নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অলুক তৎপুরুষ

বেকার

অলুক তৎপুরুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মের প্রয়োজনীয়তা

২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৪

ধর্মের প্রয়োজনীয়তা সমাজে কোনদিনই ছিল না। আজো নেই। ধর্ম মানুষকে সভ্য করেনি, মানবিক করেনি, মহিমান্বিত করেনি। বরং সভ্য মানুষই ধর্মকে মহিমান্বিত করেছে। ধর্ম না থাকলেও পৃথিবীর কোন ক্ষতি হত না। বরং পৃথিবীর কতিপয় সত্যসন্ধানী মানুষের মৃত্যু হত না। পৃথিবীতে হত না কোন ধর্ম যুদ্ধ। ধর্মের নামে মরত না কোন নিরীহ মানুষ।
অনেকে বলে পৃথিবীতে ধর্মের নামে আজ যা ঘটছে তাতে ধর্মের কোন দোষ নেই। ধর্মকে মানুষ ব্যবহার করছে মাত্র। এটা ধর্মের দোষ না হলেও ধর্মের দুর্বলতা। ধর্ম সে সুযোগ তৈরি করেছে।
অনেকের অভিমত ধর্ম না থাকলে সমাজ থাকত না, শৃঙ্খলা থাকত না, মানুষ অনৈতিক হয়ে যেত। এসব কথার কোন ভিত্তি নেই এখন। ধর্ম ছাড়া সমাজ থাকত এবং ভাল করেই টিকে থাকত। বর্তমানে ১০০ কোটির বেশি মানুষ যারা নাস্তিক। তারা ধর্ম ছাড়াই সমাজ টিকিয়ে রাখতে পারছে।
ধর্মের হাত ধরে নৈতিকতা আসেনি। মানুষ আগে উপলব্ধি করেছে কোন কাজগুলো করা নৈতিক আর কোনগুলো অনৈতিক, আর ধর্ম তার সুবিধা নিয়ে ধর্মের নিয়মের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে। মানুষকে প্রতারনা করার জন্য।
ধর্ম মানুষকে সেই আদিম যুগ থেকে শাসন করে আসছে, শোষণ করে আসছে। কিন্তু মানব জাতির সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব মানুষ ধর্মের এইসব অনুশাসন কোনদিনই মেনে নেয়নি। যদি মেনে নিত তাহলে সভ্যতার এই ক্রমবিকাশ অব্যাহত থাকত না। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় রোগ ব্যধি হলে সৃষ্টিকর্তাকে ডাকতে বলা হয়েছে ধর্মে। সৃষ্টিকর্তা রোগ ব্যধি থেকে মুক্তি দিবে। মানুষ যদি এই নিয়ম মেনে শুধু সৃষ্টিকর্তাকে ডাকত তাহলে মেডিক্যাল সায়েন্সের এই উন্নতি কোনদিনই সম্ভব হত না। মানুষ সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভরশীল থাকেনি। অর্থাৎ ধর্মের অনুশাসন মানেনি। আর মানেনি বলেই পৃথিবীটা এত সুন্দর হয়েছে। মানুষ সৃষ্টিকর্তার উপর নির্ভরশীল নয়, তাই ধর্মের উপরও নয়।
অনেকে ধর্মের পক্ষে ওকালতি করতে গিয়ে যখন আর কোন যুক্তি খুঁজে পায়না তখন বলে ধর্মে কুসংস্কার ঢুকে গেছে, ধর্ম আর কুসংস্কার এক নয়। হাস্যকর লাগে কথাগুলো কেননা ধর্ম নিজেই একটা কুসংস্কার। ধর্ম থেকে কুসংস্কার বাদ দিলে ধর্মের আর থাকে কি?
ধর্মের বইগুলো থেকে রুপকথার বই অনেক ভাল। অন্তত রুপকথার বইগুলো মানুষের মধ্যে মিথ্যা কিছু ঢুকায় না।
একবার এক আস্তিক খুব একটা কঠিন প্রশ্ন করে বসলো এক নাস্তিককে যে, মনে করেন আপনি পদ্মা পার হচ্ছেন একটি ডিঙি নৌকায় করে। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড় উঠে আপনার নৌকাটি ডুবে যাবার উপক্রম হল। আপনি কি করবেন? সৃষ্টিকর্তাকে ডাকবেন? নাস্তিক পড়ে গেল মহা ফাঁফরে, কি উত্তর দিবেন? এটা আসলে আস্তিকের মুখ থেকে শোনা গল্প, তাই নাস্তিকের দুর্বলতাটাই ফুটে উঠল। এবং এই গল্পটা আমাকে শুনতে হয়েছিল আস্তিকতা এবং নাস্তিকতা নিয়ে এক অনানুষ্ঠানিক বিতর্কে। আমি খুব শান্তভাবে বলেছিলাম হয়ত নাস্তিকটি সৃষ্টিকর্তাকে ডেকেছিল তাঁকে বাঁচানোর জন্য কিন্তু তাই বলে এটা প্রমান হয়ে যাবে যে সৃষ্টিকর্তা আছে? বিপদে পড়ে কাউকে ডাকলাম সে আসলো কি আসলো না তা না দেখেই আমরা প্রমান করে দিলাম যে সৃষ্টিকর্তা আছেন? সৃষ্টিকর্তাকে সহজে প্রমান করার কি প্রবনতা! তারপর আমি প্রশ্ন করলাম, দেখেন বিপদে আপনি পড়লেন এবং সৃষ্টিকর্তাকে ডাকলেন কিন্তু বিপদ থেকে উদ্ধার হতে পারলেন না, অনেক ক্ষেত্রে যেটা হয়, তখন কি আপনি নাস্তিক হয়ে যাবেন? যেহেতু আপনি একজন আস্তিক, সৃষ্টিকর্তার উপর পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস আপনার আছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৩১

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: ইসলাম শুধু ধর্মই না পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান।
আল্লাহর বিধান একটি পূর্ববর্তী সব কিতাব তাঁর পক্ষ থেকেই আসছে। মানুষ নিজের স্বার্থে তা পৃতক করেছে, সেটা নিয়ে লিখতে গেলে অনেক সময় দরকার, সামুতে অনেকেই এ বিষয়ে লিখেছেন। সার্চ দিন পেয়ে যাবেন।
ধর্মের প্রয়োজনীয়তা সমাজে কোনদিনই ছিল না। আজো নেই। ধর্ম মানুষকে সভ্য করেনি, মানবিক করেনি, মহিমান্বিত করেনি। বরং সভ্য মানুষই ধর্মকে মহিমান্বিত করেছে।
উত্তর: ইসলাম বলছে বিয়ে ছাড়া জিনা করো না?? আর আপনাদের মতো লোকেরা বলছেন ধর্ম সভ্য করেনি??
জিনার মাধ্যমে এইইচঅাইভি সমাজে আপানারা ছড়িয়ে দিচ্ছেন, আপনি বলতে পারেন আপনি তো বলেননি এইচআইভি ছড়াতে!!
আপনিও এইইচ আইভি ছড়ানেরা একজন পৃষ্ঠপোষক কারণ আপনি মিথ্যা এবং অপব্যাখ্যার মাধ্যমে মানুষকে বুঝানেরা ফলে ইসলাম থেকে কেউ যদি দুরে সরে গিয়ে যৌনকর্মীর সাথে মিলন করতে গিয়ে কেউ যদি এই রোগে আক্রান্ত হয় তাহলে আপনি দায়ী থাকবেন।
একটা বিষয় শুধু বললাম। এরকম মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইসলাম প্রতিটি পদে পদে মানুষের জীবনের সাথে জড়িত।
আর কুরআন গবেষণার ফল আজকের আধুনিক বিজ্ঞান। কুরআনে ১৪০০ বছর আগে যে সব বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে তা বিজ্ঞানীরা আজ যানতে পাড়ছে।
পড়াশুনা করেন এখোনো অনেক জানার বাকি। আইন্টাইন সহ বড় বড় বিজ্ঞানীরা কখোনো ধর্মকে অস্বীকার করেননি।
করেছে যাদের অল্প বিদ্যা তারাই।
কথায় আছে অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী।
আমাদের দেশে কেউ যদি ই্সলাম মেনে চলতো তাহলে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হতো না, জনগনকে মরতে মালয়শিয়া যেতে হতো না কারণ জনগনের টাকা চুরি না করার ফলে দেশের সবাই ধনী থাকতো।

২| ২৪ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:৫২

ওলকচু বলেছেন: যে কোন বিষয় নিয়ে লিখতে হলে সে বিষয়ে অন্তত বেসিক জ্ঞানটা থাকতে হয়। কোন ধর্মে বলা হয়েছে যে অসুখ হলে ওষুধ না খেয়ে কেবল সৃষ্টিকর্তাকে ডাকতে?

৩| ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

কি-বোর্ড বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণাই নাই। সে সুযোগ কিংবা চেষ্টা করেছেন বলে মনে হয় না। আগে ধর্ম সম্পর্কে জানুন। তা যে কোনো ধর্মই হোক। তারপর এ ধরনের বিষয়ে লিখুন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:০৫

আজাদ মোল্লা বলেছেন: ভাই । যা লিখেছেন তাহাতে আমার মনে হয় । আপনি পাগল হতে পারেন । একটু সময় দেন ধর্মের সাথে ।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৯:০৯

মীর মোহাম্মদ উল্লাহ বলেছেন: ভাই, একটু পড়াশুনা করুন, এক্সসাইটেড হবেন না। দেখবেন সব পরিষ্কার হয়ে গেসে। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৩১

নেবুলাস বলেছেন: ---স্বর বর্ণ---------
অ আ ই ঈ উ ঊ ঋ এ ঐ ও ঔ ।
---ব্যঞ্জন বর্ণ---------
ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ
ট ঠ ড ঢ ন ত থ দ ধ ণ
প ফ ব ভ ম য র ল শ
ষ স হ ড় ঢ় য় ৎ ং ঃ ঁ
:) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.