![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে সত্য ও সুন্দরের আশ্রয়ে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে চায় আমি তাদের দলে। মানবতার কল্যানই আমার একমাত্র কাম্য,স্বপ্ন ও সাধনা।
¯্রষ্টা প্রদত্ত কোন বিধানের মত নির্ভূল, উৎকৃষ্টতম, যথাযথ ও ভারসাম্যপূর্ণ বিধান কেউ তৈরী করতে সক্ষম নয়। ¯্রষ্টার বিধানের শ্রেষ্ঠত্বের কোন তুলনাই হতে পারে না। ¯্রষ্টা প্রদত্ত কোন বিধানের উপর প্রশ্ন উত্থাপন করা বড়ই স্পর্ধার বিষয়। তবে কোন বিধান ¯্রষ্টা প্রদত্ত বলে দাবি করা হলে, সেটা আসলেই ¯্রষ্টা প্রদত্ত কিনা তা যাচাই করা অন্যায় তো নয়ই বরং স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধির দাবি। বুদ্ধিমানেরা যাচাই-বাছাই করে কোন কিছু গ্রহণ-বর্জন করে থাকে, আর বোকারা অন্যের তালে তালে/বংশ প্রীতির কারনে/আবেগ তাড়িত হয়ে কোন কিছু গ্রহণ-বর্জন করে থাকে।
আমি মুসলিম বংশে জন্মগ্রহণ করেছি। তবে আমি মনে করি না এটা বুদ্ধিমত্তার কাজ কোন কিছু যাচাই-বাছাই না করে অন্ধভাবে অনুসরণ করা। ইসলামকে বলা হয় ¯্রষ্টা প্রদত্ত বিধান। কিন্তু আমি ইসলামের বিভিন্œ বিধান দেখে মানতে পারছি না যে এ বিধান ¯্রষ্টা প্রদত্ত। ইসলামের যে সকল বিধান আমার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ বলে প্রতিয়মান হয় তা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো। ইসলামের এরুপ প্রশ্নবিদ্ধ বিধানের সংখ্যা দু’য়েকটি তা নয়- এর সংখ্যা অনেক। প্রত্যেকটি বিষয় ব্যপক আলোচনার দাবি রাখে। একে একে সব বিষয় আলোচনা করবো। তবে কেউ যদি যৌক্তিক ব্যাখা দিয়ে আমার বক্তব্যর কোন ভূল ধরে দিলে অবশ্যই তা শুধরে নিতে সদা প্রস্তুত।
ইসলামে নারী অধিকার দিয়েছে বলতে যদি বুঝায় ১৪০০ বছরে তৎকালীন সমাজে নারীদের যে অবস্থা ছিল তার তুলনায় নারীদের কতটুকু অধীকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো অবশ্যই সে তুলনায় ইসলামে নারীদের অনেক অধীকার দিয়েছে। যদি প্রশ্ন করা হয় অন্য ধর্মের তুলনায় ইসলামে নারীদের কতটুকু অধিকার দিয়েছে, আমি বলবো সে বিতর্কে হয়ত আপনি প্রমাণ করতে পারবেন ইসলামে অনেক বেশি নারী অধীকার দিয়েছে। কিন্তু আপনি যদি প্রশ্ন করেন মানুষ হিসাবে ইসলামে নারীদের কতটুক অধিকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করেছে।
ইসলামে নারীদের উপর পুরুষদেরকে কতৃত্বশীল করেছে। পুরুষ পরিচালক,নারী তার অধীনস্ত। পুরুষরা যাতে নারীদের উপর কর্তৃত্ব খাটাতে পারে সে জন্য পুরুষদের হাতে দেয়া হয়েছে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব। এ নীতি সম্পর্কে আল ক¦ুরআনের বক্তব্য লক্ষ্য করুন( প্রসঙ্গ বুঝার জন্য সম্পূর্ণ আয়াত তুলে ধরলাম):
পুরুষ নারীর র্কতা। এ জন্য য,ে আল্লাহ তাদরে একজনকে অন্য জনরে ওপর শ্রষ্ঠেত্ব দান করছেনে এবং এ জন্য য,ে পুরুষ নজিরে ধন-সম্পদ ব্যয় কর।ে কাজইে সতী-সাধ্বী স্ত্রীরা আনুগত্যপরায়ণ হয় এবং পুরুষদরে অনুপস্থতিতিে আল্লাহর হফোজত ও তত্বাবধানে তাদরে অধকিার সংরক্ষণ করে থাক।ে৫৮ আর যসেব স্ত্রীর ব্যাপারে তোমরা অবাধ্যতার আশঙ্কা করো, তাদরেকে বুঝাও, শয়নগৃহে তাদরে থকেে আলাদা থাকো এবং তাদরেকে মারধোর করো।৫৯ তারপর যদি তারা তোমাদরে অনুগত হয়ে যায় তাহলে অযথা তাদরে ওপর নর্যিাতন চালাবার জন্য বাহানা তালাশ করো না। নশ্চিতিভাবে জনেে রাখো, আল্লাহ ওপরে আছনে, তনিি বড় ও শ্রষ্ঠে। (সূরা আলে ইমরান:৩৪)
তালাক প্রাপ্তাগণ তনিবার মাসকি ঋতুস্রাব র্পযন্ত নজিদেরেকে বরিত রাখব।ে আর আল্লাহ তাদরে র্গভাশয়ে যা কছিু সৃষ্টি করছেনে তাকে গোপন করা তাদরে জন্য বধৈ নয়। তাদরে কখনো এমনটি করা উচতি নয়, যদি তারা আল্লাহ ও পরকালে বশ্বিাসী হয়, তাদরে স্বামীরা পুনরায় সর্ম্পক স্থাপনে প্রস্তুত হয়, তাহলে তারা এই অবকাশ কালরে মধ্যে তাদরেকে নজিরে স্ত্রী হসিবেে ফরিয়িে নবোর অধকিারী হব।ে২৪৯নারীদরে জন্যও ঠকি তমেনি ন্যায়সঙ্গত অধকিার আছে যমেন পুরুষদরে অধকিার আছে তাদরে ওপর। তবে পুরুষদরে তাদরে ওপর একটি র্মযাদা আছ।ে আর সবার ওপরে আছনে আল্লাহ র্সবাধকি ক্ষমতা ও র্কতৃত্বরে অধকিারী, বচিক্ষণ ও জ্ঞানী। (সুরা বাক্বারা:২২৮)
আপনি হয়ত আমার অভিযোগ অস্বীকার করে বলবেন ইসলামে পুরুষকে শাসক করেনি বরং ইসলাম বলে নারী-পুরুষ পরস্পর পস্পরের বন্ধু ও সাথী। আপনাকে প্রথমে স্বীকার করতে হবে পুরষদেরকে নারীদের পরিচালক/কর্তৃত্বশীল করেছে। আপনি বলবেন পুরুষকে যেহেতু নারীর যাবতীয় খরচ বহনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, স্বাভাবিকভাবেই পরিচালনার দায়িত্ব তার উপরে চলে আসে। আমি বলব আমার অভিযোগ এখানেই। অর্থ কর্তৃত্ব খাটানোর প্রধান হাতিয়ার। এ অর্থনেতিক কর্তৃত্ব আরো বেশি করে দিতে ইসলাম উত্তারাধিকার সুত্রে পুরুষের অংশ (৯৫% ক্ষেত্রে) নারীর দ্বিগুন নির্ধারন করেছে। আপনাকে যদি প্রস্তাব দেয়া হয় আপনি কারো অধীন হয়ে থাকবেন, যার অধীন হবেন তিনি আপনার সার্বিক খরচ নির্বাহ করবেন। এমনকি মালিকের মৃত্যুর পর মালিকের সম্পদের ভাগের একটি অংশ আপনি ( পেনশন স্বরুপ বা যে নামেই হোক)। একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে চিরজীবন আপনি অধিনস্ত। আপনি কি এমন অধিনস্ত হতে পছদ করবেন?
পুরুষদের কর্তৃত্বশীল করার দি¦তীয় কুফল: যখন একটি নারী ছোট বেলা থেকে বড় হয় এ ভেবে যে সে যত যোগ্যতাই অর্জন করুক না কেন তার কোন মূল্য নেই, যখন তার বিবাহ হবে তাকে তার স্বামীর অধীনে চলে যেতে হবে - এ ভাবনা নারীর প্রতিভা বিকাশের প্রধান বাধা। একজন পুরুষ যখন বড় হয় তখন সে ছোট থেকেই তার উজ্জ্বল ক্যরিয়ার গড়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে। এ স্বপ্ন তার প্রতিভা বিকাশে তাকে বহুদুর এগিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া একজন পুরুষ কর্মজীবনে এসে তার কর্মের মাধ্যমে সে তার যোগ্যতার বিকাশ ঘটিয়ে থাকে। উল্লেখ্য, বই পড়ে মানুষ যে বিদ্যা অর্জন করে তার চেয়ে অনেক বেশি বিদ্যা অর্জন করে কর্মজীবনে তার কর্মক্ষেত্রে বাস্তব প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে। একটি ৫ম শ্রেনি পাস করা ছেলেও যদি রাষ্ট্র প্রধাণদের সাথে ছোট বেলা থেকে চলা-ফেরার সুযোগ পায় এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে সে ছেলে বয়স্ক হলে যদি তাকে রাষ্ট্র প্রধাণ বানানো হয় সে যথারিতী রাষ্ট্র পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। অপরপক্ষে এম, এ পাস তুখর মেধাবী এক গরীব যুবক যে কোনদিন কোন রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত হয়নি তাকে যদি হঠাৎ রাষ্ট্র প্রধাণ বানানো হয় তাহলে রাষ্ট্রের কি অবস্থা হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একজন পুরুষ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে ইন্টারএকশন এর ফলে তার বিভিন্ন বিষয় ব্যবস্থাপনাগত যোগ্যতাও বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে এ ধরনের নীতির সমাজে প্রথমত নারীরা শিক্ষার্জনের প্রতি আগ্রহ তো হারিয়ে ফেলে। দি¦তীয়ত:তাদের কর্মজীবন বলতে সাংসারিক জীবনই সব যেখানে রান্না-বান্নার বিদ্যা ভালো করে রপ্ত করতে হয়। রান্না-বান্না ও ঘর গোছানোর পর অতিরিক্ত সময়টি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কার স্বামী ও কার ছেলে-মেয়ে কেমন ইত্যাদি সব গাল-গল্পে কাটে। এ সকল গাল গল্পের মাঝে বিভিন্ন প্রকার পশ্চাদ আলোচনা-সমালোচনা, পরনিন্দা ইত্যাদি স্থান পায় যা বিভিন্ন ধরণের ঝগড়া বিবাদে বেশ ভালোই অবদান রাখে। আর যেহেতু তারা বাস্তব কর্মজীবনে প্রবেশের সুযোগ পায় না, এ ধরনের সমাজে নারীদেরকে সমাজের বা কোন প্রতিষ্ঠানের কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়।এ ধরনের পরিবেশে বড় হওয়ায়, নারীরা নিজেদেরকে মনে করে সংসার করাই তাদের একমাত্র কাজ ও যোগ্যতা। সমাজের কোন সম্মানজনক কোন পদে অধিষ্ঠিত হওয়া তাদের কাজও নয় এবং যোগ্যতাও নেই। হঠাৎ কোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলায় নারীরা সক্ষম নয়। এ যোগ্যতা থাকবেই বা কি করে-ছোট বেলা থেকে যে পরিবেশে ও মনমানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছে সেরুপই হওয়ার কথা। মানসিকতা অর্ধেক যোগ্যতা কেড়ে নেয়।যে সিংহ শাবক ভেড়ার পালের মধ্যে বড়, সে সিংহ কখনও সিংহসুলভ আচরণ করতে সক্ষম হয় না।কারণ সে সিংহ জানেই না যে সে সিংহ।তাছাড়া সে তো ভেড়ার আচরন রপ্ত করেছে, সিংহের সাহসিকতা ও কার্যাবলী তো সে শেখেইনি। ছোট বেলা থেকেই মেয়ে শিশুদের সকল পরিস্থিতি থেকে আলাদা করে রাখা হয়। দায়িত্বশীলতামূলক সকল কাজ ছেলে সন্তান দিয়ে করানো হয়, আর শুধু সাংসারিক কিছু কাজ মেয়েদের দিয়ে করানো হয়। সুতরাং পুরুষেরা সকল পরিস্থিতি মোকাবেল, সামাজিক ইন্টারএকশন, ও ব্যবস্থাপনাগত যোগ্যতা রপ্ত করতে করতে বড় হয়ে থাকে। পুরুষেরা সামাজিক বিভিন্ন যোগ্যতা লাভ করছে উভয় দিক দিয়ে- মানসিক ও বাস্তব কর্মক্ষেত্রের মাধ্যমে। কেউ প্রশ্ন করবেন আমি যে ধরনের সমাজের কথা বলছি তাতে নারী-পুরুষের অবাধ মেলা-মেশার সুযোগ দিতে হবে। আর এরুপ সুযোগ দিলে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক (যেমন-ইভটিজিং,ধর্ষন ইত্যাদি) সমস্যার উদ্ভব হবে।আমার এখানে আলোচনার বিষয় ইসলামের এ বিধানে কি কি সমস্যা রয়েছে তা ব্যখ্যা করা, এ বিধান থেকে বের হলে কি কি সমস্যা হবে এবং তার সমাধানই বা কি সেটা আলাদা আলোচনার বিষয়। আপনাকে আগে বুঝতে হবে যে এ বিধানে কি কি সমস্যা ও ক্ষতি রয়েছে। এ বিধান না মানলে কি কি সমস্যার উদ্ভব ও তার কি কি সমাধান হতে পারে তা নিয়ে আরেকটি প্রবন্ধে আলোচনা করবো।
কেউ কেউ প্রশ্ন বলবেন নারীরা সৃষ্টিগতভাবে সকল কাজের যোগ্য নয়। তাদের শারীরিক গঠন ও প্রকৃতি সকল কাজের উপযুক্ত নয়। হ্যা,এটা সত্য যে নারীরা শারীরিক গঠনগত দিক ও প্রকৃতিগতদিক থেকে কিছুটা ভিন্ন। তাই বলে তারা সামাজিক সকল কর্মক্ষেত্রের যাওয়ার অযোগ্য, পুরুষের অধীনস্ত থাকতে হবে তা বলা যৌক্তিক নয়। আমাদের সমাজের পুরুষেরা যে সকল কাজ করে তার প্রায় সকল কাজ একজন নারী করতে সক্ষম যদি সে সে ধরনের পরিবেশ,পরিপার্শি¦কতা ও মনমানসিকতা নিয়ে বড়হ য়।
তৃতীয় ক্ষতি: একটি দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হল মানব সম্পদ। মানুষ বলতে নারী-পুরুষ উভয়কে বুঝায়। এ ধরনের সমাজে যেহেতু নারীরা কর্মজীবনে আসে না, দেশ ও জাতী তাদের সুপ্ত মেধা ও যোগ্যতার সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। জাতীর মহামূল্যবান সম্পদ ঘরে আবদ্ধ থেকে অপচয় হয়। একটি জাতীর অর্ধেক সম্পদ থেকে সে জাতী বঞ্চিত হয়।
চতুর্থ ক্ষতি:এ ধরনের সমাজে নারীরা নির্যাতন ও নিগৃহতের শিকার হয়। যেহেতু তারা পুরোপুরি পুরুষ নির্ভর, তারা মুখ উচু করে কথা বলতে পারে না। স্বামীর হাতে নির্যাতীত হওয়ার পাশাপাশি শশুর-শাশুরী ও শশুর বাড়ীর নিকটস্থীয়দের কর্তৃকও নির্যাতীত হয়ে থাকে।
আমার এতটুকু লেখার উপর সাম্ভাব্য যে প্রশ্ন উত্থাপিত হতে পারে তার উত্তর দিচ্ছি:
১.ইসলামে নারীকে চাকরী করার অনুমতি দেয়। ইসলাম নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে এমন সকল ক্ষেত্রে নারীদেরকে নের্তৃত্ব দেয়ার অনুমতি দেয়। নারীরা এমনকি নারী বিষয়ক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হতে পারে। ইসলামে জ্ঞানার্জন করা নারী-পুরুষ সকলের উপর ফরয করেছে। সুতরাং জ্ঞানার্জনের নারীদেরকে ইসলাম উৎসাহিত করে। হযরত আয়েশা (র ছিলেন একজন মুহাদ্দিস। অতএব আমার অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন।
জওয়াব: ইসলামে নারীকে চাকরি করার অনুমতি দেয় স্বামীর দয়ার উপর। স্বামী অনুমতি না দিলে স্ত্রী চাকরি করতে পারবে না। আর স্ত্রী চাকরি করবেই বা কেন, যেহেতু স্বামী থেকে সবকিছু পাচ্ছে। আর যদি কর্তৃত্বের জন্য চাকরি করে, তা তো ইসলামে বৈধ হবে না, কারন স্বামীর আনুগত্য ফরয। বর্তমানে আমাদের দেশে নারীদের চাকরিতে আসার একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ প্রবণতার মুল অবদান আধুনিক নারী অধীকার আন্দোলনকারীদের। আমি নারী অধিকার আন্দোলনকারীদের বলছি না তারা অনেক ভাল/খারাপ।আমি শুধুমাত্র সত্য তুলে ধরলাম। বর্তমানে আমাদের দেশে নারীদের যতটুকু কর্মক্ষেত্রে আসতে দেখা যাচ্ছে তার অনেকটা অবদান তাদের। পুরুষদের অথনৈতি কর্তৃতে¦র কারনে দীর্ঘদিন যাবৎ নারীরা মুখবুজে নির্যাতন সহ্য করে আসছে। আপনি হয়ত বলবেন নারীরা নির্যাতিত হলে তার জন্য ইসলাম প্রতিকার নারীকে দিয়েছে। প্রথমত নারী সালিসির মাধ্যমে মীমাংসা করার চেষ্টা করবে। মীমাংসা না হলে সে তালাক চেয়ে নিতে পারে। নারীকে অধিনস্ত করে দিয়ে তারপর নির্যাতিত হলে তা থেকে বেরিয়ে আসার এ সমাধান যথার্থ নয়। কারন প্রাথমিক কিছু নির্যাতন আছে যার প্রতিকারে সালিসি ডাকাও সম্ভব নয়। কাজের জন্য স্বামীর বা শশুর-শাশুরীর অন্যায়ভাবে বকা-ঝকা, বিভিন্ন সময় অপমানজনক কথা ইত্যাদি আচরনের মাধ্যমে পরিবারের দি¦তীয় শ্রেনীর সদস্য হিসাবে গণ্য করা প্রাথমিক নির্যাতনের আওতায় পড়ে। দ্বিতীয় স্তরের নির্যাতন হলে সালিশি ডাকা সম্ভব। কিন্তু সেখানে কতটুকু ন্যায় বিচার পাবে তা প্রশ্ন থেকে যায়। আর ন্যায় বিচার না পেলেই যে তালাকের পথে হাটা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠে না। তাছাড়া আদালতের জটিলতা তো আছেই। সামাজিক মান সম¥ানের বিষয় আছে। তাছাড়া তালাক গ্রহণ করলে তালাকের পর সন্তানেরা পিতা থেকে আলাদা হওয়াই তাদের মানসিক সুষ্ঠ বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। এ মহিলার পক্ষে আবার বিবাহ সম্ভব হয় না। আবার বিবাহ হলেও পূর্বের স্বামীর সন্তানেরা সমস্যার সম্মুখিন হয়। তালাকাবস্থায় জীবনটা মনে হয় যেন অভিষাপের। মেয়ে সন্তান থাকলে তাদের ভালো পাত্রে বিবাহ দেয়া বেশ কঠিন হয়ে দাড়ায়। ইত্যাদি বিবেচনায় একজন নারী স্বামীর নির্যাতন থেকে বাচতে তালাকের পথে হাটার বদলে নির্যাতন সয়ে জীবন কাটানোই ঢের ভাল মনে করে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে ইসলাম নারীকে পুরুষের অধীনস্ত রেখে তারপর তারা নিগ্রহিত হলে তা থেকে বাচার যে উপায় বাতলে দিয়েছে তা যথার্থ নয়।
এবার আসি নারী নেতৃত্বের বিষয়ে। নারী বিষয়ক মন্ত্রীত্ব বা নারী বিষয়ক হাতে গোনা কয়েকটি পদে আসতে পারাটা কখনো এ অর্থ করে না যে নারীরা সামাজিক সম¥ানজনক পদে অধিষ্ঠিত হতে পারে।
ইসলাম জ্ঞানার্জন নারী-পুরুষ উভয়ের উপর জ্ঞানার্জন ফরয করেছে। প্রশ্ন হল কোন কোন বিষয়ের কতটুকু জ্ঞানার্জন ফরয। জ্ঞানার্জন ফরয ফলতে কি ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পাস না এম এ পাস করা ফরয? প্রত্যুত্তরে আপনি হয়ত বলবেন ইসলামের মৌলিক জ্ঞানার্জন ফরয। ইসলামের মৌলিক জ্ঞান বলতে নিশ্চয় ইসলামের ফরয বিধান ( যেমন-নামায,রোযা, হজ্জ,যাকাত,জিহাদ ইত্যাদি) ও মৌলিক আকিদা (যেমন-ইমান,ইসলাম,আখিরাত,কিতাব,ফেরেশতা ইত্যাদি) সম্পর্কে জ্ঞানার্জন বুঝায়। এতটুকু জ্ঞানার্জন করলে ফরয তো আদায় হয়ে যায়। বাকি জ্ঞানার্জন মুস্তাহাব। মুসলিব পরিবারগুলো নারীদেরকে বড়জোর একটি হুজুরের অধীনে এতটুকু জ্ঞানার্জন করে ছেড়ে দেবে। আমি বলি নাই যে ইসলাম সরাসরি নারীদের জ্ঞানার্জনে নিষেধ করেছে। আমার বক্তব্য হল নারীদের স্বামীর অধীনস্ত থাকার ইসলামের যে বিধান তা পরোক্ষভাবে নারীদেরকে শিক্ষার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করে। যেহেতু স্বামীর উপার্জনের উপর সে পুরোপুরি নির্ভরশীল তাই ক্যারিয়ার নিয়ে তার কোন স্বপ্নই নেই। বেশি দুরে যেতে হবে না পনের/বিশ বছর আগে বাংলাদেশের নারীদের কি অবস্থা ছিল প্রত্যেক সচেতন বয়স্ক ব্যক্তি জানে। তখন প্রত্যেক পরিবারে ইসলাম ধর্মের প্রভাব বেশি ছিল।
নারী মুক্তি আন্দোলন শুরু হল। তারা চাইল নারীরা ঘরের বাইরে আসুক। তারা কর্ম সচেতন হউক। তারা স্বনির্ভর হলে, স্বামীদের প্রভাব কমে আসবে। তখন স্বামীরা তথা পুরুষেরা একপেশে ভাবে তাদেরকে শোষন করতে পারবে না। এ আন্দোলনের ফলে আজ অনেক নারী কর্মজীবি হয়েছে। এ আন্দোলন শুরু হওয়ায় তখন আলেম সমাজ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ল এ ভেবে যে এ আন্দোলন ইসলামে নারী অধিকার সম্পর্কে যে বিধান রয়েছে তার প্রতি জনমনে বিরুপ প্রভাব পড়বে। তা থেকে রক্ষার জন্য তখন থেকে ইসলামে নারী অধিকার এ বিষয়ে ব্যপক লেখা-লেখি ও বক্তব্য বিবৃতি দেয়া শুরু হয়। এতকাল যে আমাদের দেশে নারীরা নির্যাতীত হচ্ছিল তখন নারী অধিকার সম্পর্কে আলেমদের লেখা-লেখি বক্তব্য-বিবৃতি কিছুই ছিল না। বরং নির্যাতীত নারীরা আলেমদের কাছে প্রতিকার চাইলে তাদের অনেকে এ বলে সান্তনা দিত যে স্বামীর কিছু বকা বা প্রহার করলে প্রতিবাদ করতে হয় না, তাতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। তোমরা ধৈর্য্য ধর, আল্লাহ ধের্যশীলদের সাথে আছেন। কোন কোন নারী অভিযোগ দিলে বরং বঞ্চনার শিকার হতো এ বলে যে স্বামী বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়া অসতি নারীর কাজ। স্বামীর সন্তুষ্টির জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাওয়া বড়ই পূন্যের কাজ। এমনকি এ প্রচারও করা হত যে ’স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেস্ত’। স্ত্রীর জন্য স্বামী কি করবে সে বক্তব্য খুব কমই হত। স্ত্রী স্বামীর সেবায় একনিষ্ঠভাবে নিজেকে নিবেদিত করবে- এমন বক্তব্য আপাত শুনতে ভালই শোনায়। কিন্তু এর পরিণতি অনেক খারাপ হয়ে থাকে। পুরুষদের মধ্যে এ প্রভুত্বসুলভ প্রবণতা তৈরি হয়, আর নারীরা অধীনতামুলক মানসিকতা নিয়ে বড় হয়। যাহোক বলছিলাম নারীবাদী আন্দোলনের ফলে নারীদের এক বৃহদাংশ ঘরের বাইরে আসতে শুরু করে। পর্যায়ক্রমে যারা এ নারীবাদীদের এ আন্দোলনের ঘোর বিরোধী ছিল তারাও তাদের মেয়েদের এখন চাকরি বাকরিতে উৎসাহিত করছে। এখন যে সব নারীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে তাদের মুল ইচ্ছা থাকে যে তারা চাকরি করবে, স্বনির্ভরশীল হবে, এবং তাদের এ অর্থনেতি শক্তি দ¦ারা স্বামীর প্রভুত্ব প্রতিহত করবে। এ বাসনা শুধু সাধারণ নারীরাই করে তা নয়, বরং আমি নিজে এমন অনেককে দেখেছি যারা ইসলামী আন্দোলন করে, মুখে ইসলামে নারী অধিকারের বক্তব্য দিয়ে বেড়ায়,অথচ নিজে চাকরি করে এ নিয়তে যাতে সে স্বামীর উপরও প্রভুত্ব করতে পারে। এটা আমার অনুমান নয়,তাদের নিজ মুখে স্বীকারক্তি।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৫৫
সজা১২৩ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনা মন্তব্যর জন্য। প্রথমে বলতে চাই আপনি বলেছেন আমি GOD কে দায়ী করেছে।এটা আপনার আমার বক্তব্য বুঝার ভূল।GOD কে দায়ী করার মত স্পর্ধা আমি দেখাতে যাবো কেন?
আপনি অনুবাদকে দায়ী করেছেন।আমিও মানি অনুবাদ কখনো শত পার্সেন্ট যথার্থ হতে পারে না। আমি নিজে আরবী ভাষা জানি। সুতরাং কুরআনে উক্ত আয়াতগুলোর অর্থ আমি নিজের থেকে বুঝি। তবে আপনার সম্পুর্ণ মন্তব্যের উত্তর আমি আরেকটি প্রবন্ধ লিখে দিব। তবে যার যুক্তি দিয়ে কথা বলে, তারা আমার লেখার বিরোধীতা যুক্তি দিয়ে করলে, আমি তাদেরকে সাধুবাদ জানাই এবং ভালবাসি।
২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০২
সজা১২৩ বলেছেন: আমার বিস্তারিত মন্তব্য:
ভাই, আপনি কুরআনকে ভালবাসেন এ কারনে কুরআনের এমন কোন বক্তব্য যা প্রমান করে ইহা মানবীয় বক্তব্য, যে বক্তব্য অনুসরণ করলে মানবতার জন্য ক্ষতিকর তা শুনলে মনে ব্যাথ লাগে। আমার এরুপ ব্যাথা লাগত এবং কুরআনের আয়াতের এমন ব্যাখ্যা খুজতাম যা মানবতার জন্য কল্যাণকর। আমি নিজেও এরুপ ব্যখ্যা করতাম। যারা এ ধরনের ব্যাখ্যা দিত তাদেরকে পছন্দ করতাম। এ ধরনের ব্যখ্যা যারা দেন তাদের মধ্যে অগ্রগামি হল মাওলান মওদূদী, ড: জাকির নায়েক এবং কুরানিস্ট (যারা হাদিস শাস্র বর্জনে বিশ্বাসি)। এদের বক্তব্য যুক্তি নির্ভর হওয়াই এরা জনপ্রিয় (যদিও কুরানিষ্টরা এখনও বেশি পরিচিতি লাভ করেনি)। তবে সত্য খুজে পেতে হরে সর্বপ্রথম নিজের মনের অভ্যান্তর থেকে পক্ষপাতমূলক সবরকম ঝোক প্রবণতা ঝেড়ে মুছে একেবারে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বিশ্লেষণ করতে হবে। ধরুন আপনি যদি মুসলিম হন আর হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে উক্ত ধর্মের বিশেষ কোন বক্তব্য গ্রহণ বা বর্জন করতে হলে আগে মনে মনে কল্পনা করবেন যে আপনি উক্ত ধর্মের পক্ষের লোক হলে তার কিরুপ ব্যাখ্যা করতেন। এরুপ চিন্তা আপনাকে নিরপেক্ষ চিন্তা করতে সাহায্য করবে।
এবার আসি আসল কথায়। আমার অভিযোগ একটি বিষয়ে ছিল তা হল ইসলাম পুরুষকে নারীর সকল খরচ বহনের দায়িত্ব দিয়েছে। আর নারীকে বলেছে পুরুষের অনুগত থাকতে। এ নির্দেশনাটি সুরা নিসার ৩৪ নং আয়াতে বিবৃত হয়েছে। যত সুন্দর ভাষায় অনুবাদ করুন না কেন আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না যে পুরুষকে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব দেয়া হয়নি। আপনি এ কর্তৃত্ব শুনতে রুঢ় লাগে তাই কর্তৃত্ব না বলে দায়িত্ব বলতে পছন্দ করবেন। আপনি দায়িত্ব বলেন বা যাই বলেন যখন কাউকে অর্থ শক্তি দেয়া হয় তখন সে ভাল মানুষ হলেও কিছু না কিছু কর্তৃত্ব জাহির করে, আর খারাপ মানুষ হলে যে কি আচারন করে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
আপনি লিখেছেন “Regarding the financial authority, God balances between man and women.” এই ব্যালেন্স বলতে কি আপনি কি বুঝিয়েছেন তা পরিস্কার করে বলেননি। এ ব্যালেন্স বলতে কি আপনি বুঝিয়েছেন পরিবারের খরচ বহনের দায়িত্ব স্বামী/স্ত্রী উভয়ের 50%/50% হারে? বিষয়টি পরিস্কার করবেন।
আপনি আমার লেখার একটি লাইন কোট করে মন্তব্য করেছেন যে তার রেফারেন্স কি? আপনার মন্তব্য ছিল এরুপ “You wrote “একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে চিরজীবন আপনি অধিনস্ত। আপনি কি এমন অধিনস্ত হতে পছদ করবেন?” Does GOD says it? if yes please give references”
আমার বক্তব্যের রেফারেন্স লেখার শুরুর দিকে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা ছিল। উক্ত রেফারেন্সের অনুবাদ আপনি পুনরায় করেছেন এই বলে যে কুরআনের প্রচলিত অনুবাদগুলোতে প্রচুর ভূল রয়েছে যা কুরআনের অনেক বক্তব্যর অর্থ বিকৃত হয়েছে। আমি আপনার এ মন্তব্যের সাথে একমত। তবে সুরা নিসার যে অনুবাদ আপনি গ্রহণ করেছেন তাও তো আমার বক্তব্যে ভূল প্রমানিত করে না। আমার একমাত্র অভিযোগ ছিল যে আল কোরআন পুরুষকে অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব দিয়েছে। আপনার অনুবাদ: The men are to support the women with what God has bestowed upon them over one another and for what they spend of their money-----”
The men are to supportmeans the men are to defray i.e financial responsibilities of the family lie upon the shoulder of husband.
এটা হল আপনার অনুবাদকে যদি আমি পুরোপুরি গ্রহন করি। আর দরবুন অর্থ কোথা থেকে পেলেন ‘separate from’? দরবুন শব্দটির অনেকগুলো অর্থ আছে, তবে তার একটি পৃথক কর নয়।
উত্তারাধিকার বিষয়ে আপনি একটি মন্তব্য করেছেন। আলোচনার একাধিক বিষয় একসাথে করার চেয়ে একটি একটি করে আলোচনা করা অধিকতর উত্তম। এ কারনে সে বিষয়ে আমার বক্তব্য এখন তুলে ধরলাম না। এ বিষয়টির পরে তা আলোচনা করবো।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:০১
মেলবোর্ন বলেছেন: সজা১২৩ আপনার কিছু প্রশ্নের উত্তর এখানে পাবেন আশা করি পোস্ট করা আছে বিধায় লিংক দিলাম এখানে মন্তব্য আকারে পোস্ট করলাম না
পুরুষরা হলো নারীদের প্রভু ও নারী শিক্ষা - আসলে কোরআণ কি বলে
http://www.somewhereinblog.net/blog/MetroTrains/29888852
২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৪
সজা১২৩ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:১৩
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: হুজুর মেলবোর্ন এর পোষ্ট এ কোন কমেন্ট করলেন না যে ? সেখানে আপনার একখানা সু-চিন্তিত মতামত আশা করেছিলাম।
৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ৩:৫৬
বেকার যুবক বলেছেন: ফলাফল যাই হোক, আপনার কথা বলা ও চিন্তার ধরন ভালো লাগলো। আশাকরি আমাদের যোগাযোগ হবে।
৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
আজাদী আকাশ বলেছেন: তাহলে তো বলতে হয় প্রভু শুধু নারী পুরুষে বৈষম্য করেননি। বরং পুরুষে পুরুষেও বৈষম্য করেছেন। যেমন ধরুন আমরা বলি জন্ম মৃত্যু বিয়ে ধন সম্পদ সবই আল্লাহর হাতে। তাহলে আমার কি এটা বলা ঠিক হবে যে, আল্লাহ আমাকে ধনীর ঘরে জন্ম না দিয়ে গরীব ঘরে জন্ম দিয়েছেন যে ধনীর দুলালের সাথে আমার বৈষম্য করেছে। আমি ধনীর ঘরে জন্ম নিলে আমি আরো ভাল হতে পারতাম। বিলাসী জীবন যাপন করতে পারতাম। আমার কালো স্ত্রী দিয়েছেন আর ওমুকের সুন্দরী স্ত্রী দিয়েছেন। তাহলে বলবেন না এখানে আমার সাথে বৈষম্য করা হয়েছে? আমাকে গরীব করেছেন আর ওমুককে ধনী করেছেন। তাহলে বলবেন কি এখানে আমার সাথে বৈষম্য হয়েছে কিনা? কেউ দশ বছর আবার কেউ একশ বছর বাচে। এখানেও কি বৈষম্য করা হয়েছে? আল্লাহ আমার চেহারা কালো কুৎসিত করেছেন বা বিকলাঙ্গ করেছেন আর ওমুককে খুবই সুন্দর করেছেন। এখানেও কি তাহলে বৈষম্য করা হলো? নারী গর্ভ ধারন আর সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় অবর্ণনীয় কষ্টের শিকার হয়। আপনার যুক্তির ধরণ দেখে মনে হচ্ছে নারীর পাশাপাশি পুরুষেরও গর্ভ ধারণ ও সন্তান প্রসব করার ব্যবস্থা করলে নারী পুরুষে একটা সমতা আসত। তা না হলে নারী আর পুরুষে বৈষম্য হয়ে যাবে না?
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৩৩
হানিফঢাকা বলেছেন: Dear Writer,
I have read your writing regarding the issue of women. You made a comment in the beginning that “কিন্তু আপনি যদি প্রশ্ন করেন মানুষ হিসাবে ইসলামে নারীদের কতটুক অধিকার দিয়েছে, তাহলে আমি বলবো ইসলাম নারী-পুরুষের মধ্যে বৈষম্য করেছে।“ I would like to know where do you find such discrepancies? Since GOD is not unjust, how come He makes discrepancies in His best creation? GOD gives appropriate right to HIS creation man and women, not equal, the appropriateness is according to GOD’s wisdom that is beyond anyone’s knowledge, and your writing implied that GOD makes injustice to women.
However, it is your belief without any proof. However, many people have the same attitude regarding the subject matter. There are several reasons behind this wrong concept.
Quran is translated according to people’s belief/ culture and more importantly sects. Fabricated supposed saying of prophet (s) is used to explain it. Therefore the meaning of Quranic message is twisted in many cases.
You quote, some verse from the Quran. You made mistake by giving reference. The actual reference is 4:34 (Chapter four, verse 34), not 3:34. And I don’t know what is 58, 59 etc inside the verse. The most accurate translation of the verse should be
The men are to support the women with what God has bestowed upon them over one another and for what they spend of their money. The upright females are devoted; keeping private the personal matters for what God keeps watch over. As for those females from whom you fear desertion, then you shall advise them, and abandon them in the bedchamber, and separate from them. If they respond to you, then do not seek a way over them; God is Most High, Great. (4:34)
The meaning of this verse is as follows:
1.Talk about it. This is obviously the simplest and healthiest method since it opens the communication channel between both parties.
2.Abstain from sharing the same bed. This is the 2nd approach the man is advised to use if they are unable to reconcile their problem as the lack of sexual contact may lead to the wife to cool down as intimate contact may simply inflame the situation if she is unable to stand her husband.
3.Separate from each other. The 3rd and final line of advice is designed as a 'cooling-off' period and is mainly designed to help the wife re-think and examine the situation closely without the physical presence of her husband.
Why should we blame GOD with the things what HE does not command us to do so. If any were to blame, it’s the Mullah who manipulates it and ourselves who without verifying accept it.
You quote a verse from 2:227. I don’t think it’s a proper way to quote a verse like this. Please summarize the whole message by bringing together all related verse. (Please see “How to Study Quran” in http://aslamto.wordpress.com)
You wrote “একটি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে যে চিরজীবন আপনি অধিনস্ত। আপনি কি এমন অধিনস্ত হতে পছদ করবেন?” Does GOD says it? if yes please give references. If not, it’s your personal opinion in which I have nothing to say.
Regarding the financial authority, God balances between man and women. The problem here is you took this one as a standalone issue. GOD is NOT capitalist that HE forces women to be slave of man by financial control. It comes from your own belief system.
You only see the man is getting twice of what women getting. You calculate the Quranic way how much a women get less than a man by calculating the woman’s life stage:
1. As a daughter
2. As a bride
3. As a wife
4. As a Mother
If you are interested, make very simple hypothetical case of one family having one boy and one girl and calculate the girl’s share of his father (after death), mother (after death), then marriage income (Mohrana), then husband’s share ((after death), and so on...... I think you will find the answer.
The remaining of the writing is all about your personal views and practice in the society. It is sad that many practices have existed in the society to neglect women in the name of Islam, where the God never command this. They forged it in the name of GOD. Then who to blame? GOD? Or those who forged it and those accepted it?