নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলুক তৎপুরুষ

বেকার

অলুক তৎপুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বার্থ বনাম বাংলাদেশের স্বাধীনতা

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩০

স্বাধীনতার ৪৪ বছর। ৪৪ বছরে আমাদের অর্জন কম নয়। একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হল শিক্ষা ক্ষেত্রে। এখন বর্তমানে বাংলাদেশে ৩৫ টার মত, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আছে ৮০ টার মত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার একটি বড় বৈশিষ্ট্য হল বিস্তৃত জ্ঞানের পরিধি এবং জ্ঞানের উন্মুক্ত আলোচনা যা আমাদের উদার করে, সব সংকীর্ণতা থেকে উরধে রাখে। আমাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে সজাগ করে, ভাল মন্দ বুঝতে শেখায়।



কিন্তু আমরা কতটা জ্ঞানের চর্চা করছি? কতটা গুজবের উরধে রাখতে পারছি নিজেদের। বরং যে কোন গুজবে আমরা আত্মসমর্পণপূর্বক নিজেরাই সেইসব গুজবের কলেবর বৃদ্ধিতে যোগ দিচ্ছি।



বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান কোনদিনই আমরা অস্বীকার করতে পারবনা। হয়ত পারব তবে সেতা কখনোই আমাদের মহত্তকে বাড়াবে না, বরং কমাবে। মুক্তিযুদ্ধে শুধু ভারতের সরকারই না ,সে দেশের আপামার জনগণসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ত্যাগকে ভুলে যাওয়া অকৃতজ্ঞের মত আচরনের সামিল। মানছি ভারতের স্বার্থ ছিল, তবে তা কখনোই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ছিল না। এ কথা আরও জোর দিয়ে বলতে পারি এ কারনে যে ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধে পূর্বপাকিস্তান এক প্রকার অরক্ষিতই ছিল। যদি তাদের প্রয়োজন এতই বেশি থাকত তাহলে তারা পূর্বপাকিস্তান আক্রমন করে দখল নিতে পারত। কিন্তু তারা তা করেনি।

সবচেয়ে আমাদের মাথায় নিয়ে আসতে হবে যে, ২৫ মার্চের পর তারা যে মানবিক সাহায্য দিয়েছে তা অসামান্য। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে ইন্দিরা গান্ধী ৬ টি দেশ ভ্রমন করেছেন, অপমানিত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট কাছে।



এবার বলি ভারতের সাধারন নাগরিক, বিশেষ করে সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোর নাগরিকেরা কম সাহাজ্যের হাত বারিয়ে দেননি। বিশিষ্ট নাগরিক, সংস্কৃতিকর্মী, তাঁদের মধ্যে বিশিষ্ট সেতার বাদক রবিশংকর একজন। স্বাধীন বাংলার ফুটবল টিম ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে খেলে অর্থ সাহায্য এনেছেন। এ থেকে বোঝা যায় ভারতের অবদান কতটা?



অনেকে প্রচার চালাচ্ছে যে ভারত যে সাহায্য দিয়েছিল তা স্বাধীনতার তিন মাসে বাংলাদেশ থকে নিয়ে গেছে। আমরা কি, তিন মাস কেন সারাজিবনেও ওদের ৪৫০০ জন শহিদের ক্ষতিপূরণ দিতে পারব? ওই ৪৫০০ সৈন্যের পরিবারকে কি আমরা বলব- যে তোমাদের স্বার্থে ওরা শহিদ হয়েছে। আচ্ছা স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের কতটুকই বা ছিল যা তিনমাসে ভারত বাংলাদেশ থেকে নিয়ে গেছে।



বার ধরি ভারতের বিভিন্ন আকাম কুকামের কথা। ভারতের কুকর্মের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র হল বর্ডার কিলিং, অবশ্যই তার প্রতিবাদ হওয়া উচিৎ। আন্তর্জাতিক মহলে আমরা বিষয়টা উত্থাপন করতে পারি। পারি বিশ্বজনমত গঠন করতে।



তারপর আরও বড় সমস্যা অভিন্ন নদীগুলো নিয়ে যার উজানে বাঁধ দিয়ে ভারত আমাদের পানি থেকে বঞ্চিত করছে। এর জন্যও আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শরণাপন্ন হতে হবে। এর মধ্যে আমরা কিন্তু ভারতের কাছ থেকে সমুদ্র জয় করতে পেরেছি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জোরে।



আরও একটি সমস্যা তা হল বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের সরাসরি প্রভাব। এই দোষটা অবশ্যই আমি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে দিব। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে ঐক্য থাকলে ভারত মাথা ঘামাতে পারত না।



তবে কোনভাবেই আমরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে ছোট করে দেখতে পারবনা, অস্বীকার করা তো দুরের কথা।





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:

গরু ও নদীর রচনা?

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৪২

অলুক তৎপুরুষ বলেছেন: গরুর ও নদীর রচনা পড়ার দীর্ঘ অভ্যাস আছে মনে হয়!!!!!!! সবার থাকেনা।।

২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৫৪

হাবিবুর রাহমান বাদল বলেছেন: বাংলাদেশে বসে ভারতের দালালী করবেন না।

২৭ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:২২

অলুক তৎপুরুষ বলেছেন: পাকিস্তানের দালালি করব?? কোনটা দালালী কোনটা সত্য তা বোঝার ক্ষমতা আপনার হয়নি। যেটা সত্য সেটা স্বীকার করতেই হবে। ৭১ এ তো দালালির কথা মনে ছিল না। ভয়ে পালিয়েছিলেন। সেটা যদি আপনি ভুলে যেতে পারেন আমি দালালী করলে দোষ কি???????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.