নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলবো না....।

কিছু বলবো না...বল্লে সরাসরি মামা বারি

মমবাতি

কিছু বলবো না....।

মমবাতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুদ্ধাপরাধীদেরকে বাচানোর জন্য কানাডা পুলিশের ষড়যন্ত্র ! তারা এটি করতেই পারে - মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই তো !

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৪

পদ্মা সেতুর দুর্নীতির চক্রান্তের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। কাজ পেতে কানাডার এসএনসি-লাভালিন বাংলাদেশের কাকে কত শতাংশ হারে ঘুষ দিতে চেয়েছিল, সেই তথ্য বাংলাদেশকে আবারও দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

দাতা সংস্থাটির দেওয়া নতুন তথ্য অনুযায়ী, পাঁচজনের জন্য মোট কাজের ১০ শতাংশ নয়, ১২ শতাংশ অর্থ ঘুষ হিসেবে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ বরাদ্দ ছিল সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের নামে। কত শতাংশ হারে এবং কাকে কাকে অর্থ দেওয়া হবে, তা একটি ডায়েরিতে লিখে রেখেছিলেন এসএনসি-লাভালিনের সাবেক কর্মকর্তা রমেশ শাহ। বিশ্বব্যাংক ডায়েরির এই পাতাটি কানাডা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগ্রহ করেছে। বিশ্বব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিশ্বব্যাংকের সূত্রমতে, পাঁচজনের জন্য ১০ শতাংশ নয়, আসলে এটি হবে ছয়জনের জন্য ১২ শতাংশ। ডায়েরিতে ১২ শতাংশের কথাই লেখা রয়েছে। বাড়তি ২ শতাংশের ক্ষেত্রে নতুন একটি নাম রয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে। অর্থাৎ কাজ পেতে তারা এই পরিমাণ অর্থ ঘুষ দিতেও রাজি ছিল।

বিশ্বব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, তারা কানাডার আদালতের অনুমোদন নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের বিভিন্ন দলিল ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। সংগ্রহ করা দলিলের মধ্যে ডায়েরি এবং সব ধরনের ই-মেইল বার্তাও রয়েছে। এর মধ্যে ১২ শতাংশ ঘুষ দেওয়ার কথাটি রয়েছে।

নতুন পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ডায়েরিতে প্রথমেই রয়েছে মন্ত্রীর কথা। সংক্ষেপে লেখা হয়েছে, এমআইএন বা মিন। এই ব্যক্তি হচ্ছেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। মন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ ৪ শতাংশ ঘুষ।

কায়সার লিখে তার পাশে লেখা রয়েছে ২ শতাংশ। এই কায়সার হচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী। তিনিই এসএনসি-লাভালিনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর যোগাযোগ ঘটিয়ে দিয়েছিলেন।

এর পরই রয়েছে নিক্সনের নাম। কাজ পেলে তিনিও ২ শতাংশ হারে ঘুষ পেতেন। এই নিক্সন হচ্ছেন মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। ডায়েরিতে তাঁর পরিচয় লেখা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ভাতিজা। নিক্সন চৌধুরী হুইপ নূরে আলম চৌধুরীর ছোট ভাই। নূরে আলম চৌধুরী লিটন চৌধুরী নামে পরিচিত।

যুদ্ধাপরাধীদেরকে বাচানোর জন্য কানাডা পুলিশের ষড়যন্ত্র ! তারা এটি করতেই পারে - মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নেই তো ! !:#P



তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে। তিনিও দুই পক্ষের মধ্যে যোগাযোগ করিয়ে দেন।

এরপর রয়েছে ‘মসি রহমানের’ নাম। তিনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান। তাঁর নামের পাশে রমেশ শাহ লিখে রেখেছেন ১ শতাংশ ঘুষের কথা।

১ শতাংশ অর্থ ঘুষের জন্য ডায়েরিতে ‘সেক্রেটারি’ কথা লেখা রয়েছে। এই সেক্রেটারি হচ্ছেন সাবেক সেতুসচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

সূত্র জানায়, নিক্সনের নামের পরেই রয়েছে আরেকটি নাম। তাঁর জন্য বরাদ্দ ২ শতাংশ বলে ডায়েরিতে উল্লেখ রয়েছে। আরও জানা গেছে, রমেশের হাতে লেখা ডায়েরির এই বিশেষ পৃষ্ঠায় এসএনসি-লাভালিনের আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেসের স্বাক্ষর রয়েছে। সাধারণত তাঁর স্বাক্ষরেই বিভিন্ন চেক ইস্যু করা হয় বলে জানা গেছে।

পদ্মা সেতুর পরামর্শকের কাজটি পেলে এসএনসি-লাভালিন আয় করত ৪৭ লাখ ডলার অর্থাৎ ৩৭৬ কোটি টাকা। এর ১২ শতাংশ হিসাবে ঘুষ দেওয়ার কথা ছিল ৪৫ কোটি ১২ লাখ টাকা। ঘুষ দেওয়ার এই চক্রান্ত প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে এসএনসি-লাভালিনকে ১০ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে।

পদ্মা সেতুর কাজ পেতে ঘুষ দেওয়ার চক্রান্তের অভিযোগে কানাডায় এসএনসি-লাভালিনের সাবেক দুই কর্মকর্তা রমেশ শাহ ও মোহাম্মদ ইসমাইলের বিচার চলছে। বাংলাদেশেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই দুজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগে মামলা করেছে। এই মামলায় কেভিন ওয়ালেসের নামও রয়েছে।

তবে দুদকের মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রীর নাম না থাকায় বিশ্বব্যাংক এই মামলা ও তদন্তের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। পদ্মা সেতুতে অর্থায়নের শর্ত ছিল, তদন্ত নিরপেক্ষ হতে হবে। তবে বাংলাদেশই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে অর্থ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে জানিয়ে দিয়েছিল।

ডায়েরিতে উল্লেখ করা নামের মধ্যে কেবল সাবেক সেতুসচিবের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী, নিক্সন চৌধুরী ও আবুল হাসান চৌধুরী কায়সারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও মামলা হয়নি। আর দুদকের তদন্তে মসিউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। বিশ্বব্যাংকও তাঁর সংশ্লিষ্টতা নেই বলে মনে করে।

পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে কানাডাকে তদন্ত করার অনুরোধ করেছিল বিশ্বব্যাংকই। এর পরই রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন নথিপত্র জব্দ করে। এ সময়েই রমেশ শাহর ডায়েরিটি জব্দ করা হয়েছিল। জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির আরও কিছু তথ্য দুদককে দিয়েছে।

তবে দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেছেন, কানাডার আদালতের সর্বশেষ কোনো তথ্য দুদকের হাতে আসেনি। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে যা তথ্য পেয়েছি, সব গত বছরের বিভিন্ন সময়ে। তা দিয়ে ইতিমধ্যে মামলাও করা হয়েছে।’

দুদকের চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘কানাডার আদালত সব ধরনের তথ্য প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিশ্বব্যাংক তো দূরের কথা, অন্য কোনো উপায়েও আদালত থেকে তথ্য পাইনি। সেখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধি রয়েছে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ থাকলেও মামলার বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনো নেই।’

দুদকের চেয়ারম্যান এ কথা বললেও পরিস্থিতি ভিন্ন বলে বিশ্বব্যাংক সূত্র বলছে। কারণ, সংস্থাটি এরই মধ্যে কানাডার আদালতের মাধ্যমে সব ধরনের প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। অন্যদিকে দুদক তথ্য সংগ্রহের কথা বললেও বাস্তবসম্মত কোনো পদক্ষেপ এখনো নেয়নি। দুই কর্মকর্তার কানাডায় যাওয়ার কথা থাকলেও তাঁরা ভিসা পাননি। ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য ভিসা পাননি বলে দুদক সূত্র জানায়। আরেকটি সূত্র বলছে, প্রকৃতপক্ষে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের আর সম্ভাবনা না থাকায় তদন্ত জোরদার করতে দুদকেরও উৎসাহ এখন কম। সরকারও আগ্রহী নয়। ফলে দুদক মুখে প্রমাণ সংগ্রহের কথা বললেও এ ক্ষেত্রে তেমন কোনো চেষ্টা নেই



Prothom Alo

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

জাতির চাচা বলেছেন: শাহবাগীরা এখন বলবে বিশ্বব্যাংক একবার বলে ১০% একবার বলে১২% এগুলা ষড়যন্ত্র।ব তে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বিশ্বব্যাংক তুই রাজাকার তুই রাজাকার।বিশ্বব্যাংকের বিশ্বব্যাংকের ফাসি চাই ফাসি চাই।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

বোকা_ছেলে বলেছেন: ব তে বিশ্বব্যাংক তুই রাজাকার তুই রাজাকার।
বিশ্বব্যাংক কে ফাসি দিলে হবে না। বিশ্বব্যাংক এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ব্যাংকে বাংলার মাটিতে নিষিদ্ধ ঘোষনা কইরতে হবে।

তাদের সকল কর্মচারীদের পাকিস্তানে পাঠাইতে হবে।
জয় বাংলা

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

মতিউর রহমান১০০ বলেছেন: অয় বাংলা

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৫

শিক্ষানবিস বলেছেন: কানাডা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে এই ষড়যন্ত্র করছে। অবিলম্বে ট্রাইবুনালের মাধ্যমে কানাডা সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করার জন্য দাবী জানাই।

কানাডা সরকার - তুই রাজাকার

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩১

পিকেকে টিটু বলেছেন: X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.