নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি গঠন মূলক ও যুক্তিভিত্তিক সমালচোন শুধু স্বাগতই জানাইনা, আমি অনেক পছন্দ করি।

সজা১২৩

যারা অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে সত্য ও সুন্দরের আশ্রয়ে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে চায় আমি তাদের দলে। মানবতার কল্যানই আমার একমাত্র কাম্য,স্বপ্ন ও সাধনা।

সজা১২৩ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে কারনে আল-কুরআনকে স্রষ্টার কথা হিসাবে বিশ্বাস করা যায় না [কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে রাত্রিতে]

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩১

সুরা আল কদরে বলা হয়েছে যে ’নিশ্চয়ই আমি উহা (আল কুরআন) অবতীর্ণ করে কদরের রাত্রিতে।যেহেতু এ পৃথিবীতে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে দীর্ঘ ২৩ বছর সময়কাল নিয়ে, নির্দিষ্ট কোন রাত্রিতে বা দিনে নয় তাই এর ব্যখ্যা করা হয় যে কুরআন সর্বপ্রথম সম্পূর্ণ কুরআন আরশ থেকে প্রথম আকাশে অবতীর্ণ করা হয়েছে।
যদিও আমরা যে নীলিমা দেখি তা আকাশ নয়, ধরে নিলাম আকাশেই প্রথম অবতীর্ণ হয়েছে, প্রশ্ন হল রাত্রি দিনের প্রশ্ন তো এ পৃথিবীর ক্ষেত্রে আসে।কারন দিন-রাত্রি হয় সূর্যের কারনে। আকাশে দিন রাত্রির প্রশ্ন তো আসেই না। যদি কেউ এভাবে ব্যখ্যা করেন যে আকাশে কুরআন যখন অবতীর্ণ হয় তখন পৃথিবীতে রাত্রি ছিল। একথাও গ্রহণযোগ্য নয়।কারন সমগ্র পৃথিবীতে একইসাথে কখনও রাত্রিও থাকে না আবার দিনও থাকে না।
আরো কিছু প্রশ্ন আসে, তাহল-
১. স্রষ্টা যদি কিতাব পাঠাবেন তাহলে জিব্রাইলের মাধ্যেমে কেন? ইসলামের দৃষ্টিতে জিব্রাইলের চেয়ে মুহাম্মাদ (স:) এর মর্যাদা বেশি। যার মর্যাদা বেশি তার কাছে বাণী সরাসরি না পাঠিয়ে কম মর্যাদার সৃষ্টির মাধ্যমে কেন পাঠাবেন?
২. কুরআন মানুষের জন্য। সুতরাং ইহা মানুষের কাছে পৌছা বা না পৌছাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথম আকাশে অবতীর্ণ হওয়ার কোন অর্থো কি আছে?
যে কারনে কুরআনকে আল্লাহর বাণী হিসাবে বিশ্বাস করা যায় না- এ বিষয়ে পূর্বে দু’টি লেখা প্রকাশিত হয়েছে।লিঙ্ক নিম্নে দেয়া হল:

আকাশ সম্পর্কে আল কুরআন ও বিজ্ঞান

ইসলামে নারী র্মযাদা ও গুরুত্ব:একটি বশ্লিষেণ



পর্দার সুফল-কুফল: একটি বিশ্লেষণ

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: নিরক্ষর এবং মধ্যযুগীয় এক লোকের সাহিত্য হিসেবে বিশ্বাস করা যায় তো? একটা নিরক্ষর মধ্যযুগীয় বর্বর আরব দেশের লোকের সাহিত্য মান কেমন, শুধু সেভাবেই বিচার করুন । তাতেই হবে ।

২| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪১

ভিন গ্রহের এলিয়েন বলেছেন: আপনি যদি সত্যিকার অর্থে প্রকৃত সত্যের খোজে থাকেন তবে আপনাকে ও আপনার নাস্তিক্যবাদকে আমি সাধুবাদ জানাই। আপনার প্রশ্নের জবাব অবশ্যই পাবেন।

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:১৭

সজা১২৩ বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। তবে ভাই নাস্তিক অর্থ যিনি কোন স্রষ্টাই বিশ্বাস করেন না। আমি বিশ্ব জাহানের একজন স্রষ্টা আছে বলে বিশ্বাস করি। সে অর্থে আমি নাস্তিক নয়। তবে আমার অনুসন্ধানে কোন পুস্তক পাইনি যা স্রষ্টার হিসাবে প্রমান করে।

৩| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

জিয়া উদ্দিন আহমেদ বলেছেন: আপনি এবং আপনার মতো লোকেরা বিশ্বাস করলেও ইসলামের কিছু যায় আসবে না, অবিশ্বাস করলেও কিছু যায় আসবে যা্বে না, বরং যে মেনে চলে নিজের জন্যই চলে আর যারা অবিশ্বাসী নিজের জন্যই।
এ জাতীয় লোক সব যুগেই ছিলো।
কথা সেটা না,
আচ্ছা ধরুন আপনার কথা অনুযায়ী সব মিথ্যা কিন্তু বাই চান্স যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে আপনার এবং আপনার মতো অনুসারীদের সত্য অস্বীকার করার দরুন কি শাস্তি হবে একবার কল্পনা করে দেখেছেন।

৪| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:২২

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: অনেক কস্ট করছেন। আর কিছু পাননাই?

আপনার জ্ঞানের দৌড় এতেই বোঝা যায়।

৫| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৩৬

সজা১২৩ বলেছেন: মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। ধরে নিলাম আপনার বিশ্বাস সত্যে আর আমার বুদ্ধি-শুদ্ধি কম তাই আমি ভূল বুঝেছি। এখন আপনি বলুন যে আমি বুঝলামনা কেন, তাই আমাকে শাস্তি দেয়া হবে-এটা কি ন্যয়ের কথা। আপনি বড়জোর বলতে পারেন বোঝার চেষ্টা করলাম না কেন? স্রষ্টা কি এতই অবিচারক যে কেউ বুঝতে ব্যর্থ হওয়ার কারনে তাকে শাস্তি দিবে। বরং শাস্তি যদি হয়েই থাকে তাহলে কেউ যদি অন্ধত্বের পথ অবলম্বন করে।
আমার উপরোক্ত লেখা এবং লিঙ্কে উল্লেখিত লেখাগুলোর কোন যুক্তি যে ঠিক নয় তা কেউ প্রমান করতে এগিয়ে আসেনি। আমি কারো পক্ষে বা বিপক্ষে লিখি না। আমার উদ্দেশ্য সত্যকে জানা। আমার এ লেখাগুলো থেকে হয় কেউ শিখবে অথবা আমাকে শেখাবে। তবে শর্ত হল তাকে নিরপেক্ষ মন নিয়ে সত্যকে জানা বুঝার জন্য কথা বলতে হবে। নিম্নের লিঙ্কগুলো দেখার অনুরোধ রইল:দয়া করে কি আপনার চক্ষু খুলে দেখবেন কি আপনি আপনার কি সর্বনাশ করছেন?(১)
[link|http://www.somewhereinblog.net/blog/conscious/30040104|দয়া করে কি আপনার চক্ষু খুলে দেখবেন কি আপনি আপনার কি সর্বনাশ করছেন?(২) [Main Part)]
অন্ধত্ব বনাম চাক্ষ্মুস্মান
সত্যানুসন্ধান কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
ধর্ম, প্রথা,ঐতিহ্য বনাম যুক্তি,বিচার-বিবেচনা ও বিবেক-বুদ্ধি
বিশ্বাস বনাম ঈমানমানুষ কি যুক্তির উর্ধ্বে উঠতে পারে?

৬| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ২:১৫

ওয়ালী আশরাফ বলেছেন: ১। প্রাপকের চেয়ে পিয়নের মর্যাদা কম হয়ে এই সাধারণ কথাও আপনি বুঝেননি???

২। আপনি কি ২৩ বছরের খাবার একদিনেই খান? না পৃথিবীর অন্য কোন মানুষ খায়?
চিন্তা করুন। ভেবে চিন্তে সামনে অগ্রসর হোন।

সাধারণত বাড়ীর কর্তা এক সাপ্তাহের বাজার করেন, এবং প্রয়োজন অনুসারে তা থেকে অল্প অল্প পরিবেশন করা হয়ে থাকে। তদ্রুপ.....

বিঃদ্রঃ এখানে উল্লেখিত প্রতিটি কথাই প্রতীকী। আপনার বোধ উদয়ের জন্যে প্রতীকের আশ্রয় নিতে বাধ্য হলাম।

৭| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৫৯

মাসূদ রানা বলেছেন: প্রশ্ন হল রাত্রি দিনের প্রশ্ন তো এ পৃথিবীর ক্ষেত্রে আসে।কারন দিন-রাত্রি হয় সূর্যের কারনে। আকাশে দিন রাত্রির প্রশ্ন তো আসেই না। যদি কেউ এভাবে ব্যখ্যা করেন যে আকাশে কুরআন যখন অবতীর্ণ হয় তখন পৃথিবীতে রাত্রি ছিল। একথাও গ্রহণযোগ্য নয়।কারন সমগ্র পৃথিবীতে একইসাথে কখনও রাত্রিও থাকে না আবার দিনও থাকে না।

পবিত্র কোরানে মহান আল্লাহ পাক কখনো কখনো কেবল নবিজী(স) কে কখনো আবার সমগ্র মানবজাতিকে সম্বোধন করে কথা বলেছেন ........ সুরা ক্বদরের আয়াতসমুহ নাজিল হয়েছে নবিজী(স:) এর উদ্দেশ্যে, সমগ্র মানবজাতিকে সেখানে সম্বোধন করা হয় নি ......

অার আয়াতটি দ্বারা মহান আল্লাহ পাক বিশেষভাবে নবিজী (স) কে তিনি কোন ক্ষনে পবিত্র কোরান নাজিল করেছেন তা জানিয়েছেন ...... সুতরাং প্রথম আকাশে মহান আল্লাহ পাক যে ক্ষনে পবিত্র কোরান নাজিল করেছেন সে ক্ষনে নবিজী(স) এর দেশে যে সময় (দিন/রাত) বিদ্যমান ছিল, নবিজী(সা)কে মহান আল্লাহ পাক সেই সময়টাই জানিয়েছেন ।

আশা করি বোঝাতে পেরেছি .......

১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৮

সজা১২৩ বলেছেন: অসংখ্যা ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যর ভাষা ভদ্র মানুষের মত। এ ধরনের ভাষায় মতবিনিময় হলে মানবতা উপকৃত হয়।

৮| ১৭ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

বুলবুল আহমেদ সোহেল বলেছেন: কিছু কিছু গু-খোর যখন বুঝতে পারে সমাজে তার কোন ধরনের অবস্থান নেই,তখন নিজেকে জাহির করতে ঠিক এই বিষয়টি নিয়ে আবোল তাবল বকে, কারণ এ বিষয় নিয়ে কথা বললে ধর্মপ্রাণরা একটা হৈ-হল্লা শুরু করলেই তো গু-খোরের বাজিমাত।তখন গু-খোর নিজেই বসে বসে ভাবে "মুই কি হনুরে "
আর একটা ব্যাপার হলো , নাম-পিরচয়হীন কে আমরা যদি বেওয়ারিশ ধরে নেই , তাহলে তার তো আর কোন জাত-ধর্ম নেই বা যদি থাকে তাহলে আমাদের তা জেন-বুঝে নিতে হবে,সে সুস্থ না উন্মাদ, এরপর আসবে কথা বলার বিষয় । সে উন্মাদ যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাইছে সে বিষয়ে তার কথা বলার মূল উদ্যেশ্য কী ? কিছু জানতে চেষ্টা করছে না ইবলিশের প্ররোচনায় ইমানের কলকাঠি নিয়ে নাড়াচাড়ার চেষ্টা করেছ। এরপর হলো যুক্তি ত্বর্ক করবো না জুতার মাথায় গু-মেখে ওর গালে মারবো সে সিদ্ধান্ত নেব।
আমার এই মন্তব্যটি যারা এ ধরণের বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় লিপ্ত হন,আলোচনার পূর্বে একটি ভবে দেখার জন্য পরামর্শ মাত্র,সিদ্ধান্ত আপনার.............

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১২:৪৮

সজা১২৩ বলেছেন: আমার দেয়া লিঙ্কগুলো পড়ার অনুরোধ করছি। উক্ত লিঙ্কের কোন লেখায যদি দ্বিমত থাকে তাহলে উক্ত বিষয়ে আপনার সাথে প্রথম কথা বলব। শর্ত হল ভদ্র ভাষায় ও গঠনমুল উপায়ে। তা না পারলে মন্তব্য না করার জন্য অনুরোধ করছি। পাশাপশি নিম্নের লিঙ্কটিও দেখবেন:
দয়া করে একটু ভেবে দেখবেন কি?

৯| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬

গরল বলেছেন: আপনিতো নাস্তিক না, আপনার স্রস্টা আছে। তো আপনার স্রস্টা সৃস্টি কিভাবে হল বলে আপনার ধারণা। সবকিছুরি একটা স্রস্টা লাগে, না হলে কিছু সৃস্টি হয় না এটা যারা বিশ্বাস করে তারাই সৃস্টিকর্তায় বিশ্বাস করে। সেজন্যই আপনাকে প্রশ্নটা করলাম।

১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:১৯

সজা১২৩ বলেছেন: প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। কেন স্রষ্টায় বিশ্বাস করবো বা করবো না এ বিষয়ে শিঘ্রেই আমি একটি প্রবন্ধ লিখব,সেখানে আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন। ভাল থাকবেন।

১০| ১৮ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৬

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: পরিচিতি এবং আলোচিত হবার সর্বাপেক্ষা সহজ উপায় হল প্রতিষ্ঠিত কোন সত্যকে মিথ্যা বলে দাবী করা।
আপনি যে সৌর জগতে বসবাস করছেন এমন একটি সৌর জগতের স্রষ্টা এই মহা গ্রন্থ নাজিল করেছেন।
সমগ্র পৃথিবীতে যা সৃষ্টি রহস্য বা বৈজ্ঞানিক জ্ঞান আছে তার মাত্র ৪% আহরিত হয়েছে এবং এই আহরনে আপনার মত জ্ঞানী বা আমার মত কম জ্ঞানী মিলিয়ে কোটি কোটি মানুষের অবদান আছে।

ভাই আপনি যেহেতু এত বড় যুক্তিবাদী চেষ্টা করুন না বাকি ৯৬ % এর ১% রহস্য নিজে ভেদ করতে পারেন কিনা?

আরেকটা কথা আপনি তো তাহলে ডারডইন এর তত্ত্বে বিশ্বাসী। আচ্ছা ডারডইন এই তত্ত্ব দিয়েছিলেন প্রায় ২০০ বছর আগে তাঁর পরেও এত বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা এত চেষ্টা করেও অ্যামাইনো এসিড হইতে এক কোষী একটি প্রানি নিজেরা তৈরি করতে ব্যারথ হইল কেন?
দেখুন না আপনি যেহেতু অনেক বেশী জ্ঞান রাখেন এই আল-কুরআন সত্য নাকি মিথ্যা এই প্রশ্নে আপনার যাওয়ার আগে আপনার বিশ্বাসী ঐ তত্ত্বটিকে পরিক্ষামুলক ভাবে প্রমাণ করে আসুন তাঁর পরে আমাদের বিশ্বাস নিয়ে কথা বলুন না ভাই।

আরেকটি ব্যাপার পবিত্র ঐ গ্রন্থে ৬২৩৭ টি আয়াত আছে তাঁর কয়টির অর্থ আপনি জানেন? আর জানলে কয়টির তাৎপর্য আপনি বুঝেন?
একটি গ্রন্থের ৬২৩৭ টি লাইনের দু একশ লাইন পরেও যদি কেউ ঐ গ্রন্থ সম্পর্কে এমন কথা বলে তাহলে সাধারনত তাকে নির্বোধ বলা হয় এটা উনিভেরসাল সত্যি। তাই আপনার মত একজন জ্ঞানীকে এমন রুপে দেখতে আমাদেরও ভালো লাগছে না। তাই দয়া করে আর না পারেন ৬২৩৭ টি আয়াতের অর্থ সহ এবং আপনি যেহেতু জ্ঞানী তাঁর তাৎপর্য ও বুঝুন এর পরে আমাদের মত বিশ্বাসীদের বলুন কেন আমাদের এই মহাগ্রন্থে অবিশ্বাস করা উচিৎ।

১১| ১৮ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৯

সজা১২৩ বলেছেন: অসংখ্যা ধন্যবাদ একটি বিশ্লেষণধর্মী মন্তব্যর জন্য। আপনি বলেছেন মানুষ নাকি প্রায় মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য জ্ঞানের মাত্র ৪% আহরিত হয়েছে, কিন্তু আমার মনে হয় না মানুষ ১% এ জ্ঞান পেয়েছে।
ডারউইনবাদ নিয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই। কারন তার মতবাদ আমি ভাল করে স্টাডি করি নাই। কারো কোন গবেষণা বা বক্তব্য ভাল করে না পড়ে তার পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলা চরম মুর্খতা ও গোড়ামিত্বর বহি:প্রকাশ। সুতরাং যে বিষয়ে আমার ভাল করে পড়া-শোনা নেই সে বিষয়ে পক্ষে বা বিপক্ষে আমি মন্তব্য করিনা।
আমি কখনো দাবি করিনি যে আমি বেশি জ্ঞান রাখি। আমার দেয়া লিঙ্গগুলো যদি একটু কষ্ট করে,সময় ও ধের্য্য নিয়ে মন দিয়ে পড়তেন তাহলে আপনার কাছে আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্কার হয়ে যেত।
যদিও এ লেখার টাইটেল ‘যে কারনে আল-কুরআনকে স্রষ্টার কথা হিসাবে বিশ্বাস করা যায় না [কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে রাত্রিতে]’- এর অর্থ এ নয় যে এ লেখায় উল্লেখিত একমাত্র কারন যার কারনে আমি কুরআনকে স্রষ্টা প্রদত্ত কিতাব হিসাবে মানতে পারছি না। আরও বহুকারন আছে যা আমি পর্যায়ক্রমে লিখব-চোখ রাখুন আমার লেখাগুলোর প্রতি।
কেন আমি এরুপ চিন্তা করছি তার উত্তর দিয়েছি নিম্নের লিঙ্কের লেখায়, দয়া করে উহা পড়বেন এবং আশা করছি আপনার কোন মূল্যবান পরামর্শ থাকলে দিবেন।
কৈফিয়ত

১২| ১৯ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আপনি কিন্তু আপনার কথাগুলই বললেন আমার শুধু একটি প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। আমি আপনাকে একটি অনুরধ করেছিলাম আমার মত এমন কয়েক কোটি মানুষের আপনার এই লিঙ্ক গুলো পড়ার কোন ইচ্ছা বা আগ্রহ নেই।
এখানে কমেন্টে এই লিঙ্ক গুলো দিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করেও কোন লাভ নেই।
আমি আপনাকে বলেছিলাম ৬২৩৭ টি আয়াতের তাৎপর্য সহ অর্থ বুঝতে। আর যে ব্যাক্তি বলতে পারে মহাগ্রন্থ আল-কুরআন স্রষ্টার কথা নয় তাঁকে জ্ঞানী না বলে উপায় আছে। যেখানে হাজার বছরের চেষ্টা তেও এই গ্রন্থের একটি লাইনের ভুল যথাযথ ভাবে কেউ বের করতে পারে নাই সেই গ্রন্থ কেই আপনি এক কথাতে উড়িয়ে দিলেন। তাই আপনাকে জ্ঞানী সম্বোধন করেছিলাম যদিও একটি গ্রন্থের ৬২৩৭ টি লাইনের দু একশ লাইন পরেও যদি কেউ ঐ গ্রন্থ সম্পর্কে এমন কথা বলে তাহলে সাধারনত তাকে নির্বোধ বলা হয় এটা উনিভেরসাল সত্যি।

আর আপনি লিঙ্ক কে ভুল ভাবে লিখেন।
কেউ যদি বলে মক্তবের হুজুর একটি মেয়েকে ধর্ষণ করেছে তাই ইসলাম খারাপ আমি তাঁকে বলব মক্তবের হুজুরের শিক্ষাগত যোগ্যতা হল আরবি পড়তে পারে অর্থ জানে না। সেই হুজুর কে হুজুর বলাও হুজুর শব্দটিকে অপমান করা।
আর আপনি যে হুজুরদের কথা আপনার লেখাতে বলেছেন তাঁদের যোগ্যতা আমার জানা নাই।
তাই ইসলামকে আগে নিজে জানুন। অন্যে কীভাবে ইসলামকে বলেছে সেইভাবে আপনি এর আলোচনা করতে পারেন সমালোচনা নয়। সমালোচনা করার আগে নিজে জানতে হয়।
আপনার এখানে কমেন্ট করে এই লিখাটিকে আর উপরে রাখার ইচ্ছা নাই। নিজের লেখার লিঙ্ক না দিয়ে ভাই আগে জানেন পরে সমালোচনা করেন। :)

এই লিঙ্কের ভিডিও গুলো দেখতে পারেন যদি ইংরেজি বুঝেন।
https://www.youtube.com/watch?v=BaS5NsvZ4yM&list=PL7F187E8A00B5B1BD

১৩| ১৯ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:২৭

সজা১২৩ বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যর জন্য। লিঙ্ক দেয়ার জন্য আরেকবার ধন্যবাদ।আপনার এ লিঙ্ক আমার জ্ঞান পিপাসা নিবারনে সাহায্য করবে। স্রষ্টার দয়ায় আমি ইংলিশ ভাষা জানি। সুতরাং ইংলিশ কোন লেখা বা বক্তব্য আমার বুঝতে কোন কষ্ট হয় না।
কেউ কারো কারো সমালেচনা করতে হল তার কথা ও চিন্তা ধারা ভাল করে না বুঝে বিচ্ছিন্ন কোন কথাকে নিয়ে সমালোচনা করা বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়। আমার লিঙ্কগুলো দেয়ার ও পড়তে উৎসাহিত করার উদ্দেশ্য কেউ যেন আমাকে ভূল না বোঝে, আমার সৎ উদ্দেশ্য বুঝা এবং মানুষকে সঠিক পদ্ধতিতে সত্যে খুজে পাওয়ার নির্দেশনা দেয়ার জন্য আমি লিঙ্ক দিয়েছি। প্রবন্ধের নিচের লিঙ্কগুল প্রবন্ধের টাইটেল প্রাসঙ্গিক। আমার দৃষ্টিভঙ্গি ও সত্যেনুসন্ধানের সঠিক পদ্ধতি আলোচনা করেছি যে প্রবন্ধগুলেতে সেগুলোর লিঙ্ক দিয়েছি ‘শতদ্রু একটি নদী’ এর মন্তব্যে। সত্যেনুসন্ধানের পদ্ধতি সম্পকেৃ আমার লেখায় দ্বিমত থাকলে সেখানে মন্তব্য করার অনুরোধ করছি।
আপনি বলেছেন আমাকে সম্পূর্ণ কুরআন পড়ার। আপনার অবগতির জন্য বলছি যে আমি সম্পূর্ণ কুরআন বহুবার পড়েছি এবং এখনও নিয়মিত পড়ি। আমি কুরআন বুঝে পড়ি। আমি নিজে আরবী ভাষা জানি। সুররাং আমাকে অনুবাদের উপর নির্ভ র করতে হয় না। তারপরও একটি কথার ব্যখ্য বুঝার জন্য একাধিক তাফসীর পড়ে থাকি। সুতরাং কোন কিছু সম্পর্কে মন্তব্য করার আগে তা আমি ভাল করে পড়ে নেই। এটা আমার নীতি।
কেন কুরআনকে স্রষ্টার বাণী বলছি না- তা ভাল করে বুঝতে হলে আপনাকে আমার পুর্বের ও আগামিতে যে লেখাগুলো আসবে সেগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি। আমার চিন্তাধারার ভূল ধরে দিলে আমি অবশ্যই নিজেকে সংশোধন করে নিব। আমি সবার ছাত্র হতে ভালবাসি।
আপনি লিখেছেন কেউ হাজার চেষ্টা করে কুরআনের ভূল বের করতে পারেনি, আমি আপনার অবগতির জন্য বলছি যে বিশ্বে বহু লোক আছে যারা কুরআনের বহু ভূল বের করেছে। তারা কি কি ভূল বের করেছে তা জানতে হলে গুগলে সার্চ দিলে আপনি তার অনেকগুলো পেয়ে যাবেন। তার অনেকগুলো যৌক্তিক আবার অনেকগুলো অযৌক্তিক। যাহোক যারা যে ভূল ধরেছে তাদের দায়িত্ব তাদের বক্তব্যর ব্যখ্যা দেয়া।
আমি আমার বক্তব্যর ব্যখ্যা দিব।
আমার এ লেখায় হুজুরদের নিয়ে তো কোন মন্তব্য করিনি। আপনি কোথায় পেলেন আমি হুজুরদের নিয়ে এরুপ মন্তব্য করেছি,সুনির্দিষ্টভাবে বললে খুশি হব। ভাল থাকবেন।

১৪| ২০ শে মে, ২০১৫ সকাল ৯:৪৯

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: হুজুর কথাটি একটি রুপক অর্থে আনা হয়েছে।
আর গুগল এমন একটি ইঞ্জিন যাতে অনেক কিছুই আছে কিন্তু বিশ্বাস যোগ্য খুব কম কিছু আছে।
যাই হোক আমিও কোরআনের সামান্য কিছু জানি কিন্তু আমার এই ক্ষুদ্র জ্ঞানে আমি এর কোন ভুল খুঁজতে পারিনি এবং পাই নি।
যারা এর ভুল খুঁজে পেয়েছে তারা অনেকই ভুল ব্যাখ্যা হতে পেয়েছে।
আমি বিশ্বাসী জ্ঞানী হতে আগ্রহী অবিশ্বাসী জ্ঞানী হবার বাসনা নেই।
সত্য অনুসন্ধানের পথে একজনকে অন্যের সত্যকে কটাক্ষ করে যেতে হলে সেই সত্যি সত্যি কিনা তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়ে যাবেই।

ভালো থাকুন। আবারও বলব ভুল ধরার মানসিকতা তে না বিজ্ঞানের বা চিন্তাশীলের মন নিয়ে কুরআনকে অনুধাবন করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দাণ করুন। আমীন।

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪০

সজা১২৩ বলেছেন: ভাই, আমি ধর্মের প্রতি কম অনুরাগি ছিলাম না। ৭ বছর বয়স থেকে পিতা-মাতর তাগাদা ছাড়া শুধু ওয়াজ শুনে অতি কঠোর ভাবে ধর্ম পালন করে এসেছি। আমি ছাত্র শিবিরের সদস্যও ছিলাম। সুতরাং ধর্মের জন্য অনেক ত্যগ তিতিক্ষাও করেছি। আমি আজ কেন এরুপ লিখছি তার সম্পর্কে আমার ‘কৈফিয়ত’ টাইটলের লেখায় সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করেছি।
ভাই আমিও বিশ্বাসী ( সঠিক জিনিসে) জ্ঞানী হবার বাসনা রাখি।
ভাই আমার কোন লেখায় কাউকে কটাক্ষ করিনি। আমি শুধুমাত্র ভদ্র ভাষায় আমার মতামত ব্যক্ত করেছি যা সত্যানুসন্ধানী লোকদের মাঝে মতবিনিময়ের দরজা খুলে দিবে। এর মাধ্যমে পরস্পর পরস্পর থেকে শিখতে পারবে। এমনকি কেউ কেউ কটাক্ষমূলক মন্তব্য লেখার পরেও আমি ধের্য্য সহকারে সুন্দর ভাষায় জবাব দিয়েছি।
আপনি যদি খোলা মন নিয়ে সমগ্র কুরআন পড়েন তাহলে আপনিও অনেক অসংগতি পাবেন, আংশি পড়লে বা আলেমদের বাছাই করা আয়াতের ব্যখ্য শুনলে আপনি সমস্যা পাবেন না।
আপনি আমার সকল লেখার প্রতি চোখ রাখুন। আমার কোন ভূল যুক্তি দিয়ে ধরিয়ে দিলে অবশ্যই আমি সংশোধন করে নিব। ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

১৫| ২০ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

ভিন গ্রহের এলিয়েন বলেছেন: আপনি কি একক সত্বার প্রমাণ চাচ্ছেন?

২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৩

সজা১২৩ বলেছেন: আমার লেখার কোথাও তো এক সত্বার প্রমান চাওয়া হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.