|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
.jpg)
সজা১২৩
যারা অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে সত্য ও সুন্দরের আশ্রয়ে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে চায় আমি তাদের দলে। মানবতার কল্যানই আমার একমাত্র কাম্য,স্বপ্ন ও সাধনা।
আপনাকে এ দু’পক্ষের এক পক্ষকে অবশ্যই বেছে নিতে হবে। আপনি স্বজ্ঞানে বেছে নিন আর নাই নিন আপনি এ দু’পক্ষের এক পক্ষে পড়ে যাবেনই। আপনি এ দু’পক্ষের বাইরে যেতে পারবেন না। সমগ্র পৃথিবীর মানুষ প্রধান এ দু’ভাগে বিভক্ত।
এক পক্ষ: মানুষ স্বভাবত: নিজ বংশ, জাত,ধর্ম,সংস্কৃতি,অভ্যাস ঐতিহ্য ইত্যাদির প্রতি চরম দূর্বলে। এ কারনে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ নিজ বংশ, জাত বা ধর্মের জন্য নিজেদের জীবনটা পর্যন্ত দিয়ে দেয়।এ সকল লোকেদের কাছে সত্য, ন্যয়-নীতি, মানবতা ইত্যাদি বড় জিনিস নয়, তাদের কাছে তাদের নিজ নিজ ধর্ম,সংস্কৃতি বা ঐতিহ্য সবচেয়ে বড়। এর অর্থ এ নয় যে তারা ন্যয়-নীতি, মানবতা ইত্যাদি পূর্ণরুপে বর্জন করে।তাদের জগতের সকল কিছু তাদের নিজ নিজ ধর্ম, সংস্কৃতি ইত্যাদির মাপকাঠিতে যাচাই করে থাকে।কোন কিছুকে সত্য, শ্রেষ্ঠ বা মিথ্য, নিকৃষ্ট বলবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম, সংস্কৃত ইত্যাদির আলোকে।প্রত্যেক গোষ্ঠি নিজ নিজ ধর্ম বা সংস্কৃতির ভাল দিকগুলো বাছাই করে দিনরাত আলোচন ও গুনকির্তনে সদা ব্যস্ত এবং অপরের চেয়ে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানে হেন চেষ্টা করে থাকে।
একদিন এক লোককে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি ন্যয়ের পক্ষে নাকি নবীর পক্ষে?লোকটি বললো তিনি নবীর পক্ষে। তিনি অন্তত এভাবে বলতে পারতেন- প্রথমত আমি ন্যয়ের পক্ষে, নবী যেহেতু ন্যয়ের পক্ষে তাই আমি নবীরও পক্ষে।
অপর পক্ষ: এ পক্ষ নিজ বংশ, জাত, ধর্ম ও সংস্কৃতির সহজাত প্রেমের উর্ধ্বে উঠে খোলা মনে চিন্তা করতে পছন্দ করে।ভালকে ভাল, খারাপকে খারাপ বলতে আপোসহীণ।সত্য, ন্যয়,মানবতা কল্যানই সবচেয়ে প্রিয়-যদিও তা নিজ বংশীয় দর্শন, ধর্ম ইত্যাদির বিপক্ষে যায়। এদের কাছে সত্যের স্থান সবার উপরে।নিজ ধর্ম বিশ্বাসের কোন একটি দিকও যদি সত্যের সাথে সাংঘর্ষিক হয় এ পক্ষের লোকেরা সে ধর্ম বিশ্বাসকে ডাস্টবিনে ফেলতে দ্বিধা বোধ করে না।এ পক্ষের লোকেরা সংখ্যালঘিস্ট।আমি নিজে এ পক্ষের লোকদের অন্তর্ভূক্ত।
আমি মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান বা শিয়া, সুন্নি, আহলে হাদিস,আহলে সুন্নাহ বা বাংলাদেশী, পাকিস্তানী, ভারতীয়, আমেরিকান কিনা বড় পরিচয় নয়। আমার সবচেয়ে বড় পরিচয় আমি মানুষ।আমার স্বাভাবিক বিবেক-বুদ্ধি আছি। আমি জগতের সবকিছুর উপরে সত্যে, ন্যয়-ণীতিকে স্থান দিতে চাই। আমি সত্যের পুজারি। আমি বংশ, জাত বা ধর্মীয় সংকীর্ণতার মধ্যে থেকে চিন্তা করতে চাই না।
মানবতা যখন এ সকল সংকীর্ণতার মধ্যে থেকে বের হয়ে আসবে, বিশ্ব মানবতা বড়ই উপকৃত হবে।
৪ টি 
+০/-০২| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:০১
আফনান আহমেদ তূর্য বলেছেন: "প্রথম শ্রেণীর লোকেদের কাছে সত্য, ন্যয়-নীতি, মানবতা ইত্যাদি বড় জিনিস নয়", কথাটা কি যৌক্তিক হল? সকল ধর্মই তো মানুষকে সত্য, ন্যয়-নীতি, মানবতার শিক্ষাই দিয়ে থাকে।
২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:২২
সজা১২৩ বলেছেন: ভাই, বড় জিনিস নয় এর অর্থ তাদের কাছে আগে ধর্ম এরপর ন্যয়-নীতি, যুক্তি ইত্যাদি। সব ধর্মই ন্যয়ের কথা বলে একই সাথে সব ধর্মেই এমন অনেক বিধান আছে যা মানবতাকে ভূলন্ঠিত করে। আবার ভাল খারাপের বিতর্কতো অন্ত:ধর্মে রয়েছে। এক ধর্মে যেটিকে ভাল (হালাল) বলে অন্য ধর্ম সেটাকে খারাপ বলে। সীতাদাহ প্রথা তো ধর্মে্রই শিক্ষা ছিল। প্রত্যেক ধর্মেই কিছু খারাপ দিক আছে যেগুলো নিয়ে আলোচনা করলে উক্ত ধর্মের লোক বাদে বাকি সবাই একমত হয় যে উহা খারাপ। নিজ ধর্মের লোকেরা একমত হয় না তার মূল কারন তাদের কথা ধর্ম বড়, যুক্তি ও বাস্তবতা বড় নয়।
৩| ২০ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:৪৯
শ্রাবণধারা বলেছেন: ন্যায় এবং সত্য কোনটা ?
আসলে কি ধর্ম , সংস্কৃতি, জ্ঞান এবং প্রেমের পথ দিয়েই সত্য এবং ন্যায় কোনটা জানা যায় । এগুলোর উপরে উঠা কি বস্তু জানা নেই । রামকৃষ্ণ, রবীন্দ্রনাথ বা গান্ধী কি ধর্ম বা সংস্কৃতির উপরে উঠে গিয়েছিলেন? মোটেও নয় ।
তবে হয়তো বিষয়টা এই যে ধর্ম , সংস্কৃতি, জ্ঞান এবং প্রেম সত্য আর ন্যায়ের পথ মাত্র, গন্তব্য নয় । অর্থাৎ ধর্ম, সংস্কৃতি নিজে সত্য নয় - আমরা তা ধারণ এবং পালনের মাধ্যমে সত্য পথে যাত্রা করতে পারি মাত্র.......।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৩৬
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি বুকে হাত দিয়ে বলছি ন্যায়ের পক্ষে।। অতীতে কি করেছি তা আমার বিচার্য না।।