![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক সময় লিখতাম। যা ভাবতাম, যা দেখতাম তাই বলতাম এবং জানাতে চেষ্টা করতাম। লেখক বলে নিজেকে কখনো ভাবিনি এবং এখনো ভাবি না। তবে সবসময় চাই সত্যকে জানতে এবং জানাতে। কারণ, সত্যের বিকল্প নেই, জানতে চান বা না চান সত্য তার নিজস্ব গতিতে প্রকাশ হয়েই যায়। পৃথিবীতে কোন সত্যেই গোপন নেই এবং সত্যকে শত চেষ্টা করে কিংবা ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। বিগত দিনে যা লিখেছিলাম তার-ই কিছু কিছু লেখা এখানে তুলে ধরব।
মাছজিদ মানব সমাজে এক অপূর্ব নেয়ামাত , মানুষের যা যা প্রয়োজন তাই মেঠে মাছজিদে এলে , মুমিনের জন্য মাছজিদ একটি জীবন্ত প্রতিষ্টান । মুমিনের জীবনের সব ক্ষেত্রে এর গভীর প্রভাব রয়েছে । মাছজিদ শুধু ইবাদাত আরাধনার জন্য নয় , এইটি মুমিনের সঞ্জীবনী শক্তি , আল্লাহর কাছে পরিপূর্ণ আনুগত্যের সঙ্গে সিজদায় মাথানত হওয়ার চেয়ে আর কোন চূড়ান্ত কিছু চিন্তা ও করা যায়না । কবির ভাষায় '' আমার মাথানত করে দাও হে সকল অহংকার ডুবাও চোখের জলে '' তাই আল্লাহসুবহানাহু তায়ালার অস্তিত্যের কাছে সজ্ঞানভাবে অজু করে পবিত্র দেহ ও মন নিয়ে পূর্ণ আত্মসমর্পণের ইবাদাত তা অবশ্যমন দিয়ে উপলব্দি করার বিষয় । শুধু দৈহিক নয় পরিপূর্ণ ভাবে হৃদয় ও মন কে সমর্পণ করেই এ ইবাদাতের প্রচেষ্টা আর ইবাদাতের সর্বোৎকৃষ্ট স্তান অবশ্যই মাছজিদের চেয়ে পবিত্র সুন্দর ার কি হতে পারে !! মাছজিদের ব্যাপারে অনেক কথা রয়েছে যা আল-কুরআন এবং হাদিছে বর্ণনা করা হয়েছে , এর ফযিলত ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন বহুবার । তবে আল - ইসলামের একটা সমগ্র রূপ আছে,যা বাস্তবে আমরা সবাই মনে রাখি না । একদিকে যেমন ঈমান সালাত সিয়াম হাজ্জ জাকাতের বিধান মানতেই হবে প্রতিটি ঈমান দার মুমিনকে , অন্যদিকে সামাজিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এ সব বৈষয়িক দায়িত্ব ও সুস্পষ্ট নীতিমালার অধীনে ইসলামের বিধান পালন করাও তেমনি প্রত্যেক মুমিনের কর্তব্য । ইসলামের মৌলিক নীতিমালার মধ্যে অর্থনৈতিক আচরণ যেমন জাকাত ফিতরা দান লিল্লাহ সাদাক্কা কর্ডে হাসানা ঋণদান - গ্রহন সম্পদ বণ্টন বা স্বাবলম্বী কর্মসূচী ইত্যাদি সম্পূর্ণ ভাবে ইতিবাচক সমাজমুখী ব্যবস্তা। তেমনি জ্ঞান অর্জন ও শিক্ষালাভ পরিবারের বড় থেকে ছোট দের প্রতি শুভনীয় আচরণ । প্রতিবেশীর প্রতি মার্জিত ব্যবহার দারিদ্র্যের প্রতি কর্তব্য, রুটি রুজি -রোজগারে সততা , কর্মনিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে কাজ করা / এ গুলা সবি ইছলামিক বিধানে বারবার স্পষ্টতার বিধৃত হয়েছে । এমনকি বহু রাজনৈতিক আচরন যথা ক্রীতদাসের মুক্তিদান , নারীর সামাজিক ও আইনগত অধিকার সংরক্ষণ ইত্যাদি আজ থেকে ১৪৩২ বছর আগে অর্জিত হয়েছে । শুধু ইছলামি বিধানে একই ভাবে যৌন আচরন সুস্ত জীবন সংগ্রাম এবং সত্যবাদিতার ওপর বহু অনুশাসন রয়েছে ইছলামি বিধানে । কিন্তু পশ্চিমা জগতে আল ইছলামকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হচ্ছে অসম্পূর্ণভাবে অথবা ভ্রান্ত ভাবে বোঝানো হচ্ছে । পাশ্চাত্যের মানুষ পার্থিব জগতে উন্নতির উচ্চশিখরে উঠেছে। কিন্তু তাদের কাছে যেভাবে যেভাবে ইছলামকে পরিচয় করিয়ে দেয়া উচিৎ ছিল তা করিয়ে দেয়া হয়নি । প্রিন্ট মিডিয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তির সদব্যবহার করা হয়নি এ বিষয়ে এটা দুঃখজনক , দুর্ভাগ্যজনক হতাশাজনক । এটা বিশ্ব শান্তির সহায়ক হয়নি । এ জন্য আমাদের এগিয়ে আস্তে হবে । টিভি রেডিও আইটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সমগ্র ইছলামের ধ্যান - ধারনা তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে । আল- আনছার ফাইন্যান্স এর মতো সুধ মুক্ত কর্জে হাছানার প্রতিস্টান এর মতো মাছজিদে মাছজিদে প্রকল্প শুরু করলে বুঝতে সক্ষম হবে যে আল- ইছলাম শুধু শুধু আখিরাতের জীবনের জন্যই নয় পার্থিব জগতে ও একটি বিশাল যোগ্য প্রতিষ্টান । আর কুরআন ও সুন্নাহ র বিধি - বিধান অনুযায়ী মাছজিদকে সুস্ট ভাবে পরিচালিত করার জন্য চাই উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত আলেম যিনি শুধু আল ইছলামের ইলিম দিয়ে জীবিকা নির্বাহই করবেন নাহ বরং তিনি কাজ করবেন নিবেদিত প্রান হিসাবে । ব্যাপারটি খুবই দুঃখ জনক যে আমাদের সমাজে যাহারা ইমামতি করছেন বা দ্বীন প্রচারে ওয়াজ নাছিহাত করতে নিয়মিত আছেন তাহাদের মধ্যে অনেকেই আধুনিক জ্ঞান - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন - বিশ্বের কোথায় কি ঘটছে ! বা বিশ্ব রাজনৈতিক পরিক্রমার সাথে ও খবরে পিছিয়ে , এমন কি নতুন নতুন রুগের যে প্রাদুর্ভাব ঘটছে তা ব্যপারে ও অবগত নন ।এ ছাড়া অর্থ নৈতিক ভাবে বাজারে কি চলছে তাহাতে ও বেখবর । যার ফলে প্রবল ইচ্ছা থাকা স্বত্বে ও তারা অনেক ক্ষেত্রে সহায়ক ভুমিকা রাখতে পারছেন না । আমাদের সম্পদ প্রচুর জনসংখ্যা অনেক বেশী - একে দক্ষতায় রুপান্তরিত করতে মাছজিদ হতে পারে এক মহা সুজুগ । যেখানে ধনী গরীব দুর্বল বা শক্তিমান সবাই সমান এবং আসবে ইবাদাতের জন্য । এখান কে কেন্দ্র বিন্দু করে ইবাদাতের অংশ হিসাবে সমাজ কল্যানে ও ভুমিকা নিতে পারে , । মাছজিদ একাধারে আমাদের সহায়ক হয়ে সমাধান করে দিতে পারে হাউজিং - ডোমেস্টিক - শিক্ষা - বয়স্ক শিক্ষা - হোস্টেল - ড্রাগ মুক্ত যুব সমাজ গড়া - বিধবাদের আশ্রয় - বেকার দের কর্ম সংস্তান - এবং যৌতুক মুক্ত বিয়ের ব্যাপারে সহায়তা । একেকটি এলাকায় যে হারে মাছজিদ রয়েছে সবাই যদি সুন্নাতের ব্যাপারে মনোযোগ দিয়ে আল- কুরআন আলোকে চলি তা হলে সমাজ থেকে দূর হবে চিরতরে ঘ্রিন্যতম অশান্তি । যে ধরনের ব্যাঘাত আমাদের সঙ্গী হয়ে ধ্বংস করছে আমাদের মন ও ঈমান সেখানে মাছজিদ হতেপারে প্রত্যেক মুছলিমের প্রান ,। [email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১২:২৭
মোহাম্মদ জামিল বলেছেন: হাফিজ ভাই সালাম, প্রথমত ভাই মসজিদ কে আপনি মাছজিদ লিখেছেন আসা করি বানান তা ঠিক করে দিবেন। দ্বিতীয়ত মসজিদ কে যদি কার্যত কার্যকর করতে হলে আগে মসজিদে বেতন ধারী তথাকথিত নামধারী ইমাম/মোল্লা প্রথা বাতিল করতে হবে। ইমাম মানে নেতা, যিনি একটা সমাজ কে নের্ত্বত্ত্ব দিবেন কোরান এর আলোকে... একমাত্র সেই ব্যক্তি একটি সমাজ এর নেতা এবং মসজিদ এর ইমাম হতে পারেন, কোন টাইটেল ধারী মোল্লা না..তৃতীয়ত মসজিদ কে দুনিয়াবীর কাজে ব্যবহার করতে হবে অনেকটা সরকারী অফিসের মত..সকল সমস্যার এবং সমস্যার কেন্দ্র বিন্দু ওই মসজিদ হতে হবে।