![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা অন্ধত্ব ও গোড়ামিত্ব পরিহার করে সত্য ও সুন্দরের আশ্রয়ে নিজেদের জীবনকে আলোকিত করতে চায় আমি তাদের দলে। মানবতার কল্যানই আমার একমাত্র কাম্য,স্বপ্ন ও সাধনা।
যারা স্রষ্টায় বিশ্বাস করে তাদের কাছে প্রমান বলতে একমাত্র যুক্তি আছে।অপরদিকে যারা স্রষ্টায় অবিশ্বাসী (নাস্তিক) তাদের কাছেও তাদের কথার স্বপক্ষে যুক্তি আছে। কাদের যুক্তি কি ও তা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা আলোচনার পূর্বে স্রষ্টার পরিচয় সম্পর্কে আলোচনা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
স্রষ্টার পরিচয়: যিনি স্রষ্টা হবেন তাকে সৃষ্টির দৃষ্টিভঙ্গিতে বিশ্লেষণ করা যাবে না।যিনি স্রষ্টা তার কোন শুরু নেই আবার শেষও নেই। যদি বলা হয় তার জীবন আছে তাও ঠিক নয় আবার যদি বলা হয় তিনি মৃত তাও গ্রহণযোগ্য নয়। কারন জীবন থাকে সৃষ্টির। স্রষ্টার যদি জীবন থাকে তাহলে প্রশ্ন আসে তার জীবন কে সৃষ্টি করেছে?যদি বলা হয় স্রষ্টা সর্বশক্তিমান- এ শব্দটিও স্রষ্টার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারন স্রষ্টা তো ‘শক্তিরও’ সৃষ্টিকর্তা। কোন কিছু করতে তার কোন শক্তিরই প্রয়োজন হয় না।যদি বলা হয় তিনি দয়ালু, তাহলে প্রশ্ন আসে স্রষ্টার মধ্যে কে দয়া সৃষ্টি করেছেন? দয়া,নিষ্ঠুরতা এক প্রকার বিশেষণ যা সৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত। যদি বলা হয় স্রষ্টা বিনা উদ্দেশ্য কিছু করেন না এ কথাও যেমন গ্রহণযোগ্য নয়, আবার উদ্দেশ্য ছাড়া কিছু করেন তাও গ্রহণযোগ্য নয়।সৃষ্টি উদ্দেশ্যর মুখাপেক্ষি, স্রষ্টা নয়। উদ্দেশ্য বলতে কোন লক্ষ্য অর্জন বোঝায়।আবার স্রষ্টা খেলাচ্ছলে কিছু করেন বললে প্রশ্ন আসে স্রষ্টা কি বিনোদনের মুখাপেক্ষি?যদি বলা হয় স্রষ্টার যখন ইচ্ছা হয়- প্রশ্ন হল স্রষ্টার কি মন আছে? মন থাকলে তার মনের কে সৃষ্টিকর্তা?সুতরাং স্রষ্টার মন থাকতে পারে না। সৃষ্টির ইচ্ছা হয়, সৃষ্টি ইচ্ছা হওয়ার মুখাপেক্ষি। স্রষ্টার ইচ্ছা হয় বললে প্রশ্ন আসে কে তার মধ্যে ইচ্ছা জাগান?
মানুষ নাস্তিক কেন হয়?
নাস্তিকেরা দু’টি প্রধান যুক্তির কারনে নাস্তিক হয়। যুক্তি দু’টি হল:
ক)তারা পৃথিবীতে বিদ্যমান কোন ধর্মেই স্রষ্টা, সৃষ্টির কারন ও মহাবিশ্ব ইত্যাদি সম্পর্কে গ্রহণযোগ্য,বিজ্ঞোচিত ও যৌক্তিক জবাব ও নির্দেশনা পায়নি
খ)আর স্রষ্টা সম্পর্কে উল্লেখিত প্রশ্নের মত বহু প্রশ্নের কারনে।
আস্কিক,বিশেষত:মুসলমানদের যুক্তি:
ক)আল কুরআনেই স্রষ্টা, সৃষ্টির কারন ও মানুষের পরিণতি সহ মানব জীবনের সকল সমস্যার সমাধান রয়েছে।
খ) স্রষ্টা সম্পর্কে উপরোক্ত প্রশ্ন উত্থাপন করলে তাদের জবাব স্রষ্টা সম্পর্কে এত প্রশ্ন করা ঠিক নয়।
বিশ্লেষণ:
মুসলমানগন কুরআনের পক্ষে কথা বলে এর প্রধান কুরআন তারা মুসলিম বংশে জন্মগ্রহণ করেছে।কুরআন আসলে স্রষ্টার বিধান হওয়ার যোগ্য কিনা তা কোন মুসলমান মাথায়ও আনে না।তারা শুধু পক্ষের লোকদের থেকে কুরআনের পক্ষের গুনগান শুনতে পছন্দ করে, কেউ সমালোচনা করলে তাকে অপছন্দ করে। নিজের ভূল তো সমালোচক তথা যিনি বা যারা ভূলকে খুজে পেয়েছে তাদের থেকে জানার কথা, তাদেরকে শত্রু মনে করলে সত্যে কখনো জানা যায় না।
এবার আসি স্রষ্টার ব্যপারে। আপনি যখন স্রষ্টার অস্তিত্বের পক্ষে যুক্তির আশ্রয় নেন যে সবকিছু এমনে এমনে সৃষ্টি হতে পারে না, এত সুশৃঙ্খল সৃষ্টি অটোমেটিক হয়েছে তা বিশ্বাস করা অযৌক্তিক ঠিক তদ্রুপ আপনাকে স্রষ্টা সম্পর্কে বাকি প্রশ্নগুলোরও যৌক্তিক উত্তর দিতে হবে। আপনি প্রশ্ন করা থামিয়ে দিতে পারেন না। তাহলে নাস্তিকেরা আপনার প্রশ্ন- এতসুন্দর সুশৃঙ্খল সৃষ্টি স্রষ্টা ছাড়া অটোমেটিক কিভাবে হতে পারে? থামিয়ে দিতে পারে এ বলে যে এ বিশাল সৃষ্টির কাছে আমার কিছুই নয়; সুতরাং এ প্রশ্ন করা ঠিক নয়।আপনি একটি প্রশ্নের যৌক্তিক উত্তর খুজবেন আর অপর প্রশ্নগুলো যেগুলোর উত্তর দিতে গিয়ে আপনি বেকায়দায় পড়ে যান সেগুলোর ব্যপারে প্রশ্ন করা থামিয়ে দেয়ার জন্য বলবেন যে ওসব প্রশ্ন করা ঠিক নয় সেটা গ্রহণযোগ্য নয়।
আমার বিশ্বাস:
যেহেতু স্রষ্টা আছে বললে তারও কোন প্রমাণ নেই, আবার নাই বললে তারও কোন ভিত্তি নেই; সুতরাং যে বিষয়ে কোন প্রমান নেই সে বিষয়ে চ্যালেঞ্জ সহকারে কোন কথা বলা গোড়ামিত্ব ও বোকামি ছাড়া কিছু নয়। যে বিষয়ে আপনার প্রমান নেই সে বিষয়ে আপনি আপনার অনুমানের ভিত্তিতে বড়জোর মতামত দিতে পারেন। এ কারনে কেউ যদি আমাকে বলে সে স্রষ্টায় বিশ্বাস করে না তাহলে সেটাকে আমি শুধুমাত্র তার মত হিসাবে গ্রহণ করি। আমার ব্যক্তিগত মত হল- স্রষ্টা বলে কেউ আছেন। তবে স্রষ্টাকে বোঝা সৃষ্টির পক্ষে সম্ভব নয়। আর পৃথিবীর সকল ধর্ম মানব রচিত। সামাজিক কল্যানের কথা বিবেচনা করে কিছু ভাল মানুষ কর্তৃক ধর্মগুলো সৃষ্টি। যেহেতু মানব মস্তিস্ক থেকে ধর্মগুলো তৈরি তাই ভাল উদ্দেশ্য থাকলেও প্রত্যেক ধর্মেই এমন কিছু বিধান রয়েছে যা মানবতার জন্য ক্ষতিকর। যারা ধর্ম বানিয়েছেন তাদের দূরদর্শিতায় ঐ সকল ক্ষতিকর দিকগুলো ধরা পড়েনি। তাদের উদ্দেশ্য ভাল ছিল।
২| ২২ শে মে, ২০১৫ রাত ১১:৫৫
মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: লেখার চেষ্টা করেছেন। ধন্যবাদ।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:২৮
নৈশ শিকারী বলেছেন: সব ধর্মই মানুষের তৈরী এটা মানতে পারলাম না।
১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:৩৬
সজা১২৩ বলেছেন: আমি পাইনি কোন ধর্ম যা স্রষ্টা প্রদত্ত প্রমাণীত হওয়ার মত যথার্থ প্রমাণ পেশ করে।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৩৩
ভয়ংকর বিশু বলেছেন: সব ধর্মই মানুষের সৃষ্টি। ধর্ম মানুষ সৃষ্টি করেনি।
৫| ১২ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৪৩
নৈশ শিকারী বলেছেন: আপনি পান নাই এটা আপনার বুঝেও না বোঝার অক্ষমতা, কেননা একজন আরবীয় নিরক্ষর রাখালের [নবী (সা: ) ] পক্ষে এত উচ্চমানের ব্যাকরণ শৈলি এবং অসাধারন কিছু বৈজ্ঞানিক উধ্বৃতি দিয়ে একটা বই তথা কোরান রচনা সম্ভব না, আর তিনি নবুয়াত প্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত বিজ্ঞান নিয়ে কোনও প্রকার গবেষণার সুযোগ পান নাই, আর নির্ভূলতার বিচার করলে পৃথিবির আর কোনও গ্রন্থ কোরানের ধারে কাছেও যায়না, তাহলে ইসলামকে আপনি মানব সৃষ্ট ধর্ম কিভাবে বলেন? নিচে কোরানের নির্ভুলতা এবং বিজ্ঞান ময়তার কিছু উদাহরন দিলাম পড়ে দেখবেন। Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link Click This Link
২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০২
সজা১২৩ বলেছেন: ভাই, মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ। কুরআনে বহু ভুল আছে। কুরআনের বহু বক্তব্য পরস্পর সাংঘর্ষিক। কুরআনের অনেক বানী বিজ্ঞনের সাথেও সাংঘর্ষিক। আমার এ মন্তব্যগুলোর পক্ষে পর্যাপ্ত যুক্তি ও প্রমান আছে। এখানে শুধু মন্তব্য করলাম। পরবর্তীতে রেফারেন্সসহ যুক্তি দিয়ে আমার প্রত্যেকটি মন্তব্য প্রমান করবো। আপনি আমার ব্লগের অন্যন্য লেখাগুলো দেখতে পারেন যেখানে ইসলামের কয়েকিট বিষয় নিয়ে সংক্ষেপে আলোচনা করেছি।
আপনি যেসব লিঙ্ক দিলেন এসব বিষয় শুধু আমি পড়েছি তা নয়, আমিও আপনার মত এ সকল বক্তব্য, লেখনি একসময় পড়তাম ও প্রচার করতাম। পরবর্তীতে আমার কাছে প্রমানীত হয়েছে এগুলো অসত্য হিসাবে। সম্পূর্ণ কুরআন আমি বহুবার পড়েছি এবং এখনও পড়ি। আমি আরবী ভাষা জানি। সুতরাং কুরআন বুঝার জন্য কারো অনুবাদের উপর আমাকে নির্ভর করতে হয় না।
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩২
নৈশ শিকারী বলেছেন: আমাকে সত্যিই অবাক করলেন! সেই ১৪০০বছর আগে থেকে আজ পর্যন্ত কোন লেখক এই পবিত্র কোরানের মতো ১টা গ্রন্থ রচনা করাতো দূরে থাক এর কাছা কাছি মান সম্পন্ন একটা গ্রন্থ রচনা করতে পারলোনা সেখানে আপনি দাবি করেন কোরানে ভুল আছে! পবিত্র কোরান সর্বযুগের সর্ব শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ যা কিনা আজ পর্যন্ত অবিকৃত অবস্থায় রয়েছে। যেখানে বড় বড় ইসলামিক স্কলাররা আজ পর্যন্ত পবিত্র কোরানের শতভাগ পাঠ উদ্ধার করতে পারে নাই সেখানে আপনি নাম মাত্র অনুবাদ যেনে দাবি করেন কোরান ভুলে ভরা? কোরানের ভাষা প্রাঞ্জল তবে সেটা পাঠ এবং অনুবাদের ক্ষেত্রে কিন্তু পূর্ণ মর্ম উদ্ধারের ক্ষেত্রে নয়। কোরানের বহু বিষয় রয়েছে যেগুলো আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সামজ্জস্য পূর্ণ যা নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করলে অবশ্যই অনুধাবন করা যায়। এজন্যই ড.মরিস বুকাইলির মতো মহান বিজ্ঞানী পবিত্র কোরানের প্রেমে পরে ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছেন।
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৪৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: লেখক প্রমাণ করুন যে ইউনিভার্সের কোন শুরু বলতে কিছু নেই। তবে আমি আপনার যুক্তি মেনে নিতে চিন্তা করব। এমনকি হয়ত আপনার অনুসারীও হয়ে যাব।
০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯
সজা১২৩ বলেছেন: আমি বিশ্বাস করি ইউনিভার্সের শুরু বলতে কিছু আছে। যিনি দাবি করবেন যে ইউনিভার্সের শুরু বলতে কিছু নেই, এটি তার দায়িত্ব তার এ দাবির পক্ষে প্রমান উপাস্থাপন করা।
কেউ আমার অনুসারী হোক সেটা আমার কামনা নয়, আমার কামনা সকলে গোড়ামিত্ব পরিহার করে সত্যের অনুসারী হোক। আমার কোন কথাও যদি কেউ ভূল প্রমান করে, আমি নির্ধিদায় তার বক্তব্যর অনুসরন করবো। কারন আমি সত্যের পূজারী।
৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১১:৪৭
মহা সমন্বয় বলেছেন: ঈশ্বর থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে - এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় যুক্তি।
মাঝে মাঝে বলি ঈশ্বর আছে মাঝে মাঝে বলি নেই- এটাই হচ্ছে আমার বর্তমান অবস্থা।
ঈশ্বর আছেন- এটা বললেই সবকিছুর সমাধান হয়ে যায় না। ( যদিও বেশিরভাগ মানুষ ঈশ্বর দিয়েই সবকিছুর সমাধান দিয়ে থাকেন।)
ঈশ্বর নেই- এটা বললেই মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না। ( প্রকৃত পক্ষে 'ঈশ্বর নেই' এর মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জ্ঞান, যদিও অনেকেই তা বুঝতে পারে না। )
এ যাবৎ কালে পৃথিবীতে যত মিথ্যা আর বিভ্রান্তী রচিত হয়েছে তা সবই এই ঈশ্বর কে ঘিরে।
আর তাই এই বিশ্ববাসীর প্রতি আমার আবেদন হল- ঈশ্বর বিশ্বাস করুন আর নাই করুন সমস্যা নেই, তবে অবশ্যই জ্ঞান অর্জন করার সময় ঈশ্বরকে সাথে রাখা যাবে না।ঈশ্বরকে একটা রুমে বন্ধি করে রখে তারপর জ্ঞান অনেষণে বেরিয়ে পড়ুণ।
জ্ঞান অনেষণ করার পর যার যার ইচ্ছে/ধর্ম অনুযায়ি ঈশ্বরের স্তুতি করুন তাতে কোনই সমস্যা নাই।
৯| ১৭ ই জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:৩১
সজা১২৩ বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মে, ২০১৫ রাত ১:৩৫
নাম প্রকাশে ইচ্ছুক নহে বলেছেন: সারদিন সত্যের পেছনে ছুটাছুটি খাটাখাটনি করেন। মাথায় চুল আছে তো??
আপনার প্রোপিক এ যীশুর ক্রুশ দেখতে পাই।