নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্বেষন

শাহরিয়ার সরোয়ার

কল্পনাপ্রবন একজন

শাহরিয়ার সরোয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার স্কুল জীবন-১

১২ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:০৬

নার্সারি বা কেজিতে প্রথম যখন ভররতি হই, তখনকার বিষেশ কোন স্মৃতি মনে নেই। এতটুকু মনে আছে, প্রথম যেদিন স্কুলে গিয়েছিলাম সে দিন খুব কান্না করছিলাম। কারন অনেক গুলো নতুন মুখ আর হঠাত করে আম্মুকে কছে না পাওয়া। ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম খুব। আমার স্কুল ছিল চট্টগ্রাম নেভী'র নৌ পরিবার শিশু নিকেতন।কয়েকটি ম্যাডামের সাথে আম্মুর খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।সবার নাম মনে নেই, নিলুফা ম্যাডামের নামটা ছাড়া। উনি আদর করতেন। আরো কয়েকজন ছিলেন। তাদের নাম মনে করতে পারছি না। হেড টিচার কে সবাই বড় ম্যাডাম ডাকতাম। আর একজন আয়া ছিলেন। সবাই ডাক্তাম হালিমা বুয়া। হালিমা বুয়াও আদর করতেন। বিনিময়ে আম্মু তাকে পান খাওয়ার টাকা দিতেন।


সেই ছোট্ট জীবনে বিভীষিকা শুধু একটাই ছিল। তা হোল আম্মু স্কুলে নিয়ে যাবার জন্যে সকাল বেলা ঘুম থেকে হিড় হিড় করে টেনে তুলতেন। অই আধো ঘুম অবস্থায় দেখতাম, আব্বু কোল বালিশ জড়িয়ে ধরে আরামে ঘুমাচ্ছেন। খুব লোভ হোত। আফসোস হত, কেন বড় মানুষ হয়ে জন্ম নিলাম না। আর আমার ছোট বোন সিনথিয়া, তখন সবে মাত্র কয়েক মাস বয়েসী। তাকে দেখেও আফসোস হোত।সে ও খুব আরাম করে দুপাশে দুটো বালিশ নিয়ে কাথা গায়ে দিয়ে কি আরামের ঘুম।


অবশ্য স্কুল ছুটির পর পর শুরু হত মজা। তখনো বাড়ি ভাগ হয় নি। বাড়ির সীমানা প্রাচিরের ভেতর বিশাল উঠোন। বাড়িতে চাচাতো/জ্যাঠাতো ভাই বোন ও ছিল প্রচুর। সমবয়সি ৪/৫ জন এক্সাথেই ছিলাম। সবাই এক সাথে জড়ো হলেই শুরু হত দুনিয়ার দস্যিপনা।সে বিষয়ে পরে আলোচনা করব।


নৌ পরিবার স্কুলে ছিলাম কেজী পর্যন্ত। পড়ালেখায় মন ছিল না। ভালই লাগতো না। টিফিন পিরিয়ডে ক্লাসের জানালায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাকদেরকে চিপস খাওয়াতাম। কাক গুলো দলবদ্ধ হয়ে জানালার কাছে মলিন হয়ে কা কা করে ডাকত আর আমি চিপস ছুড়ে দিলেই কাড়াকাড়ি করে খেত। মায়া লাগত ওদের জন্যে। তাই নিজের চিপসের প্রায় সবটুকু ওই কাকদের খাইয়ে দিতাম। আর আমার সহপাঠি গুলো স্কুল ছুটির পর আম্মুকে বলত," আন্টি, অ কাককে চিপস খাওয়ায়"।


সেই স্কুলে রাব্বানী নামের একটা ছেলে ছিল। সেই জীবনে আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল। কারন দুষ্টুমিতে সেই ক্লাসে তার চেয়ে এগিয়ে আর কেউ ছিল না। সে আর আমি সবসময় একসাথেই বসতাম। কেউ তাকে মেরে পার পেত না, আমি ছাড়া। আমি তাকে একবারি মেরে ছিলাম। সে অসহায়ের মত আমার দিকে তাকিয়ে থেকে ছিল, কিছু করে নি।তার সাথে এখন আর যোগাযোগ নেই, কেজি স্কুল ছাড়ার পর থেকেই নেই। তার কথা এখনো মাঝে মাঝে মনে মনে পড়ে।


এর পর চলে আসি মর্নিং সান স্কুলে। বাসা থেকে অনেক দূরে। যাতায়তের জন্যে তাদের নিজস্ব পরিবহন ব্যাবস্থা থাকায় বাবা মা ওখানে বর্তি করিয়ে দেন। নিত্য নতুন বন্ধুদের সাথে পরিচয়ের মাধ্যমে নতুন স্কুলে শুরু হয় আমার পদচারনা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.