![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোটা নিয়ে বেশ বেকায়দার আছে সরকার বর্তমানে।
না পারছে সংষ্কার করতে না পারছে সংষ্কারপন্থিদের ঘারে ধাক্কা দিতে।
তবে অবস্থা দৃষ্টে মনে হয় কোটা সংষ্কার করলেই সরকার লাভবান হবেন। বিশাল এক যুবগোষ্ঠি সরকারের পক্ষে যাবে। অন্য দিকে সংক্ষারের বিপক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের দাঁড় করানোর চিন্তায় একটি গোষ্ঠি ব্যাতি ব্যস্ত। তারা মূলত স্বার্থপর গোষ্ঠি, খোজ নিলে হয়তো তার গোষ্ঠিরও কেও মুক্তিযোদ্ধা ছিল কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন আসবে। স্বভাবত যারা মুক্তিযুদ্ধের মত মহান বিষয়কে নিয়ে জালিয়াতি করেছে তারা যে স্বার্থপর মহল এবং কোটা তাদের দরকারই তাদের নিজেদের স্বার্থে মাত্র এতে কোন সন্দেহ নেই।
সরকারের আরেকটি বিষয় মাথায় রাখা উচিত মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একটি বিশাল গোষ্ঠি যারা আওয়মী সমর্থক না। সরকারী নিয়মনীতি অনুসারে তারাও সুবিধা পাচ্ছেন, ভাতা পাচ্ছেন, সন্তান, নাতি নাতনিরাও সুবিধা ভোগ করছেন। তাই বলে তারা কিন্তু আওয়ামী লীগার নয়। আবার অনেকেই আছেন যারা বিপদে পড়ে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সব থেকে বড় সমস্য আজ এ সমস্যাটা, কে যে বিপদে পরে আওয়ামী লীগ আর কে স্বার্থের টানে আওয়ামী লীগ অথবা কে প্রকৃত আওয়ামী লীগ তা বোঝা আজ বড়ই মুশকিল। তার প্রমাণ ইতমধ্যে পেয়েও গেছে সরকার কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে। আওয়ামী লীগের যত জন ট্যাগ লাগানো কর্মী ছিল তত জনও যদি আন্তরিক হত তা হলে আওয়ামী লীগ ব্যাতিত অন্যকারো জয় পাওয়া সম্ভব ছিল না।
সরকার হয়তো ভাবছে যে বিএনপি ঘোষণা দিক তারা ক্ষমতায় আসলে কোটা সংষ্কার করবে, আর সে সুযোগ নিয়ে সরকার হয়তো বিএনপিকে মুক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষের দল বানাবে। অথবা ভাবছে যদি কোটা সংষ্কারের বিপক্ষে যায় তা হলে তারা একটা সুযোগ নিতে পারবে কিছুটা সংষ্কার করে বিশাল যুবজনগোষ্ঠিকে কাজে লাগাতে পারবে। কিন্তু হায় বিএনপি নিরব।
তাই অবস্থাদৃষ্টে মুক্তিযোদ্ধাগোষ্ঠি যতই বড় মনে হউক না কেন তার মধ্যে কত % যে আওয়ামী গোষ্ঠি সেটিও দেখার বিষয় এবং কোটা এত ধরপাকড় না করে সংষ্কার করলেই হয়তো সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৫
চোরাবালি- বলেছেন: কোটা সংষ্কারে যে দেশের জন্য অবশ্য অবশ্যই মঙ্গল। যেন মেধাবিরা সুযোগ পায়।
২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: শিরোনামটা যথার্থ যুক্তিযুক্ত এবং উপযোগী।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৫
ক্স বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সাথে আওয়ামী লীগের কোন সম্পর্কই নেই। মুক্তিযুদ্ধের উপ অধিনায়ক এ কে খোন্দকারের মতে, আওয়ামী লীগ নেতারা তখন ৭০ এর নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এতটাই মোহাবিষ্ট ছিল যে বারবার পাকিস্তানি ষড়যন্ত্র সম্পর্কে অবগত করা হলেও তারা মোটেই আমলে নেননি। সবাই তখন তাকিয়ে ছিল মুজিব-ভুট্টো আলোচনার দিকে - আশা করে বসেছিল যে সেই আলোচনার পরেই পাকিস্তানের ক্ষমতা মুজিব ও আওয়ামী লীগের হাতে তুলে দিয়ে ইয়াহিয়া ভেগে যাবেন।
ঘটনাক্রমে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে আওয়ামী লীগের এসব নেতাকে তখন দূরবীন দিয়েও কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। আফসোসের বিষয়, সেই আওয়ামী লীগই এখন মুক্তিযুদ্ধের সমস্ত ক্রেডিট দাবি করে বসে আছে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১২
চোরাবালি- বলেছেন:
নেতা ও পিতা বইটিতেও অনেক কিছু পাওয়া যায়
আর এজন্যই মুক্তিযোদ্ধা কোটা আওয়ামী লীগের কোন কাজে আসে না। কিছু লুটেরা যেভাবে বোঝায় সে ভাই বুঝে ভাবে এ কোটা মনে হয় বিশাল উপকারী কোটা
৪| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: সরকারের লাভ ক্ষতির কোন মূল্য নেই দেশ তথা জনগনের জন্য যেটা ভালো সেটাই করতে হবে।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১
চোরাবালি- বলেছেন: কথাটা পুরোটাই উল্ট এ দেশে।
সরকারের যেটাতে লাভ সরকার সে পথেই হাটে।
৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০
চোরাবালি- বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:
সরকারের লাভ ক্ষতি নিয়ে ভাবার টাইম নাই। দেশের জন্য যেটা মঙ্গল সেটাই করা দরকার।।।