![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মহিউদ্দিন খালেদ। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। পড়তে ভালোবাসি। নিজের একটা চিন্তা জগত আছে। সেখানে চারপাশের অনেক কিছু নিয়ে অনেক নিঃশব্দ আলোচনা হয়! সেই আলোচনা গুলোর সাথে বৃহত্তর জগতের সংযোগ ঘটাতে ইচ্ছে করে!
শফিয়ার রহমান মোল্যা’র বুক চিরে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। একটু আগে আতুড় ঘর থেকে তার প্রথম সন্তানের কান্নার আওয়াজ শোনা গেছে। আওয়াজ শোনে বোঝা না গেলেও লিঙ্গ দেখে বোঝা গেছে সন্তান মেয়ে। লোকজন ‘নবীজী’র কন্যা সন্তান ছিল’, ‘ মোল্যা আজকে থেকে একটা বেহেশতের বাগানের মালিক হল’, ‘ যারা সৌভাগ্যবান তাদেরই কন্যা সন্তান জন্মায়’ ইত্যাদি বলে সান্তনা দিলেও মোল্যার মনে হয়েছে সে কোথায় যেন হেরে গেছে। পুত্র সন্তান জন্ম দেয়াটা যতটা পুরুষালী ব্যাপার, সন্মানের ব্যাপার, কন্যা সন্তান জন্ম দেয়াটা যে তা নয় সেটা মোল্যা বোঝে। কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়াটা যেন পরাজিত হবার বা পরীক্ষায় ফেল করবার মত একটা ব্যাপার। পরীক্ষায় ফেল করলে যেমন মানুষ নানান রকম সান্তনা দেয় কন্যা সন্তান জন্মালেও সেরকম নানান রকম সান্তনা দেয়। এই সান্তনার ব্যাপারটা যে একটা সামাজিক প্রহসন সেটা মোল্যা বোঝে। বোঝে বলেই রাগে তার ভেতর টা সাপের মত হিস হিস করে। রাগের কিছু অংশ তার নিজের উপর বর্তায়। কিছু অংশ স্ত্রী লাবিনা বেগমের উপর। কিছু অংশ আবার পুঁচকে কন্যা সন্তানটার দিকেও যায়। মোল্যার ধারনা একজন পুরুষ মানুষের বীর্যে দুধরনের পানি থাকে। শক্তিশালী পানি এবং দূর্বল পানি। সঙ্গমের সময় শক্তিশালী পানি স্ত্রী গর্ভে নিক্ষিপ্ত হলে পুত্র সন্তান হয়। দূর্বল পানি স্ত্রীর গর্ভে নিক্ষিপ্ত হলে কন্যা সন্তান হয়। স্ত্রী সঙ্গমের সময় শক্তিশালী পানিকে স্ত্রী গর্ভের দিকে ধাবিত করতে না পারার জন্য মোল্যা প্রথমে নিজেই নিজেকে মনে মনে গাল দেয়। এরপরে শক্তিশালী পানিকে নিজের দিকে টানতে না পারার জন্য প্রকাশ্যে স্ত্রী কে গাল দেয়। শেষে কাঁথাজড়ানো পুঁচকে ‘ অনাকাঙ্খিত দূর্বল পানির প্রোডাক্ট’ যেটা জনসমক্ষে মোল্যার মর্দাঙ্গি কে হেয় করে দিছে সেটার দিকে চোখ কটমট করে তাকায়!
এর পর থেকে মোল্যা সাবধান হয়ে যায়। স্ত্রী সঙ্গমের সময় মনে মনে দোয়া পড়ে- এবার যেন শক্তিশালী পানি আগায় থাকে। এবার যেন একটা পোলা হয়! কিন্তু মোল্যার ঈমান মনে হয় অত শক্তিশালী নয়। কাজেই এবারো দূর্বল পানির জয় হয়। আতুড় ঘরে উচ্চ কন্ঠে ক্রন্দনরত শিশুর মুখের দিকে কেউ তাকায় না। লিঙ্গের দিকে তাকিয়ে উপস্থিত সবার চেহারায় কাল ছায়া পড়ে। আতুড় ঘরের বাইরে মোল্যাকে যারা ‘দুইটা বেহেশতের বাগানের মালিক হয়েছে’ বলে সান্তনা দেয় তাদের কে মোল্যা খিঁচে গালাগাল করে- ‘যা যাহ! মোল্যা এত বলদ নয়, তগো নিজেগো পোলা আছে, মোল্যার মাইয়া হইছে দেইখা মনে হনে খুশি হইছত, হোগার পোলারা!’ গাল খেয়ে ওরা পালানোর পর মোল্লা নিজের নুনুতে হাত বোলায়- এবার দেখায় দেব!
কিন্তু মোল্যা কিছুই দেখাতে পারেনা। আঁতুড় ঘরে তৃতীয় বারের মত ‘নিকৃষ্ট দুই নম্বর মানব’ হিসেবে জন্মানো দ্বিতীয় লিঙ্গটা মোল্যাকে চরম বিপর্যস্ত করে তোলে। বন্ধু ছবর আলী তার দ্বিতীয় বার মেয়ে জন্মানোর সময় রসিকতাচ্ছলে যে আশঙ্কাটা প্রকাশ করেছিল সেটাই মোল্যার সত্য বলে মনে হয়। ছবর আলী খাক খাক করে হেসে বলেছিল- মোল্লার পানি আসলে পুরাই দূর্বল পানি! তার শক্তিশালী পানি ই নাই!! তার বৌ যতগুলো বাচ্চা বিয়াবে সব ‘ মেঞা’ হবে। পোলা হবেনা! খেতের পাশে ছ্যার ছ্যার করে মুততে থাকা ছবর আলীর পোলা’র নুনুর দিকে তাকিয়ে মোল্যার মন চুড়ান্ত খারাপ হয়ে গিয়েছিল! এরকম শক্তিশালি পানির একটা প্রোডাক্ট কি কখনো তার হবেনা? তার ঘরের কাঁথায় ছোট্ট নুনু উঁচিয়ে ছ্যার ছ্যার করে মুতবে না? হতাশার তীব্র অন্ধকার মোল্যার ভেতর টাকে কুঁকড়ে দেয়।
মোল্যা যখন শোকে উন্মাদ প্রায় তখন বন্ধু ছবর মিঞাই তাকে ছবর দেয়। ডেইল পাড়া’র কার যেন পরপর চারটা মেঞা হবার পর পোলা হইছিল। ছবর করলে মোল্যার ও ঘুমায় থাকা শক্তশালী পানি একদিন জেগে উঠবে। ছবর মিয়া আরেকটা কথাও অবশ্য বলছিল। আরেকটা বিয়া করলেও নাকি অনেক সময় ঘুমায় থাকা শক্তিশালী পানি জেগে উঠে। কিন্তু মোল্যা সে পথে যায় নি। সে আঁতুড় ঘরে পাঁচ নম্বর সন্তানের কান্নার আওয়াজ শোনা পর্যন্ত ছবর করেছে। মনে মনে বিড় বিড় করে দোয়া পড়েছে- আল্লাহ এবার যেন সমাজে মোল্যার আর অপমান না হয়। এবার যেন সবাই নিজের চোখে দেখতে পায় মোল্যার সতী সাধ্বী স্ত্রী আস্ত একখান নুনুওয়ালা পোলা বিয়াইছে। মোল্লার থলিতেও খলবলে কইমাছের মত শক্তিশালী পানি আছে। এতদিন খালি ঘুমায় ছিল!!
আঁতুড় ঘরে নবজাতক কান্না করে। আর কেউ কোন আওয়াজ করেনা! নবজাতক চিৎকার করে কান্না করে- আমি এসেছি, এই সুন্দর পৃথিবীতে আমি এসেছি। দেখ, দেখ আমি এসেছি!! অন্ধকার কূসংস্কারে আচ্ছন্ন পৃথিবী চিৎকার করে বলে- তুমি মেয়ে। তোমার জন্ম মানে তোমার বাবার পৌরুষের পরীক্ষায় ফেল করা। তোমার বাবার পানির দৌর্বল্য প্রমান হওয়া। তোমাকে কে আসতে বলেছে? কে?? কে???
‘জ্বলজ্বান্ত অপমানের টুকরা’ টার দিকে তাকিয়ে মোল্যা সাপের মত হিস হিস করে উঠে। তার থলিতে যে দূর্বল পানি ছাড়া শক্তিশালী পানি নাই সেটা নিশ্চিত ভাবে এতদিন কেউ জানত না। কিন্তু এই ‘নরকের কীট’ টা ভুমিষ্ট হয়ে সেই কথাই সারা পৃথিবীর কাছে ঘোষনা করছে। ‘পানি’ দিয়ে এই পৃথিবীতে নিজের পৌরুষ প্রতিষ্ঠার ব্যর্থতা ‘খুনি’ হয়ে গোছাবার উদ্যোগ নেয় মোল্যা।
জন্মদাতা পিতার ঢেলে দেয়া বিষ মুখে নিয়ে মরা শিশুটা চুপচাপ শুয়ে থাকে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এক টা ভু খন্ডে। আশপাশের সবাই ‘পলাতক মোল্যা’ কে খুঁজে বেড়ায়। নিজের ভেতরকার মোল্যা কে কেউ খুঁজেনা।
( গল্প সূত্রঃ ‘ ছেলে না হওয়ায় মেয়ের মুখে বিষ!’- প্রথম আলো, ২য় পৃষ্ঠা, ৪র্থ কলাম, মঙ্গল বার ১ মার্চ, ২০১৬)
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৬
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: শক থেকেই লিখা।
২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১
বিজন রয় বলেছেন: আশপাশের সবাই ‘পলাতক মোল্যা’ কে খুঁজে বেড়ায়। নিজের ভেতরকার মোল্যা কে কেউ খুঁজেনা।
একদম ঠিক বলেছেন।
++++++
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৬
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৫
পাজল্ড ডক বলেছেন: লেখায় +++++
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৬
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ।
৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৮
সোজোন বাদিয়া বলেছেন: 'আশপাশের সবাই ‘পলাতক মোল্যা’ কে খুঁজে বেড়ায়। নিজের ভেতরকার মোল্যা কে কেউ খুঁজেনা। - শেষ বাক্যটা তুখোড় হয়েছে। তবে, একটা বিষয় একটু খচখচ করছে - 'মোল্যা' শব্দটা এড়ালেই বোধহয় বেশি গ্রহণযোগ্য হতো।
০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: সচেতন ভাবেই এড়াতে চাইনি। আমার মনে হয়েছে না এড়ানোটাই লেখার স্বাস্থ্যের জন্য ভাল হবে।
৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৩২
মিজানুর রহমান মিরান বলেছেন: আশপাশের
সবাই ‘পলাতক মোল্যা’ কে খুঁজে
বেড়ায়। নিজের ভেতরকার
মোল্যা কে কেউ খুঁজেনা।
ভয়ানক সত্য...
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: হুম। এই ভয়ানক সত্যটাই সবচেয়ে মারাত্নক।
৬| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩০
সুমন কর বলেছেন: ভয়ানক ~
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আসলেই ভয়ানক।
৭| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৬
উল্টা দূরবীন বলেছেন: উরিব্বাপ!
০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:১৮
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন:
৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২৫
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
গুড গড!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৮
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: গুড গড
৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৮
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অসাধারণ !!!
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৪
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ লিটন ভাই।
১০| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চলমান কঠিন সত্য!
একটানে টেনে নিয়েছে শুরু থেকে শেষ। দারুন!
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী।
১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৫৭
দ্যা রয়েল বেঙ্গল টাইগার বলেছেন: সম সাময়িক বিচারে লেখাটা মানুষকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার মত! খুবই মর্মাহত একটা পোস্ট! পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল!
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৫
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: হুম। মন খারাপ থেকেই লিখা।
১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:১৯
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: বাস্তবভিত্তিক অসাধারণ একটা লেখা। এমন পাষণ্ড বাবাও আছে দুনিয়ায়!!!
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩৬
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: মানুষ যখন মানসিক ভাবে কোন কু সংস্কারের কাছে বাঁধা পড়ে তখন সে পাষন্ড হয়ে উঠতে পারে।
১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:২৪
রাফাজ বলেছেন: একবিংশ শতাব্দিতে এসেও আমরা অন্ধবিশ্বাস আর কুসংস্কার কে ছাড়তে পারিনি,,, ঐ শিশুটার কাছে আমি অপরাধী
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। .।ঐ শিশুটার কাছে আমি অপরাধী.। ঠিক এই অনুভুতি টাই জেগে উঠে।
১৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪০
নতুন বলেছেন: জন্মদাতা পিতার ঢেলে দেয়া বিষ মুখে নিয়ে মরা শিশুটা চুপচাপ শুয়ে থাকে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের এক টা ভু খন্ডে। আশপাশের সবাই ‘পলাতক মোল্যা’ কে খুঁজে বেড়ায়। নিজের ভেতরকার মোল্যা কে কেউ খুঁজেনা।
জটিল লাইন হইছে ভাই... কোট করার মতন লাইন লিখছেন... কঠিন সত্য কেউই নিজের দিকে খেয়াল করেনা অপরের দোষই চোখে পড়ে.. ...
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন।
১৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:০৪
ঘনায়মান মেঘ বলেছেন: হায়রে মানুষ…
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:৩৪
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: চমৎকার লেখা ++++++
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ শাহাদাত হোসেন।
১৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫০
অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: চমৎকার গল্প। শেষ দুটি বাক্য অসাধারণ।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ ড্রিম।
১৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩০
আরজু পনি বলেছেন:
পত্রিকার শিরোনাম থেকে লেখা...
অনেক সচেতনতামূলক...
আমাদের এখনও মানসিকতা অন্ধকারে ঠাসা...আলোর জন্যে বহুদূর যেতে হবে...।
খুব ভালো লাগলো।
বি.দ্র.- আমি হয়তো রুচিশীল পাঠক নই...তাই লুকিয়ে পড়ে মন্তব্য না করে চলে যেতে পারলাম না।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ আপা। স্কিপ করে যায়নি আসলে। কাজের ফাঁকে যখন যেটা চোখে ভাসছিল সেটার জবাব দিচ্ছিলাম আপনার মন্তব্যের শেষ টা পড়ে খুব মজা পেয়েছি। অন্ধকারের বিষয়ে আমি আপনার সাথে একমত।
১৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
"বিজন রয় বলেছেন: আশপাশের সবাই ‘পলাতক মোল্যা’ কে খুঁজে বেড়ায়। নিজের ভেতরকার মোল্যা কে কেউ খুঁজেনা।
একদম ঠিক বলেছেন।"
পোস্টকে "অশ্লীল লেখা" বলার মততো কিছু খুঁজে পেলাম না।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০০
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: একটা ব্যাপার আমার নিজের কাছে পরিষ্কার হল। পাঠক লেখার উদ্যেশ্য টা দেখে। শব্দ দেখেনা। স্যালুট টু দ্য রিডার্স।
২০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৫
নীল সঞ্চিতা বলেছেন: দারুন লেখা...
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৩
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ।
২১| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
অাল-ইসলাম বলেছেন: কুলাঙ্গার সবসময় কুলাঙ্গারই।
হোক সে আইল্লা, জাইল্লা কিংবা হুজুর-মোল্লা।
কিছু মনে করবেন্না, কিছু লেখক আছে যাদের সাবজেক্টই হলো হজুর, ধর্ম এবং নারী।
সমাজের কথিত কতিপয় কাটমোল্লারা অবশ্যই ইসলাম ধর্মের মডেল নয়।
এধরনের একপেশে লেখা দেখে এটা সহজেই অনুমান করা যায়, তাদের সাথে ইসলামপন্থী মানুষকে এক করার চেষ্টা!
এটা কিন্তু ঠিক না।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: না কিছু মনে করিনাই ভাইজান। লেখাটা কিভাবে 'একাধিক পেশে' করা যেত সেই বিষয়ে আলোকপাত করলে খুশি হতাম।
২২| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৪৫
আবু শাকিল বলেছেন: ফেসবুকে পড়ছিলাম।
লেখায় অশ্লীলতা নাই।
বিবেক সজাগ থাকুক।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৮
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ শাকিল ভাই।
২৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৩
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্পটায় কোনো অশ্লীলতা পেলাম না। ব্রাকেটের অংশটা কেটে দিতে পারেন।
মোল্লার মতো অনেক শিক্ষিত মানুষও দুর্বল পানি আর শক্তিশালী পানির মাঝে খাবি খায়! ছেলে বা মেয়ে সন্তানে কি এমন আসে যায় মাথায় আমার ঢোকে না অবশ্য!
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০২
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ অপর্না। এটাকে একটা সার্কাজম হিসেবে নিতে পারেন!
২৪| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২০
অাল-ইসলাম বলেছেন: ভাই, পৃথিবীতে যত শিশু হত্যা হচ্ছে তার মূলে কেবল কথিত মোল্লারাই জড়িত, এমনটাই আপনি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন মনে হয়? যদিও আমার সংজ্ঞায় মোল্লা বলতে বুঝি, যারা অল্পজানা হুজুর কিসিমের লোক। আমাদের দেশে দাড়ি-টুপি থাকলেই তাকে অনেকে হুজুর কিংবা মোল্লা বলে আখ্যায়িত করে! মূলত হুজুর কিংবা মোল্লা শব্দগুলি মানুষের বানানো।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আমার কথার ত জবাব দিলেন না ভাই। কিভাবে লেখাটাকে বহুপেশে করা যায়?
২৫| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৭
নাসরিন চৌধুরী বলেছেন: অনেক স্পর্শকাতর একটা বিষয়। সমাজের একটা শক্তিশালী দিক নিয়ে লিখেছেন। আর অশ্লীলতা এটাকে বলেনা
এভাবেই কলম ধরুন ---শুভকামনা
০২ রা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৮
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ নাসরিন চৌধুরী আপনাকে।
২৬| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
মানসী বলেছেন: অশ্লীলতা পেলাম না। কান্না পেলাম, রাগ পেলাম, অসহায়তা পেলাম। তীব্র প্রতিবাদময় দারুণ একটা লেখা পেলাম।
বুঝলাম আজও আমারা এক বোধহীন অরণ্যে অসহায় নিকৃষ্ট পশুর মতোই আছি ।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪০
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আমিও সঠিক একটা ফিডব্যাক পেলাম লেখাটার। ধন্যবাদ মানসী আপনাকে।
২৭| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৯
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আশপাশের সবাই ‘পলাতক মোল্যা’ কে খুঁজে বেড়ায়। নিজের ভেতরকার মোল্যা কে কেউ খুঁজেনা।
এটাই নিজের ভেতরের এসব কুসংস্কার ঝেড়ে না ফেলে পলাতক মোল্যাকে খুঁজে ফিরে কি লাভ।
এখনো আমরা মানুষ হতে পারিনি।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৪০
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: মনের মধ্যে বিভাজন রেখে মানুষ হওয়া যায়না। খন্ডিত মানুষ হওয়া যায়। আমরা মূলত খন্ডিত মানুষ।
২৮| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১২
আরজু পনি বলেছেন:
আপনি স্কিপ করে জবাব দিচ্ছেন কেন জানিনা।
১৮ নম্বরে আমার মন্তব্য পছন্দ না হলে সেটাও জানাতে পারতেন ।
যাই হোক...
ধন্যবাদ।
০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: দূঃখিত আপা। সিরিয়াল মেন্টেন হচ্ছিল না কারন ঝড়ের বেগে কেরানিগিরি করতে করতে যেটা চোখে ভাসে সেটার জবাব দিচ্ছিলাম। আপনার মন্তব্য টা অর্থপূর্ণ। আমি আপনার সাথে একমত।
২৯| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মুদ্দাকির বলেছেন: সূরা নহল আয়াত ৫৭-৬০
(
وَيَجْعَلُونَ لِلّهِ الْبَنَاتِ سُبْحَانَهُ وَلَهُم مَّا يَشْتَهُونَ
57
তারা আল্লাহর জন্যে কন্যা সন্তান নির্ধারণ করে-তিনি পবিত্র মহিমান্বিত এবং নিজেদের জন্যে ওরা তাই স্থির করে যা ওরা চায়।
وَإِذَا بُشِّرَ أَحَدُهُمْ بِالأُنثَى ظَلَّ وَجْهُهُ مُسْوَدًّا وَهُوَ كَظِيمٌ
58
যখন তাদের কাউকে কন্যা সন্তানের সুসংবাদ দেয়া হয়, তখন তারা মুখ কাল হয়ে যায় এবং অসহ্য মনস্তাপে ক্লিষ্ট হতে থাকে।
يَتَوَارَى مِنَ الْقَوْمِ مِن سُوءِ مَا بُشِّرَ بِهِ أَيُمْسِكُهُ عَلَى هُونٍ أَمْ يَدُسُّهُ فِي التُّرَابِ أَلاَ سَاء مَا يَحْكُمُونَ
59
তাকে শোনানো সুসংবাদের দুঃখে সে লোকদের কাছ থেকে মুখ লুকিয়ে থাকে। সে ভাবে, অপমান সহ্য করে তাকে থাকতে দেবে, না তাকে মাটির নীচে পুতে ফেলবে। শুনে রাখ, তাদের ফয়সালা খুবই নিকৃষ্ট।
لِلَّذِينَ لاَ يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ مَثَلُ السَّوْءِ وَلِلّهِ الْمَثَلُ الأَعْلَىَ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
60
যারা পরকাল বিশ্বাস করে না, তাদের উদাহরণ নিকৃষ্ট এবং আল্লাহর উদাহরণই মহান, তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। )
সূরা তাকভীর ৭-১০
(
وَإِذَا النُّفُوسُ زُوِّجَتْ
07
যখন আত্মাসমূহকে যুগল করা হবে,
وَإِذَا الْمَوْؤُودَةُ سُئِلَتْ
08
যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে,
بِأَيِّ ذَنبٍ قُتِلَتْ
09
কি অপরাধে তাকে হত্য করা হল?
وَإِذَا الصُّحُفُ نُشِرَتْ
10
যখন আমলনামা খোলা হবে, )
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। পবিত্র কোরানের আয়াত সমূহের পাশাপাশি এই আয়াত সমূহ কিভাবে মোল্যা শ্রেনীর মানসিকতা পরিবর্তনে ভুমিকা রাখতে পারে সে বিষয়ে আপনার নিজের বক্তব্য শুনতে পারলে ভাল লাগত। যদি আপনার হাতে সময় থাকে আশাকরি আলোচনা করবেন।
৩০| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১৫
এস বাসার বলেছেন: নিজের ভেতরের মোল্যাকে কেউই প্রকাশ্যে আনতে চায় না। যদিও মুখে সারক্ষনই আধুনিকতা আর প্রগতিশীলতার খই ফুটে।
আচ্ছা, আমাদের এই সমাজ কিভাবে "দূর্বল পানির প্রোডাক্টকে" গ্রহন করবে? কিংবা কেনই বা "সবল পানির পানির প্রডাক্ট" এর জন্য এত হাহাকার?
কারনটা সামাজিক ও অতি অবশ্যই অর্থনৈতিক এবং সম্পত্তির উত্তরাধীকারিত্ব। আপনার যদি ছেলে না থাকে, তাহলে আপনার সম্পত্তিতে আপনার মেয়ে কখনই পূর্ণ অধিকার পাবে না। সুতরাং আমার অর্জিত সম্পত্তিতে আমার সন্তান ( দূর্বল পানির প্রডাক্ট) এর যখন পূর্ন অধিকার নেই, তখন ভেতরের মোল্যাকে সামলাই কিভাবে???
ধ্যুত্তরি..... কি লিখতে গিয়ে কি লিখে ফেললাম !
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৩১
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন:
৩১| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৫২
তাসজিদ বলেছেন: অদ্ভুদ সুন্দর ষার গাথুনি আপনার।
কিন্তু অশ্লীল কিছু ত খুজে পেলাম না।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:০৮
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ তাসজিদ আপনাকে।
৩২| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৩৯
তাসলিমা আক্তার বলেছেন: দেরী করে পড়া হলো। সমাজের কালো অংশটাকে তুলে এনেছেন। নিজের অক্ষমতার দোষ চীরকালই বর্তায় দুর্বলের উপর। খুবই ভালো লিখেছেন। শব্দের কোনো অশ্লিলতা নেই। ব্যাপারটা নির্ভর করে কিভাবে প্রেজেন্ট করা হচ্ছে। আপনি শব্দগুলো প্রয়জনে ব্যাবহার করেছেন।
মন্তব্যে কেউ কেউ দেখলাম "মোল্যা" শব্দটিকে ধর্মের সাথে গুলিয়ে ফেলেছেন। এ আরেক ল্যাঠা। কোথায় কোথায় যে মানুষ ধর্মের গন্ধ পায়! সকল কুসংস্কারের অবসান হোক।
শুভ কামনা।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫১
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: সকল কুসংস্কারের অবসান হোক- এটাই কামনা করি।
৩৩| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
অাল-ইসলাম বলেছেন: আপনি যেসব বিষয় তুলে ধরেছেন তাতো সেই অন্ধকার যুগের কুসংস্কারের প্রতিচ্ছবি!
আরবের আইয়ামে জাহেলিয়ার যুগে কন্যা সন্তানকে জীবিন মাটিতে প্রোথিত করা হত।
নারীকে বাজারে বিক্রি করা হত, তাদেরকে কেবল যৌনদাসী হিসেবেই দেখা হত।
সে অবস্থার পরিবর্তন ঘটালো একমাত্র এবং কেবল মাত্র ইসলাম।
অাজ সেই ইসলামকেও কেউ কেউ কুসংস্কার বলে উপস্থাপন করতে ব্যস্ত!
জমির আগাছা পরিস্কার করতে গিয়ে ফসল নষ্ট করার মত ব্যাপার আরকি!
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৩
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ভাইজান আমি আইয়ামে জাহেলিয়ার কথা বলিনাই। আমি আমার নিজের যুগে দেখা মানুষের মানসিকতার কথা বলেছি।
৩৪| ০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৬
মুদ্দাকির বলেছেন: ভাই আলোচনার কিছু নাই, উচিৎ হচ্ছে যে মানুষটা স্ত্রী সংগমের আগে দুয়া পড়বে কিন্তু নিজের মন মত কুরয়ানে র আয়াতের সতর্কতা কানেনিবে অথবা মনে নিবে না, তাদেরকে রাষ্ট্রের দাইত্তে হত্যা করা উচিত।
০৪ ঠা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৪৯
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: রাষ্ট্রের দাইত্তে হত্য়া করা উচিত- এই কথা কি আপনি সুস্থ মস্তিষ্কে বললেন জনাব মুদাক্কির?
৩৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
এই রকম মেয়ে সন্তান বিদ্বেষ ধর্ম বর্ণ ভেদে অনেক অবুঝ মানুষের মাঝে আজও বিদ্যমান। খুবই দুঃখজনক।
০৫ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৭
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: আসলেই দূঃখজনক।
৩৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:০৫
মহা সমন্বয় বলেছেন: জাষ্ট অসাম.. এছাড়া আর কি বলব?
আমাদের সমাজের প্রকৃত রুপটাই তুলে ধরেছেন।
ধন্যবাদ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:২৩
হঠাৎ ধুমকেতু বলেছেন: ধন্যবাদ মহা সমন্ব্য়।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: শকিং।