নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামিক দেহ এবং বৈদান্তিক মস্তিস্ক

সিদ্ধার্থ.

.....

সিদ্ধার্থ. › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমর গোপাল বসু -সেরা বাঙালি উদ্যোগপতি ।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

আমার বাড়ি থেকে কলেজের ২০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে আমাকে মেট্রোর শরনাপন্ন হতে হত ।প্রতিদিনই পার্ক স্ট্রিট স্টেসনে নামার পর একটা বড় দোকান দেখতাম যাতে লেখা আছে 'BOSE' ।জানতাম দোকান টা একটা বড় মার্কিন কোম্পানি এর দোকান ।যারা হেডফোন ,স্পিকার ইত্যাদি তৈরি করে ।আরও জানতাম এদের একটা হেডফোনের দাম প্রায় ১৬০০০ টাকা ।আর একটা মারাত্মক ভুল ধারণা ছিল -ভেবেছিলাম দোকান টার আসল নাম BOSS একটু কায়দা করে 'BOSE' লেখে ।





১৯২০ সালের কোনো এক দিন, স্বাধীনতা সংগ্রামী ননী গোপাল বসু পুলিশী গ্রফতার এড়াতে আমেরিকা পালিয়ে যান ।সেখানে তার একটি ছেলে হয় ,যার নাম অমর গোপাল বসু ।

অমর গোপাল বসু এম এই টি তে নিজের কেড়িয়ার শুরু করেন একজন প্রফেসর হিসাবে ।শুরু দিকে অর্থাৎ ১৯৬৫ সালে তিনি একটি স্টিরিও স্পিকার কেনেন ।কিন্তু সেটার সাউন্ড তার ভালো লাগছিল না ।এই ভালো না লাগা টাই জন্ম দিল এক নতুন কোম্পানির যার নাম বোস কর্পোরেশন ।



শোনার নতুন ধারণা -সাইকো একয়াস্টিক



আগে সমস্ত স্পিকার কোম্পানি কিছু স্ট্যান্ডার্ড মেসার্মেন্ট এর উপর বেস করে তাদের স্পিকার বানাতেন ।

অমর গোপাল বসু এই ধারণা কে পাল্টে দিলেন ।দিলেন এক নতুন কনসেপ্ট ।দিলেন "মডেল ৯০১"।মডেল ৯০১ নিয়ে বলার আগে

"সাইকো একয়াস্টিক" থেওরি নিয়ে কিছু বলা যাক ।এই থেওরি বলে ,মানুষের শোনার ধরন একটি যান্ত্রিক কার্য নয় ।বরং একটি psychological ঘটনা ।সাধারনত দেখা গেছে মানুষ ২০ hz থেকে ২০,০০০ hz পর্যন্ত শব্দ শুনতে পান ।এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো করে শুনতে পান ১০০০ hz থেকে ৫০০০ hz |



সাউন্ড লোকালাইজেসান

আমরা মানুষেরা কোনো শব্দ শুনে শব্দ টি ঠিক কথা থেকে আসছে তা বলতে পারি ।আমাদের মস্তিস্ক শব্দের তীব্রতা ,সময় এগুলো বিচার করে খুব্ সহজেই শব্দের উত্পত্তি বলতে পারি ।আমরা মানে যেকোনো চতুস্পদী প্রাণী দের কান একই হরাইজন্টাল সিমেট্রি তে থাকায়, আমরা হরাইজন্টালই শব্দের উত্স বিচার করতে পারি, কিন্তু ভার্টিকালই পারি না ।স্পিকার এ গান শোনার সময় আমরা যদি বুঝতে পারি শব্দ টা কোথা থেকে আসছে ,তাহলে তা ভালো শোনায় না । তাই শব্দের ভালো প্রতিফলন আনার জন্য "মডেল ৯০১ "এর উদ্ভব ।এক্ষেত্রে ৮ টা স্পিকার কে শ্রোতার পিছন দিকের দেয়ালে ,এবং একটা স্পিকার কে শ্রোতার মুখের দিকে এমন ভাবে রাখা হয় যাতে বোঝাই যায় না শব্দ টা ঠিক কোথা থেকে আসছে ।



এর সাথে যুক্ত হলো সাইকো একয়াস্টিক ধারণা ।যা বলে শোনা টা কেবল মাত্রই যান্ত্রিক কলাকৌশল নয় ,বরং মনস্ত্বাতিক একটি ঘটনা ।এবং এই ধারণা বোস তার স্পিকার এর উপর প্রয়োগ করলেন ।এবং ক্রমেই হয়ে উঠলেন বিশ্বের এক নাম্বার অডিও কোম্পানি ।



দেখা যাক বোস এর ক্লায়েন্ট কারা -

১) বিভিন্ন দেশের সেনা বাহিনী ।মার্কিন সেনা ,ন্যাটো ।

২)বিখ্যাত ডি জে রা

৩)NASA

অমর গোপাল বোস কে MIT থেকে বেরোনো ১৫০ জন সেরা আবিস্কর্তা এর মধ্যে ৯ নাম্বারে রাখা হয়েছে ।



অনেক বড় বড় বাঙালী উদ্যাগ পাতি আছেন, যেমন ভারত ও বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম এর স্পনসর সাহারার সুব্রত রয় ।কিন্তু এরা কেউই ইনোভেটিভ নয় ।তাই নিসন্দেহে অমর গোপাল বসু সেরা বাঙালি উদ্যোগপতি ।

View this link

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৪

নাস েটক বলেছেন: এই উদ্যোক্তারা যদি বাংলাদেশের প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশে সহায়তা করত তাহলে আরও ভাল লাগত :)

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: উনি অনার সমস্ত সম্পত্তি আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় "MIT "কে দান করেছেন । :((

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: অসাধারন ঘটনা ছিলো নিশ্চয়ই। এভাবেই ভারত আজ প্রযুক্তি বিশ্বে দারুন ভাবে জায়গা করে নেয় আর আমার দেশের মানুষেরা শুধু গীবত গেয়েই গেলাম।

উপরে একজনকে দেখছি ভিক্ষার থালাটি নিয়ে এসে পড়েছেন

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: না ভাই ,উনি ভারতের না ।উনি অবিভক্ত বাংলাদেশের ।আর অনার জন্ম আমেরিকায় ।

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

ঘুমাইলে চোখে দেখি না! বলেছেন: লেখক বলেছেন: না ভাই ,উনি ভারতের না ।উনি অবিভক্ত বাংলাদেশের ।আর অনার জন্ম আমেরিকায়।

সেজন্যই তো গর্বিত আমরা। বিজ্ঞান কখনো কোনো জাতীর বা কোনো ব্যাক্তির নয়। কিছু মানুষ অমানুষিক মেধা পরিশ্রম দিয়ে নতুন একটা প্রযুক্তি আবিষ্কার করলে তার ব্যাব হারকারী হয়ে যায় পুরো বিশ্ববাসী, এ আবিষ্কার তখন হয়ে যায় মানবজাতীর। শুধু তার নাম আর এই আবিষ্কারের গুনে সে হয়ে যায় অমর।

এরকম মানুষ হওয়াটাই হলো একজন আদর্শ মানুষের লক্ষন, তার জন্ম যেখানেই হোক না কেন। আর সেযদি আমাদের কাছাকাছি বা একই ভাষা বা একই অন্ঞ্চলের কেউ হয় সে গর্বটা আরও এক ছিপি বেড়েই যায় বৈকি

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "আর সেযদি আমাদের কাছাকাছি বা একই ভাষা বা একই অন্ঞ্চলের কেউ হয় সে গর্বটা আরও এক ছিপি বেড়েই যায় বৈকি "-সহমত

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার। অমর গোপাল বোস বাঙালির গর্ব।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ধন্যবাদ |

৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

নাস েটক বলেছেন: না বুঝে উল্টাপাল্টা মন্তব্য করবেন না@ঘুমাইলে চোখে দেখি না! । বাংলাদেশের প্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ বলতে আমি তাদের বাংলাদেশে প্রযুক্তি শিল্প গড়ে তুলতে সহায়তার কথা বলেছি। আর আমাদের দেশের মানুষদের বদঅভ্যাসটির প্রমাণ নিজেই দিয়ে দিয়েছেন সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।বাংলাদেশের প্রযুক্তি শিল্প খাতে অনেক সম্ভবনা থাকলেও তেমন কোন উদ্যোগ না নেয়ার কারণে এই খাত বিকশিত হতে পারছে না।উনাদের মত উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে এই খাতে বিনিয়োগ করলে অন্যরাও উৎসাহিত হইত।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "উনাদের মত উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে এই খাতে বিনিয়োগ করলে অন্যরাও উৎসাহিত হইত।" বোস এর বিপনী অনেক দেশেই নেই ।কিন্তু কলকাতায় ঠিকই আছে ।এটাই প্রমান করে উনি এখনো অনার শিকড় ভুলে যান নি ।আমাদের দেশের সরকার কে আরো দায়িত্ববান হতে হবে ।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

কুন্তল_এ বলেছেন: গেল বারে পার্কস্ট্রীট বোসের সামনে আমিও খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঢাকার বনানিতে বোধহয় ওদের একটা শোরুম আছে। একটা ফিল্ম ক্লাবের মেম্বার ছিলাম, তাদের প্রোজেকশন রুমের সাউন্ড সিস্টেম ছিল বোসের ... অরিজিনাল ডিভিডি + বোস = অসাধারণ শব্দ। সেই থেকে ইচ্ছা একটা বোস এর মালিক হবো। :)

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: অসাধারণ সাউন্ড ।আমি ওদের নয়েসলেস হেডফোন টা শুনেছিলাম ।অদ্ভুত সুন্দর !!

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৮

আরজু পনি বলেছেন:

জেনে দারুণ লাগলো।

শেয়ার করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ধন্যবাদ ।শুভ কামনা ।

৮| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:১০

এম হুসাইন বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট। বাঙ্গালির গর্ব অমর গোপাল বোস ।

৬ষ্ঠ ভাললাগা।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ধন্যবাদ হুসাইন |

৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:২৪

মুনতাসীর রোমান বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা উ্দ্যোক্তা তৈরি করেনা পুঁজিপতি তৈরি করে ,
আর শ্রমিকরা হয় তার জ্বালানী ।সৃজনশীল উদ্যোক্তা তৈরির পথ অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে কঠিন । পোস্টে ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম ।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থব্যবস্থা উ্দ্যোক্তা তৈরি করেনা পুঁজিপতি তৈরি করে ,
আর শ্রমিকরা হয় তার জ্বালানী ।সৃজনশীল উদ্যোক্তা তৈরির পথ অন্য যেকোন সময়ের চেয়ে কঠিন ।

সত্যি আমাদের এখানে সবাই "ধান্দা "করে "ব্যবসা" করে না ।"পুজিপতি" হয় কিন্তু "উদ্যোগপতি "হয় না ।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৪৩

শের শায়রী বলেছেন: এই রকম একজন কে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য অনেক ধন্যবাদ সিদ্ধার্থ. দা।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ধন্যবাদ ।শুভ কামনা ।

১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২২

জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম বলেছেন: ভাল লাগল।

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জহুরুল ইসলাম স্ট্রীম

১২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:২১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: বোঝাই যায় যে মিউজিক জিনিষটা আপনি খুব গভীর থেকে ফিল করেন :)


+++++++++++

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ভাবছি এই বার একটা "সা " "রে " "গা " "মা " নিয়ে পোস্ট দেব ।

ধন্যবাদ ।

১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

জয়তি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন: খুব ভালো লাগল তবে ১৬০০০টাকা দিয়ে একটা হেড ফোন কেনার ক্ষমতা নেই--কাজেই দূর থেকে প্রণাম!

১৪ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: না না কাছে যান ।ওদের দোকানে গেলেই শুনতে দেয় ।আমি কলেজে থাকা কালীন মাঝে মাঝেই ওদের দোকানে গিয়ে শুনতাম । :D

১৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: অমর বোসের কানদুটো দেখছেন? বেশ বড় বড়। এই লোকে শব্দ প্রকৌশল নিয়ে কাজ করবে না তো কে করবে!

বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের প্রথমে হাত ভাঙ্গে, এরপরে বেচারারা ভাঙ্গা হাতে বহু কষ্টে কিছু দাড়া করানোর পরে বিদেশী জিনিস এনে পেটে লাথি মারে, তারপরে হাতে হারিকেন আর হোগায় বাঁশ দিয়ে উদ্যোক্তা হবার শখ জনমের মত মিটিয়ে দেয়। কপাল ভালো এই লোকে আমেরিকায় কাজ করেছে। নয়তো এইরকম প্রতিষ্ঠান না বানিয়ে পাড়ায় মাইক ভাড়ার দোকান দিয়ে ব্যাবসা করে খেতে হত। আমেরিকা দেশটাকে আমি যত দেখছি তত মুগ্ধ হচ্ছি। কি নিয়ে কথা বলতে যেয়ে কি বলা শুরু করলাম! যাই হোক উনার সম্পর্কে বিস্তারিত সবাইকে জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:০১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: B-) B-)

আমেরিকা রে আমি দেখি নাই তবে যা শুনছি তাতেই ভাললাগছে ।
আমাদের এখানে তো কাকড়া পলেটিক্স চলে ।কেউ একটু উঠলেই অর পা ধরে দশ জন ঝুলে পরে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.