![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
The Man of No Complain! - http://nhnero.info
আগের বার এক শেয়ার ব্যবসায়ী এসেছিল। তার শেয়ার ব্যবসার মন্দা কাটিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এবার এসেছে এক রাজনীতিবিদ। সামনে নির্বাচন। ইয়া বড় স্যুটকেস ভর্তি টাকা নিয়ে এসেছেন তিনি। স্যুটকেসের মুখ খুলে টাকা দেখে চকচক করে উঠলো ছয় জন মানুষের চোখ। কাঠের বৃত্তাকার ফ্রেমে বেঁধে রাখা মেয়েটার চোখ দিয়ে জল ঝরছে।
শুকরের চর্বির টিমটিমে কুপি জ্বলছে ঘরের চার কোণে, লোকটা বসে আছে বৃত্তের উপর, আর ভুসভুসে কালো একটা বেড়াল ঝলসানো হচ্ছে ঘরের এককোণের সুড়ঙ্গটায়।
ঘিয়ের আগুনে একটা ধুতরার বিচি ফেলল লোকটা, ফটাশ করে ফেটে গেল সেটা। একটু পর পর হুম-হুম করে শব্দ আসছে। চক্রাকারে বসে থাকা লোকগুলো চোখ বন্ধ করে শয়তানকে ডাকছে। লোকটা আরো একটা বিচি ফেলল আগুনে, আবার শব্দ হল ফটাশ!
এভাবেই চলল অনেক রাত পর্যন্ত। যতক্ষণ না চাঁদটা ঝকঝকে আলো দেয়.... জোছনায় ভরে যায় পুরো শহর..... আর সী-বিচ...।
একসময় রাত গভীর হল.... জোছনায় ভরে গেল সী-বিচ, পুরো শহর...........। আগুনে ঝলসানো বেড়ালের মাংস খেতে দেয়া হল লোকটাকে। নির্বাচনকে সামনে রেখে, অনেক কষ্টে বমি ঠেকিয়ে বেড়ালের মাংসটা পুরোটাই খেয়ে ফেলল লোকটা।
সবশেষে বৃত্তকার ফ্রেমে বেঁধে রাখা মেয়েটার বুকে ছুরির আঘাত করা হল। গলগল করে বেরিয়ে এল রক্ত। পুরনো মদের সাথে মিশিয়ে সে রক্ত পান করতে দেয়া হল লোকটাকে। সে রক্ত পান করে, বুকভর্তি আশ্বাস নিয়ে বিদায় নিল লোকটা। টাকাগুলো দেখে আবার চকচক করে উঠল ছয় জন মানুষের চোখ, অট্টহাসি হাসলো তারা....।
এবার আসল কথা বলি। এই যে এত সব যজ্ঞ, সেগুলোর সবই কিন্তু নাটক ছাড়া আর কিছু নয়....। সবই লোকদেখানো কীর্তি। মক্কেলকে ভেলকি লাগানোর জন্য...। লোকগুলো নিজেদের ফ্রি মেসন বলে দাবি করে। তারা দাবি করে তারা অলৌকিক শক্তির আধার। যজ্ঞ করে তারা সবই করতে পারে। তার জন্য নেয় তারা বিপুল অংকরে উপঢৌকন। এবং তারা যা আশ্বাস দেয় সবই কিন্তু বাস্তবায়ন করে....। কিন্তু সেসব এই লোক দেখানো যজ্ঞ দিয়ে নয়। অন্যভাবে..........
আগের বার যখন শেয়ার ব্যবসায়ী তাদের দ্বারস্থ হয়েছিল তখন তাদের দরকার পড়েছিল শেয়ার বাজারের কিছু খেলুড়ের। মোটা অংকের টাকা দিয়ে এরা তাদের হাত করে। তাদের দিয়ে শেয়ার খেলায়। যে মক্কেল এসেছিল তার শেয়ার ব্যবসার উন্নতি হয়। আর সে লোকটার বিশ্বাস আরো গভীর হয়.... এরা আসলেই ফ্রি মেসন, অলৌকিক শক্তির আধার...।
এবার নতুন মক্কেল। নির্বাচনে জিততে চায়। এবার তাদের দরকার পড়লো নির্বাচন কমিশনের রাঘব কিছু কর্তার। মোটা অংকের টাকা গেল তাদের পকেটে। নির্বাচনে এদিক সেদিক হলো। মক্কেল জিতে গেল নির্বাচনে....। এই মক্কেলটার মনেও দৃঢ় বিশ্বাস জন্মে গেল, ফ্রি মেসনরা অলৌকিক শক্তির আধার, তারা শয়তানের পূজা করে, আর যজ্ঞে ডেকে শয়তানকে দিয়ে অসম্ভব অসম্ভব সব কাজই তারা করে ফেলতে পারে।
কিন্তু তিনি বিহাইন্ড দ্য সিনটা জানতে পারলেন না....। সে সব রাঘব কর্তারা কি করে বিশাল অংকের কাগুজে নোট তাদের পকেটে পুরলো....।
আর সত্যি বলতে কি এভাবেই মানুষ টাকা খায়, টাকার কাছে বিক্রি হয় আর ফ্রি মেসনরা শত শত বছর ধরে পৃথিবীতে টিকে থাকে.... অলৌকিক শক্তির ধারক ও বাহক হিসেবে.......।
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
বলেছেন: ধুর মিয়া বাকোয়াজ বন্ধ করেন!!!
আমনের মতন এত বড় রুচবাজরে কেঠায় ডাকছে হরর গল্প পড়ার লাইগ্যা। এত যহন রুচি তহন এইসব গল্প পড়তে আসেন ক্যালা ভাই!!!
হুদাই ল্যাদায়া গেলেন খালি..... যতসব ফালতু!!!!
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালো লিখেছেন প্রথমটা| কিন্তু মেসনদের কাজকারবার প্রবন্ধের মত না বলে কাহিনী আকারে বলতে পারতেন এতে কাহিনী জমজমাট হত
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:০৪
বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। আমার টার্গেট ছিল গল্প ছোট করা। যার কারণে জমজমাট করতে পারি নি। স্যরি ফর দ্যাট দাদা...........
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: এইটা কোন হররের জাতও নয়। মর্ষকামী এসব গল্প যারা লেখে, তাদের রুচি নিয়ে প্রশ্ন করতেও ঘেন্না লাগে। একটা অবুঝ মেয়েমানুষের উপর অমানুষিক পৈচাশিকতা চালানোর মধ্যে আনন্দের কি আছে?
আসলে মানুষের রুচি এমন জঘন্য পর্যায়ে চলে গেছে যে এখন আর ধর্ষণেও তৃপ্তি পায়না। তাই এই ধরণের শয়তানী কর্মকাণ্ডে এখন বিনোদন খুঁজে নিচ্ছে।