নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি গঠন মূলক ও যুক্তিভিত্তিক সমালচোন শুধু স্বাগতই জানাইনা, আমি অনেক পছন্দ করি।

সজা১২৩

যারা অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে সত্য ও সুন্দরের আশ্রয়ে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে চায় আমি তাদের দলে। মানবতার কল্যানই আমার একমাত্র কাম্য,স্বপ্ন ও সাধনা।

সজা১২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দয়া করে কি আপনার চক্ষু খুলে দেখবেন কি আপনি আপনার কি সর্বনাশ করছেন?(২) [Main Part)

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:২৪

এবার আসি আসল কথায়।এখন আলোচনা করবো আপনার বিশ্বাস আপনার কি কি ভয়ানক ক্ষতি করতে পারে। আপনি ভাবতে পারেন আমার ধর্ম বা বিশ্বাস যাচাই-বাছাইয়ের এত কি দরকার। আমি তো কোন খারাপ কাজ করি না। আমার ধর্ম তো আমাকে ভাল কাজ করতে বলে। অতএব ধর্ম যাচাইয়ের এত ঝামেলার মধ্যে যাওয়ার কোন অর্থ আছে? দেখা যাক আপনার বিশ্বাস বা ধর্ম ভূল হলে কি কি ক্ষতি হয়:
মানুষের কর্ম তেমনই হয় ঠিক যেমন তার বিশ্বাস।সুতরাং আপনার বিশ্বাস ভূল হলে আপনার পুরো জীবনের সকল কর্ম ভূলে ভরা হবে। আর আপনার বিশ্বাসের ভূলানুপাতে আপনাকে পরিণতি ভোগ করতে হবে।মনে করুন কারো বিশ্বাস বিল্ডিং এর সিড়ি বেয়ে উপরে উঠার সময় অবশ্যই লাল জামা পরতে হবে এবং বা হাত উচু করে রাখতে হবে অন্যথায় স্রষ্টা অসন্তুষ্ট হয়/অকল্যান হয়। এ বিশ্বাসের ফলে তার কি ক্ষতি? এ বিশ্বাসের ফলে বস্তুগত খুব বেশি ক্ষতি হয় না। তবে এটা যে কত বড় মূর্খতা ও অর্থহীণ কাজ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এ বিশ্বাসের কারনে তাকে সিড়ি বেয়ে উঠার জন্য সর্বদা একটি লাল জামা সাথে রাখতে হয় আর প্রতিবার সিড়ি বেয়ে উঠার সময় অর্থহীণভাবে কত কষ্ট করে তার বা হাতটি উচু করে রাখতে হয়।তার এ বিশ্বাস যদি তার ধর্মীয় গ্রন্থে থেকে পাওয়া হয় তাহলে আপনি তো তাকে এর অর্থহীনতা বুঝাতে পারবেন না। তা ধর্ম বিরোধী কথা হয়ে যাবে। ধর্মীয় বিশ্বাস হৃদয়ের অনেক গভীরে গ্রথীত থাকে। আপনার বিশ্বাস ভূল হলে তার ক্ষতি এতটুকুর মধ্যে সীমা থাকলে তো একটা ছিল। যেহেতু বিশ্বাস হয় রকমারি তাই তা ভূ হলে তার ক্ষতিও হয় রকমারি। হিন্দু ধর্মে সতীদাহ প্রথা ছিল ধর্মীয় বিশ্বাসের অংশ-যে বিশ্বাস কিছু নিরীহ মানুষের জীবননাষের কারন ছিল। বিশ্বাসের কারনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয় মূর্তি বানাতে। এ অর্থ অনেক অভুক্তের জীবন বাচানোর কাজে ব্যয়িত হলে মানবতা অনেক বেশি উপকৃত হত।কিছু মানুষ ধর্ম প্রচার, প্রসারের কাছে তার জীবনটা দিয়ে দিচ্ছে। যে কাজের জন্য আপনার মূল্যবান সময়, অর্থ এমনকি জীবনটা উৎসর্গ করছেন সেটা কতটুকু সত্যে বা মিথ্য তা নিরপেক্ষমনে যাচাই করা বেশি দরকার নয়কি? তালিবান,আইসল,বোকো হারাম,হিজবুল্লাহ সহ হাজারও দল রয়েছে ইসলামের নামে যাদের শত শত কর্মী তাদের জীবনকে বিলিয়ে দিচ্ছে জিহাদ করতে গিয়ে-কিন্তু পরিতাপের বিষয় তাদের কজনকে আপনি পাবেন যে তার বিশ্বাসকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে যাচাই-বাছাই করেছে? আমি বহু মুসলিমকে জিজ্ঞাসা করেছি সে যে কুরআন কে স্রষ্টার বিধান হিসাবে মানে তা যে স্রষ্টার সে ব্যপারে তার কাছে কি প্রমান আছে অর্যারআৎ কোন ভিত্তির উপর তার এ বিশ্বাস দাড়িয়ে আছে?এ প্রশ্নে তাদেরকে অবাক হতে দেখা গেছে।এ জাতীয় কোন চিন্তা কোনদিন তাদের মাথায়ই আসেনি।কেউ কেউ তাদের ধর্মীয় নেতাদের থেকে শোনা কিছু যুক্তি তোতা পাখির মত আউড়াতে চেষ্টা করতে দেখা গেছে। ধর্মীয় নেতাদের শেখানো যুক্তি দেয়া ভূল তা আমি বলছি না। সমস্যা হল আপনি যাচাই বাছাইয়ের চিন্তা মাথায়ই আনেননি। আগে বিশ্বাস করেছেন এরপর আপনার বিশ্বাসের পক্ষের কিছু যুক্তি আপনার মনে জায়গা করে নিজের আস্থাকে আরো বাড়িয়ে তুলেছেন।
যেহেতু আপনার ভূল বিশ্বাস আপনার পুরো জীবনকে বিপন্ন করতে পারে, আপনার নিজ স্বার্থেই আপনার বিশ্বাসকে যাচাই করতে হবে। আমার কোন কথা কারো মনে কষ্ট লাগলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কারো অনুভূতিতে আঘাত করা আমার মোটেও ইচ্ছা নয়।ধর্মীয় ভূল বিশ্বাসের কারনে মানবতা অনেক ক্ষতির শিকার হচ্ছে তা থেকে মানবতাকে রক্ষার জন্য আমার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। ভাল থাকবেন সবাই।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সকল ধর্মের বানী সমাজের শান্তি ,ও মুক্তির শাশ্বত কল্যাণের কথাই বলে । কিন্তু যারা ধর্মকে পুঁজি করে ব্যাবসা করে , মানবতা লীন করে মুলত তারা ধার্মিক নয় এরা সমাজের কিট শয়তানের চেলা । এদের অন্ধ কুসংস্কাররই মুলত সকল অশান্তির কারন । এদের বয়কট করে আত্তসুদ্ধি অর্জনই শাশ্বত কল্যান।
লেখায় ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.