে ভালো লাগবে, ওটির দাম ১৩৫০-১৮০০ টাকা হবে। তবে ৪০০-৭০০ টাকায়ও ভালো লুঙ্গি পাওয়া যায়)।

ঘুরবার জন্য যেতে পারেন পদ্মার চরে বা পদ্মার পাড়ে। কার্তিকপুর বা নারিশাতে এখন ভ্রমণের জন্য স্পট ও নৌকা সার্ভিস আছে।

যাবার রাস্তাঃ


গুলিস্তানের গোলাপ শাহ্‌র মাজার থেকে আরাম বা নগর পরিবহনে উঠে বসুন। ঢাকা-মাওয়া রোড ধরে শ্রীনগরের ভেতর দিয়ে বাস যাবে। মাঝপথে নেমে হুমায়ুন আজাদ ও জগদীশ চন্দ্র বসুর বাড়ি দেখে যেতে পারেন। অথবা বান্দুরার বাসে উঠুন। মাঝিকান্দায় নামুন। রিকশা বা সিএনজি বা বাসে জয়পাড়া চলে যান।

পোস্টে প্লাস।



২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০৭

চিরতার রস বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা। আপনার মূল্যবান তথ্যের জন্য। আশাকরি সবার কাজে আসবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.