নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভাল'র সাথে থাকি। ভাল'র মাঝে বাঁচিতে চাই ফেসবুকে বন্ধু হতে চাইলে- www.facebook.com/chiroter.rosh
জ্বীন নিয়ে হরেক রকম আলোচনা সমালোচনা ইতোর্পর্বে হয়েছে, হচ্ছে এবং হবে। কেননা যে জিনিস/সত্ত্বার উপস্থিতি আমাদের দৃষ্টিশক্তির বাইরে; তার উপস্থিতি প্রমাণের সুযোগের অভাবেই নানা রকম যুক্তিতর্কের আবির্ভাব হতেই পারে এটাই স্বাভাবিক। যুক্তিতর্ক যতই হোক না কেন জ্বীন জাতির অস্তিত্বের মোটামোটি একটা শক্ত ভিত্তি আছেই। আর জ্বীনের অস্তিত্বের বিভিন্ন প্রমাণাদীর বর্হিপ্রকাশ পায় তাদের বিভিন্ন রকম অতিপ্রাকৃতিক আচরণ এবং উপস্থিতির মাধ্যমেই। আর এসব প্রামাণাদী আমাদের পঞ্চম ইন্দ্রিয়র মাধ্যমেই আমরা খুব সহজেই অনুধাবন করতে পারি। এমন অনেকেরই ভাগ্য হয়েছে জ্বীন জাতিকে নিজ হাতে ছুঁয়ে দেখার। কিংবা নিজ চোখে তাদের ভিন্ন রুপে অবলকন করার। আর আমার ভাগ্য হয়েছে সেসব ভাগ্যবানদের কাছ থেকে সেই আশ্চর্যজনক ঘটনার বর্ণনা শোনার।
ঘটনা ১ -
সালাম নামে আমার এক দূর সম্পর্কের মামা আছে। দূর সম্পর্ক বলতে বেশি দূরেরও না। আমার বড় মামীর আপর বড় ভাই। তিনি নিজে জ্বীন বশে রাখার দাবি করেন। তার প্রমাণও তিনি দিয়েছিলেন। তিনি একবার আমার নানা বড়িতে বেঁড়াতে এসেছিলেন। তখন সবার আবদারে তিনি বাড়ির সবাইকে জ্বীনকে হাতে ছুঁয়ে দেখার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং জ্বীনের দেওয়া সন্দেশ খাইয়েছিলেন। আমার আম্মাও জ্বীনকে ছুয়ে দেখেছিলেন এবং জ্বীনের দেওয়া সেই সন্দেশ খেয়েছিলেন। ঘটনাটা শেয়ার করা যেতে পারে।
সকলের অনুরোধে সালাম মামা বাড়িতে একটা উপযু্ক্ত পরিবেশ তৈরি করলেন। তিনি ঘরে সব দরজা জানালা বন্ধ করে তার গোপন পদ্ধতি অবলম্বন করে জ্বীনকে অন্ধকার ঘরে হাজির করলেন। যখন জ্বীন হাজির হয়েছিল তখন নাকি সারা বাড়ি মিষ্টি সুগন্ধীতে ভরে গিয়েছিল। এরপর জ্বীনকে ছুঁয়ে দেখার পালা। একজন একজন করে জ্বীনকে ছুঁয়েও দেখেছিলেন। এরমধ্যে আমার আম্মাও ছিল। আমার আম্মার মতে জ্বীনের হাত ছিল ঘন লোমে ভরা। এরপর সবাই মিলে জ্বীনের দেওয়া সন্দেশও খেয়েছিল। যতদূর জেনেছি সেই সন্দেশের স্বাদ ছিল অন্যান্য সন্দেশের থেকেও উত্তম।
ঘটনা ২-
অনেক আগে থেকেই প্রতি রমজান মাসে আমাদের গ্রামের বাড়িতে পুরা রমজান মাস তারাবিহের নামাজ পড়ানো হয়। আমাদের সমাজের সবাই আমাদের বাড়িতেই মূলত জামাতের সাথে নামাজ আদায় করে। এটা আমাদের গ্রামের বাড়ির সমাজের একটা পুরাতন ট্রেডিশান। পুরা রমজান মাসের জন্য একজন কোরআনের হাফেজ রাখা হয়। জলিল নামে একজন ইমাম প্রায় ৫-৭ বছর এই দায়িত্ব পালন করেছিল। লোকটা ছিল অনেক অমায়ীক এবং ভদ্র। আমার নানীজান ওনাকে নিজের ছেলের মতই জানতেন। ওনার ইমামতির দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পরেও প্রতি বছর উনি আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। তিনি ছিলেন চাঁদপুরের বাসিন্দা। কিন্তু অর্থাভাবে আমাদের এলাকার এতিমখানায় পড়ালেখা করেছিল। আর কাহিনীটা ঘটেছিল ওই এতিমখানাতেই।
এতিমখানায় জলিল সাহেব বেলাল নামে এক ছেলের সাথে রুম শেয়ার করতো। বেলালও তার মতন ভদ্র একটা ছেলে ছিল। প্রথর মেধাবীও বটে। কিন্তু ছেলেটা প্রতিদিন অনেক রাত করে রুমে ফিরতো। তাই এটা জলিল সাহেবের জন্য একটা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কেননা রোজ রোজ তার জন্য দরজা খুলতে হতো। তো একদিন জলিল সাহেব বেলালকে বলেই ফেললো তার বিরক্তির কথা। কথা শুনে বেলাল বললো ঠিক আছে তোমার আর কষ্ট করতে হবেনা। তুমি দরজা বন্ধ করেই ঘুমিয়ে পড়ো। তোমার আর কষ্ট করে দরজা খুলতে হবেনা। বলেই সে অন্য কাজে চলে গেলো। ব্যাপারটা জলিল সাহেবের জন্য আশ্চর্য লাগলো। ছেলে বলে কি? দরজা বন্ধ থাকলে এই ছেলে ঘরে ঢুকবে কিভাবে ???
সেই রাতে জলিল সাহেব দরজা বন্ধ করেই ঘুমিয়ে পড়লো। ঘুমালো না ঠিক। ঘুমের ভান করলো। গভীর রাতে জলিল সাহেব যা দেখলো তাতে তার শরীরের লোম দাঁড়িয়ে গেলো। এতিমখানার ঘরগুলো ছিল টিনের। টিনের ঘরগুলো ছাউনীর নিচে কিছুটা ফাঁকা জায়গা থাকে, যা ভেন্টিলিটারের কাজ করে। জলিল সাহেব দেখলো সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে বেলাল উড়ে উড়ে রুমে প্রবেশ করলো।এরপর তার পাশে শুয়ে পড়লো। ব্যাপারটা মাথায় নিয়ে সারা রাত জলিল সাহেবের আর ঘুম আসলো না।
সকাল বেলা বেলালকে তিনি শক্তভাবে জেরা করতে লাগলেন। বেলার বুঝতে পারলে সে ধরা খেয়ে গেছে। সে জলিল সাহেবের কাছে সব সত্যি প্রকাশ করে দিল। বেলালে ভাষ্য অনুযায়ী সে জ্বীন সম্প্রদায়ের। কোরআন শিক্ষার জন্য এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে মানুষের রূপ ধারণ করে। ওরা নাকি এভাবেই কোরআন শিক্ষা লাভ করে বিভিন্ন মাদ্রাসায় মানুষ রূপে ভর্তি হয়ে। আর রোজ রাতে ও ওর সম্প্রদায়ের নিকট যেতে দেখা সাক্ষাত করার জন্য। তাই এতো রাতে ফিরতো। ব্যাপারটা বেলাল সবার কাছে গোপন রাখতে বললো। জলিল সাহেব তাকে কথা দিল। কিন্তু জলিল সাহেব কথা রাখলেও বেলাল ঐদিনই মাদ্রাসা থেকে কাউকে আগে না জানিয়েই চলে গেলে। ওর আর দেখা পাওয়া গেলোনা।
ঘটনা ৩-
এই ঘটনাটা খুবই সাধারণ। কিন্তু ঘটনার সত্যতা আছে। আমার খুলুর চামড়ার তৈরি সামগ্রীর কারখানা ছিল। সেখানে আলিম নামে তার এক ভাগিনা কাজ করতো। ছেলেটাকে আমিও চিনতাম। সে মিথ্যা বলার মত ছেলে না। যাই হোক, আলিম একদিন একা একা কাজ করছিল কারখানায়। বাকি সবাই দুপুরের খাবারের জন্য বাইরে ছিল। আলিম লক্ষ্য করলো একটা সুঠাম দেহের লোক কারখানার এক কোণা থেকে আস্তে আস্তে হেঁটে আলিমের প্রায় ১০ হাত দূরে এসে বসে পড়লো। এরপর ওর দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে ইশারায় ওকে কাছে আসতো বললো। আলিম ভয়ে ভয়ে তার সামনে গিয়ে দাড়াতেই ওর গালে জোড়ে একটা চড় দিয়ে বললো সালাম দিলি না কেনো ?
চড় থেয়ে আলিম এক দৌড়ে খালুর বাসায় চলে আসলো। ভয়ে তার জ্বর এসে পড়লো । তার গালে কিন্তু চড়ের দাগও ছিল। এলাকার ইমাম সাহেবকে ঘটনা বললে তিনি জানাল ওটা জ্বীন ছিল। পড়ে কারখানার চার পাশে ইমামসাহেব কি যেনো কেরামতি করে দিয়েছিলেন। এর পর আর জ্বীনের আনাগোনা দেখা যায় নি।
ঘটনা ৪-
আমার অফিসে মাদ্রাসা পড়ুয়া একটা ছেলে নামাজ পড়ায়। ঘটনাটা ওর কাছ থেকে শোনা। ও একদিন মসজিদে বসে কোরআন তেলাওয়াত করছিল। হঠ্যাৎ ওর গালে একটা জোড়ে চড় পরলো।
ওর নিজের দাবি ও তেলাওয়াতে কিছু ভুল করেছিল। ওর বিশ্বাস জ্বীনে ওকে চড় মেরেছিল ভুল তেলাওয়াত করার জন্য।
ও আর একটি ঘটনা বলেছে জ্বীন সম্পর্কে। ওর বিশ্বাস ভালো জ্বীনেরা গভীর রাত্রিতে জামাতের সাথে নামাজ আদায় করে। তাই কেউ যদি ইমামের নামাজের জায়গায় ভুল করে ঘুমিয় পড়ে, ঘুম থেকে উঠে দেখবে সে ওই যায়গাতে নাই। অন্য যাওগায় চলে গেছে। জ্বীনেরা নাকি এটা করে। এটা পরীক্ষা করার জন্য ওর এক বন্ধু ইমামের ইমামতীর জায়গায় রাত্রিতে ঘুমিয়েছিল। সকালে উঠে দেখে সে আগের যায়গাতে নাই। দূরে শুয়ে আছে।
►আমার আশেপাশের মানুষকে ঘিরে এরকম আরো অনেক ঘটনা আমার জানা আছে যা মোটামোটিভাবে প্রমাণ করে জ্বীনের অস্তিত্ব। তবে আমার এখনও তেমন কোন অভিজ্ঞতা হয়নি। পবিত্র কোরআন শরীফে জ্বীন নামে একটা পরিপূর্ণ সূরাও নাজিল হয়েছে। সূরা জ্বীন সম্পর্কে বিস্তারিত পরবর্তী পোস্টে দেওয়ার ইচ্ছা আছে। আপাতত সূরা জ্বীন নিয়ে স্টাডি করতেছি।
সবাই ভাল থাকবেন...................
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
চিরতার রস বলেছেন: আগে কইবেন নাহ ? রেডি কৈরা রাইখেন। এক সময় লৈয়া যাইমুনে। জ্বীন মোটামোটিভাবে আমার আগ্রহে পরিণত হৈছে।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
পি ডি এফ চাইলেই নিতে পারবেন।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০০
চিরতার রস বলেছেন: লিংকু দেন।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৫
আদরসারািদন বলেছেন: আমাদের দিয়েন
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
আদরসারািদন বলেছেন: ওহ্ আমার কাছেও একটা আছে, লেখক ভাই লাগলে জানায়েন
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২২
চিরতার রস বলেছেন: ভাল কোন বই থাকলে লিংক দেন।
৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
আপনি লিখেছেন -
আমার আশেপাশের মানুষকে ঘিরে এরকম আরো অনেক ঘটনা আমার জানা আছে যা মোটামোটিভাবে প্রমাণ করে জ্বীনের অস্তিত্ব।
================================
আমার প্রশ্ন
এভাবে কি প্রমাণ যায় যে জ্বীন আছে!?
"প্রমাণ" তাকেই বলে যা' সর্বসমক্ষে পুনঃপুনঃ পরীক্ষার মাধ্যমে একই রেজাল্ট দেয়। তাই না?
আর আপনি ঘটনা ১ ২ ৩ করে যে কাহিনী বলেছেন তা' হলো কারো ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। ঐ ঘটনা সর্বসমক্ষে প্রমাণ করা সম্ভব নয়।
এবার আসল কথা বলি। কোরান শরীফে "ফেরেশতা"'র কথা আছে। পরকালের কথা আছে। বেহেশত ও দোযখের কথা আছে। শয়তানের কথা আছে। তাই না?
ঐগুলো প্রমাণ করতে পারবেন?
না পারলে ঐগুলো বিশ্বাস করবেন?
যদি করেন, তবে কেন?
আর যদি না-করেন, তবে কেন নয়?
সুরা বাক্বারার ২য় আয়াতে কী বলা আছে? পড়েছেন কি?
একটু দেখুন তো?
নো প্রবলেম। আস্তে আস্তে হবে ............
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
চিরতার রস বলেছেন: আপাতত কোন যুক্তিতর্কে জাড়াতে চাচ্ছিনা। কারণ আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণেই আমরা এটা প্রামাণ করতে পারবোনা।
৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৭
শীলা শিপা বলেছেন: এধরনের ঘটনার কথা অনেক শুনা যায়...পরবর্তী পরের অপেক্ষায়...
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৭
চিরতার রস বলেছেন: পরের পর্ব খুব শীঘ্রই দেওয়া হবে। সাথে থাকুন। কোথ্থাও যাবেন না। ফিরছি ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন বিরতির পর।
৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৪
সরদাররকস্ বলেছেন: http://www.imdb.com/title/tt1103256/
torrent link
Click This Link
I think you will enjoy it
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
চিরতার রস বলেছেন: জ্বীন নিয়া মুভি নাকি ? খুইলা কন।
৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৩
সরদাররকস্ বলেছেন: হ্যা জ্বীন নিয়া মুভি
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২১
চিরতার রস বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। সময় পেলে নামিয়ে দেখতে হবে।
৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯
নিজাম বলেছেন: জ্বিন জাতির অস্তিত্ব কোরআন দ্বারা প্রমাণিত। এক্ষেত্রে আমাদের আলাদা প্রমাণ করার প্রয়োজন নেই।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫
চিরতার রস বলেছেন: ভাই যারা কোরআনেই বিশ্বাস করেনা, তাদের আপ্নে কিভাবে বিশ্বাস করাইবেন ???? আমরা নিজেরা সামান্য জ্ঞানবুদ্ধির মানুষ হৈয়া, নানান সীমাবদ্ধতা নিয়াও নিজেদের বিরাট বিচারক মনে করি।
১০| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৩
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: জ্বিন জাতির অস্তিত্ব কোরআন দ্বারা প্রমাণিত।
০১ লা অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪১
চিরতার রস বলেছেন: অবশ্যই। এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
১১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩০
রনন বলেছেন: ভাই ১নং ঘডনাডা আমিও সেইরামই জানি! কিন্তুক ৩ নাম্বার ঘডনাডা আমার পরিচিত পরিচিত লাগতে আছে! তয় ঘডনাডা কিন্তুক দুপুর ব্যালা ঘডে নাই! সইন্ধ্যার পর ঘডছিল! আফনের খালাত বড় ভাইয়ের ভাইষ্য মতে, সে আলীম আর অন্য আরেক জন রে রাতে খাইতে ডাকতে আইসা দেখে আলীম সাব গাল ঘষতাছে আর কান্তাছে! খালাত ভাই বুঝছিল বোধয় দুইডায় মারামারি করছে! আলীমরে জিজ্ঞাস করলে হে কইছিল- কি জ্যান আইয়া হডাৎ আমার গালে চড় মাইরা দিয়া রুমের ভিতর গিয়া বইস্যা পাউ ঝুলাইতে আছিল আর ওর দিকে বড় বড় চোখ কইরে তাকাইয়া ছিল! অইডার আবার মাথা আছিল না, বুকে চোখ! গাও-গেরামে নাকি মাথা কাটারে নিস্কাইনদা কয় হুনছি।
আফনের খালত ছোড ভাইয়ের বন্ধুর এক বাবা আছিল ঝাড়ফুঁক জানতো, হেরে আনলে কয় এই ফ্যাক্টরীর উফর দিয়া এক দুষ্টু জিন উইড়্যা যাইতে আছিল, যাওনের টাইমে এই নির্জন জায়গাডা জ্বিন সাবের বহুত পছন্দ হইছিল! তাই আস্তানা গাড়তে চাইছিল কিন্তুক সমেস্যা অইছিল মানুষগুলারে লইয়া! ভয় দেখাইয়া তাড়াইতে চাইছিল হে। তয় অইসমে ফ্যাক্টরীর চাইর দিকে চাইরা ডিব্বা গাইরা দিছিল আর বলছিল আর কুনু দিন এইখানে আসপে না!
বন্দুর ফকির বাপ আবার আফনের খালাত ভাইগোরে কইছিল আলীমরে আইজ রাত সাবধানে রাখন লাগপে! হেরে লইয়া যাইতে পারে। উল্লেখ্য যে সারা রাত হেরে পাহারা দিয়া বইসা ছিল খালাত ভাইয়ের ফ্যামিলি। …
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮
চিরতার রস বলেছেন: ঘরের কতা পরে জানলো ক্যামতে ?
১২| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩
নতুন বলেছেন: আমার আশেপাশের মানুষকে ঘিরে এরকম আরো অনেক ঘটনা আমার জানা আছে যা মোটামোটিভাবে প্রমাণ করে জ্বীনের অস্তিত্ব। তবে আমার এখনও তেমন কোন অভিজ্ঞতা হয়নি।
উপরের কোন ঘটনাই সত্যি প্রমানের জন্য যথেস্ট না...
আপনি বিশ্বাস করতে চাইছেন তাই আপনার বিশ্বাস হচ্ছে...
ওর নিজের দাবি ও তেলাওয়াতে কিছু ভুল করেছিল। ওর বিশ্বাস জ্বীনে ওকে চড় মেরেছিল ভুল তেলাওয়াত করার জন্য।
দুনিয়ায় যত মানুষ আছে তদের কত মানুষের প্রতি দিন তেলাওয়াতে ভুল হয়? আর কত মানুষ প্রতিদিন জীনের চড় খায়? >>>
তাই ঐ ১ চড়ে জীনের প্রমান হয় কি?
উপরের সব গল্পই ব্যক্তির নিজেস্ব গল্প... কোন ভাবেই প্রমান করতে পারেন না...
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯
চিরতার রস বলেছেন: হুমম। প্রমাণ আর যুক্তিতর্কে গেলে ক্যাচাল চক্রবৃদ্ধিহারে বৃদ্ধি পাবে। তাই আর ঐ দিকে গেলাম না। ঘটনাগুলো শেয়ার করলাম মাত্র।
১৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৭
রনন বলেছেন:
গুপন সূত্রে জান্তে পার্ছি! আপনে তাইর রস আইমিন চিরতার!
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমার কাছে তিনটি জীন বিষয়ক বই আছে। আপনি চাইলে নিয়ে স্টাডিতে কাজে লাগাতে পারেন।