নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কিছু বলবো না....।

কিছু বলবো না...বল্লে সরাসরি মামা বারি

মমবাতি

কিছু বলবো না....।

মমবাতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সোহেল রানার বিস্ময়কর উত্থান ( তাজা প্রানের হত্যাকারীদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তি চাই)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৪২





হঠাত্ করেই আলোচনায় চলে এসেছেন সাভারের অভিশপ্ত রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে এখন তিনি ধিক্কৃত হচ্ছেন দেশের বাইরেও। প্রধানমন্ত্রীও শেখ হাসিনাও তার ব্যাপারে কথা বলতে বাধ্য হয়েছেন। অনুসন্ধানে তার সম্পর্কে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

সাভার থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানার উত্থান ঘটে এলাকার সন্ত্রাসী হিসেবে। ছোটবেলা থেকেই নেশাগ্রস্ত বেপরোয়া স্বাভাবের রানা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন। এ সুবাধে শত শত বখে যাওয়া তরুণ তার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। এ মাদকাসক্তদের দিয়েই রানা বিভিন্ন মহলে নিজের আধিপত্য ও প্রভাব খাটাত নির্বিঘ্নে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, অর্থ বৈভব ও প্রতিপত্তির কারণে সোহেল রানার সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের সাহচর্যে আসেন। তার সুনজরে পড়ে সোহেল রানা হয়ে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য। একপর্যায়ে তাকে দেয়া হয় পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ। সংসদে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি অস্বীকার করলেও রানা পদ লেখা লেখা পোস্টারে ছেয়ে আছে পুরো এলাকা। জাতীয় দৈনিকেও সেসব পোস্টার ছাপা হয়েছে।



স্থানীয়রা জানান, হরতালবিরোধী মিছিল, সংসদ সদস্যদের জনসভা, সরকারি সম্পদের ইজারা এসব কাজে সোহেল রানার একচ্ছত্র আধিপত্য গড়ে ওঠে। জমি ব্যবসার নামে নিরীহ লোকজনের জমি দখলের অভিযোগও আছে তার বিরুদ্ধে। গত বুধবার ভবনধসের আগেও হরতালবিরোধী মিছিল করার জন্য লোক জড়ো করেছিলেন রানা।

জানা গেছে, ২০০৮ সালে রানা প্লাজার ভেতরে গুলিতে নিহত হয় রানার প্রতিপক্ষ যুবলীগ নেতা আবদুল্লাহ। অভিযোগ রয়েছে তাকে মদের আসরে দাওয়াত দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়; কিন্তু এ মামলাটি টাকার জোরে অন্য খাতে প্রবাহিত করা হয়।

সাভারের আরেক সন্ত্রাসী ছাত্রদলের নেতা ভিপি হেলাল উদ্দিনের বডিগার্ড জাকিরকে অপহরণ করে ১৯৯৯ সালে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার লাশ ঢাকা-আরিচা মহসড়কে ফেলে রাখা হয়। অভিযোগ রয়েছে, জাকির সোহেল রানার বোনকে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। এ বিয়ে রানা ও তার পরিবার কোনোভাবে মেনে নিতে পারছিল না। এ কারণে তাকে কৌশলে হত্যা করা হয়। এভাবেই সন্ত্রাসী সোহেল রানা আজকের ভুঁইফোড় ব্যবসায়ী আর যুবলীগ নেতা।

হেলালউদ্দিনের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে সোহেল রানা গড়ে তোলেন সন্ত্রাসী বাহিনী। এলাকায় তার বাহিনী পরিচিতি পায় ‘রানা বাহিনী’ নামে।

সন্ত্রাসী বাহিনীকে কাজে লাগিয়ে সোহেল রানা গড়ে তোলেন বিভিন্ন ব্যবসা। ২০০৭ সালে তিনি নির্মাণ করেন রানা প্লাজা। ভবন নির্মাণ করার আগে বালু ফেলে ভরাট করা হয়। এর উদ্বোধন হয় ২০১০ সালে। ভবনের পেছনের অংশ রানা দখল করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে কাগজে কলমে এই রানা প্লাজার মালিক তার বাবা আবদুল খালেক।

তবে সাভারের সবাই জানেন জমি দখল থেকে শুরু করে ভবন নির্মাণ সবই করেছেন রানা। নেতাদের ক্যাডার থাকার সময় তার পরিচয় ছিল এলাকার ছিচকে সন্ত্রাসী হিসেবে। এখন বেশ কয়েকটি ভবন আর বহু সম্পত্তির মালিক এই সোহেল রানা। তার কারণেই জীবন দিতে হয়েছে শত শত শ্রমিককে।

স্থানীয়রা জানান, মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জয়মণ্ডপ গ্রামে থাকতেন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা। তার বাবার নাম আবদুল খালেক। ওই এলাকার লোকজন রানার বাবাকে ‘কলু খালেক’ হিসেবে চিনতেন। তিনি একসময় ফেরি করে তেল বিক্রি করতেন। প্রায় ৩০ বছর আগে তিনি সাভারে এসে ভাড়া বাসায় থেকে তেলের ব্যবসা করেন। একসময় তেলের ঘানি দেন। সেখান থেকে শুরু করেন খৈলের ব্যবসা। একপর্যায়ে সাভার নামাবাজারে তেলের মিল গড়ে তোলেন। এভাবেই সোহেল রানার পরিবারে অর্থনৈতিক উত্থান শুরু।

টাকা ও ক্ষমতার প্রভাবে সোহেল রানা একের পর এক দখল করে বিভিন্ন এলাকার বিরোধ আছে এমন সব জমি। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, সাভারের বাজার বাসস্ট্যান্ড, বাজার রোডসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের রয়েছে মার্কেট, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি ও বাড়ি। এছাড়া ধামরাই এলাকায় রয়েছে ব্রিক ফিল্ডসহ একাধিক স্থাপনা। সব মিলিয়ে জীবিকার সন্ধানে শূন্য হাতে সাভারে সোহেল রানা এখন শত শত কোটি টাকার মালিক।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৫

মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি চায়।


তার সাথে সাথে আপনাকে একটি প্রশ্ন করে গেলাম।

রানা প্লাজার মালিককে খুজতেছি আমরা ভাল কথা, কিন্তু
এমভি কোকো-৪ লঞ্চের মালিক খালেদা জিয়ার ছেলেদের কি হবে?



দেখুন পূর্ণ খবরটি।

ভোলার লালমোহনে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় মেসার্স রহমান ব্রাদার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রহমান ও পরিচালক আরাফাত রহমান কোকো এবং গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে আসামি করে সম্পূরক মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর।

এ পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে মেরিন আইনে মামলা করেছে বাংলাদেশে শিপিং করপোরেশন। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান খান তাদের বিরুদ্ধে মামলার করার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘আমার জানা মতে, তারেক রহমান ওই লঞ্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর আরাফাত রহমান কোকো এর পরিচালক।’

জানা গেছে, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক শফিক আইয়ুব বাদি হয়ে নৌ আদালতে,এমভি কোকো-৪ লঞ্চের অন্যতম মালিক ও পরিচালক গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, মাস্টার শামসুল হক ও বদিউল ইসলাম, চালক মাকসুদ আহমেদ, সজল আরেফিনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

এই লঞ্চ কোম্পানির আরেক পরিচালক তারেকের বন্ধু বিতর্কিত ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকেও আসামি করে মামলা করা হবে বলে জানান নৌমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে মালিক, শ্রমিক যেই জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে এমভি কোকো-৪ নামের লঞ্চটি নাজিরপুর ঘাটের মাত্র ২০ গজ দুরে তেতুলিয়া নদীতে ডুবে যায়। পরের দিন ভোলা পুলিশ সুপার এসএম মো: নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এমভি কোকো-৪ লঞ্চটি ঢাকা থেকে প্রায় দেড় হাজার যাত্রী নিয়ে লালমোহন যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাজিরপুর ঘাটের মাত্র ২০ গজ দুরে ডুবে যায়।

লঞ্চের যাত্রীরা জানিয়েছিলেন, নাজিরপুর ঘাটের কাছে এলে লঞ্চটি তলা ফেটে গেলে এটি দ্রুত ঘাটে ভিড়তে চেষ্টা করে। কিন্তু ঘাটে ভেড়ার আগেই লঞ্চটি হেলে পড়ে অর্ধেক ডুবে যায়।

এদিকে লঞ্চ ডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮২ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। এর অধিকাংশই নারী ও শিশু। এসব মৃতদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া সকালে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম গিয়ে পৌঁছায়। উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজা একযোগে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। লঞ্চটি টেনে তুলতে পারলে অসংখ্য লাশ পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখ্নও নিখোঁজ যাত্রীদের স্বজনরা নদীর তীরে অপেক্ষা করছে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লঞ্চডুবির পর উদ্ধারকারী জাহাজ হামজাকে ঘটনাস্থলে পাঠাতে বিলম্ব করায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তারা হলেন, বিআইডব্লিউটিএর নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আব্দুর রাজ্জাক, একই বিভাগের বরিশাল বিভাগীয় শাখার উপপরিচালক মো. শাহজাহান এবং বন্দর ও পরিবহন বিভাগের বরিশাল শাখার উপপরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।

ওদিকে দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চের যাত্রী মো. কামাল হোসেন লঞ্চের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে লালমোহন থানায় একটি মামলা করেছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৯

মমবাতি বলেছেন: রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি চায। বাকি গুলো নিয়ে পরে কথা হবে।এখন রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি চায।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০২

মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: আইনগত ও কাজের নিয়ম অনুসারে ঐ রানা ভবনের মালিক তো সোহেল রানার বাবা।

আসলে কার শাস্তি চান?
সোহেল রানার নাকি তার বাবার?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৪

মমবাতি বলেছেন: মোহাম্মদ হারুন রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি চায। বাকি গুলো নিয়ে পরে কথা হবে।এখন রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি চায।

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০৪

মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: আইনগত ও কাগজ ও দলিল অনুসারে ঐ রানা প্লাজার মালিক তো সোহেল রানার বাবা।

আসলে কার শাস্তি চান?
সোহেল রানার নাকি তার বাবার?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

মমবাতি বলেছেন: মোহাম্মদ হারুন রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি চায। বাকি গুলো নিয়ে পরে কথা হবে।এখন রানা প্লাজার মালিকের শাস্তি চায।

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:২২

কামের কথা কন!! বলেছেন: মোহাম্মদ হারুন তুই একটা মাতারি বুতছস হালায় তারেক কোকো মারা খাইয়া দেশের বাহিরে আছে অখন এই হালার আওয়ামী লিগার গুলারে পাছায় লাত্তি দিয়া দেশ থেকে বের করে দেয়া অনেক দরকার হয়ে গেছে এরা যেন র কোন দিন এই দেশে ঢুকতে না পার।

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:২০

আল-মুনতাজার বলেছেন: আওয়ামি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নড়াচরা তত্ব অনুযায়ী তারকে-কোকোর লঞ্চ কে বা কারা নড়াচরা করেছিল,তাদের রিমান্ডে নেয়া হোক।

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩

সাউন্ডবক্স বলেছেন: Awami dalal a desh voira gese..... Sob sala khali ager ghotona tane.....

৭| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:১৪

মতিউর রহমান মিঠু বলেছেন: এই গাধা দালাল হারুন সামু নষ্ট করে ফেলতেছে। যেখানে সেখানে এই হাড়মজাদা দালালী করবেই। কোকোরে আইন্না তুই যা ইচ্ছা কর, আর রানা প্লাজার মালিক যে হোক এখন এটার বিচার চা। মালিক রানা বা ওর বাবা বা তোর বাবা যেই হোক পোষ্ট প্রসঙ্গে কথা বল, দালাল কোথাকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.