নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যত পথ হেঁটেছি তত পথ চিনেছি

কসমিক রোহান

বজ্রকন্ঠে গাইতে চাই সত্য শব্দমালা। হাতুড়ি দিয়ে ভাঙতে চাই মিথ্যার খুলিটা।

কসমিক রোহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

শতাব্দীকালব্যাপী বর্ণাঢ্য জীবনের সফল মহানায়কের মহাপ্রয়াণঃ

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৭



জীবদ্দশায় যেখানেই তিনি গিয়েছেন মুহুর্তেই জনসমূদ্র হয়ে গেছে, ইন্তিকালের পরেও ঘটেছে একই ঘটনা।
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগে স্বাক্ষি হওয়া হাসপাতাল জুড়ে ছিলো বাঁধভাঙা জনস্রোত, লাশ মুবারাক ফরিদাবাদ আনা হলে বিশাল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণ তিল ধারণের সক্ষমতা হারায়।
তিনি শায়িত হবেন তাঁর প্রিয় মাদারিসের মারকাবায়। লক্ষ জনতা ছুটেছে দেশের সকল প্রান্ত থেকে। চিটাগং হাইওয়ে ছিলো গতরাতে স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ব্যস্ততম।
তাঁর গাড়ি ঢাকা থেকে রওনা হয় ভোর রাতের কিছু আগে, তারও আগে থেকে "জানাযা সংঘটিত হবার স্থান" ঘোষিত হবার মূহুর্ত থেকেই জনস্রোত বয়ে চলেছে। প্রাইভেট গাড়ি গুলোর সবগুলো সীট পূর্ণ, বাসের টিকেট সংকট, বিমানের সকল টিকেট বুকিং হয়ে গেছে, কেউ মোটর সাইকেলে, পিক-আপ ভ্যানে, এমনকি ট্রাকে করে একই গন্তব্য পানে ছুটেছে।
যেন সমগ্র বাংলদেশ যাবে আজ শায়েখ রহিমাহুল্লাহর প্রিয় মাদারিসে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে তিনি ইন্তেকাল করেছেন গত শুক্রবার মাগরিবের পূর্ব মূহুর্তে। ঘোষনা এসেছে ছ'টার পর। জীবন সায়াহ্নের কিছুকাল আগ থেকে স্বার্থান্বেষী মহল তাকে অপশক্তির বেষ্টনীতে আটকে রেখেছিলো।
তাঁর বার্ধক্যজনিত অপারগতার সুযোগে অনেক দুষ্কৃতকারী নিজেদের ফায়দা হাসীলের ঘৃণ্য লক্ষ্যে শাইখুল ইসলাম রহিমাহুল্লাহকে বিতর্কে জড়িয়েছেন। তিনি ছিলেন সমগ্র বাংলাদেশের মুখলিস মানুষের হৃদয়ের মধ্যমনি, অবিসংবাদিত মহান নেতা, ইসলামী জাগরণের মহানায়ক, আধ্যাত্মিক শাহানশাহ্, মুকুটহীন সম্রাট, জীবিত সকল উলামায়ে ক্বিরামের সেরেতাজ।
ইন্তিকালের প্রায় অর্ধ দ্বিবস আগে তিনি কুচক্রিদের এতদিনের ষড়যন্ত্র ও সত্য ঘটনা বুঝতে পেরে স্বেচ্ছায় নিজের আসন থেকে অবসর গ্রহণ করে সর্বমহল থেকে তিনি বিতর্কের উর্ধ্বে আরোহণ করেন।
আল্লাহ্ তাঁকে পৃথিবীর দায় মুক্ত করে, সম্মানজনক মৃত্যু দান করেন।
মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। তিনি এই দীর্ঘ জীবনের প্রায় সমগ্র অংশই ব্যয় করেছেন দ্বীনি খিদমাতে। তাঁর রেখে যাওয়া লক্ষ লক্ষ উত্তরসূরী রয়েছে।
তাঁর মত সফল নায়ক বিরল।
তাঁর নিস্প্রাণ দেহ মুবারাক আনার আগেই উম্মুল মাদারিসের সুবিশাল প্রাঙন সফেদ পাঞ্জাবি আর টুপিতে কানায় কানায় ভরে যায়। সহস্র মানুষের কান্নার রোলে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে, গাছগুলো যেন শোকে চুপচাপ হয়ে যায়।
হাটহাজারীর ডাক-বাংলো চত্বর থেকে তাঁর জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
আশ-পাশের প্রায় সব বিল্ডিংএর ছাদ ভর্তি হয়ে যায় , মাদ্রাসার বাইরের রাস্তা ছাড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত জানাযায় অংশগ্রহণকারী তৌহিদী জনতার কাতার প্রলম্বিত হয়। কয়েক লক্ষ মানুষের অংশগ্রহণে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ একটি মাত্র জানাযা শেষে সযত্নে ও সসম্মানে তাঁর অসিয়তকৃত মাদ্রাসার মারকাবায় শায়িত করা হয়।
আল্লাহ্ তাঁর মাগফিরাত নসীব করুন, জান্নাতুল ফিরদাউস এর সুউচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করুন, আমীন।

মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আল্লাহ্ তাঁর মাগফিরাত নসীব করুন, জান্নাতুল ফিরদাউস এর
সুউচ্চ মর্যাদায় ভূষিত করুন, আমীন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০০

কসমিক রোহান বলেছেন: আমীন , আল্লাহ্‌ মাকবুল করুন।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



তিনি কোন মহা নায়ক ছিলেন না, উনি এতিমদের অক্ষরজ্ঞান দিয়েছেন, এবং একটা বেদরকারী পেশা দিয়ে গেছেন, যা দিয়ে এসব মানুষ কোনভাবে জীবিকা অর্জন করতে পারেন, এটাই উনার অবদান।

তবে, উনার শিক্ষা বর্তমান সভ্যতার জন্য হুমকি, উনি নিজেই জ্ঞান বিজ্ঞানের বিপক্ষে, ব্লগিং'এর বিপক্ষে কথা বলে গেছেন; উনার ব্লগিং বিরোধীতার কারণে জংগীরা ব্লগার হত্যা করেছে; উনার অনুসারীরা ভবিষ্যতে জাতির বড় ধরণের ক্ষতি করার সম্ভাবনা আছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:১০

কসমিক রোহান বলেছেন: বাংলাদেশে যত ধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী যোগ্য ও আদর্শ ধারণকারী ছাত্র কওমি মাদ্রাসার। যারা ইতিহাস, ইসলাম, সভ্যতা , বিজ্ঞান , সংস্কৃতি, রাজনীতি, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে যথেষ্ঠ জ্ঞান রাখেন।
তারা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ধারণ করেন না। ইসলাম কালোত্তীর্ণ প্রগতিশীল ধর্ম, এই মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রগতির ধারক বাহক।
সুদূর ইতিহাস থেকে আধুনিক কাল জুড়ে ইসলামি সঠিক চেতনায় বিস্বাসী যারা তারা মানবতার অবনতি রক্ষা করে আসছে, শান্তি প্রতিষ্ঠায় এরা অপ্রতিদ্বন্দি। লিবারাল, ওরিয়েন্টালিস্টদের ভূত ঘাড়ে চাপলে চোখ ,কান মগজ দখল হয়ে যায়।
ব্রেইন ওয়াশড হয়ে কূপমন্ডুকতার নিম্ন সীমানায় চিরস্থায়ী বসবাসের জন্য আবাসন গড়ে তারা।
আমি কওমিতে পড়েছি আবার সাধারণ বিদ্যালয়েও পড়েছি। আমি উভয় জগত খুব ভালো করে জানি।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: পাগল ছাগলের দেশে মাদ্রাসার হুজুর হয় মহানায়ক!!!

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৯

কসমিক রোহান বলেছেন: ভাই, চাক্ষুষ প্রমাণ আছে খুঁজে ও বুঝে নিন। যদি গুহাবাসী না হোন।
তিনিই মহানায়ক এ যুগের দ্বিতীয় কোন নাম বলতে পারবেন, সমান না হোক তাঁর কাছাকাছি যোগ্যতাসম্পন্ন?

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " বাংলাদেশে যত ধারার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, তার মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী যোগ্য ও আদর্শ ধারণকারী ছাত্র কওমি মাদ্রাসার। যারা ইতিহাস, ইসলাম, সভ্যতা , বিজ্ঞান , সংস্কৃতি, রাজনীতি, আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে যথেষ্ঠ জ্ঞান রাখেন। "

-আপনার লেখা ও ব্লগিং সেটাই প্রমাণ করছে; আপনি নিজেই সেরা লেখক।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০

কসমিক রোহান বলেছেন: অত্যুক্তি, বাচালতা আপনার শানে বেমানান।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি লিখেছেন, "আমি কওমিতে পড়েছি আবার সাধারণ বিদ্যালয়েও পড়েছি। আমি উভয় জগত খুব ভালো করে জানি। "

-আপনার এনালাইসিস ও পর্যবেক্ষণে সমস্যা আছে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৭

কসমিক রোহান বলেছেন: আপনি অথবা যে কোন পন্দিতকে আমার সাথে এসব বিষয়ে লাইভ আলোচনার আমন্ত্রণ।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন, " আপনি অথবা যে কোন পন্দিতকে আমার সাথে এসব বিষয়ে লাইভ আলোচনার আমন্ত্রণ। "

-আপনার সাথে লাইভ আলোচনায় আমি যাবো না; আলোচনায় গেলে, আপনি জয়ী হবেন; মোল্লার অনুসারীরা জাতির জন্য হুমকি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৪৯

কসমিক রোহান বলেছেন: ১। মোল্লা কাকে বলে?
২। আমি মোল্লা নাকি মোল্লা নই, আপনি কিভাবে জানেন?
৩। আমি জয়ী হবো যদি মনে করেন, তাহলে আপনার সকল মন্তব্য ভুল। ভুল জেনেও কেন আত্মপ্রচারে নিমগ্ন?
৪। মানব সভ্যতায় মানবতাবাদীদের মধ্যে কারা কারাছিলো, শীর্ষে কে ছিলো?
৫। মোল্লারা কিভাবে হুমকি, কারা হুমকি দিয়েছে, কারা হুমকির শিকার হয়েছে প্রমাণ সহ বর্ণ্না দিন প্লিজ।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি বলেছেন, "৫। মোল্লারা কিভাবে হুমকি, কারা হুমকি দিয়েছে, কারা হুমকির শিকার হয়েছে প্রমাণ সহ বর্ণ্না দিন প্লিজ। "

-আফগানিস্তানের মওল্লা ওমর কি করেছেন, সেটা বুঝার চেষ্টা করেন; ১৯৭১ সালে, মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মোল্লাদের সাপোর্ট কোন দিকে ছিলো?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:০৯

কসমিক রোহান বলেছেন: ১। আফগানস্তানে মোল্লা ওমর মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টও এখন এটা স্বীকার করেন।
২। ১৯৭১ সারা বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মোল্লা ছিলেন। তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিতে দেখা যায় অধিকাংশের মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি। আর তৎকালীন রাজাকারদের ছবিতে একজনেরও দাড়ি টুপি নাই।

৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "লেখক বলেছেন: ১। আফগানস্তানে মোল্লা ওমর মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টও এখন এটা স্বীকার করেন।
২। ১৯৭১ সারা বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মোল্লা ছিলেন। তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের ছবিতে দেখা যায় অধিকাংশের মুখে দাড়ি, মাথায় টুপি। আর তৎকালীন রাজাকারদের ছবিতে একজনেরও দাড়ি টুপি না "

-আমার ধারণা, আপনার চিন্তা ভাবনা জাতির জন্য সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১৭

কসমিক রোহান বলেছেন: আমার তথ্যে ভুল আছে কিনা ফ্যাক্ট চেক করুন। এখন এসব যাচাই করা সবার জন্যই সহজ। সত্য যদি মানতে কষ্ট হয় তাহলে সে ব্যথার কোন মলম নাই। দুঃখিত।

৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩১

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি লিখেছেন, উনি যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই মানুষ ভিড় করেছে। জন সমুদ্র।
কারা গেছে? কোন শ্রেনীর মানুষ গেছে? আমার মতো কেউ গিয়েছে? বা চাঁদগাজীর মতোণ কেউ গিয়েছে? যারা গিয়েছে তারা হুজুর, তারা এতিম অনাথ লোকজন।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৩

কসমিক রোহান বলেছেন: ১।তিনি যেখানেই গিয়েছেন, সে অঞ্চলের সবচেয়ে বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ তাঁর সান্নিধ্যে গিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করেছেন।
আমি আপনি কে?? চানগাজীকে কয়জন বিজ্ঞ ব্যক্তি মূল্যায়ন করেন?
২। দাড়ি টুপি পড়লেই কেউ হুজুর হয়ে যায় না। হুজুরদের মর্যাদা বহু উপরের সারিতে।
৩। আপনি বলেছেন যে, এরা এতিম অনাথ। এটা কি বেশি হাস্যকর শোনালো না ভাই?
আপনার দাবী মতে ৭০ লক্ষ জমায়েতে সবাই অনাথ। সারা পৃথিবীর সব অনাথ কি এই বাংলাদেশে?

আপনাকে অনুরোধ করছি, ভাই। মাঠ পর্যায়ে নেমে জরীপ করুন। কারা কী, কেমন যোগ্যতাসম্পন্ন প্রমাণ পাবেন।
কওমি অঙ্গনে যে পরিমাণ বিদ্যান আছে বাংলাদেশের সাধারণ সকল বিশ্ববিদ্যালয় মিলেও এর সংখ্যা ধারে কাছে হবে না।
আপনাকে অন্তত কূপমন্ডূক বলে বিশ্বাস করি না। আমি বিশ্বাস করতে চাই, আপনি যথেষ্ট অনুসান্ধান করে কোন কথা বলেন।

১০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আল্লাহ পাক তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন।

মৃত্যুর পরেও তার জনপ্রিয়তা এবং অগনন মানুষের সতস্ফুর্ত ভালোবাসাই প্রমাণ করে তিনি সত্যিকারের মানুষ ছিলেন।

ইদুর চামচিকা মারা গেলে প্যাঁচাও মুখ তুলে তাকাবে না।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৮

কসমিক রোহান বলেছেন: আল্লাহ্‌ মঞ্জুর করুন।
চামচিকার চিৎকারে সূর্য ডোবে না।

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০২

লরুজন বলেছেন: @চাঁদগাজী আনফে মুরুব্বি মানুষ মুরুব্বির জাগাত থাকবাইন
আনফে ধর্মের কতা বারতা হুনলে গাও আগুন জ্বলে ইডা কেমুন কতা

শফি হুজুর নিয়া আনফে ভুল কতা বারতা কইবাইন না

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:১৮

কসমিক রোহান বলেছেন: বাড়ি কোথায় ভাই?

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:০২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
উনি এত সফল মহান হয়ে থাকলে হাসিনার উৎকোচে বশিভুত হলো কিভাবে। নৈতিকতা কোথায়?

এত সফল মহানায়ক হয়ে থাকলে ওনার গুনধর ছাত্রগন তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংশ করলো কেন।
নিজ শিক্ষাগুরুকে খ্যাদ্য পানীয় ঔসধ বিহীন ৩ দিন অবরোধ করে ফেলে রেখে মেরে ফেললো কেন?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৯

কসমিক রোহান বলেছেন: তিনি একপয়সা উৎকোচও গ্রহণ করেন নাই। মিথ্যা অপপ্রচার ছড়িয়েছে স্বার্থান্বেষী একটি মহল। আরেকটা মহল তাঁর নাম ভাঙিয়ে, তাঁর বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছু অপকর্ম করেছে। তিনি এতে যুক্ত ছিলেন না। তার নিকটজন, যারা তাঁর সম্পর্কে খুব কাছ থেকে জানে, তাদের থেকে সব নির্ভুল তথ্য জেনে নিন।

১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ৩৪ বছর তিনি তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন এক বিশাল পাবলিক প্রতিষ্ঠান। নিজের জন্য নয়। সামাজিক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। সমাজের ধর্ম শিক্ষা সর্ব স্তরে ছড়িয়ে দেয়ার পেছনের উনার এবং উনার প্রতিষ্ঠানের অবদান সবচেয়ে বেশী। এ সিস্টেমের আধুনিকায়নের প্রয়োজন ছিল, তার কাজও শুরু হয়েছে।
দূর্নীতি, কালো টাকা, জনগনের সম্পদ আত্মসাৎ ইত্যাদির বিপরীতে উনার সামাজিক মডেলের কার্যকারিতা অনেক বেশী এবং ব্যাপক। এজন্য দেশের রাজনীতির মাঠেও উনি সম্পৃক্ত হতে বাধ্য হয়েছেন। তবে রাজনীতির পাকা খেলোয়াড়েরা জীবনের শেষ সময়ে উনাকে নিয়ে খেলেছে। এতে উনার মডেল আরো বেশী জনপ্রিয় হয়েছে।
আত্মত্যাগ, নির্লোভ সামাজিক উন্নয়নের এ মডেলে ভবিষ্যতে যারাই নেতৃত্ব দিবেন, তারা লোভী খেলোয়াড়দের মোকাবিলা করতে হবে। আল্লামা শফির প্রথম দুইযুগের পথ ধরে আগাতে হবে। শেষ দিকের নয়। নতুবা বাকীরা পথ দেখিয়ে দিবে।

মহান আল্লাহ আপনাকে জান্নাত দান করুন, আল্লামাশফি। আমিন।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩৬

কসমিক রোহান বলেছেন: তাঁর অবদান অতূলনীয়। ইসলাম বনাম এ্যান্টি-ইসলামিস্, ঈমান বনাম কুফর - এসব ক্ষেত্রে নানামুখি দেশি বিদেশি এজেন্ট ও চক্রকে তাদের ষড়যন্ত্র রুখে ইসলাম ও ঈমানী আন্দোলনের অগ্রদূত ও জগরণ জোয়ারের সফল নায়ক ছিলেন তিনি। বাতল চক্র এরপরেও তাকে বিতর্কিত করার চেষ্টার কোন কমতি রাখেনাই। তবে তার মাধ্যমে বাংলাদেশে মুসলিমদের জন্য ইসলামের পক্ষে যতটুকু সফলতা এসেছে তা মানুষ চিরকাল মনে রাখবে
আল্লাহ্ এই মহান ব্যক্তি তাঁর অসীম দয়া রহমতের চাদরে আবৃ৩ করে নিন। আমীন।

১৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১:৩৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: একজন মৃত ব্যক্তির প্রতি আমার কিছু বলার নেই। তিনি এখন সবচেয়ে বড় বিচারকের মুখোমুখি বা অধীনে আছেন। তাঁর প্রতিটি ভালো মন্দ কাজের জবাবদিহীতা নিশ্চয়ই তাঁকে করতে হবে। যেহেতু তিনি কওমী মাদ্রাসায় দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন তার প্রচুর ছাত্র ও অনুসারী থাকবে এটাই স্বাভাবিক। যারা কওমী মাদ্রাসা লাইনে পড়াশোনা করি নি, তাদের কাছে তাঁর বাড়তি কোন আবেদন সত্যি বলতে নেই।

ধরুন যেদিন ডক্টর জাফর ইকবাল মারা যাবেন, সেদিন অনেকেই বলবেন - আহা! উনার মত এত চমৎকার শিক্ষক, বিজ্ঞানী এই বাংলাদেশে আর আসবে না। এই ক্ষতি অপূরনীয় ক্ষতি। কিন্তু এই তথ্য অনেকেই মানবেন না। শুরু হবে তাঁর চরিত্র বিশ্লেষন। সবচেয়ে কমন শোনা যাবে - তিনি নাস্তিক। আওয়ামীলীগের দালাল, মুক্তিযোদ্ধা ফিল্টারের প্রণয়নকারী ইত্যাদি অনেক শব্দ।
শুরু হবে দুই পক্ষের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি।

বাস্তবতা হচ্ছে, যে যার রেজিম অনুসারে তার তার নেতা নির্বাচিত করবে, তার সম্পর্কে গুনগ্রাহ প্রচার করবে। তাই আপনার কাছে শফী হুজুর কিংবদন্তীর একজন ব্যক্তি যার সমতুল্য বা কাছাকাছি কাউকে এই বিশ্বে আপনি খুঁজে পাচ্ছেন না।

এখন কে কার সমতুল্য আমরা কিভাবে যাচাই করব? ডক্টর জাফর ইকবাল সাহেবের যেমন ভালো দিক আছে, তেমনি শফী সাহেবেরও ভালো দিক আছে। ডক্টর জাফর ইকবাল সাহেবের যেমন খারাপ দিক আছে, তিনি শফী সাহেবেরও খারাপ দিক আছে। যে যার প্রজ্ঞা ও দর্শন অনুযায়ী জীবন পার করেছেন এবং অনুসারী হয়েছে।

ইসলাম ধর্ম নিয়ে মানুষের যে ভুল ধারনা বা বিভ্রান্তি বা ইসলাম ধর্ম যে প্রকৃত একটি শান্তির ধর্ম এটা অন্যদের সামনে প্রতিষ্ঠিত না করতে পারার দায় এই দেশের হুজুরদের একটা বড় অংশের উপর বর্তায়। ধর্মকে ব্যবহার করে মানুষকে উত্তেজিত করে ফায়দা লাভ করা, নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা ছাড়া ইসলাম যে শান্তি ও মানবতার বার্তা দেয় সেটা দুঃখজনক হলেও এই দেশের সাধারন হুজুররা বুঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

কারন আমাদের প্রতিটি সেক্টরেই শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ আছে। সেটা সাধারন বাংলা ইংরেজী সাধরন লাইনেই হোক কিংবা কওমী মাদ্রাসায় হোক। এই দেশে প্রচুর কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসা শিক্ষা শেষ করে অন্য বিষয়ে কঠোর পরিশ্রম করে সফল হয়েছেন। ব্যতিক্রমকে কি উদহারন বলা যাবে?

একটা সময়ে আমার মধ্যে কিছু অদ্ভুত মানসিকতা আচ্ছন্ন হয়েছিলো। কোরান নিয়ে পড়তাম, তাফসীর দেখতাম। দেশ বিদেশের শায়খদের বক্তব্য শুনতাম। কারন আমি কোন ধর্ম পালন করছি সেটার ভালো মন্দ দিক সম্পর্কে জানার আমার অধিকার আছে। এটা ইসলামেও স্বীকৃত। আমি চেষ্টা করতাম, এমন একজন আলেম খুঁজে বের করতে যিনি সত্যিকার ইসলামকে ধারন করেছেন, লালন করেছেন হৃদয়ে। সাধারন মানুষকে 'তৌহিদী জনতা' বা 'বিপ্লবী কন্ঠ' নামক অদ্ভুত বিতর্কিত জিনিস বানানোর চাইতে ইসলামের মহত্ব ও উদারতাকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন।

সত্যি বলতে - আমার এই পথ চলা খুব কঠিন ছিলো। আমি সুযোগ পেলেই বিভিন্ন হুজুরদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি, তাদের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছি। অধিকাংশ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা দরিদ্র পরিবার থেকে বাধ্য হয়ে এই শিক্ষা ব্যবস্থার অধীনে আসে। কিশোর পর্যায় পর্যন্ত যতজনের সাথে মেশার সৌভাগ্য হয়েছে এরা এতটাই সহজ সরল যে বাইরের দুনিয়া কোথায় চলে গেছে তারা কিছুই জানে না। একটা সুনির্দিষ্ট নিয়মে এদের জীবন চলে।

২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত ব্লগ কি বা ইন্টারনেট কি এটার সঠিক ধারনা তাদের ছিলো না। ফলে বাজারে অনেক হাস্যকর স্লোগান জন্ম নিয়েছে। এই সব দেখে আমি ব্যথিত হয়েছি, এই ছেলেপেলেগুলোর জন্য কষ্ট পেয়েছি। অথচ সমাজের একটা বড় অংশ এদেরকে হেফাজতি হুজুর নাম দিয়ে, কটাক্ষ করে শান্তি পায়। কেন তাদের এই অবস্থা, কেন দ্বীন দুনিয়ার খবর সম্পর্কে এদেরকে সঠিকভাবে জানতে দেয় না এটা আমার বোধগম্য নয়। এমনকি ইন্টারনেটের মত একটা জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ন টুল দিয়ে কিভাবে মিথ্যাচার ছড়ানো যেতে পারে সেটা ২০০৯ সাল থেকে শুরু হয় এবং এর ভয়াবহতা টের পাওয়া যায় যুদ্ধাপরাধী বিচারের পরবর্তী সময়ে। এই দেশের মানুষের মানসিকতা এখনও আদিম পর্যায়ে রয়ে গেছে যে চাঁদে একজন মানুষকে দেখা গেছে এই খবরে হাজার হাজার মানুষ (মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষক সহ) রাস্তায় নেমে তান্ডব চালিয়েছে। সেই সময় আপনি কি দেখেছেন স্থানীয় কোন মাদ্রাসা বা মসজিদ বা কোন ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠান থেকে মানুষকে শান্ত করতে? মানুষকে সঠিক দিক নির্দেশনা দিতে?

পরবর্তীতে যখন মানুষজন বিষয়টি নিয়ে হাস্যরস সৃষ্টি করল, তখন দেখলাম সরকার নিয়ন্ত্রিত কিছু আলেম এই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিলেন। বললেন, এই সব গুজব। কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে আমরা তো এমন কোন প্রতিবাদের কথা শুনিনি।

যখন নানাবিধ ঘটনায় প্রচন্ড হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম, তখন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার এক গ্রামের একটা ছোট্ট মাদ্রাসায় একটা দৃশ্যের দিকে চোখ আটকে গেলো। দেখলাম মাদ্রাসার শিক্ষক তাঁর মাদ্রাসার ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের নিয়ে খেলছেন, দুস্টামি করছেন। খেলা শেষে ছোট বাচ্চাগুলোকে হাতমুখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করছেন। কেন যেন ইচ্ছে হলো, মাগরিবের নামাজটা এদের সাথে পড়ি। কিছু কিছু স্থানীয় মুসল্লি তখন মাঠে জড়ো হয়েছেন নামাজের জন্য। আমি পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমাকে কিছুটা আড়চোখে দেখে, একটা ছোট ছাত্রকে সেই শিক্ষক হেসে ডাক দিয়ে বললেন, হুজুর আজকে আজানটা আপনি দেন। সুন্দর করে আজান দিয়েন, যেন দুই একজন মুসুল্লি বেশি হয়। নইলে আমার ইজ্জত থাকবে না।

উপস্থিত সবাই হেসে উঠলেন। মুলত ইমাম সাহেব আমাকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন। তিনি ধরে নিয়েছিলেন, আমি হয়ত সেখানে নামাজটা পড়তে পারি। ছোট্ট ছেলে খুব সুন্দর করে আজান দিলেন। সবার সাথে দাঁড়িয়ে খুব সুন্দর একটা অনুভুতি নিয়ে নামাজ পড়লাম। নামাজ শেষে দেখলাম, মসজিদের পেছনের সাইডে বাচ্চারা লাইন দিয়ে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিছুক্ষন তাদের পড়া দেখলাম। ইমাম সাহেবের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় হলো। তিনি হাসি মুখে ধন্যবাদ জানালেন, ঐ মসজিদে নামাজ পড়ার জন্য। আমি বললাম, আপনাদের মসজিদের সন্ধ্যাকালীন কি কোন নাস্তা হয়?

ইমাম সাহেব মৃদ্যু হেসে বললেন - ভাইজান, এটা প্রতিদিন হয় না। তবে মাঝে মাঝে আমি চেষ্টা করি সন্ধ্যায় কিছু খেতে দিতে। পাশেই আমার বাসা। সেখান থেকেই খাবার আসে। আমি খুব বিনয়ের সাথে বললাম, আজকে যদি সন্ধ্যায় আমি আপনাদের সাথে কিছু ভালো মন্দ খাই তাহলে কি আপনার আপত্তি হবে? তিনি অমায়িক হেসে আমাকে বললেন, আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ উসিলায় যদি আপনার হাতে এই বাচ্চাদের রিজিক থাকে, তাহলে আমি মানা করার কোন অধিকার রাখি না।

সেই মসজিদের আশেপাশে তেমন কোন হোটেল নেই, তেমন কোন ভালো দোকানও নেই। স্থানীয় একটা দোকান থেকে মুড়ি চানাচুর, কেক আর তখনকার সময় ফিজআপ নামক একটা পানীয় ছিলো, সেটা কিনে এনেছিলাম। ছোট ছোট শিশুরা অদ্ভুত আনন্দ নিয়ে খাবার খাচ্ছে, আমার চোখ ভিজে যাচ্ছে কোন আধ্যাতিক পুরুষ্কারের আশায় নয়। বরং পৃথিবীর অন্যতম একটা সুন্দর দৃশ্য দেখতে পেয়ে।

খাওয়া শেষ হলো, ইমাম সাহেব হাত ধুয়ে এসে কোল্ড ড্রিংস খেতে খেতে বললেন আলহামদুলিলাহ। এ্যাই তোমরা আলহামদুলিল্লাহ বলছ? আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছ?
বাচ্চারা অদ্ভুত কৌতুকের ঝিলিক চোখে নিয়ে চিৎকার করে বলল - আলহামদুলিল্লাহ।

আমি যখন বিদায় নিচ্ছি, তখন তিনি বাচ্চাদের বললেন, উনাকে সালাম দাও।
সবাই সালাম দিলো। তবে একজন মনে হয় বললো - স্লামালাইকুম।
তিনি বললেন - এই হুজুর আপনার হয় নাই। ঠিকভাবে বলেন - আসালামু আলাইকুম।
ছেলেটা বলল, আসসালামু আলাইকুম।
তারপর সকলের দিকে চেয়ে কি যেন একটা ইশারা করলেন। আমাকে বিস্মিত করে দিয়ে সবাই এক সাথে বলে উঠল -আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
ইমাম সাহেব আমার দিকে হেসে বললেন, - ছেলে পেলে যদি অর্থ না বুঝে তাহলে তো সেই সালামে আবেগ থাকবে না ভাই। আর ইসলাম ধর্মের তো বেসিক তো এখানেই। শান্তি প্রতিষ্ঠা।

আমার দৃষ্টিতে এই ইমাম সাহেব হচ্ছেন একজন প্রকৃত আলেম। আমার কাছে এই আলেমের মুল্য আর সম্মান বাংলাদেশের বহু তথাকথিত বড় আলেমের চাইতে অনেকগুন বেশি।

১৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৩০

রাশিয়া বলেছেন: আমার শ্বশুর বাড়িতে একটা মাদ্রসা আছে। বছরে একবার যাওয়া পড়ে। আমার স্ত্রী গেলে ঐ মাদ্রসার তালেব এলেমরা পুকুরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাছ ধরে। আমি বাজার থেকে কেজি দশেক গরুর গোস্ত কিনে আনি, আমার স্ত্রী মহা আয়োজন করে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণেই তা রান্না করে। দুপুরে সবাই মিলে মজা করে খাই। কাল্পনিক ভালোবাসার দীর্ঘ মন্তব্য পড়ে আমার কেন যেন সেই স্মৃতি মনে পড়ে গেল।

১৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: যদি খারাপ কিছু করে থাকেন তাহলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে যেহেতু উনি আর নেই তাই অপ্রাসংগিক কিছু বলা থেকে আমরা বিরত থাকি এবং এটাই সবার উচিত হবে।

১৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১০

নতুন বলেছেন: মাদ্রাসা প্রতিস্ঠার পেছনে এখন কাজ করে ব্যবসা আর বড় মাদ্রাসা হলে রাজনিতিও যোগ হয়।

একজন ইসলামী আলেমের বর্তমান সমাজে কতটুকু প্রয়োজন আছে অর্থনৈতিক ভাবে সে কি কাজ করে সংসার চালাবে? তাই বেশির ভাগ আলেমরাই মাদ্রাসা/মসজিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকে তাদের জীবিকার তাগিদে।

এতিম, দরিদ্র ছেলে মেয়েদের যেহেতু সরকার দেখছেনা তাই এদের নিয়েই শুরু হয়।

যদি বড় বড় আলেমরা সত্যি জ্ঞানী হতো তবে দেশে আরো ভালো হতো।

টাকা পয়সা এবং রাজনিতি কতটা প্রভাব আছে সেটার ফল হুজুর নিজেই পেলেন।

তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ার পরেও কিন্তু তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয় নি। তিনি পদত্যাগ করার পরেই কেবল তাকে বের হতে দেওয়া হয়েছে। অর্থ তাকে এক প্রকারের হত্যাই করা হয়েছে।

যতই আপনি ইসলাম ইসলাম করুন কিন্তু আসলে এটা বর্তমানে একটা ব্যবসা।

its Just good business

১৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কাভা ভাই অসাধারণ লাগলো এমন লেখা পড়লে অন্য রকম আনন্দ অনুভূতি হয়।

আল্লাহ শফি সাহেবকে বেহেশত নসীব করুন

১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: মন্তব্য গুলো পড়তে আপনার পোষ্টে আবার এলাম।

২০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৯৭১ সারা বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মোল্লা ছিলেন।[/sb িফনযজভ জখফ জম হচভবঘ
শফিকে গুরু মানেন সেটা আপনার ইচ্ছা ,কিন্ত এধরণের হাস্যকর কথা কম বলেন।
সারাজীবনে কয়টা মুক্তিযোদ্ধাকে দেখেছেন?

২১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৩০

অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৯৭১ সারা বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মোল্লা ছিলেন।/sbশফিকে গুরু মানেন সেটা আপনার ইচ্ছা ,কিন্ত এধরণের হাস্যকর কথা কম বলেন।
সারাজীবনে কয়টা মুক্তিযোদ্ধাকে দেখেছেন?

২২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩৯

কসমিক রোহান বলেছেন: এখানে কিছু কমেন্ট এর রিপ্লাই দীর্ঘ হতে পারে, তাই সময় করে সব রিপ্লাই একযোগে দেবো ইন-শা আল্লাহুল আযী্য।

২৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪১

কসমিক রোহান বলেছেন: রাজাকারদের তৎকালীন (১৯৭১) ছবি।



২৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৪

কসমিক রোহান বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে মোল্লা যুক্ত নাম অন্য যে কোন সংযুক্ত উপাধি নামের চেয়ে ঢের বেশী।

নিচে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান ছবি।

মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে মোল্লা যুক্ত নাম অন্য যে কোন সংযুক্ত উপাধি নামের চেয়ে ঢের বেশী।

নিচে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের বর্তমান ছবি।

২৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: একটু আগে বলেছেন ১৯৭১ সারা বাংলাদেশে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মোল্লা ছিলেন-
১৯৭১ এর যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধাদের এরকম ১ টা ছবি থাকলে দেন। তাদের প্রায় সবাই ধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন কিন্ত তাদের এই বেশ ছিলোনা।
নিযামী-গোলাম-মুজাহিদীর ১৯৭১ এর ছবিগুলি দেখে নেবেন।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০৮

কসমিক রোহান বলেছেন: বেশভূষা থাকলে মোল্লা, না থাকলে নন-মোল্লা?
ফরমুলা টা কার তৈরি ভাই?

২৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ২:৫৯

অনল চৌধুরী বলেছেন: এটাই দেশে প্রচলিত ।
স্যুট-কোট পরা কোনো মোল্লা কেউ দেখেছে কোনোদিন?

২৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০০

অনল চৌধুরী বলেছেন: আপনি নিজে যাদের মোল্লা বলে পরিচয় দিয়ে ছবি দিয়েছেন, তাদের পোষাকগুলি চশমা পরে দেখেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.