![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি চিনেছি আমারে আজিকে আমার খুলিয়া গিয়াছে সব বাঁধ
আতিথেয়তা ...খাঁটি বাঙালির হৃদয়ে গাঁথা চিরাচরিত একটি সদভ্যাস
যার ভেতরে লুকিয়ে থাকে প্রবল ভালবাসা, মায়া , শ্রদ্ধা , আনন্দ এবং মানবিকতা । বাঙালি একে অপরের গৃহে বেড়াতে যাবে এবং গৃহকর্তা তাকে সাদরে গ্রহণপূর্বক অতিথিকে সমাদর করবে এটাই স্বাভাবিক । অতিথি কে অপ্যায়ানের জন্য নানা ধরনের আহারের ব্যবস্থা , থাকার জন্য আরামদাযক বিছানা , আনন্দ দানের জন্য
বাইরে ঘুরতে যাওয়া , একসাথে সিনেমা দেখা , ভরা জোছনায় বাইরে বিছানা পেতে গল্প করা যাকে বলে স্মৃতিচারণ ,
গল্পের ফাঁকে ফাঁকে মুড়ি-চানাচুর পরিবেশন করা আমাদের আতিথেয়তার উত্তম উদাহরণ । এসবের মধ্যে অতিথি যেমন
আনন্দ এবং ভালবাসা উপভোগ করে অতিথিসেবক তার চাইতে চার গুন বেশি আনন্দ ভোগ করে । যেন " হে অতিথি , তোমাকে আমি যত্ন, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধার মাধ্যমে ঋণী করে দেব ।"
এ জন্য বলা যায় 'ভোগে সুখ নাই ত্যাগেই প্রকৃত সুখ' । ভোগের সুখ শেষ হয় ভোগের পর আর ত্যাগের সুখ থাকে চিরজীবন ।
কিন্তু অতীতের অতিথিপরায়নতার সাথে বর্তমান কালের অতিথিপরায়নতার বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা যায় । অন্তির্নিহিত
অনেক কারণের অস্তিত্ব যে এর জন্য দায়ী তা বলার অপেক্ষা রাখে না । এগুলোর মধ্যে আর্থিক সমস্যা অন্যতম প্রধান একটা
কারণ । অর্থাভাবে অতিথিসেবক অতিথির সঠিক সৎকার করতে অক্ষম এবং সে কারণে অতিথি আপ্যায়নে অনিচ্ছুক । অতিথিসেবক ভাবে অতিথি সৎকার করতে যে অর্থ খরচ হবে তা দিয়ে এক সপ্তাহ চলে যাবে এ -সংসারের । নেহাত খাঁটি কথা যেখানে উপার্জন তথা আয় সামান্য । আবার কিছু কিছু গৃহিনী ভাবে অতিথি মানে বাড়তি খাটুনি যদিও অর্থাভাব নাই বরং আছে পর্যাপ্ত অথবা
অঢেল , কিন্তু কি দরকার অযথা হারভাঙ্গা খাটনি করে রান্না -বারা , থালা -বাসন ধোয়া , বিছানা -পত্র গোছানো , অতিথি বিদায় এর পর
আবার অতিথির ব্যবহৃত কাপড়-চোপড় ধোয়া , উফ অসহ্য । কোনো কোনো ক্ষেত্রে থাকার ব্যবস্থার স্বল্পতাও পরিলক্ষিত হয় ।
পরিবারের সদস্যরা যে যার রুমে গাদাগাদি করে থাকে এর মধ্যে দু-এক জন অতিথি এলে কি অবস্থা হবে তা ভেবেই করুন অবস্থা ।
তবে গ্রামাঞ্চলে এখনো অতিথিপরায়নতা আগের মতই বিদ্যমান । তারা অতিথি কে ভালো মন্দ খাবার দিতে না পারুক আদর-যত্নের ত্রুটি করে না ।
এ থেকে নতুন সূত্রের উৎপত্তি । খাওয়া দাওয়া বড় কথা না আসলে আন্তরিকতাই মুখ্য । অতিথি পরায়ন বিমুখ কিছু কিছু পরিবার এই পন্থা অবলম্বন করে অতিথি সেবা করে । মানে কিছু ইচ্ছাকৃত ব্যর্থতা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটিত কোনো ব্যর্থতা হোক - ঢাকার জন্য তারা এই পন্থার সুযোগ নেয় । এক্ষেত্রে উভয় ধরনের অতিথি সেবক এই পন্থা অবলম্বন করতে পারে ।বর্তমানে কোনো অতিথি সেবক ভাবে অতিথিকে দরজা হতে স্বাগতম জানিয়ে অভ্যন্তরে এনে বসানো আলাপ আলোচনা করা (গল্পতো এখন উঠে গেছে বলা যায় করণ দু' জন একসাথে বসলে রাজনীতি , সাময়িক ঘটনা , সমালোচনা , পরচর্চা ইত্যাদি সামনে চলে আসে যাকে এখন আর গল্প বলা যায় না ) তারপর চা নাস্তা দিয়ে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেয়া এটাই হচ্ছে
উন্নতমানের বর্তমান যুগের আতিথেয়তা । এতে আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই তবে অতিথির যথোপযুক্ত আপ্যায়নে ঘাটতি থাকতে পারে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ।
অতিথিকে বিমুখ করার জন্য আজকাল নানা ধরনের উপায় প্রয়োগ করা হয় । যেমন - অতিথিসেবক অতিথিকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে বসেন , "কি করা যায় বলুন তো ? আসলে আমার আজ একটা জরুরি কাজ আছে " বা দাওয়াত আছে বা কর্ত্রীর শরীর ভালো না ইত্যাদি ইত্যাদি ।
নতুন আর একটি বিষয় হচ্ছে ফোন বিড়ম্বনা । আজকাল মানুষের প্রাইভেসি কিছু কিছু ক্ষেত্রে উঠে গেছে বলা যায় এর অন্যতম কারণ হচ্ছে মুঠোফোনের সহজলভ্যতা । সবার হাতেই আছে এ বিস্ময়কর যন্ত্রটি । কে কোথায় আছে , কি করছে না করছে তা সহজেই জানা যায় । সঠিক তথ্য প্রদানে অক্ষম ব্যাক্তিরা মিথ্যার আশ্রয় নেন । এতে করে মিথ্যা চর্চাও হচ্ছে । ফোন যাতে রিসিভ করতে না হয় তার একটা বিকল্প উপায় ছিল ফোন রিসিভ না করা বা বন্ধ রাখা । ফোন বাজুক ধরবনা ।
কিন্তু এ উপায়টি একটু সেকেলে হয়ে গেছে এবং অভদ্রতা প্রকাশ করে । তাই নতুন উপায় হচ্ছে অটো answer ।
------------অসমাপ্ত-------
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ২:৩২
চুপ বলেছেন: চেষ্টা করে দেখতে পারেন তবে দরকারের সময় যদি আপনার বন্ধু মহলের কেউ আপনাকে না পায় তাহলে তারা আপনার চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধার করবে- দু'বার।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ৮:০২
শব্দহীন জোছনা বলেছেন:
ভালো তো ... অটো answer পদ্ধতি টা অ্যাপ্লাই করতে হবে