নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইসলামিক দেহ এবং বৈদান্তিক মস্তিস্ক

সিদ্ধার্থ.

.....

সিদ্ধার্থ. › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্ঞান চর্চায় উপমহাদেশ ।একটি পরিসংখ্যান ভিত্তিক রিপোর্ট ।

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৬

কৃষি যুগ ,ইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগ শেষ করে আমরা এখন নলেজবেস ইকোনমি এর দিকে ।যে দেশের জ্ঞান চর্চা যত বেশি সেই দেশ তত উন্নত ।আসুন নিজেদের দিকে তাকানো যাক সারা বিশ্বের পরিপেক্ষিতে ।



আলোচনার সময় ফোকাস করা হবে বাংলাদেশ ,পাকিস্তান এবং ভারত কে ।এছাড়াও ইরান ,চীন ,জাপান ,কোরিয়া এবং আমেরিকা এই সব দশ গুলোর দিকেও তাকাবো ।

প্রথমে দেখে নেওয়া ২০১১ সালের ভিত্তিতে যাক সেরা দশ টি দেশ রিসার্চ পেপার জমা দেবার ভিত্তিতে ।



এখানে খেয়ালে রাখতে হবে -H ইনডেক্স যে দেশে যত বেশি তার গবেষনার মান তত উন্নত ।



ইঞ্জিনিয়ারিং সংক্রান্ত গবেষনার ভিত্তি তে সেরা দশ টি দেশ ।



মেডিসিন সংক্রান্ত গবেষনার ভিত্তি তে সেরা দশ টি দেশ ।



শক্তি সংক্রান্ত গবেষনার ভিত্তি তে সেরা দশ টি দেশ ।







বাংলাদেশ

রিসার্চ পেপার জমা দেবার ভিত্তিতে ২০১১ সালে বাংলাদেশের rank ৬০ ।জমা পরা রিসার্চ পেপারের পরিমান ২,১৯৭।

রিসার্চ পেপার জমা দেবার ভিত্তিতে ২০১১ সালে পাকিস্তানের rank ৪৪ ।জমা পরা রিসার্চ পেপারের পরিমান ৮,২৯৪।

রিসার্চ পেপার জমা দেবার ভিত্তিতে ২০১১ সালে ইরানের rank ১৭ ।জমা পরা রিসার্চ পেপারের পরিমান ৩৬,৮০৩।



রিসার্চ পেপার জমা দেবার ভিত্তিতে ২০১০ সালে বাংলাদেশের rank ৫৯।

রিসার্চ পেপার জমা দেবার ভিত্তিতে ২০১০ সালে পাকিস্তানের rank ৪৩।

রিসার্চ পেপার জমা দেবার ভিত্তিতে ২০১০ সালে ইরানের rank ৪৩।



২০০৯ সালে

বাংলাদেশের rank ৬১

পাকিস্তানের rank ৪৫।

ইরানের rank ২১।



১৯৯৬ সালে

ইরানের rank ৫৩,পাকিস্তানের ৫২ আর বাংলাদেশের rank ৬১।

এখানে দেখা যাচ্ছে ইরান ৫২ থেকে ১৭ তে উঠে এসেছে ২০১১ সালের মধ্যে ।বাংলাদেশ কিন্তু এগোয়নি ।তখনও ৬১ ছিল এখনো ৬১ ই আছে ।পাকিস্তান ৫২ থেকে ৪৩ তে উঠেছে ।

ইরানের এই বৃদ্ধি অসাধারণ ।মনে রাখতে হবে রিসার্চ এর ক্ষেত্রে ইরানের বৃদ্ধির হার পৃথিবীর সর্বাধিক ।

ভারতের ক্ষেত্রে গবেষণা পত্র বার করবার ক্ষেত্রে ২০০৯ সালে দশম স্থানে ছিল ।২০১০ এ নবম স্হানে ।এবং ২০১১ তে সপ্তম(৭) স্থানে আছে ।





রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট বাজেট -



সারা পৃথিবীতে যত টাকা বরাদ্দ হয় রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর জন্য তার প্রায় ৩০ % ব্যয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একাই করে ।ইউরোপ মহাদেশ ২৪ % ব্যয় করে ।চীন এবং জাপান ১৪% করে ব্যয় করে ।ভারত ৩ % করে ।



নিজ দেশের মোট বাজেট বরাদ্দের মাত্র ১ .৮৯ % রিসার্চের জন্য খরচা করে ভারত ।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ .৮ এবং কোরিয়া এবং জাপান প্রায় ৪ শতাংশ খরচা করে ।



বলা ভালো পাকিস্তান নিজ বাজেটের মাত্র .৯ শতাংশ রিসার্চের পিছনে খরচা করে ।আর বাংলাদেশ সরকার এখনো ঘুমিয়ে আছে ।তবে একটা সুখবর -প্রথম একটি নামী বহুজাতিক কোম্পানি হিসাবে স্যামসং বাংলাদেশের ঢাকায় একটি "রিসার্চ সেন্টার হাব" খুলেছে এই বছর ।



গ্লোবাল ইনোভেসান ইনডেক্স



কোনো সরকারের রিসার্চ ক্ষেত্রে ইনপুটের পরিমান এবং তা থেকে প্রাপ্ত আউটপুট নিয়ে নিয়ে এই গ্লোবাল ইনভেসান ইনডেক্স বানানো হয় ।মোদ্দা কথা হল যে দেশের রিসার্চের পরিবেশ যত ভালো সেই দেশ এই ইনডেক্স এ তত বেশি এগিয়ে থাকবে ।

২০১২ এর প্রকাশিত এই লিস্টে ভারতের স্থান ৬২ ,বাংলাদেশ ১০৪ এবং পাকিস্তান ১১০ নাম্বারে রয়েছে ।

যদিও সিঙ্গাপুর ,হং কং এর মতো চত দেশ গুলি বাদ দিলে ভারত ১৫ নাম্বারে রয়েছে ।হতাশা জনক পরিস্থিতি ।



এখানে আরো একটি লিস্ট প্রকাশিত হয় তাতে লিস্ট করা হয় কোন দেশের সায়েন্টিস্ট রা প্রতিকুল পরিস্থিতির মাঝেও ভালো গবেষণা করেন -

তাতে প্রথম স্থানে আছে চীন ,এবং দ্বিতীয় স্থানে ভারত আছে ।বাংলাদেশের অবস্থান ৫৬ নাম্বারে এবং পাকিস্তান ৭৫ নাম্বারে ।





পেটেন্ট অপ্লিকেসান এবং পেটেন্ট গ্র্যান্টেড হবার ভিত্তিতে -



আপনারা জানেন কিনা জানি না -নিম এবং হলুদের পেটেন্ট আমেরিকা নিয়ে নিয়েছিল ।অথচ আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রে অনেক দিন আগেই এর ভেসজ গুনের কথা লেখা আছে ।তখন ভারত সরকারের ঘুম ভাঙ্গে ।শেষ মেষ বন্ধু জার্মানরা প্রতিবারের মত এবারেও ভারতের হয়ে ওকালতি করে ।শেষে পেটেন্ট ভারতের হাতে আসে ।এই পেটেন্ট থেকে কিছু অর্থ ও ভারতের কোষাগারে যুক্ত হয়েছে ।বাংলাদেশ সরকার এখনো ঘুমাচ্ছে ।ঢাকাই মসলিনের পেটেন্ট কি নেওয়া আছে ?-না নেই ।জামদানির মতো ওটিও হাতছাড়া হতে আপনাদের বেশি সময় লাগবে না ।এটা সম্পূর্ণ আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে হয় ।



২০১২ সালে পেটেন্ট গ্র্যান্টেড হবার দিক থেকে জাপান সবার এগিয়ে রয়েছে ।তারপর আমেরিকা এবং তারপরে চীন ।ভারত রয়েছে ১৭ নাম্বারে ।

তবে পেটেন্ট বেশি হলেই যে খুব ভালো তা নয় যেমন ইরান ,এরা পেটেন্ট এপ্লিকেশন সব সময় নিজের দেশেই করে ।এবং উল্টো পল্টা চমক সৃষ্টি করে ।চীন ও এই ব্যাপারে পিছিয়ে নেই ।

যাই হোক ,২০১২ সালে জাপানের নেওয়া পেটেন্ট ২,৩৮,৩২৩ ভারতের ৫১৬৮।*পাকিস্তানের ৩০ থেকে ৪০ টির মধ্যে ।আর বাংলাদেশ ৬ টি ।*(তারকা চিন্হ দেওয়া তথ্য টির ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ নিশ্চিত নই ,তবে সংখ্যা টা এর আসে পাশে ঘোরাফেরা করবে )



পেটেন্ট নিজের দেশেও নেওয়া যায় আবার বিদেশেও নেওয়া যায় ।

বিদেশে(পড়ুন আমেরিকায় ) পেটেন্ট নেওয়ার দিক থেকে ভারত সপ্তম স্থানে(১০০০ এর একটু বেশি পেটেন্ট ) আছে ।পাকিস্তান মাত্র ৬ টি পেনেন্ট নিয়েছে ।আর বাংলাদেশ একটিও নেয় নি ।



বোঝা যাচ্ছে উপমহাদেশে পেটেন্ট একটি ফ্যান্টাসির জায়গায় রয়েছে ।



মোস্ট ইনোভেটিভ কোম্পানি -


অনেকে অনেকরকম লিস্ট বার করে ।তবে আমি এখানে শুধুমাত্র পেটেন্টের দিক থেকে দেখব ।

কোন কোম্পানির পেটেন্ট কত বেশি তার উপরে লিস্ট করলে সবার উপরে থাকবে আই বি এম।এরকম হাজার টা কোম্পানির লিস্ট করলে ভারতীয় কোম্পানি থাকবে মাত্র ৮ টা ।চিনের ৩৫ টা ।বাংলাদেশ ,পাকিস্তান এর একটি কমনীয় থাকবে না ।এই হলো আমাদের উপমহাদেশের হাল ।অথচ এই আই বি এম এর ৫০ % এর বেশি



আমার যা মনে হয় -

১)আমাদের জন্ম জামাকাপড় তৈরি আর টেকনোলজিকাল সলুশন(কম্পিউটার সংক্রান্ত ) দেবার জন্য হয় নি ।আমরা ক্রীতদাস না ।আমরা একটা গৌরবান্বিত প্রাচীন সভ্যতার অংশ ।

২)সমন্বয় চাই ।উপমহাদেশের ইউনিভার্সিটি গুলোর মধ্যে সমন্বয় ।এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নাই ।

৩)আপনি কি জানেন -বাংলাদেশে একটিও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই ।

ভারতে থাকলেও সেগুলো প্রচুর পরিমানে অন্তর্মুখী ।কোনো সমন্বয় নাই ।

৪)আমি একটা অবাক ট্রেন্ড লক্ষ্য করেছি ।উপমহাদেশ থেকে যথেষ্ট ছাত্রছাত্রী আমেরিকা পড়তে যায় শুধুমাত্র স্টেটাস এর জন্য ।টাকা দিয়ে আমেরিকার বস্তা পচা ইউনিভার্সিটি গুলোতে পড়ে ।এর কোনো মানে আছে কিনা জানি না।আমেরিকার ইউনিভার্সিটি মানেই যে ভালো এর কোনো মানে নাই ।





মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: One of the best writing @ this blog. Bravo..:-) :)

২১ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: এত বেশি প্রসংশাও আমি এই ব্লগে কোনদিনও পাই নি ।থেঙ্কু ।

২| ২০ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৮

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: One of the best writing @ this blog. Bravo..:-) :)

৩| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৯

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: চমৎকার পোষ্টটি অনেক পরে চোখে পড়ল :(

২৭ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

সিদ্ধার্থ. বলেছেন:

৪| ২৭ শে জুন, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: :-< :-< :-<
এগুলা কি? রিচার্স মানে কি? গবেষণা নাকি? গবেষনা মানে তো গো+এষণা মানে গরু খোজা, ঐডা তো আমরা প্রত্যেকদিনই করি।

২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৪১

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: টিকাছে টিকাছে ....এবার একটা বাংলা গান শুনেন

৫| ২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৯:৫৯

ভালবাসা007 বলেছেন: আপনি কি জানেন -বাংলাদেশে একটিও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নাই ।
ভারতে থাকলেও সেগুলো প্রচুর পরিমানে অন্তর্মুখী ।কোনো সমন্বয় নাই ।

২৮ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:১৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: হুম ভাই ..এই রকমই অবস্থা ।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৯

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: অর্জুন ভাবে পুব বাংলার ছিল এক দেশ তারার, স্বপ্নের মত এক দেশ ছিল, নদী আর ধানক্ষেত বেশ ছিল, আজ দাঙ্গায় বাবা নেই আর তারা সব দেশছাড়া......

আপনে আমারে নির্যাতন কইরা কি মজা পান? এগুলা কি আমার দুষ? আমি করছি এগুলা?

কাদলাম অনেকক্ষণ। দেশ আর জাতির প্রশ্নে আমি খুবই আবেগী মানুষ। একটুতেই চোখ দিয়া পানি বের হয়ে যায়। সার্বিয়ান ফিল্ম, সডোমের ১২০ দিন দেখতে দেখতে ভাত খাইতে পারি, কোন বিকার হয় না, কিন্তু এসব বিষয়ে আমি খুবই দুর্বল।

২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: নিন এইবার একটা মন ভালো করা গান

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: এইটা অনেক আগেই শুনছি, ভালোই। আপনি আমাদের দেশাত্মবোধক গানগুলি শুনছেন? "বঙ্গ আমার জননী আমার", "উঠো গো ভারত লক্ষী", "মুক্তির মন্দির সোপান তলে", "আমি বাংলায় গান গাই", "ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা" এগুলা বাদে বাঙ্গালের দল বাংলাদেশকে ঘিরে অনেকগুলো দেশাত্মবোধক গান বানিয়ে ফেলেছে কিন্তু।

এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই যমুনা সুরমা নদী তটে।
আমার রাখাল মন, গান গেয়ে যায়
এ আমার দেশ, এ আমার প্রেম
আনন্দ বেদনায়, মিলন বিরহ সংকটে
কত আনন্দ বেদনায়, মিলন বিরহ সংকটে।।

এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে।।

এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই হাজার নদীর অববাহিকায়।
এখানে রমণীগুলো নদীর মতন
নদীও নারীর মত কথা কয়।।

এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে
নির্ভয়ে নীলাকাশ রয়েছে নুয়ে
যেন হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে ফোটে।।


০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা" এইডা আমার প্রাইমারি স্কুল এ পার্থনা সঙ্গীত ছিল ।
"উঠো গো ভারত লক্ষী", "মুক্তির মন্দির সোপান তলে" এই গান গুলি ১৫ অগাস্ট গাইতাম ।
"আমি বাংলায় গান গাই",এই গান টা অনেক পরে শুনেছি ।কলেজে পড়ার সময় ।
"বঙ্গ আমার জননী আমার" ,এই গান এখানে গণ সঙ্গীত হিসাবে ব্যবহার হয় ।গণ সঙ্গীত ,গণ নাট্য এগুলো হলো কমুনিস্ট পার্টির সংস্কৃতিক বিভাগ ।

এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো লাগে "ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা"।

আপনার দেওয়া গান টা শুনে দেখলাম ।বেশ আবেগ আছে ।ভালো লাগলো ।

আমি প্রায় ৬ মাস মতো কলকাতায় ছিলাম ।এবার আবার মুম্বাই চলে যেতে হবে ।১০তারিখ যাব ।ভাবতেই খারাপ লাগছে সামুতে আর বসা হবে না ।আপনার চিন্তা ধারা আমার ভালো লাগে ।লুঙ্গি বাদী কিম্বা ধুতি বাদী এর চেয়ে গামছা বাদী ভালো ।

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: বাংলাদেশে একটিও বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই কথাটি ঠিক নয়। জনস্বাস্থ্য বিষয়ে পড়াশুনার জন্য বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপ সহ এশিয়া আফ্রিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্ডারগ্র্যাড এমনকি এমফিল করা ছেলে মেয়েরা আসছে। যদিও আন্তর্জাতিক কোন অফিসিয়াল র‌্যাঙ্কিং নেই, তথাপি প্রতিষ্ঠানটিকে অনেকেই বিশ্বের প্রথম পাঁচটির মধ্যে গন্য করেন। প্রতিষ্ঠানটির সুনামের কারণে এটি বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একটি যেখান থেকে মাস্টার্স করে সরাসরি হার্ভার্ড, হপকিন্স, লন্ডন স্কুল, হাইডেলবার্গ, ম্যাকগিল, বার্লিনের মত শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পিএইচডিতে এনরোল হওয়া যায় (আরেকটি মাস্টার্স করা লাগেনা, যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ সাবজেক্ট থেকে পাশ করলে লাগে)। নামটি বলছিনা দু'টি কারণে:আমি নিজে সেখানে পড়ে এখন হপকিন্সে পিএইচডি করছি বলে নিজের প্রাক্তন প্রতিষ্ঠানের ঢাক পিটাচ্ছি এমনটি মনে হতে পারে। দ্বিতীয়ত: আপনি এত পরিশ্রম করে নানা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান যোগাড় করে দিয়েছেন, নিজ দেশের প্রতিষ্ঠানটিকে খুঁজে বের করতে একটু কষ্ট না হয় করুন।
শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানও আছে যেখানে কাজ করাটাকে বিশ্বের অনেক নাম করা সাইন্টিস্ট গর্বের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে। তাদের সাইন্টিফিক জার্নালটিও একদম প্রথম সারির না হলেও মোটামুটিভাবে প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:১২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: দেখুন ভাল মানের প্রতিষ্ঠান আর বিশ্বমানের প্রতিষ্ঠান ...এই দুটোর মধ্যে তফাৎ আছে ।

"প্রতিষ্ঠানটির সুনামের কারণে এটি বাংলাদেশের হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের একটি যেখান থেকে মাস্টার্স করে সরাসরি হার্ভার্ড, হপকিন্স, লন্ডন স্কুল, হাইডেলবার্গ, ম্যাকগিল, বার্লিনের মত শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পিএইচডিতে এনরোল হওয়া যায়"-আমি ঠিক এটাই বলতে চেয়েছি ।মাস্টার্স নয় এখানে রিসার্চ পেপার এর উপর বেস করে প্রবন্ধ টি লেখা হয়েছে ।দেখুন আপনিও বিদেশে রিসার্চ করছেন ।

"আপনি এত পরিশ্রম করে নানা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান যোগাড় করে দিয়েছেন, নিজ দেশের প্রতিষ্ঠানটিকে খুঁজে বের করতে একটু কষ্ট না হয় করুন।"আমার প্রোফাইল দেখে তো বোঝা উচিত আমি ভারতে থাকি ।তাই যদি দয়া করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান টির নাম বলতেন তাহলে হয়ত অনেকেই উপকৃত হত ।ধন্যবাদ ।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৮

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: "বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানও আছে যেখানে কাজ করাটাকে বিশ্বের অনেক নাম করা সাইন্টিস্ট গর্বের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে। তাদের সাইন্টিফিক জার্নালটিও একদম প্রথম সারির না হলেও মোটামুটিভাবে প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত"
এই জার্নালটিতে আমার একটা পেপার আছে

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৩:০৮

কপোতাক্ষের তীরে এক অসামাজিক বলেছেন: "বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা প্রতিষ্ঠানও আছে যেখানে কাজ করাটাকে বিশ্বের অনেক নাম করা সাইন্টিস্ট গর্বের বিষয় হিসেবে উল্লেখ করে। তাদের সাইন্টিফিক জার্নালটিও একদম প্রথম সারির না হলেও মোটামুটিভাবে প্রসিদ্ধ ও সুপরিচিত"
এই জার্নালটিতে আমার একটা পেপার আছে

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.