নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অপ্রিয় সত্য

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ

এক সময় লিখতাম। যা ভাবতাম, যা দেখতাম তাই বলতাম এবং জানাতে চেষ্টা করতাম। লেখক বলে নিজেকে কখনো ভাবিনি এবং এখনো ভাবি না। তবে সবসময় চাই সত্যকে জানতে এবং জানাতে। কারণ, সত্যের বিকল্প নেই, জানতে চান বা না চান সত্য তার নিজস্ব গতিতে প্রকাশ হয়েই যায়। পৃথিবীতে কোন সত্যেই গোপন নেই এবং সত্যকে শত চেষ্টা করে কিংবা ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখা যায় না। বিগত দিনে যা লিখেছিলাম তার-ই কিছু কিছু লেখা এখানে তুলে ধরব।

চৌধুরী হাফিজ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালো ট্যাক্সি - চৌধুরী হাফিজ আহমদ

০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:১৫

ইতিহাস খ্যাত এই কালো ট্যাক্সি যাহাকে ব্লাক ক্যাব বা হেকনি ক্যারেজ বলে ডাকা হয় । ৫ জন যাত্রি বহনে যাতায়ত করতে সুবিদা অনেক । খুবই জনপ্রিয় এই ট্যাক্সি ইংলান্ডে , ব্রিটিশ ঐতিজ্যের সাথে মিশে গিয়েছে এই বাহন । ১৯০০ এর দশকে এর আত্ম প্রকাশ ঘঠে বলে জানা যায় , আগে শুধু কালো রঙের ই হত , এখন নানান রঙের হয় যেমন সিলভার লালে হলদে নিলে সবুজে ও সাদা কালো , এশিয়ান আফ্রিকা মধ্যপ্রাচ্যে এই রকম বাহন দেখা যায়না , যতটুকুন কদর এর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে । ব্লাক ক্যাব নামে সিনেমা নাঠক গল্প উপন্যাস ও অনেক কাব্য রয়েছে । আগেকার দিনে চলাচলে লোকেরা গরু গাড়ি ঘোড়া গাড়ি ব্যবহার করত , অনেকের মতে বিলেতে ঘোড়া গাড়ির পরেই এই ব্লাক ক্যাবের আগমন ঘটে ।আগেকার দিনে যাতায়াত কারি যাত্রিরা অনেকে ভারা দিত না মধ্যপ রা মাতলামি করতো তাই চালকের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হত , অনেক যাত্রি কর্তৃক চালক খুন পর্যন্ত হয়েছে । ব্রিটিশ দের দস্যু পনা রুখতে এই ক্যাবে চালকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে রডের নেটের মাধ্যমে , চালকদের রক্ষায় এই ব্যবস্তাপনায় বেশ কাজে আসে , তখন থেকেই এই ট্যাক্সির কদর বাড়তে থাকে , বর্তমানে ও এই টাক্সির দাপট কম নয় রাস্তায় । আমি এই ট্যাক্সি চড়ি কম , ভারা বেশী বলেই চরিনা এবং লন্ডনে তো এই ট্যাক্সি আমার জন্য চড়া এক বিশাল ব্যাপার , জিবনের কামাই দিয়ে সম্ভব না ভারা পরিশোধ করা । ভারা না দিয়ে বের হওয়া ও মুশকিল হেভি লক যার বটন চালকের হাতে । সুরক্ষিত এই বাহন সৌন্দর্যের ও এক প্রতীক । বিলেতের রানী থেকে নিয়ে চাপরাশি সবার প্রিয় তবু ও । ১৯০১ সালে ইলেকট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় হাতল এর বদলে । এই ট্যাক্সি যাত্রি বহন করতে পারে যেখানে সেখানে থেকে , প্রাইভেট হায়ার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন । এই ট্যাক্সি নিয়ে চালক যেতে পারে শহর থেকে শহরে , আবার এই হেকনি ক্যারেজের লাইসেন্স ট্রান্সফার করা ও সম্ভব অনেক কাউন্সিলের এলাকায় । নতুন নতুন আইনে অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে , কিন্তু ব্লাক ক্যাবের বেলায় শিতিল অনেকটা । মুল্য কম নয় নতুন প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড , অবশ্য ব্যবহার ক্রিত যাহাকে সেকেন্ড হ্যান্ড বলা হয় এর মুল্য প্রকার ভেদে । বর্তমানে এই ব্লাক ক্যাবের পরিধি বেশ বিস্তৃত । বিলেতে চালকদের মধ্যে এখন বাংলাদেশী কম নয় তাহাদের কাছে ও এই ব্লাক ক্যাব এক বিশাল ব্যাপার , ট্যাক্সি চালকের আসনে পাকিস্তানি -বাংলাদেশী - ইন্ডিয়ান - অর্থাৎ মিলিয়ে দেখলে মেজরিটি হবে প্রায় এশিয়ানরা । কালো ট্যাক্সিতে আমি ড্রাইভিং সীটে পেশাগত কারনে বসিনি , বসেছিলাম ড্রাইভারের ক্যাশ বক্স খুঁজতে , এরি মধ্যে আমাকে ট্যাক্সি চালাই বলে ব্লাক মেইলের পাঁয়তারা
তাও আমার ই আই ফোনে wink emoticon ছবি মহছিন কভেন্ত্রি ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:২২

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ব্রিটিশ ঐতিহ্যের এই বাহনটির সাথে আমাদের অভিজ্ঞতা কিন্তু খুব একটা সুখকর নয়
চমৎকার তথ্যবহুল পোষ্ট
ভালো লেগেছে
লেখককে ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.