নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোষাক তৈরীর কারখানায় মাসিক বেতনে কামলা দেয় মাস শেষে মাইনের আশায়, যে মাইনে দিয়ে চলবে নিজের পরিবার ও সমাজের জন্য কিছু একটা করার প্রচেষ্টা মাত্র। নিতান্তই সাদামাঠা গ্রাম থেকে আসা স্বল্প শিক্ষিত মানুষ।

চোরাবালি-

চোরাবালি- › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবেগ নয় বাস্তবতা দিয়ে চিন্তা করুন--

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯




উপরের ছবিটি দেখলে মন খারাপ হবে না এমন লোক খুজে পাওয়া মুশকিল। আবেগী মন আমাদের চোখের জল দেখলে নিজের চোখেও জল আসে। কিন্তু বাস্তবতা নিয়ে আমরা একটুও চিন্তা করি না।

বছর দুয়েক আগে যখন হাইওয়েতে সিএনজি চালিত অটোগুলি বন্ধ করে দেয়া হল তখনও এরকম আবেগী ছবি আর তাদের আন্দোলনের খবর বেশ নজরে পড়ত। তারা কি করে খাবে, কিভাবে চলতেবে, যত অত্যাচার গরীবের উপর, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হবে ইত্যাতি ইত্যাদি। যা হউক সরকার তার অবস্থানে কঠোর হলেন। প্রতিদিনের চিত্র মহাসড়কে সিএনজি দুর্ঘটনার চিত্র পাল্টে গেল।

মূল কথা ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা। জেলা শহরগুলিতে গেলেই চোখে পড়ে এই ব্যাটারি চালিত রিক্সা। শুধু জেলা শহর নয় বিভাগীয় শহরেও তাদের দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যায়। এসব রিক্সা প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনায় পড়ে, চালকের অদক্ষতা আর দ্রুতগতিতে চালানোর মনোভবে। যেহেতু রিক্সার দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার খুবই কম তাই সে ঘটনা খবরেও আসে না। ছেড়া ফাটা কাটা পর্যন্তই।

এসব রিক্সা চালকেরা অধিকাংশ অদক্ষ। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে রিক্সা কিনে রাস্তায় নেমে পড়েন। কোন সিগনাল/সংকেত মানার ধার ধারেন না তারা। যত্রতত্র সামনের চাকা এগিয়ে দিয়ে বসে থাকতে তারা বড়ই অস্তাদ। ট্রাফিক পুলিশদের কোন পাত্তায় দেন না তারা। গত বছর তিন আগে কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে এক রিক্সাচালক সিগনাল না মানার অপরাধে একটা বাড়ি দিলে সে চাকু নিয়ে এসে বসিয়ে দেয় ট্রাফিক পুলিশের পেটে। আর ভাড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি তো প্রতিদিনের নৈমেত্তিক ঘটনা।

এসব ব্যাটারি চালিত রিক্সা বন্ধে বারংবার মাইকিং শতর্কীকরণ করা হলেও তারা কোন পাত্তায় দেন না এসবে। রিক্স ভেঙে দেয়ার সিদ্ধান্তও কিন্তু হঠাৎ করে না। প্রথম শতর্ক করা হয় তারপর রিক্সা আটকে দেয়া হয়েছে, রিক্সা আটক করা হয়েছে। সর্বশেষ চিকিৎসা হিসেবে গুড়িয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত। যখন গুড়িয়ে দেয়া শুরু হল তাদের চোখে চলে এল জল, আমাদের চোখও ছল ছল।

এসব রিক্সা চার্জ হয় অবৈধ সংযোগে। যার ফলে বাড়ীত বিদ্যুৎ বিল আমাদেরও গুনতে হয়। এইতো দুদিন আগেই পত্রিকার খবর বিদ্যুতের দাম ১৫% বাড়াতে হবে আবার। কারণ খরচ ঘাটতি হচ্ছে তাই। এখন প্রশ্ন আসে কেন তারা সংযোগ বন্ধ করছে না। অর্থাৎ একটা খারাপের জন্য আরেকটা খারাপের অনুমোদন। এক বিভাগ তার দায়িত্ব পালন করছে না বলে আরেক বিভাগ করতে পারবে না এই কথাটা কতটা ন্যায় বিচার সম্পন্ন। তা হলে তো দেশে কোন বিচার ব্যাবস্থায় থাকে না।

প্রশ্ন তোলা হচ্ছে এরা কি করে খাবে। যারা প্রশ্ন করছে তাদের আসেল দেশ সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই। এখন একজন খেতের মজুরের বেতন ৪৫০টাকা। ৯টার সময় তারা কাজে যোগ দিবেন ৫টার সময় কাজ শুরু করবেন। একটা ডিমের দাম ১০টাকা। এক কেজি ছাগলের মাংশের দাম ৭০০টাকা। এসকল রিক্সা চালকেরা কিন্তু হাসমুরগী পালন, কৃষি কাজ এসবের কাছেও যেতে চান না। পায়ে কাদা আর হাতে ময়লা লাগার ভয়ে। আর যখন অটো রিক্সা ছিল না কোন না কোনভাবে কিন্তু তারা চলেছে।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই লোকের বয়স ৫২ বছর বা তার নীচে হলে, সে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে রিক্সা চালানোর কথা নয়, তার চাকুরী হতে পারতো ব্যাংকে কিংবা সেক্রেটারিয়েটে

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

চোরাবালি- বলেছেন: সভ্যতার সৃষ্টিতে তা হলে শুধু বাংকার বা সেক্রেটারিয়েটই থাকত।
সভ্যতায় যেমন সেক্রেটারিয়েট থাকবে তেমন রিক্সা চালক দরকার।

২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৬

আমার আব্বা বলেছেন: নিরিহ প্রানী গরু ,মহিষ , ছাগল , মুরগী , সুয়ার , উট , ইত্যদির মাংস খাইতে যেমন মজা লাগে । গরিব মানুষের রক্ত খাইতে তেমনি মজা লাগে ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২১

চোরাবালি- বলেছেন: গরীবের দোহায় দিয়েই যা ইচ্ছে তাই করে যাবে নাকি?

৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১০

রাফিন জয় বলেছেন: সব এবার রিক্সার দোষ, তারা অবৈধ। তাই সব হেলদোল... আচ্ছা, অবৈধ ভাবে নদী দখল হয়ে যাচ্ছে, তা নিয়ে কি পদক্ষেপ? রাস্তা দখন, অবৈধ ভাবে চর দখল, মাদকের বিস্তার, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি নিয়ে কি পদক্ষেপ? আমার বন দখল হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে কি পক্ষেপ?
রিক্সা গুঁড়িয়ে না দিয়ে ব্যাটারি চালিত রিক্সার গ্যারেজ গুঁড়িয়ে দিতে পারলো না? ওহ, গ্যারেজ মালিকরা যে টাকা ওয়ালা! তাদের করবে কেন? মরুক না ছোটলোকের বাচ্চা গুলা!
আচ্ছা ব্যাটারি খুলেও তো রেখে দিতে পারতো, গুঁড়িয়ে দেয়ার কি দরকার ছিল বলেন তো। আপনিও একটু বাস্তবতা দিয়ে ভাবেন!

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২০

চোরাবালি- বলেছেন: ঐ যে একই কথা, এক লোক দূর্নীতি গ্রস্থ বলে কোন লোক ভালো কাজ করতে পারবে না।
গ্যারেজ মালিকগুলি কিন্তু রাস্তায় রিক্সা বের করে নাই; এই সকল ঘাড়বাকা লোকগুলিই গোয়ারতুমি করে রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছে।
আর যেটা বলছেন ব্যাটারি খুলে নেয়া, চাকা পাংচার করে দেয়া এসকল চিকিৎসার পর সর্বশেষ চিকিৎসা এই গুড়িয়ে দেয়া।

৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১০

আমার আব্বা বলেছেন: আমি এক জন গরিব মানুষ আমার রক্ত খাইতে খুব মজা রক্ত লাগবো ভাইসাব খাইবেন ।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

চোরাবালি- বলেছেন: আমরা কথায় কথায় উদাহরণ দেই উন্নত দেশের; কিন্তু উন্নত হতে গেলে যা দরকার সেটা নিয়ে কখনই চিন্তা করি না। শহরের মধ্যে ফাকা রাস্তায় হেটে যেতে দারুনই লাগে। তবে ফাকা করতে হলে যে কঠোরও হতে হয় সেটি আমরা ভাবি না। যখন দুই মিনিটের রাস্তা ১০মিনিট দাড়িয়ে থাকতে হয় তখন কতই না ভালো লাগে। ভিরের মধ্যে হেটে গেলে পকেট ফাকা হয়ে গেলে কত মজা লাগে।

৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: ব্যাটরী চালিত রিক্সাগুলো এতই ক্ষতি যেহেতু, পুরোপুরি বন্ধ করে না দিয়ে আংশিক নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার মানে কি? আমদানি বন্ধ করে দিলেইতো কেল্লা খতম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৬

চোরাবালি- বলেছেন: আমদানি সম্পর্কে আপনার কোন ধারনাই সম্ভবত নেই। কোন রিক্সায় রিক্সা ঘোষণা দিয়ে আমদানী হয় না। আমদনী পর্যায়ে সব ধরনের ব্যাটারি চালিত রিক্সা ও তার সরঞ্জাম আমদানি নিষিদ্ধ।
আমদানী হয়ে আসে ডিসি মটর, যা শিল্প কারখানায়ও কাজে লাগে। আমদানী হয় ব্যাটারি যা গাড়ীতে বাড়ীতে টাওয়ারে সর্বদা কাজে লাগে; বাকিগুলি এ দেশেই তৈরী হয়।

৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৪

মাকার মাহিতা বলেছেন: আমার আব্বাঃ(প্রানী গরু ,মহিষ , ছাগল , মুরগী , সুয়ার , উট , ইত্যদির মাংস খাইতে যেমন মজা লাগে । গরিব মানুষের রক্ত খাইতে তেমনি মজা লাগে।)

আমি আমার আব্বা কে দ্ব্যর্থহীনকন্ঠে জানাতে চাই, আপনি অনেক সত্য কথাটাই বলেছেন।
যুগে যুগে যারা ক্ষমতায় তারই গরীব মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে এবং খাবে।

বগুড়ায় ঘটনায় ব্যাথিত হলাম।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮

চোরাবালি- বলেছেন: শহরের রাস্তা দিয়ে হেটে যাবেন ব্রেক ফেল করে এসে লাগিয়ে দিবে, দুর্ঘটনায় তিন মাস বিছানায় থাকবেন বেশ আনন্দিত হবেন ইনশাল্লাহ।

৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

মাহিরাহি বলেছেন: উপরের তলার মানুষেরা হাজার কোটি টাকা গায়েব করে ফেলে, মুনাফার লোভে শত শত গরীবের প্রাণ নেয় (রানা প্লাজার উদাহরণ যথেষ্ট), তাদের দেখলে আমরা আহ্লাদে আবেগী হই, আর হাতের কাছে একটা মোবাইল চোর পেলে (শিশু হলেও রক্ষে নেই), গাছে ঝুলিয়ে পিটিয়ে মনের ক্ষেদ মেটাই।

আসল গরীব ত আমরাই।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:৪০

চোরাবালি- বলেছেন: আপনার কি মোবাইল চুরি হয়েছে নাকি একটাও।
আপনি কি চোরকে আদর করে ঘরে বসিয়ে ভাত খাওয়াচ্ছেন কখনও।

রাস্তায় বের হলেন মোবাইটা হাত থেকে নিয়ে পালালো- খুব স্বাভাবিক, যেহেতু সে গরীব মানুষ কিছু বলার দরকার নাই
গাড়ীর লুকিং গ্লাসটি পট করে ভেঙে রাস্তা পার, যেহেতু সে বস্তির ছেলে গরীব মানুষ থাক কিছু বলার দরকার নাই-
দারুন অনুভূতি।

আপনি কি কখনও ঘুষখোরের সাথে একটেবিলে খাবেন না এমন কাজটি কেরেছেন?
আপনি কি কখনও দুর্ণীতি বাজ খারাপ লোকের সাথে বসবেন না এমন প্রতিবাদ করেছেন?

রহিম মিয়া সরকারী চাকরী করে রাতারাতি বড়মালদার- উপাধি তার খুব চালুমাল; মসজিদে সামনের কাতারে জায়গা তার; কখনও কি বলতে পেরেছেন জনসম্মুখে সে দুর্নীতিবাজ; তার সাথে নামাজে দাড়াবো না। তার কোন অনুদান নিব না, তার টাকায় কোন মসজিদ হতে দিব না। ???

আর ভোট দেয়ার সময় এদেশে কজন মানুষ ব্যাক্তি দেখে?? সবাই দেখে মার্কা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক, হোক সে লুচ্চা বদমাইশ জোচ্চর, জিয়ার সৈনিক, সব কিছুই করবে সে ঠিক, আমাদের মাঝে শুধু আজ এই স্লোগান।

সবার আগে নিজের কাজ কর্ম বদলান। সমাজ বদলে যাবে।

৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভালো বলেছেন, আমার কাছে ভালো লাগলো, সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপনার দেয়া প্রতিউত্তর গুলো, বিশেষ করে ৭নং প্রতি উত্তর।
সুন্দর পোষ্ট। গ্রেট

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

চোরাবালি- বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার মতটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেলে না অন্যের সাথে।

একটা প্রবাদ আছে-
গরীবের পেটে আর বড়লোকের পিঠে

গরীবের শাস্তি পেটে দিলে আজীবন মনে রাখে
বড় লোকের শাস্তি পিঠে দিলে আজীবন মনে রাখে-

আমি নিজেকে দিয়ে উদাহরণ দেই- গার্মেন্টস এ কামলা খাটি। আজীবন অভ্যাস ১ঘন্টা লেট,
যেই লেট করলে বেতন কাটা শুরু হল এখন এমনিতেই ঠিক হয়ে গেছে। ১০মিনিট আগে আসি লেট তো দুরে থাক।

৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:০০

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: যথেষ্ট বলেছেন ভাই, সবই যৌক্তিক।
ধন্যবাদ আপনাকে বাস্তবমুখী আলোচনা করার জন্য।

শুভকামনা জানবেন সবসময়

১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২০

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। কিন্তু কেন জানি আপনার সাথে সম্পূর্ণ সহমত হতে পারলাম না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

চোরাবালি- বলেছেন: খুব স্বাভাবিক। একজন ছাড়া সবাই অমত।
ভিন্নমত না থাকলে সভ্যতা থাকত না।

১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৮

প্রত্যুশ্যা বলেছেন: তাহলে কি রিকসা বন্ধ হয়ে যাবে? সারাবিশ্ব এগিয়ে চলছে, একবিংশ শতাব্দীতে এসে যদি কেউ পা দিয়া রিক্সা চালায় তা জাতির জন্য অভিশাপ।সরকার বিদ্যুৎ উতপাদন করতে পারছে না তা সরকারের ব্যর্থতা। আপনি তা না বলে বলছেন অন্যকিছু। আপনি এটাই বলতে চাইছেন যে আংগুলে ব্যথা হলে আঙ্গুল কাটাই শ্রেয়। দুখিত ভাই একমত হতে পারলাম না।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

চোরাবালি- বলেছেন: বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে কি রিকসায় চড়ে?
বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে কিভাবে দুর্ঘটনা কমিয়ে ফেলা যায়, জানজট কমানো যায়।
পা দিয়ে যদি রিক্সা চালানো জাতির জন্য অভিশাপ হয় তা হলে তো জাতির জন্য কৃষিকাজ আরো বেশী অভিষাপ, আর চাকরী বলতে যেটা সেটা তো আধুনিক দাসত্ব, মাছ ধরা তো জাতির পায়ে কুঠারাঘাত।
যেভাবে কথা বলেন তা তো পৃথিবীতে আপনার পেশা ছাড়া আর কোন পেশা জীবির দরকার পড়ত না।
আঙুলে যখন ক্যানসার হয় তখন আঙুল কেটেই ফেলতে হয় শরীর বাচাতে, তা না হলে শরীরেও পচন ধরে।

১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:০৭

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আপনার মনভাব বার্মার পিশাচদের মত। সরাসরি বলতেই পারতেন উন্নত দেশ গড়ার লক্ষে গরীবদের ব্রাশফায়ার করে মেরে ফেলতে। অত ভনিতা করেন ক্যান?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫

চোরাবালি- বলেছেন: অযৌক্তিক কোনটা সেটা বলেন, বলার কিছু না পেয়ে এসব বলা।
গরীব বলেই সে যা ইচ্ছে তাই করে যাবে। এক ডিপার্টমেন্টের একজন লোক খারাপ করছে বলে অন্য ডিপার্টমেন্টের কেও ভালো করতে পারবে না, অদ্ভুদ বাঙালী আমরা।

১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: চায়না থেকে নিন্মমানের ব্যাটারী, মটর এগুলো কোন পথ দিয়ে আসে?
এগুলোর ইম্পোর্ট পারমিশন কে দেয়?
চায়না থেকে অটো-রিক্সা ইম্পোর্ট করে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হলো আবার এটা উৎপাদনে সেনাবাহিনীও বাদ গেল না।
এখন এইগুলো অবৈধ হলো কিভাবে?

নাকি এগুলো দিয়ে গিনিপিগ টেষ্ট হয়েছে?

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

চোরাবালি- বলেছেন: এগুলিও নিষিদ্ধ, কোন অনুমোদন নাই। এগুলি ভিন্ন ভিন্ন নামে বাংলাদেশে এসে অটো তৈরী হয়। অটো রিক্সা ভাঙছে তাদেই আমাদের মায় কান্নার অভাব নাই। আর এর থেকে কয়েশ গুন বেশী ব্যাটারি টমটম আছে সেগুলি ভাঙলে তো আন্দোলনে নামবে এ দেশের জনগন।
অটো রিকশার পাশাপাশি সকল ব্যাটারি চালিত জানবাহন ভেঙে দেয়া উচিত।
আমরা জাতিগত ভাবে খারাপ।

আমাদের কোন আত্মীয় সরকারী চাকরী পেয়ে তিনবছরে ৫তলা বাড়ী করলে বাহাবা দেয়; আবার সরকারী দপ্তরে গিয়ে তাদের গালিগালাজ করি। কখনও গালিগালাজ করি না সেই আত্মীয়কে।
উত্তরগুলি পড়েন আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন।

এদেশ ভাল হবে কি করে, কেও একজন ভালো কোন পদক্ষেপ নিলেই আমরা উঠে পড়ে লাগি। ব্যাটারি চালিত অটো বন্ধেরও পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। তখনও আন্দোলন হুমকি ধামকি দিয়ে প্রশাসনকে থামিয়েছে নেতারা। কারণ দেশ গেলে যাক নেতাদের ভোট দরকার।

১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭

প্রত্যুশ্যা বলেছেন: @চোরাবালি, রিকশা জাপানের থেকে আমাদের দেশে আসছে। আগে হাতে টানা রিকশা ছিল। তারপর এল পা দিয়ে আর এরপর আসবে মেশিন চালিত। এটাই বিবর্তন সহজাত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক।কৃষিকাজ অভিশাপ নয় বরং তাতে আধুনিকতার ছোয়ায় আর ও গতি আসবে। যারা এই আধুনিকতাকে গ্রহন করবে না তারাই সমাজের ক্যান্সার। তাদের হয় সরিয়ে দিতে হবে নয়ত ...।। ট্রাফিক জ্যাম এটা সরকারের ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার ফল। দেখেন না রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভারে সিগনাল বাতি বসানো হইছে এটা মোটা বুদ্ধির প্লানারদের দীয়া দেশ চালাণর ফল। আর ব্যক্তি আক্রমন কারা করে জানেন তো, নিচু লোকেরা...।

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

চোরাবালি- বলেছেন: ভাই ছোট শহরে চলা ফেরা নেই আপনার। থাকলে বুঝতেন এ সকল রিক্সা কতটা উৎপাত করে। আপনি পায়ে হাটতে পারবেন না।
একপর্যায়ে মেশিন চালিত রিক্সা অবশ্যই আসবে না ইত মধ্যে এসে গেছে। সিএনজি কিন্তু রিকসারই আপডেট ভার্সন। আগে ডিপলি চিন্তা করেন।
ট্রাফিক জ্যাম সরকারের অব্যবস্থাপনার ফল না। আপনি দেখাতে পারবেন কোন ব্যাক্তি সমাজে লাইন মেনে চলছে? একদিকে জ্যাম লাগলে পুরা রাস্তা ব্লক হয়ে যায় কে আগে যাবে এই মনোভাবে। সরকার আমার আপনার মনোভাব পরিবর্তন করতে পারবে না। আমরা লিফটের লাইন মেইনটেন করি না, সে জাতি আমরা কতটা সভ্য।

উল্টোপথে সচিবদের যে গাড়ী আটক করা হলো, হলো জরিমানা। জরিমানার পরিবর্তে যদি কইসা পাছার উপরে ১টা বেতের বাড়ি দিত তা হলে ঐ সচিবকে তার নাতিরা পর্যন্ত উল্টোপথে গাড়ী চালাতো না।

গত ৭/৮মাস আগে গেছি ঈশ্বরদিতে। স্রেফ রিক্সসার জন্য ট্রেন মিস করলাম। রেলগেটে সিগনাল পড়েছে তারা পুরা রাস্তা ব্লক করে বসে আছে দুই দিক থেকে। আমার পরিচিত একজন পুলিশ ফাড়ির এসআই নতুন এসে রিক্সাওয়ালাদের মৌখিক, অনুরোধ করে, পিটানি দিয়ে বিভিন্নভাবে অনুরোধ করল সিরিয়াল মেইনটেন করার জন্য কোন কাজ হল না, তারপর শুরু করল রিক্সা পেলেই ফাড়িতে আটকে রাতে নূণ্যতম ২দিন। ২/৩হাজার টাকা দিলে তবেই রিক্সা ছাড়। এখন আর সেখানে কোন রিক্সা সিরিয়াল ছাড়া দাঁড়ায় না। এরকম হাজার উদাহরণ আছে।

ঢাকা শহরে বসে চোখের জ্বল দেখে মানুষের আসল চরিত্র বোঝা যায় না।

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫৭

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: @লেখক, আপনি আমার মন্তব্যই বুঝেননি। সেনাবাহিনী যে অটো তৈরী করলো উল্কা বোরাক এসব নাম দিয়ে তাতে সেনাবাহিনীর ফ্যাক্টরীর লোগও থাকতো এগুলোর দ্বায়িত্ব কে নেবে?

ভাংগা ভাংগি পরে করেন............।
রাস্তায় অটো ভাংগেন, দোকান সীলগালা করেন না কেন? ইম্পোর্টারের সাথে তলে তলে কোন আত্মীয়তা?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:০৬

চোরাবালি- বলেছেন: তর্কে জিততে চান- যান তালগাছ আপনার।
রাস্তার দোকান বন্ধ করার দায়িত্ব যে ডিপার্টমেন্টের সে ডিপার্টমেন্ট বন্ধ করছে না বলে কি আর কেও তার দায়িত্ব পালন করবে না?

আরেকটি বিষয় গোপন করছে আমাদের মিডিয়া। এ দেশের মিডিয়া আর কিছু পারুক বা না পারুক উষ্কানিতে খুবই ওস্তাদ।
--- এই রিক্সাগুলি শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে ঢুকতে পারবে না শুধু, অলিগলিতে চলতে দিচ্ছে ঐ গরীব মানুষ মাথায় রেখেই।

১৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:১০

মাকার মাহিতা বলেছেন: ব্রেক ফেল করে কারা। তারা এরা না। তারা বড়লোক। এই গরীব রা কষ্ট করে খাবে এটা বড়লোকের সহ্য হয় না। কেন তারা বিনা নোটিশে বুলডুজার দিয়ে তাদের আয় রোজগারের একমাত্র সম্বল অটো রিক্সা গুড়িয়ে দিল।

এতে কি বোঝা যায় না যে, যুগে যুগে গরীবের রক্ত চুষে খেয়ে যাচ্ছে?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:২৩

চোরাবালি- বলেছেন: আপনি কোথায় থাকেন? আপনি কিভাবে জানলেন যে বিনা নোটিশেই বুলডেজার?? আমরা আসলে জাতি এমনই কোন কিছু না জেনেই আবেগে সেটির পেছনে ছুটি। আর আমাদের মিডিয়া উসকানীতে খুব ওস্তাদ।
তাদের একাধিকবার নোটিশ, মাইকিং, ট্রাফিক পুলিশ দিয়ে লাঠি পেটা, রিক্সা আটক তারপর এই সিন্ধান্ত।

আরেকটি বড় ব্যাপার এই সকল রিক্সা শুধুমাত্র শহরের প্রধান সড়ক, মহাসড়কে যেতে পারবে না। তাছাড়া শহরের অলিগলিতে চলতে কোন বাধা নেই।

১৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৭

মাকার মাহিতা বলেছেন: একটু মানবিক দৃষ্টি দিয়ে চিন্তা করুন। তাদের পরিবারের কি হবে এখন? কি খেয়ে তারা বাচবে?

কর্তৃপক্ষ গুড়িয়ে দেবার আগে কেন তাদের পুনর্বাসন করল না ?

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

চোরাবালি- বলেছেন: তা হলে তো চোর ডাকাত কাউকে কিছু বলা যাবে না তারা কি খেয়ে বাচবে?
শুধু গরীবের দোহায় যা ইচ্ছে তাই কি আপনি করতে দিবেন?

আপনি ঢাকার বাইরে কিছুদিন থাকেন ঘোড়াফেরা করেন আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.