নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মনে প্রানে বাংলাদেশী

চন্দন

আমার বুকে অনেক ক্ষত তবুও আমি বিক্ষত নই ভর দুপুরে একলা কত খুঁজে বেড়াই হৃদয়টা কই। জন্ম এবং বেড়ে উঠা চট্টগ্রামে এখন একটি কর্পোরেট হাউসে কামলা দেই ভালবাসি ঘুরে বেড়াতে

চন্দন › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রচার বিমুখ এম ওয়াজেদ মিয়ার বর্নাঢ্য জীবন

২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:০২



রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান ডঃ ওয়াজেদ কে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি মুজিব ভাইয়ের মেয়ে হাসিনাকে দেখেছো? আমার মনে হয়, ওর সঙ্গে তোমাকে খুব মানাবে। ওয়াজেদ মিয়া বললেন, সে কি করে সম্ভব? শেখ সাহেবকে তো আমি ভাই বলে ডাকি।



লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইম্পিরিয়াল কলেজে ওয়াজেদ মিয়ার পিএইচডি শেষ হয় ১৯৬৭ সালের আগস্ট মাসে। সেপ্টেম্বরে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন এবং ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার পদে যোগ দেন আণবিক শক্তি কেন্দ্রে। কিছুদিন পরে রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান তার গুলশানের বাসায় তাকে ডেকে নিয়ে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলেন। জানতে চান, অতি তাড়াতাড়ি তিনি বিয়ে করবেন কিনা। ওয়াজেদ মিয়া বলেন, তিন মাসের মধ্যে বিয়ে করতে চাই। মতিউর রহমান জানতে চান, কেমন পাত্রী তার পছন্দ। ওয়াজেদ মিয়া বলেন, কোটিপতির কন্যা কিংবা আপস্টার্ট মেয়ে হওয়া চলবে না। মেয়েকে অবশ্য সুরম্নচিসম্পন্ন, অমায়িক ও সদাচার স্বভাবের হতে হবে। এর ১০ দিন পর মতিউর রহমান আবার তাকে বাসায় ডেকে নেন। জিজ্ঞেস করেন, তুমি মুজিব ভাইয়ের মেয়ে হাসিনাকে দেখেছো? আমার মনে হয়, ওর সঙ্গে তোমাকে খুব মানাবে। ওয়াজেদ মিয়া বলেন, সে কি করে সম্ভব? শেখ সাহেবকে তো আমি ভাই বলে ডাকি। মতিউর রহমান বলেন, সেটা রাজনৈতিক সম্পর্ক। দু’দিন পর সন্ধ্যায় মতিউর রহমানের বাসায় আসেন বেগম মুজিব, শেখ কামাল, শেখ শহীদ ও একজন মুরব্বি। এর অল্প কিছুক্ষন পরে হাসিনা সেখানে আসেন। তাকে ওয়াজেদ মিয়া জিজ্ঞেস করেন, তুমি হাসিনা না? হাসিনা বলেন, হ্যাঁ, আমি হাসিনা। তারপর সেখান থেকে চলে যান। এরপর বিয়ের প্রস্তাবে ওয়াজেদ মিয়া সম্মতি জানান। বেগম মুজিব জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলগেটে শেখ সাহেবের সঙ্গে আলাপ করেছেন। তিনি ওইদিনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা বিশেষভাবে বলেছেন। তার পরামর্শের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সেদিনই বিয়ের কথা পাকা করতে সম্মত হন ওয়াজেদ মিয়া। এরপর হাসিনার হাতে আংটি পরিয়ে দেন তিনি। ওই আংটি সেদিন দুপুরে বায়তুল মোকাররম থেকে কিনেছিলেন ওয়াজেদ মিয়া। পরিয়ে দেয়ার সময় দেখা যায়, আংটিটি হাসিনার আঙুলের মাপের চেয়ে বেশ বড়। এরপর ওয়াজেদ মিয়ার আঙুলে আংটি পরিয়ে দিয়ে দোয়া করেন বেগম মুজিব। তিনি জানতে চান, তাদের গাড়িতে ওয়াজেদ মিয়া যাবেন কিনা। ওয়াজেদ মিয়া রাজি হন। গাড়িতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তাদের বাসায় যেতে তার আপত্তি আছে কিনা। ওয়াজেদ মিয়া বলেন, না। গাড়িটি তাদের বাসার সামনে থামার পরপরই হাসিনা দ্রুত গাড়ি থেকে বের হয়ে বাড়ির উপর তলা চলে যান। পরদিন বিয়ের আক্ত (রুসমত) সম্পন্ন হয়। সেদিন ওয়াজেদ মিয়া স্টেডিয়াম মার্কেট থেকে একটি লাল-গোলাপি শাড়ি, মাঝারি আকারের ক্রিম রঙের নতুন ডিজাইনের একটি স্যুটকেস ও এক জোড়া স্যান্ডেল কিনেছিলেন। তার সঙ্গে কোন টাকা ছিল না। দাম পরিশোধ করেছিলেন বেগম মতিউর রহমান। সেদিন রাত সাড়ে ৮টায় জনাব ও বেগম মতিউর রহমান ওয়াজেদ মিয়াকে নিয়ে যান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডের বাসায়। সেখানে উপস্খিত ছিলেন শেখ সাহেবের ছোট বোন জামাই তৎকালীন সরকারের সিনিয়র সেকশন অফিসার এটিএম সৈয়দ হোসেন, তানু নানা ও অন্যান্য মুরব্বি। সেদিনেই বিয়ে পড়ানো ও কাবিননামা স্বাক্ষর করা হবে বলে ওয়াজেদ মিয়াকে জানানো হয়। সে রাতটি ছিল ১৭ই নভেম্বর ১৯৬৭, শবে বরাত। ওয়াজেদ মিয়া মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলেন না, তিনি স্যুট পরে গিয়েছিলেন। এই জন্য বিয়ে পড়ানোর কথায় কিছু বাকবিতণ্ডা হয়। শেষে তিনি একটি টুপি চেয়ে নেন। এরপর কাবিননামা স্বাক্ষর করেন। কাবিনপত্রে ২৫ হাজার টাকা বিয়ের দেনমোহরানা সাব্যস্ত করা হয়। বউ দেখার জন্য উপর তলায় যাওয়ার মুখে শেখ শহীদ একটি বড় তাজা লাল গোলাপ দেন ওয়াজেদ মিয়াকে। বাসরঘরে বসেছিলেন বউ বেশে হাসিনা, এটিএম সৈয়দ হোসেনের বড় মেয়ে শেলী ও ছোট বোন রেহানা। ওয়াজেদ মিয়াকে দেখেই রেহানা বলেন, দুলাভাই খালি হাতে এসেছেন বউ দেখতে। বউ দেখতে দেবো না। এর কিছুক্ষণ পর ওয়াজেদ মিয়া নিচে চলে আসেন। পরদিন বিকালে জেলগেটের কাছে একটি কক্ষে শেখ সাহেবের সঙ্গে তার দেখা হয়। তিনি জড়িয়ে ধরে দোয়া করেন, তার হাতে একটি রোলেক্স ঘড়ি পরিয়ে দেন। ওই ঘড়ি ও বিয়েতে হাসিনাকে দেয়া শাড়ি এবং স্যুটকেস তিনি সযত্নে নিজের কাছে রেখে দিয়েছিলেন। সেদিন বাসায় ফিরে বেগম মুজিব তাকে বলেন, তুমি আমার বড় ছেলের মতো শেখ সাহেব অনুমতি দিয়েছেন। যথাসম্ভব তুমি আমাদের সঙ্গে থাকবে। এরপর থেকে প্রতিদিন বিকালে গাড়ি পাঠিয়ে বেগম মুজিব বাসায় নিয়ে যেতেন তাকে। রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে ১১টার দিকে বাসায় ফিরতেন তিনি। দিন দশেক পরে শেলী জোর করে রাতে তাকে বাসায় থাকতে বাধ্য করেন। এরপর থেকে প্রায় রাতেই ৩২ নম্বরে থাকতেন ওয়াজেদ মিয়া।



সুধা মিয়ার বর্ণাঢ্য জীবন



রাজনীতিক পরিবারের সদস্য হয়েও নিজেকে আলাদা করে, নিজের পরিচয়ে ভাস্বর হয়েছিলেন দেশের বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া। রাজনৈতিক বলয়ে থেকেও বিজ্ঞানী হিসাবে নিজের গবেষণা নিয়ে আলাদা জগৎ তৈরি করেছিলেন তিনি। ১৯৪২ সালে ১৬ ফেব্রয়ারি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে জন্ম নেয়া ওয়াজেদ মিয়াকে প্রিয়জনরা ডাকতেন ‘সুধা মিয়া’ নামে। বাবা ছিলেন আব্দুল কাদের মিয়া, মা ময়জন্নেসা বিবি।



রংপুরের পিছিয়ে পড়া এক গ্রামে জন্ম, সেখানেই বেড়ে ওঠা। তারপরেও কিন্তু নিভৃতচারী মেধাবী এ মানুষটি নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন শিক্ষার মাধ্যমে। মেধাবী হিসাবে ছোটবেলাতেই শিক্ষকদের দৃষ্টি কাড়েন তিনি। ১৯৫৬ সালে কৃতিত্বের সঙ্গে প্রথম বিভাগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৫৮ সালে রাজশাহী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। সে বছরই ভর্তি হন ঢাকা বিশববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে। ছিলেন ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র। সে সময়ই ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সংশিস্নষ্টতা; ফজলুল হক মুসলিম হলের ভিপিও নির্বাচিত হন তিনি ১৯৬১-৬২ শিক্ষা বছরে। তখনই বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যে আসেন ওয়াজেদ মিয়া। ১৯৬১ সালে স্নাতক, ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পন্ন করেন তিনি। ১৯৬৩ সালের ৯ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্থান আণবিক শক্তি কমিশনে যোগ দেন। এরপর ’৬৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডারহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিউক্লিয়ার এন্ড হাই এনার্জি পার্টিকেল ফিজিকস এ পিএইচডি করেন।

সহজ, সরল, মেধাবী, সদা সত্যভাষী এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় অনন্য এই মানুষটিকে রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমানের প্রস্তাবে কন্যা শেখ হাসিনার স্বামী হিসাবে পছন্দ করেন বঙ্গবন্ধু। তাদের বিয়ে হয় ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর। বঙ্গবন্ধু তখন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বন্দী। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের হাল ধরেন তিনি। ওয়াজেদ মিয়া-শেখ হাসিনার এক ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও এক মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আছে।



ইতালির ট্রিয়েসটের আন্তর্জাতিক পদার্থ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে একাধিকবার গবেষণা করেছেন ওয়াজেদ মিয়া। গবেষণা করেছেন ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনেও। তার গবেষণা ও জ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জার্নালে। ১৯৬৯ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরের ড্যারেসবেরি নিউক্লিয়ার ল্যাবরেটরিতে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কার্লসরুয়ে শহরের আণবিক গবেষণা কেন্দ্রে আণবিক রিঅ্যাক্টর বিজ্ঞানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১৯৮২ সালের ফেব্রম্নয়ারি মাস পর্যন্ত তিনি ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের দিল্লীস্থ ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।





বঙ্গবন্ধু হত্যার পর গোটা পরিবারের হাল ধরেন ওয়াজেদ মিয়া। ৮১ সাল পর্যন্ত নির্বাসিত জীবনে ভারতীয় পরমাণু শক্তি কমিশনের বৃত্তির টাকায় সংসার চালিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ চাকরি করেছেন পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে। ১৯৯৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন চাকরি থেকে।

সর্বশেষ ২০০৬ ও ২০০৭ সালে স্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সাব জেলে বন্দী তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে স্ত্রীর মুক্তির দাবিতে চিঠি লেখেন তিনি।



কিডনী সমস্যা, হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টসহ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। সর্বশেষ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে এনজিও প্লাস্ট করে দেশে ফিরে আবারো অসুস্থ হয়ে পড়েন। ভর্তি করা হয় স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানেই সবাইকে শোক সাগরে ভাসিয়ে চিরদিনের জন্য চলে গেলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া।



১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালে তিনি পরপর দুইবার বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৫ সালের জন্য তিনি পরপর তিনবার ওই বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ ও ১৯৮৮ পর্যন্ত ৪ বছর তিনি ‘বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞান সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৭ সালে দু’বছর মেয়াদের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তাছাড়াও তিনি ওই বিজ্ঞান সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুইবছর মেয়াদকালের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি পরপর দুইবছর মেয়াদকালের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ওই সমিতির একজন আজীবন সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ ও ১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘেরও সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত দুই বছর মেয়াদকালের জন্য পরপর দুইবার বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ওই সমিতির আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি ঢাকার রংপুর জেলা সমিতির আজীবন সদস্য এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দুইবছর মেয়াদকালের জন্য ওই সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এবং ঢাকাস্থ বৃহত্তর রংপুর কল্যাণ সমিতি, উত্তরবঙ্গ জনকল্যাণ সমিতি, রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন ফোরাম, বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদ এবং রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার মির্জাপুর বছিরউদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন।



বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে তার অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ঢাকার বিক্রমপুর জগদীশ চন্দ্র বসু সোসাইটি তাকে ১৯৯৪ সালে স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু স্বর্ণপদক এবং ম্যাবস ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা ১৯৯৭ সালে পদক প্রদান করে।



ছবি : ধীবর এর ব্লগ

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:০৭

অর্ফিয়াস বলেছেন: নি:সন্দেহে উনি একজন গুনী লোক ছিলেন। ধন্যবাদ।

২| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:২৫

টেকি মামুন বলেছেন: গুণি মানুষ হিসেবেই জানি।

৩| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:২৫

মাথা খারাপ বলেছেন: এই দেসে ভালা মাইন্সের দাম নাই। আফচুস পোস্তে +

৪| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৩২

মিলটন বলেছেন: আসলেই উনি একজন মেধাবী সন্তান ছিলেন এ জাতির। আল্লাহ তাকে বেহেসত নসীব করুক।

৫| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

দখিনা বাতাস বলেছেন: যেইদেশে এমপির ড্রাইভারও ক্ষমতার দাপট দেখায়, ঐদেশে এইরকম লোক বিরল। আমরা মনে হয় কোনদিন ভালামানুষের দাম দিতে শিখমু না। আপনের পোস্টেই এই প্রমান পাইবেন। একটা খারাপ লোকরে নিয়া পোস্ট দেন, হিট আর কমেন্টের বন্যায় ভাইস্যা যাইবেন। সবার আগ্রহ খারাপের দিকে।

৬| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৩৩

পাগলা ভাই বলেছেন: এই ভালা মানুষটা যখন অসুখ আছিলো তখন আর তার মরার পরও হের কুলাঙ্গার পোলা মাইয়া দুইটা হেরে দেখতে আইলো না আফসুস :(

৭| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৪৪

কুয়াশা বলেছেন: প্রিয়তে রাখলাম। যদিও আমি আওমীরাজনীতিতে বিশ্বাসী না তবুও তাকে বরাবাই গুনি মানুষ হিসাবে শ্রদ্ধা করতাম।

৮| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৪৫

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ড. ওয়াজেদ মিয়া বাংলাদেশের গৌরব ছিলেন। এই গুণী লোকটির প্রতি শ্রদ্ধা।

৯| ২২ শে মে, ২০১০ সকাল ১১:৫৫

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: এমন আকাশ সম বিশাল হৃদয়ের, মার্জিত মানুষ জাতীয় জীবনে মেলা ভার।

আমি আকাশ ছুঁতে চাই।

১০| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:০২

নীল_পদ্ম বলেছেন: তিনি নিতান্তই ভাল মানুষ ছিলেন। উনার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

১১| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:০৩

এস এম শাখওয়াত আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ। খুব ভাল পোষ্ট।
দোয়াকরি আল্লাহ যেন তাকে জন্নাতুল ফেরদাউস নছিব করেন।

১২| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:০৩

এস এইচ খান বলেছেন:

নি:সন্দেহে উনি একজন গুনী লোক ছিলেন। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসীব করুন। তবে শেষ জীবনে তিনি তার পরিবার দ্বারা নি:গৃহীত হয়েছেন।

১৩| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:১৪

নিঃসঙ্গ যোদ্ধা বলেছেন: তার জেলার একজন বাসিন্দা আমি ....... আল্লাহ তাকে বেহেশত নসীব করুন।

১৪| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:২৩

মুরাদ-ইচছামানুষ বলেছেন: ভাল পোস্ট। B:-/

১৫| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:২৭

জবরুল আলম সুমন বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম, পরে পড়ে দেখবো।

১৬| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩০

আহছানউল্লাহ বলেছেন: ভালো লোকের প্রচার কম হয়।যতটুকু জানি উনি ভালো লোক ছিলেন

আল্লাহর দরবারে দোয়া করি বেহেস্তবাসি হোক।

১৭| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:০১

শারিফ বলেছেন: ওয়াজেদ মিয়া একজন নির্লোভ ব্যক্তি ছিলেন
অনেক গুনি লোক ছিলেন ওনার সথে তোলনা করার মত বাংলাদেশে কোন লোকের জন্ম হয় নাই, এমন কি শেখ মুজিব এর সাথেও না। উনি ছিলেন সব কিছুর উর্ধে। দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারি প্রধানমন্ত্রীর স্বামী হয়েও চলাফেরা করেছেন সাধারন মানুষের মত।



ওয়াজেদ মিয়া বলেন, কোটিপতির কন্যা কিংবা আপস্টার্ট মেয়ে হওয়া চলবে না। মেয়েকে অবশ্য সুরম্নচিসম্পন্ন, অমায়িক ও সদাচার স্বভাবের হতে হবে।

উপরের এই আবধার টুকু তার পুরন হয়নি কেননা শেখ হাসিনা মধ্যে সুরম্নচিসম্পন্ন, অমায়িক ও সদাচার স্বভাব কোনটাই নাই।

তবে সেলুট বাংলাদেশের পরমানু বিজ্ঞানী নির্লোভ ডঃ ওয়াজেদ মিয়াকে আল্লাহ উনার আত্নাকে শন্তিতে রাখোন।

১৮| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:১৬

মানবী বলেছেন: বাংলাদেশের কৃতী সন্তান ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করি।

দুঃখজনক হলেও সত্য, তাঁর সন্তানরা কোন এক অদ্ভুত কারনে এমন একজন সন্মানিত ব্যক্তির ব্যাপারে উদাসীন, শেখ হাসিনার চেয়ে ডঃ ওয়াজেদ মিয়ার সন্তান হিসেবে তাদের গর্বিত হওয়া উচিৎ ছিলো.. হয়তো সেই বোধ ই তাদের নেই।

দূর্নীতি, লোভ আর ক্ষমতার অন্যায় দাপটের বিপরীতে নির্লোভ জীবন, জ্ঞান আর সততার করুণ পরাজয়.........!

সুন্দর পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ চন্দন।

১৯| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:৪১

আবদুর রাজ্জাক শিপন বলেছেন:
ওয়াজেদ মিয়াকে শ্রদ্ধা করি গুণী এবং ভালো মানুষ হিসাবে ।

শেখ হাসিনার প্রথম টার্মে, ওয়াজেদ মিয়া নানাভাবে শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছিলেন, এমনও বলেছিলেন,-যে মহিলা জি সিনেমা নিয়ে পড়ে থাকে, দেশ পরিচালনায় তার প্রাজ্ঞতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে ! সেই সময়ে সরকারী গাড়িতে চড়তেও তিনি অস্বীকার করেছিলেন । ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতেন । এইসব কিছুই তাঁর সততার বিষয়টিকে প্রশ্নাতীত করে তুলে ।

ধন্যবাদ ।

২০| ২৩ শে মে, ২০১০ ভোর ৪:১৪

এম. রহমান বলেছেন: হাজার বছরেও ড.ওয়াজেদ মিয়ার মত যোগ্য বাঙ্গালী কিংবা তাঁর যোগ্য কোনও উত্তরসুরি তৈরি হয়নি। কবে হবে তা আমরা জানি না। উনার আত্মাকে আল্লাহ্ শান্তি দিক।

২১| ২৩ শে মে, ২০১০ ভোর ৪:৪৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রিয়তে। এই মানুষটার অনেকগুলো ইচ্ছার মধ্যে একটা ছিলো বাংলাদেশে পারমানবিক শক্তির বিদ্যুৎ তৈরী হোক।



কিছু কিছু মানুষ আছে যারা মারা যান তাদের স্বপ্ন গুলো নিয়ে মারা যান, এই মানুষটা মারা যাবার পর আমার কেনো যেনো মনে তার স্বপ্ন পূরন হলেও এর কার্যকারিতা থাকবে না তখন আর অথবা যেটা বসানো হবে সেটা আমাদের কোনো কাজে আসবেনা তখন!


সমস্যা হলো ভালো মানুষরা পৃথিবীতে বেশিদিন বাচে না। এই লোকটাকে স্যালুট দিতে মন চায়!

২২| ২৩ শে মে, ২০১০ ভোর ৪:৫১

রাজসোহান বলেছেন: বাংলাদেশের কৃতী সন্তান ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করি।

২৩| ২৭ শে মে, ২০১০ রাত ৩:২৯

হাম্বা বলেছেন: মাথা খারাপ বলেছেন: এই দেসে ভালা মাইন্সের দাম নাই। আফচুস পোস্তে +

দখিনা বাতাস বলেছেন: যেইদেশে এমপির ড্রাইভারও ক্ষমতার দাপট দেখায়, ঐদেশে এইরকম লোক বিরল। আমরা মনে হয় কোনদিন ভালামানুষের দাম দিতে শিখমু না। আপনের পোস্টেই এই প্রমান পাইবেন। একটা খারাপ লোকরে নিয়া পোস্ট দেন, হিট আর কমেন্টের বন্যায় ভাইস্যা যাইবেন। সবার আগ্রহ খারাপের দিকে।


++++++++++++++++++++++++++++++

২৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১০ দুপুর ২:২৪

কাদামাটি বলেছেন: ++++++++++++++++++
উনি ভালো লোক ছিলেন

২৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৩৫

গরম কফি বলেছেন: বাংলাদেশের কৃতী সন্তান ওয়াজেদ মিয়ার আত্মার শান্তি কামনা করি।

২৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:৪২

মেলমুটকিড বলেছেন: আল্লাহ উনাকে বেহেস্তে নসীব করুক,পরকালে যেনো অন্তত শান্তিতে থাকতে পারেন।

২৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১২ রাত ১২:৫৩

নানাভাই বলেছেন: ওয়াজেদ মিয়াকে শ্রদ্ধা করি গুণী এবং ভালো মানুষ হিসাবে ।

শেখ হাসিনার প্রথম টার্মে, ওয়াজেদ মিয়া নানাভাবে শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছিলেন, এমনও বলেছিলেন,-যে মহিলা জি সিনেমা নিয়ে পড়ে থাকে, দেশ পরিচালনায় তার প্রাজ্ঞতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে ! সেই সময়ে সরকারী গাড়িতে চড়তেও তিনি অস্বীকার করেছিলেন । ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করতেন । এইসব কিছুই তাঁর সততার বিষয়টিকে প্রশ্নাতীত করে তুলে ।

ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.