![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
The Man of No Complain! - http://nhnero.info
১.
ককটেলটার সাথে কড়া মাত্রায় ডায়াজিপামের গুঁড়ো মেশানো ছিল। ওটা খেয়ে পরিবারের সবাই এলোপাতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েছে। সবগুলো বডিকে প্রার্থনার ঘরটাতে একত্র করলো। এরপর একটা স্বস্তির নি:শ্বাস ফেললো ষোল বছর বয়সী কিশোর ছেলেটি।
যখন ও হালকা হালকা বুঝতে শিখেছে তখন থেকেই ও সেটার অস্তিত্ব টের পাওয়া শুরু করেছে। দ্বিতীয় একটা অনুভূতি বা ওইরকম কিছু একটার উপস্থিতি। সব সময় ওর কানে যেন কিছু একটা বলার চেষ্টা করছে। কিছু একটা বলতে চাইছে ওটা। কিন্তু সেগুলো অনেক অস্পষ্ট। মনে হয় যেন অনেক দূর থেকে কেউ কিছু একটা বলছে। কিন্তু সেটা বুঝতে পারতো না ও।
ও কিছুটা বড় হতে হতে কথাগুলো ওর কানে স্পষ্ট হয়ে এল একসময়............
"Rule the world
This world is yours!
Put together the drops
Make your chance"
একসময় কথাগুলোর প্রতিটা সিঙ্গেল টোন ওর মুখস্থ হয়ে গেলেও কখনোই বুঝতে পারতো না গূঢ় অর্থ কী সেগুলোর। আর ঠিক সত্যি বলতে কি আজকেই যেন ওর কাছে কথাগুলোর সারাংশ এসে ধরা দিল......
"পুরো পৃথিবীর নেতৃত্ব তুমিই দেবে।
পরিবারের সবার রক্ত একত্র কর।
এবং পান করো তৃপ্তির সাথে।
এবং আজই....
তুমিই পৃথিবীকে নেতৃত্ব দেবে......."
সমস্ত কিছু ওর কাছে পরিস্কার হয়ে গেছে। বাইরে বের হয়ে দেখল আজ পূর্ণিমা। আর ওর ষোল তম জন্মদিন আজকে। ফাঁকা ল্যাবরেটরি থেকে এক শিশি ডায়াজিপাম নিয়ে ঘরে ফিরলো।
২.
বডিগুলোকে একত্র করে ও ওদের ঐ পুরনো ঘরটাতে গেল। দু' শো বছর আগের একটা ওয়াইনের বোতল আর কিচেন থেকে একটা বড় মগ আর চাকু নিয়ে সে আবার পূজোর ঘরে ফরলো।
সবাই চিৎ হয়ে পড়ে রয়েছে। ওর পরিবারের সবাই। বড় বাবা-মা ও.....। কিন্তু ওর ভিতরে একটুও মায়া অথবা বিবেক কাজ করলো না। ও যেন অনুভূতিশূন্য হয়ে পড়েছে। অন্য কেউ যেন ভর করেছে ওর উপর। ব্যাপারটা আসলেও তাই-ই.............
একে একে সবার কব্জি কেটে রক্ত জড়ো করে মগটার অর্ধেকটা ভর্তি করলো ও। বাকি অর্ধেকটা দু' শো বছরের পুরনো ওয়াইন দিয়ে পূর্ণ করলো। জানালা দিয়ে বাইরে পূর্ণিমার চাঁদটা দেখা যাচ্ছে। রক্তের মগে প্রথম চুমুকটা দিল ও।
আর তখনই মুচকি একটা হাসি দিলো কার্নিশে বসে থাকা শয়তান জোয়ারেন।
শরীরটা প্রচন্ড জ্বলতে শুরু করেছে ওর। ও ভাবলো এটা হয়তো পরিবর্তনের প্রক্রিয়া। কয়েক ঢোকে মগের সবগুলো রক্ত শেষ করে ফেলল। আর সাথে সাথে দাউদাউ করে আগুন জ্বলে উঠলো। ওর শরীরে, মেঝেতে পড়ে থাকা সবগুলো শরীরে......
প্রচন্ড যন্ত্রণায় চিৎকার দিতে গিয়েও পারলো না ও। ততক্ষণে আগুনে ওর গাল এবং ঠোঁট ঝলসে গেছে। এবং অট্টহাসিতে ফেটে পড়তে পড়তে স্থান ত্যাগ করলো শয়তান জোয়ারেন।
আজকেই নতুন একটি শিশু জন্ম নিয়েছে। অন্য একটি পিওর ব্লাড পরিবারে। ষোল বছর তার পেছনে লেগে থাকতে হবে। কুমন্ত্রনা দিতে হবে। পৃথিবীর রাজত্বের লোভ দেখাতে হবে। এবং তার হাতেই শেষ হবে তার নিজেরই পরিবার, সে নিজে সহ........।
আর এভাবেই এক একটা পিওর ব্লাড পরিবারকে ধ্বংস করে চললো শয়তান জোয়ারেন.........।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভয়াবহ শয়তানতো!
++++++++
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার গল্পটির জন্য ধন্যবাদ।
“শুভ জন্মদিন”
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৯:৫৪
বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। জন্মদিন জানলেন কিভাবে ভাই?
উইশের জন্য অনেক ধন্যবাদ.....
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৩
কলমের কালি শেষ বলেছেন: গল্পে বেশ লেগেছে ।
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:০৪
মাসুম সোহাগ বলেছেন: মৌলিক তো? ভালো হয়েছে।
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩৯
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: হুম| ভাল লেগেছে
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: জোস হৈসে।