নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

গাধা উপাখ্যান

একজন অতি সাধারণ মানুষ যার কেবল স্বপ্নগুলোই অসাধারণ, অথচ স্বপ্নগুলো পূরণ করার রসদও অতীব সামান্য। ভালবাসি বিজ্ঞান, মেনে চলি ধর্মের বিধান। প্রকাশিত সকল লেখা একান্তই নিজস্ব মতামত। কাজেই নিজ দায়িত্বে পড়ুন। যে কোন মতামত, সমালোচনা, পরামর্শ পেলে কৃতজ্ঞ থাকবো। আপন

বোকা মিয়া

আমি এক সাধারণ ছেলে যার আছে কিছু অসাধারণ স্বপ্ন।

বোকা মিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বর্ষার আগমনঃউচ্ছসিত মন না উদ্বিগ্ন বিবেক???

২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫



আষাঢ় মাসের শুরু হল সবে। বৃষ্টির ঋতুর সুচনা যথাসময়ে আর যথানিয়মে শুরু হল। প্রথম দুদিন বৃষ্টি না হলেও নব উদ্যমে হাজির হতে ভুল করেনি বর্ষা। কখনও টিপটিপ, কখনও রিমঝিম বৃষ্টি আবার কখনও গুরু গুরু মেঘের গর্জন। বর্ষা বাংলার ঋতুচক্রের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলাদেশ আবহমান কাল থেকেই কৃষিপ্রধান অঞ্চল। কৃষিতে বৃষ্টির ভূমিকা কোনকিছুর সাথেই তুলনীয় নয়। তাছাড়া এদেশের বাৎসরিক মোট বৃষ্টির শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ হয়ে থাকে কেবল বর্ষাকালে। তাই বর্ষা একটি আলাদা ঋতু হিসেবে এদেশের ঋতুচক্রে আত্মপ্রকাশ করেছে। যাই হোক, বর্ষা একটি আলাদা ঋতু হিসেবে স্বীকৃতি পাক আর না পাক, মানবমনে বৃষ্টির প্রভাব স্বতন্ত্র মহিমায় ভাস্বর। বর্ষা মানেই যেন উদাস মন, নির্লিপ্ত চিত্ত, অলস বসে থাকা আর এলোমেলো চিন্তা ভাবনা। অবশ্য এর ব্যতিক্রমও আছে। আধুনিক যুগের ব্যস্ত মানুষদের বৃষ্টি নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় হয়ে উঠে না অনেক সময়। তবু মেঘলা দিনে উদাস না হওয়াটা অস্বাভাবিকই বটে। মানুষের এই প্রতিক্রিয়াটা বোধদয় সহজাত এবং সম্ভবত সবার সাথেই এমনটি ঘটে। গ্রামের সবুজ শ্যামলিমায় বৃষ্টি যেন আনন্দের ঢেউ তুলে। এই আনন্দ প্রকৃতির আনন্দ, সতেজতার আনন্দ। তবে শহরে আপনি সেসব খুঁজতে যাবেন না যেন। বিশেষত বাংলাদেশে শহরগুলোতে বৃষ্টি আর দুর্ভোগ যেন সমার্থক হয়ে দাঁড়িয়েছে। খোদ রাজধানী ঢাকার কথাই ধরা যাক। মুষলধারে বৃষ্টিপাত ছাড়া অন্য যে কোন ধরণের বৃষ্টিতে রাস্তাঘাট প্লাবিত হওয়া খুব সাধারণ একটি ঘটনা। মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণে ঢাকার রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যায় এবং ক্ষেত্রবিশেষে এই জলরাশির উচ্চতা ৬০ সে.মি. এমনকি তার বেশিও হতে পারে। এটা যে কর্তৃপক্ষের অদক্ষ এবং অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার ফসল তা নতুন করে বলা নিষ্প্রয়োজন। জলাবদ্ধতার মূল কারণ কর্তাব্যক্তিদের সীমাহীন দুর্নীতি আর অদক্ষ ব্যবস্থাপনা। ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা সর্বমোট ৪টি সংস্থার হাতে ন্যস্ত। নদীবেষ্টিত ঢাকার শহর রক্ষা বাঁধের স্লুইস গেটগুলো খোলা-বন্ধ রাখার দায়িত্বে আছে BWDB, ভূগর্ভস্থ এবং রাস্তা সংলগ্ন ছোট ড্রেনগুলোর দায়িত্বে আছে DCC, ড্রেনেজ ব্যবস্থার কেন্দ্রীয় পাইপলাইন ও খালসমূহ তদারক করে DHAKA WASA আর শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থার অবকাঠামো নির্মাণ করে RAJUK কর্তৃপক্ষ। উল্লিখিত ৪টি সংস্থার মাঝে রয়েছে চরম সমন্বয়হীনতা। তাছাড়া পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে নিম্নান্ঞলে বাঁধ নির্মাণের ফলে সৃষ্টি হয় অভ্যন্তরীণ জলাবদ্ধতা। শহর রক্ষা বাঁধ আর অপেক্ষাকৃত উঁচু এলাকা হওয়ার সুবাদে দক্ষিণ ঢাকা কিছুটা রক্ষা পেলেও, উত্তর ঢাকার অবস্থা শোচনীয়। এর সাথে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আছে অদক্ষ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। এরকম অবস্থায় স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, বৃষ্টি কি আমাদের কাছে উপভোগ না দুর্ভোগ? যে বৃষ্টি নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য সাহিত্য- তা কি আমাদের মনে কাব্যিক ব্যন্জনার সন্ঞার করে নাকি সৃষ্টি করে জলাবদ্ধতার আতঙ্ক? এর দায় কি আমাদের নয়?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৫

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: হুম ভাল লিখেছেন ভাই :)

লেখায় প্যাড়া করতে পারলে ভাল হয় ভাই , নাহলে পাঠক অসুবিধার সম্মুখীন হয় ।

ভাল থাকবেন :)

২| ২২ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৫:২৫

বোকা মিয়া বলেছেন: মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ইনশা আল্লাহ এরপর থেকে কয়েক প্যারায় লিখার চেষ্টা করব।

৩| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: আমার গার্লফ্রেন্ড আইছে.... উচ্ছ্বসিতই হন...

৪| ২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

বোকা মিয়া বলেছেন: হা হা হা............ উচ্ছসিত হইলাম ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.