| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চিরন্তন স্বপ্ন
আমি বিশেষ কেউ নই আবার ফালতু কেউ ও নই আমি হচ্ছি আমি যা ভালো মনে হয় বলি ভালো মনে হয় করি কারো সাথে আপোষ করিনা
বিদেশ এই শব্দটা শুনলেই অনেকের মনের পর্দায় ভেসে ওঠে সুখী দারিদ্র্য মুক্ত এক জীবনের ছবি। আর সেই স্বপ্নের জগতে পৌঁছানোর সিঁড়ি হচ্ছে দালাল বাহিনী সেই দালালের খপ্পরে পরে অনেকে তাদের শেষ সম্বল টুকু ও হারিয়ে হয়ে যায় সর্বস্বান্ত। আর অনেকে দালালের মাধ্যমে অবৈধ পথে বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে তাদের অমূল্য সম্পদ প্রান টাও হারিয়ে ফেলছে। এটা তো গেলো বিদেশ পাড়ি দিতে গিয়ে বিদেশ এ না যেতে পারার কাহিনী। আর যারা প্রথম বাধা পার হয়ে বিদেশ পাড়ি দিতে পারে,বিদেশ পাড়িদেয়ার পর যে তাদের কি হয় সেই কাহিনীর কিছুটা বর্ণনা করার চেষ্টা করব। আমি কোন লেখক নই আমার মনের ভাব আমি ঠিক মত প্রকাশ করতে পারব কি না আমি সে বিষয় এ নিশ্চিত নই। আমি যেহেতু চাকুরী সুত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত এ আছি সে কারনে এখানে প্রবাসী শ্রমিক দের অবস্থার একটি চিত্র দিতে চেষ্টা করছি আমার জানামতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ গুলোর অবস্থাও এক ই রকম। প্রথমেই আসি এখানে আসার খরচ প্রসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাত এ কোন শ্রমিক আসতে চাইলে তার জন্য ভিসা সংক্রান্ত ৩০০০ দিরহাম আর ব্যাংক গ্যারান্টি আরও ৩০০০দিরহাম ( যা ফেরত যোগ্য, দেশে একেবারে ফিরে আসার সময়, যদিও অধিকাংশ লোকের তা আর ভাগ্যে জোটেনা !!!!) অর্থাৎ ৬০০০ দিরহাম খরচ হয় অর্থাৎ বাংলাদেশি টাকায় ১২০,০০০ টাকা কিন্তু দালাল রা এক জন শ্রমিক কে নিয়ে আসতে তাদের কাছ থেকে ২৩০,০০০ থেকে ২৬০,০০০ টাকা হাতিয়ে নেয় এই দালালি হয়ে থাকে হয়ে থাকে দুই তিন হাত হয়ে দেশি দালাল আর আরেক বিদেশ এ অবস্থানরত দালাল। একজন শ্রমিক বিদেশ এ আসতে দালাল কে যদি দেয় ২৪০,০০০ তারপর তার বিমান ভাড়া এবং আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে মোট ৩০০,০০০ এর মত। এখন একটু চিন্তা করুন একজন গ্রামের মানুষ যে বিদেশ আসবে তার এই টাকার উৎস কি হতে পারে?? প্রত্যেক মানুষের কিছুনা কিছু জমি থাকে সে মানুষ জমি বিক্রি করে দেয় এই টাকা জোগাড় করতে গিয়ে কিন্তু জমি বিক্রি করার পর দেখা যায় প্রয়োজনীয় টাকার জোগাড় হয় নি তখন সে ছোটে ধার দেনা করে টাকা যোগাড়ের জন্য কিন্তু বেশিরভাগ সময় দেখা যায় কেউ তাকে ধারে টাকা দিতে রাজি হয় না তখন তাকে ছুটতে হয় চড়া সুদে টাকা নেয়ার জন্য ধরা যাক সে ১০০,০০০ টাকা সুদে নিল তাকে সেই টাকার মাসিক সুদ দিতে হবে কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা। এখন সব টাকা জোগাড় হল তারপর ভিসা পেয়ে তার বিদেশ তথা সংযুক্ত আরব আমিরাত আগমন। প্লেন থেকে নেমেই তার চিন্তা এ কোথায় আসলাম শরীরে কি আগুন ধরে গেলো নাকি??!!!! না তেমন কিছু হয়নি এয়ারপোর্ট থেকে বের হবার সাথে সাথে ৪৮ থেকে ৫০ ডিগ্রি তাপ তাকে নতুন দেশে স্বাগতম জানিয়েছে। সে কাজে যোগদান এর সাথে সাথে জানতে পারে তার বেতন ৭০০ থেকে ৮০০ দিরহাম (১৪০০০,১৬০০০) টাকা কিন্তু সে তো দেশ থেকে শুনে এসেছিল তার বেতন ৩০,০০০ টাকা (১৫০০ দিরহাম) আসতে না আসতেই এ কেমন কথা??? এর পরে সে আরও অবাক হয় এটা শুনে এটা তার নির্ধারিত বেতন নয় মাসে ৩০ দিন কাজ করলেই কেবলমাত্র এই টাকা পাওয়া যাবে আরও সপ্তাহিক ছুটিতে ওভারটাইম এর কথা যে শুনেছিল সেটা??? ছুটি ই যেখানে সোনার হরিন সেখানে ওভারটাইম আসবে কোথা থেকে??? এখন দেখি তার কাজ আমি যেহেতু নির্মাণ শ্রমিক দেরকে কাছ থেকে দেখেছি সেহেতু তাদের কথা এ একটু বলি, সকাল ৪.৩০ এ ঘুম থেকে ওঠা ৫ টার মধ্যে তৈরি হয়ে নেয়া কাজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়ার জন্য। ৫.৩০ টা থেকে কাজের শুরু মাঝখানে ৮.৩০ থেকে ৯ টা পর্যন্ত ৩০ মিনিট এর জন্য নাস্তা বিরতি। আবার শুরু কাজ চলে ১২ টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা দুপুর এর খাবার এবং বিশ্রাম আবার ১ টা থেকে ৪.৩০ টা পর্যন্ত তানা কাজ ভীষণ গরমে শরীর থেকে অবিরাম ঘাম ঝরছে দেখে মনে হয় এ তো ঘাম নই যেন রক্ত বিন্দু। যেখানে শ্রমিক দের ৮ ঘণ্টা কাজের নিয়ম সেখানে তারা ১০.৫ ঘণ্টা কাজ করে কিন্তু অধিকাংশ কোম্পানি তাদের কোন ওভারটাইম দেয় না। এভাবে দিনের পর দিন কলুর বলদের মত খেটে একজন শ্রমিক মাস শেষে হাতে পায় ৭০০/৮০০ দিরহাম অর্থাৎ ১৪/১৬ হাজার টাকা অন্যদিকে তার মাসিক খাওয়া দাওয়া ও অন্যান্য খরচ কমপক্ষে ২৫০ দিরহাম (৩০০০ টাকা) বাচল ১১০০০/১৩০০০ টাকা তাহলে সে শ্রমিকের তার সুদে আনা টাকার সুদ দিতেই যেখানে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা সেখানে সে কবে তার মুল টাকা শোধ করবে আর তার পরিবারের জন্যই বা কি পাঠাবে?? এখানেই শেষ নয় অনেক কোম্পানি আছে যারা মাসের পর মাস শ্রমিক দের বেতন দেয় না এমন ও কোম্পানি আছে যারা ৬/ ৮ মাস পর্যন্ত ও বেতন দেয় না ।তখন সেই শ্রমিক এর দুর্বিষহ অবস্থা চিন্তা করতে গেলে শিউরে উথতে হয়। এখন একজন চিন্তা করতে পারেন কোন কোম্পানি ঠিক মত টাকা না দিলে তা বদলে ফেললেই তো ঝামেলা শেষ। কিন্তু সেখানেও যে সে শ্রমিক বাঁধা। এই দেশের আইন এর গ্যাঁড়াকল এ একজন শ্রমিক চাইলেই তার কোম্পানি বদলাতে পারেনা। কোম্পানি বদলাতে হলে তাকে দেশে চলে যেতে হয় আর শ্রমিক এর ভাগ্য অনেকাংশেই মালিক এর উপর নির্ভরশীল। তাই সবাইকে বলছি আপনারা আপনাদের পরিচিত কাউকে বিদেশ এর নাম শুনেই হন্যে হয়ে না উঠে পরিস্থিতি ভেবে অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিতে পরামর্শ দেবেন এই কামনা করি!!!
২|
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
রোহান খান বলেছেন: আপনি কোন এলাকা তে আছেন। আমি রইস এ থাকি।
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬
চিরন্তন স্বপ্ন বলেছেন: আমি রাস আল খাইমাহ তে আছি ভাই
৩|
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭
লেখোয়াড় বলেছেন:
আচ্ছা।
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৩
চিরন্তন স্বপ্ন বলেছেন: জি ভাই
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
চিরন্তন স্বপ্ন বলেছেন: এই লিখাটা কিছু আগে লেখা এখন টাকা আর দিরহাম এর রেট এর কিছু তারতম্য আছে কিন্তু মূল বিষয়বস্তু এক ই