নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমরা বুইড়া খেদাই

নিউ লাইন ব্লগার - fb.com/openbd

চরমপত্র

fb.com/openbd দেশটা স্বাধীন ওইছে আইজ চল্লিশ বছর। বৃটিশ গেছে সেই কবে তবু দেশে আইজও সেই বিদেশী ক্ষমতা-রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভূত প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্র বসে থেকে আমাদের মুক্তি কেই অর্থহীন করে রাখছে। অথচ জন-রাষ্ট্র ব্যবস্থাই ছিল এ জাতির শত বছরের আন্দোলন, যুদ্ধ ও লক্ষ লক্ষ শহীদের পাঁজরে লুকানো বুলেট বিদ্ধ রক্তে ভেজা স্বপ্ন।

চরমপত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের এতবড়বড় সব নেতা, এমপি মন্ত্র -আসলে সব সাংবিধানিক পা-চাটা কুত্তা ।

১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:০৯



কি পা-চাটা কুত্তা বলায় মাইড করলেন ? তাহলে দেখেন এর চেয়ে বেশি আর কি বলা যায় এদের !



মন্ত্রী বলেন আর এমপি বলেন, মওদুদ আহাম্মেদ বলেন সুরঞ্জিত সেন বলেন, জয়নাল আবেদিন বলেন আর সাহারা খাতুন বলেন অথবা কোন ওয়ার্ড আওয়ামী বা বিএনপি সভাপতি বলেন অথবা ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল সভাপতি বলেন এরা সবাই মুজিব ও জিয়া এই দুই পরিবারের গৃহপালিত পা-চাটা কুত্তা। তাদের এই পদবীটা আমরা দিচ্ছি না, এটা তাদের সংবিধানিক পদ, এরা সবাই সাংবিধান ভাবেই এক একটা পা-চাটা কুত্তা- তা কেউ পছন্দ করুক আর না করুক। সংবিধানকে কেউ অবশ্যই অস্বীকার করতে পারে না, এবং করেনা। বরং এদের স্বপ্নই "আমি আরও বড় পা-চাটা কুত্তা হবো, পা-চাটতে চাটতে আমার হাত মাটি পর্যন্ত ঝুলে যাবে", এই নিয়েই যত প্রতিযোগীতা"। কখনও পা-চাটায় সামান্য হেরফের হলে বাকি কুকুরের দল থেকে পিছিয়ে পরবে এমনকি লাথি দিয়ে বের করে দেবে প্রাসাদ থেকে যার উদাহরন অনেক আছে, ড. কামাল, বি চৌধূরী, কাদের সিদ্দিকী প্রমূখ। পর

সংবিধান কি ভাবে এদের কুত্তা বানালো ? এবার শুনুন সেই ইতিহাস ! বাংলার আপাময় জনগণ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বুকের রক্ত দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মাবোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা তার সাথে বেইমানী করে দেশের তৎকালীন ৭ কোটি মানুষের সাথে প্রতারনা করে ১৯৭২ সালে যে সংবিধান রচনা করা হয়েছিল তা একটি পরাধীনতার সংবিধান। শহীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করে সেদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের যে সংবিধান রচনা করা হয় তা এক কথায় ছিল হোসনি মুবারক, গাদ্দাফির মিশর লিবিয়ার আদলে পরিবারপ্রজাতান্ত্রীক বাংলাদেশের সংবিধানের মাধ্যমে।



এই সংবিধানে একই ব্যক্তি আমৃত্যু প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধান থাকতে পারবে এমন সুযোগ রাখা হয় এবং অনুচ্ছেদ ৭০ মোতাবেক কোন নির্বাচিত সংসদ সদস্য যদি দলের "অর্থাৎ সেই সরকার প্রধানের" বিপক্ষে ভোট দেয়/কথা বলে তাহলে তার সংসদ সদস্য পদই বাতিল হয়ে যাবে। স্বাধীন দেশকে কোন ব্যক্তির কুক্ষিগত করার মনোবাসনা থেকে করা এই সংবিধান নিৎকৃষ্টতম, রাজতন্ত্রের চেয়েও খারাপ শাসনব্যবস্থা শাসনতন্ত্র। জনগণকে রাজনৈতীক দলের দাসে পরিনত করতে, তোষাম্মদ ও চাটুকারীর/ব্রিফকেস-পার্টির রাজনৈতিক আদর্শে অনুপ্রণীত করা এই সংবিধানের মাসুল দেশর জনগণ গত ৪০ বছর যাবৎ দিচ্ছে। এর পর সংবিধানের অনেক পরিবর্তন হলেও কুকুরের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয়নি।





কি এবার প্রমান হলো এরা সবাই সাংবিধানিক পা-চাটা কুত্তা ?



কারা এই সংবিধানের প্রস্তুত কারক ? ১৯৭০-এর পাকিস্তান রাষ্ট্রের নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য যারা কোরআনের শপথ নিয়ে পাকিস্তান রক্ষার অংঙ্গীকার করে নির্বাচন করেছিল। যাদের লক্ষ্য ছিল নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের সংবিধান রচনা করবেন। তারাই করেছিলেন ১৯৭২ এর সংবিধান, যাদের বাংলাদেশের সংবিধান তৈরির কোন নৈতিক অধিকার ছিল না। এই সংবিধান আসলে একটি অবৈধ্য জারজ সংবিধান। এই সংবিধান রচনার সাথে জনগণের, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কোন সম্পর্ক ছিল না। এই সংবিধানের স্বপ্ন বুকে নিয়ে কেউ সেদিন বুকের রক্ত দেয়নি।



এরকম পরিস্থিতিতে বিশ্বের সর্বত্র গণপরিষদ গঠন করে সংবিধান রচনা করা হয়। যুদ্ধের পর সকল দল, ধর্ম, মতের মানুষ নিয়ে গণপরিষদ কোথায় ? গায়ের জোরে বললেই হলো নাকি যে আমি একা করবো ? পরে প্রশ্ন উঠবেই, আজ না হউক আরও পরে এই ভাবনা কি তখন তাদের মাথায় আসেনি, বিশ্বাস করতে হবে ? এই ভুলটা তখন কিভাবে করলো ? এতেই প্রমানীত হয় সংবিধানটা ম্যালইনটেনশন থেকে তৈরী - স্বেচ্ছাচারীতা থেকে তৈরী। যেমন আজ যদি একটা গণভোট নেয়া হয় এমনঃ একই ব্যক্তি দুই বারের বেশি প্রধানমন্ত্রী বা সরকার প্রধান থাকতে পারবে না।



বলেন আজও এই সমস্ত পা চাটা কুত্তাদের কি আর ভোট দেয়া উচিত ? পা চাটা কুত্তারা দেশ ও জনগণের কি উপকার করবে ? এরা কোন দিন এই সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে ?



এবার কিছু আসল বড় বড় কুত্তার ছবি।



পাঠক আরও কিছু মানুষকুত্তার ছবি যোগ করে পোষ্টটি সমৃদ্ধ করুন।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:১৯

এন্টি ভাইরাস বলেছেন: ভালো বলেছেন

২| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:২০

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: সহমত। জনপ্রতিনিধিদেরই ক্ষমতা দেওয়া দরকার প্রধান নির্বাচন করার। কিন্তু কাজটা করে কে? সবাই তো গদীর নেতা, জনতার না।

৩| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:২০

অনিক আহসান বলেছেন: ঐ দুইজনরে আপনার আমার মত দেশপ্রেমিকরাই তো ভোট দেয় ... ভোট না পাইলে তো এরা আমাদের মাথার ওপর ছড়ি ঘুরাইতে পারতো না...ঠিক না?

৪| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:২৩

দু-পেয়ে গাধ বলেছেন: যখন ভোট চাওয়া হবে তখন আপনার দাবী কইতে পারবেন? যদি চাইতে না পারেন তো পাবেন কেমনে?

৫| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৩০

অনিক আহসান বলেছেন: কেমনে বল্মু ভাই কারন যখন ভোট চাইতে আইবো তখন নেতাপোতারা দলে ভারি থাকে আর জানেন না আমরা দলগত ভাবে নিস্টুর আর একলা হইলে ভীতু...

৬| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৪০

অাবু জাফর বলেছেন: ভালো বলেছেন

৭| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১০:৪৪

কৌতুহল বলেছেন: তাহলে কি দেশে সামরিক শাসন দরকার ?

৮| ১৪ ই মে, ২০১১ রাত ১১:৫৮

ইহতিশাম আহমদ বলেছেন:
আমেুরিকায় ১ জন পরপর দুই বারের বেশূী প্রেসিডেন্ট হতে পারে না। সুতরাং সেখানে নুতন নুতন মুখ দেখা যায়। আমাদের দেশে এমন নিয়ম করে সংবিধানের সংশোধনূী আনা দরকার।

৯| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৩৯

Eisenheim বলেছেন: আসল জায়গায় হাত দিতে চান?? তাইলে হাত মুঠ করে বলেন: ১৯৭২ না, আমরা ২০১১ সালের সংবিধান চাই :|

১০| ১৫ ই মে, ২০১১ রাত ১২:৪২

Eisenheim বলেছেন: আসল জায়গায় হাত দিতে চান?? তাইলে হাত মুঠ করে বলেন: ১৯৭২ না, আমরা ২০১১ সালের সংবিধান চাই :|

১১| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:০৫

এস.আর.এফ খাঁন বলেছেন: "জাগরণে" শেয়ার করবার জন্য ধন্যবাদ । সচেতন ও সোচ্চার হউক সবাই । সমন্বয় গড়ে তুলুক!

১২| ১৫ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:১২

আমি ছড়াকার বলেছেন:
ভাই আসেন ব্লগে ব্লগে আমরা গড়ে তুলি ব্লগ বি্প্লব এইসব পা চাটা কুত্তাদের বিরুদ্ধে। কারন টিভি,পেপার,রেডিও সব ঐ শুয়োরদের নিয়ন্ত্রনে। শুধু ব্লগ এখনো আমজনতার।

১৩| ১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: এদের ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকুন। আরেকটা স্বাধীনতা যুদ্ধ দরকার। সেই যুদ্ধে সবগুলারে....

১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:২৯

চরমপত্র বলেছেন: এর থেকে মুক্তির একটাই পথ। মাইনাস টু ফর্মূলা বাস্তবায়ন। গণপরিষদ গঠন। ১৯৭২ সালের সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান রচনা করা।

১৪| ১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৩২

শারিম টুমপা বলেছেন: ভোটের সময় আমরা কেন এদের কে ভোট দিই । আমরাইতো খারাপ । আগে আমারা নিজেরা পরিবর্তন হই তাহলে এরা পালানোর পথ খুজে পাবে না।

১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪০

চরমপত্র বলেছেন: কারে দিমু ভোট তাইলে ? কাউকে ভোট না দেয়ার মত সমাধান কি বাস্তব সমাধান হতে পারে ? কখনও সম্ভব কি ?

১৫ ই মে, ২০১১ বিকাল ৪:৪৩

চরমপত্র বলেছেন: দুইবারের বেশি কোন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না। এই দাবীটি প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে এদেশে অনেক সমস্যা যাদুর মত মিলিয়ে যাবে।

১৫| ১৫ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১১

মেকগাইভার বলেছেন: দেশের সব ঘুষখোর পলিটিশিয়ানদের ফায়ার স্কোয়াডে গুলি করে না মারা পর্যন্ত কোন সমস্যা সমাধান হবে না।

দোষ আওয়ামী লীগ বা বিএনপি র না। দোষ এসব দলের ঘুষখোর নেতাদের।

ঘুষখোর নেতাগুলাকে শুট করে মারতে হবে ফায়ার স্কোয়াডে।
তারপর এসব দলের ভেতর থেকেই ভালো নেতা বের হয়ে আসবে।যে পর্যন্ত না আসবে সে পর্যন্ত শুটিং চলতে থাকবে।

বিপ্লব দরকার এই শুটিং গুলো করার জন্য। আশা করি পরবর্তি আর্মি সরকার সেটা করে দিবে। জনগনের তখন সাপোর্ট দিতে হবে।

১৫ ই মে, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৮

চরমপত্র বলেছেন: করবে অবশ্যই করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.