![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বাল্যকাল খুব একটা সুখের না।বন্ধুর সংখ্যা ছিল খুবই কম।পাঠশালার মধ্যে মামুন ।হাইস্কুলে রৌফ, আফাজ ও শুকুর।কলেজে জলিল,আহমদ ও শফিক।এইচ এস সি টেস্ট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও সফিক কেন ফাইন্যাল পরীক্ষা দেয়নি তা আজও সে খোলাসা করে বলেনি।কলেজের শিক্ষকগণের কাছে যে ক'জন শিক্ষার্থীর ভাল ছাত্র বলে পরিচিতি ছিল তার মধ্যে আমি ,সফিক ,জহুরুল ও রহিমা ছিলাম তালিকার প্রথম দিকে। এইচ এস সি পাসের পর সিলেট এম,সি কলেজে ভর্তি ,অনার্স মাস্টার্স ৮৭ হতে ৯৭।উপরোক্ত বন্ধুদের কারো সাথে কারো দেখা সাক্ষাত নেই। নতুন একটি কলেজে চাকুরী নিয়েছি। ডি এইচ এম এস কমপ্লিট থাকায় স্থানীয় বৈরাগী বাজারে হোমিও প্যাথীর প্র্যাক্টিস চলছে ঠিক এমনি সময়ে হঠাৎ একদিন শফিকের সাথে দেখা । জানতে পারলাম সে একটির ওয়ার্কশফে ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তার ধারনা স্পস্ট।ধীরে ধীরে আমাদের মধ্যে কলেজ জীবনের চেয়ে ঘনিষ্টতা বৃদ্ধি পায়।শফিক গান গাইতে পারে। প্রায় সকল প্রকার দেশীয় বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারে।গান লিখতে পারে, সুর করতে পারে ,সর্বোপরি অত্যন্ত সুন্দর করে গানের ব্যাখ্যা দিতে পারে।শুধু তাই নয় গান শিখাতেও পারে।সঙ্গীতের ক্ষেত্রে এই প্রতিভাধর মানুষটি নির্লোভ এবং সত্যিকার অর্থেই লোভহীন। আমার লিখিত লন্ডন বিষয়ক একটি গানের এ্যাল্বামের সবক'টি গানের সুর এই নির্লোভ শফিকই করে দিয়েছে। আমার ছড়া ও কবিতার অকুন্ঠ সমর্থক ও সমজদার এই শফিক ভাই।সম্প্রতি আমার গানের একটি পান্ডুলিপি তার হাতেই সংশোধিত হয়েছে যা এখন বই আকারে প্রকাশের পথে। এই শফিক ভাই-ই কয়েকদিন আগে তার একটি ডাইরি আমাকে দেখিয়ে বল্ল, দেখোতো আমি কিছু কবিতা লিখেছি ,এগুলো কবিতা হল কী না। আমি বললাম কবিতা বা গান হওয়ার বিষয় নয় । এগুলোকে হওয়াতে হয়।তোমার এই হওয়ানোর ক্ষমতা আছ।
শফিক ভাইয়ের এই কবিতাগুলি হুবুহু পাঠকদের উদ্দেশ্যে এখানে তুলে দেওয়া হল।
অমূল্য
অমূল্য
====
অদ্ভূত যুক্তি আর দর্শন
আঁকড়ে আছে মানুষ
যে দর্শন প্রলুব্ধ করে
নাস্তিক্য আর ভোগবাদিতার
এসব মানুষ
কখনো ভেবে দেখেনা
কোনসে ভাবনা নিয়ে
রাজ সিং হাসন ত্যাগ করে
তিব্বত গোহায় কোন অমৃত আশায়
কঠিন সাধনায় সিদ্ধি লাভ করে
বুদ্ধ হয়ে ফিরে এলেন সিদ্ধার্থ
একটিবারও তারা ভাবেনা
পিতৃমাতৃহীন মুহাম্মদ(স)
খাদিজার বিপুল সম্পদ নিজের হাতে পেয়ে
দুহাতে তা বিলিয়ে দিয়ে নিঃস্ব হলেন
দুর্গম হেরা গুহায় কার ইশারায়
কী সাধনায় মগ্ন হলেন।
লাভ করেন যে বাণী সমুহ
তার তুল্য কি হয় মহাবিশ্ব কিংবা স্বর্গসমুহ
গান - ০১
=======
পূর্ণিমা চাঁদ আর এই মধু রাতে
গল্প করার নেই কেহ সাথে
পাইনিত মন মানুষের দেখা
আমি একা বড় একা ।।
হাস্নাহেনার মৌ মৌ গন্ধে
অযতাই এ মন মেতেছে আনন্দে
মনটা উদাস হয়ে আছে কার পথ চেয়ে
বেঁধে আর যায়নাতো রাখা।।
হঠাৎ নীরব হয়ে ভাবতে থাকি
কার আশায় জেগে রয় এ দুটি আঁখি
হৃদয়ের ভাবনা কেউতো জানলোনা
সাথী ছাড়া এজীবন ফাঁকা।।
গান ০২
======
বিধিরে-----------------------------------
আর কতকাল কাদাঁবে আমায়।।
বুঝি ,জনম ভরা কাঁদাইতে পাঠালে ধরায়।।
জনম দুখি কপাল পোড়া
ভাঙ্গা কপাল লয়না জোড়ারে
সদায়ই আমায় করে তাড়া
দুঃখ -বেদনায় ।।
কেউ বুঝেনা মনের ব্যথা
খুঁজে বেড়ায় দুর্বলতা রে শোধ হলে স্বার্থপরতা
আড় চোখে তাকায়।।
পাপে বোঝাই জীবন তরী
চারিদিকে অথৈ বারি রে---
দয়া করে হে কাণ্ডারি নাওহে কিনারায়।।
গান-০৩
======
যেথায় প্রকৃতি হাওর পাহাড় ঘেরা
যেথায় বহে নদী সুরমা কুশিয়ারা
চোখজোড়ানো মন-মাতানো চায়ের বাগান
শাহজালালের পূণ্যভূমির মোরা
সিলেটের সন্তান, মোরা সিলেটের সন্তান।।
কমলা ,কাঁঠাল, লিচু আম আনারস যতকিছু
রয় সুমিষ্ট ফল
ধন ধান্য ফুলে ফলে,মাছে ভাতে মিষ্টি জলে
পরাণ শীতল।
উত্তরে হযরত শাহ আরফিন
দুক্ষিনে শেখ নাসিরুদ্দিন।
এই মাটিরই প্রেমের টানে জুড়ায়রে পরাণ।।
আউলিয়াদের পরশধন্য এই মাটিতে মহাপূণ্য
করিতে সাধন
তিনশ’ ষাট আউলিয়ার দেশে যুগে যুগে নানান বেশে
আসে কতজন
শাহ আরকুম ফকির শিতালং
হাসন রাজা আর রাধা রমণ
প্রাণে প্রানে মিশে আছে তাহাদেরই গান।।
গান -০৪
======
রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি এই
স্বাধীনতা স্বাধীনতা
জীবন দিয়ে ধরে রাখবো এই
স্বাধীনতা স্বাধীনতা
লাল সবুজের পতাকা তলে-পণ করি সবে মিলে এই কথা।।
সবে মিলে দেশটাকে গড়বো
শত্রু এলে সবে লড়ব
হাতে হাত ধরে সদা রাখব
একে অন্যের পাশে থাকবো
বিশ্বের বুকে এই বীর বাঙালি জাতি
নত করবেনা কভু মাথা।।
থাকবেনা অনিয়ম অনাচার
দারিদ্র , ক্ষুধা আর অনাহার
অশিক্ষা অন্যায় অবিচার
করবো সবাই মিলে প্রতিকার
সত্য সুন্দর ভালবাসা দিয়ে
প্রতিষ্ঠা করবো মানবতা।।
গান -০৫
=======
নেশা নেশা দুই চোখে,দুরু দুরু এই বুকে
দুটি মনে একই সাধ একই আশা
এমনি করেই বুঝি হয় ভালবাসা।।
নিয়মিত রাত জেগে ভাবতেই ভাল লাগে
ক্ষণে ক্ষণে লাগে শিহরণ
সব সুখ তুলে এনে দিয়ে ঐ প্রিয়জনে
রাঙিয়ে দিব তারই মন
জনম জনম ভরে সেই রুপ হেরে হেরে
মিটাব মনের পিপাসা।।
ক্ষণিকের দেখা পেলে শত বেদনা ভুলে
জুড়ায় দেহ মন প্রাণ,
মধুর গুঞ্জরণে সহসাই পড়ে মনে
প্রিয় শিল্পীর প্রিয় গান।
অযাচিত আচরণে অনুরাগে অভিমানে
দোলা দেয় আশা নিরাশা।।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩১
সাদিক মাহমুদ বলেছেন: অসাধারণ