নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম কাল- ৮০দশকের আগেও দেখা যেত
একটি বাড়ী যার নূন্যতম সদস্য সংখ্যা ১১। দাদা-দাদি-মা-বাবা-চাচা-চাচী-ফুফু-চাচাতো ভাই-চাচাতো বোন-নিজে ভাই/বোন। এ চিত্র যারা নিতান্তুই ছোট পরিবার তাদের। আর যারা বড়!!! ২০/২৫/৩০জন। সবাই এক সঙ্গে বসবাস। বাবা-চাচা মিলে উপার্জন সবাই মিলে উপভোগ। পরিবারের প্রধান দাদা তার কথা মাথা পেতে নেয়া সবার। যে কোন সমস্যায় সবার সাথে আলাপ আলোপচনায় সমাধান। সকালের আলোয় বারান্দায় পড়তে বসা ভাইবোন সবাই। বিকেলের আলোতে খেলতে যাওয়া সবাই মিলে। আবার সন্ধ্যের সাথে সাথে পড়ার গুঞ্জন। পাশের কেও পড়তে না বসলে পাসের বাসার উদাহরণ, দেখছিস তারা সবাই পড়তে বসেছে কখন। বিভিন্ন সামাজি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে উৎযাপন। সবাই গোল হয়ে বসে রেডিও বা কারো কারো সাদা-কালো টিভির সামনে ভির। দুষ্টামিতে শাসনে কাকা-চাচা সবাই ছিল কম বেশী বাবা-মা থেকেও। দাদা-দাদীরা বাচ্চাদের বাবা সম্পর্কে এমন ভয় দেখাতো বাবা মানেই বাঘ। তার সামনে দুষ্টামিতো দুরে থাক জোড়ে কথা বলাও অপরাধ। যত আবাদার দাদা-দাদি ফুফু চাচা-চাচীদের মাঝে। বাবা-মা' নিশ্চিন্তে থাকতেন বাচ্চা নিয়ে।
দ্বিতীয় কাল- ৮০দশকের পর থেকে লক্ষ্যনীয়-
আস্তে আস্তে পরিবার প্রথা বিলুপ্তির পথে। সুখ বলতে নিজের স্বামী আর সন্তান। আলাদা একটা বাড়ী অথবা নিজে রান্না করে নিজের ছেলে-মেয়েদের খাওয়ানো। সুগৃহিনী হলে শ্বশুর শ্বাশুরীর দিকে একটু আধটু নজর। তা না হলে কিছু টাকা পয়সা ধরিয়ে দেয়া। গৃহীনি ব্যস্ত সাজগোজে আর বাচ্চাদের আবদার নিয়ে। নিজেদের মত করে ছোট খাট অনুষ্ঠান যেখানে পরিবারের অন্যান্যদের আমন্ত্রণ। নিজের বাচ্চা মানে নিজের; সেখানে দাদা-দাদি চাচা-চাচি শাসন করবে এটা নিয়ে অন্তর দ্বন্ড। আর সেই দাদার গল্পের পাওরুটি আর দুধ খাওয়ার গল্পের মত করে বিদেশ নিয়ে বিভিন্ন খোশ গল্প, তারা এভাবে চলে ওভাবে চলে---------------।
বর্তমান সময়-
ভাল থাকা মানে। ফ্লাট বাসা, ঘর ঠান্ডা রাখার যন্ত্র। স্বামী-স্ত্রী দু'জনা মিলে ইনকাম। একজন নিয়মিত কাজের বুয়ার কাছে বাচ্চা কাচ্চা বড় হওয়া। শ্বশুর-শ্বাশুরী--- তারা আবার কি, তারা থাকবে নিজেদের পরিবারে, যত দুরে থাকা যায় ততই সম্পর্ক ভালো থাকবে। গাড়ী ছাড়া কি চলে। ছেলে-মেয়েকে নিয়ে টেনশনের শেষ নাই। সকালে স্কুল; দুপুরে টিউটর, বিকেলে কোচিং আর সন্ধ্যেয় আরেক টিউটর। রাতে একটু সময় পেলে ভিডিও গেম। তাদেরকে বড় হতে হবে না। পরীক্ষা শুরু হলে ছেলে-মেয়ে থেকে মা-বাবার ঘুম হারাম। সপ্তাহে একদিন শপিং, মাসে একদিন বন্ধুবান্ধব নিয়ে পার্টি যেখানে থাকবে না কোন বুড়োর দল।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
চোরাবালি- বলেছেন: অনেক পরিবারে ৯০দশকেও বিরাজমান ছিল
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩
চোরাবালি- বলেছেন: আমার দেখা অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায় এখনও পরিবার প্রথা ধরে রেখেছে।
২| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: বর্তমান কাল আত্মকেন্দ্রিকতার প্রতীক, অতীত কাল স্নেহ বাৎসল্যের আতিশয্যের।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪
চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপানাকে।
৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: আমার দেখা অধিকাংশ হিন্দু সম্প্রদায় এখনও পরিবার প্রথা ধরে রেখেছে।
এটা আমিও দেখেছি।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৩
চোরাবালি- বলেছেন: হ্যাঁ, ধন্যবাদ আপনাকে
৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৬
ক্লে ডল বলেছেন: নিদারুণ বাস্তবতা!! কালে কালে কার পরিবর্তন হবে এইই নিয়ম।
খায়রুল আহসানের সাথে একমত।
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
চোরাবালি- বলেছেন: পরিবর্তন হচ্ছে সার্কেল বা বৃত্ত। আমরা এখন বৃত্তের নিচের দিকে নামছি। ভবিষ্যতে হয়তো একিদন আবার ঘরে উপরে উঠব।
৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯
ক্লে ডল বলেছেন: দুঃখিত। টাইপো। "কালে কালে কাল পরিবর্তন "
১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৫
চোরাবালি- বলেছেন: টাইপে আমিও দক্ষ না; প্রচুর টাইপিং মিস্টেক থাকে আমার।
৬| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কঠিন বাস্তবতা...
১২ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪১
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: তিন কালের স্বাদই আস্বাদন করেছি, যদিও নব্বইয়ের দশকে জন্মেছি।