নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছুটে চলাই যথন ইচ্ছে তথন একলাই খুঁজতে চাই নিজেকে.... পাবার জন্য নয়... শুখু নিজেকে না হারানর জন্য

রাথাল

রাথাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদিরাম বসু (জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯, মৃত্যু ১১ আগস্ট ১৯০৮)

২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:০১

১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ভোর পাঁচটায় আজকের এই দিনে ব্রিটিশ সরকার ১৮ বছরের এক তরতাজা যুবককে ফাঁসির মঞ্চে দাঁড় করাল। কারাফটকের বাইরে তখন হাজারো জনতার কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে ‘বন্দেমাতরম’ স্লোগান। ফাঁসিতে ঝোলানোর আগে কারা কর্তৃপক্ষ যুবকটির কাছে জানতে চাইল, মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ ইচ্ছা কী? যুবকটি এক সেকেন্ড অপেক্ষা না করেই নিঃশঙ্কচিত্তে বলে উঠলেন, ‘আমি ভালো বোমা বানাতে পারি, মৃত্যুর আগে সারা ভারতবাসীকে সেটা শিখিয়ে দিয়ে যেতে চাই।’ উপস্থিত কারা কর্তৃপক্ষ সেদিন বিস্মিত হলো যুবকটির মানসিক দৃঢ়তা আর ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের প্রতি তীব্র ঘৃণাবোধ উপলব্ধি করে। সেদিনের সেই যুবকই হচ্ছেন অগ্নিযুগের মহান বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু (জন্ম ৩ ডিসেম্বর ১৮৮৯, মৃত্যু ১১ আগস্ট ১৯০৮)।

খুব ছোটবেলায় মা-বাবাহারা ক্ষুদিরাম দিদি অপরূপা দেবীর সংসারেই বেড়ে ওঠেন। ক্ষুদিরামের নামটি নিয়েও আছে মজার এক গল্প। তখনকার দিনে পর পর কয়েকটি ছেলেসন্তান মারা গেলে মা তাঁর কোলের ছেলের সব লৌকিক অধিকার ত্যাগ করে বিক্রি করার ভান করেন। তখন যে কেউ তাকে কড়ি অথবা খুদ দিয়ে কিনে নেয়। দিদি অপরূপা দেবী তিন মুট খুদ দিয়ে কিনেছিলেন বলে সেই থেকে ভাইটির নাম হলো ক্ষুদিরাম।

সেবামূলক ও দুঃসাহসিক কাজের প্রতি ছোটবেলা থেকেই ক্ষুদিরামের ছিল সীমাহীন আগ্রহ। মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময় এক বন্ধুর মাধ্যমে পরিচয় হয় বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সঙ্গে। দেশের জন্য নিজের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত দেখে সত্যেন্দ্রনাথ তাঁকে সে যুগের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সশস্ত্র সংগঠন ‘যুগান্তর’ দলের সদস্য করে নেন। এই দল সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে সত্যেন্দ্রনাথ এক তাঁতশালা স্থাপন করেছিলেন। তাঁতশালার আড়ালে তিনি তাঁর শিষ্যদের লাঠিখেলা, অসি চালনা, বোমা ফাটানো, পিস্তল, বন্দুক ছোড়া ইত্যাদি শিক্ষা দিতেন।

অচিরেই এই তাঁতশালার দক্ষ সদস্য হয়ে পড়লেন ক্ষুদিরাম। তখনই দিদির বাড়ির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় চিরদিনের জন্য। ১৯০৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মেদিনীপুরের মারাঠা কেল্লায় এক শিল্প প্রদর্শনী হয়। সেখানে সেই যুগের বিখ্যাত রাজদ্রোহমূলক পত্রিকা সোনার বাংলা বিলি করার দায়ে পুলিশ ক্ষুদিরামকে ধরতে গেলে তিনি পুলিশকে প্রহার করে পালিয়ে যান। কিন্তু পরে ধরা পড়েন। তাঁর বয়স অল্প হওয়ায় পুলিশ মামলা প্রত্যাহার করে নেয়।

১৯০৭ সালে বিপ্লবী দলের অর্থের প্রয়োজনে ক্ষুদিরাম এক ডাকহরকরার কাছ থেকে মেইলব্যাগ ছিনিয়ে নেন। সে সময় বিপ্লবীদের রাজদ্রোহ মামলায় কঠোর শাস্তি দেওয়ার জন্য কলকাতার চিফ প্রেসিডেন্সি ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ড মরিয়া হয়ে ওঠেন। ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তিমূলে কাঁপন ধরাতে বিপ্লবীরা প্রথমেই সিদ্ধান্ত নেন কিংসফোর্ডকে হত্যা করার।

যথাসময় এ দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্ষুদিরাম বসুর ওপর। আর তাঁর সহযোগী করা হয় রংপুরের আরেক যুবক বিপ্লবী প্রফুল্ল চাকীকে। বিপ্লবীদের সম্ভাব্য আক্রমণ এড়াতে কিংসফোর্ডকে বদলি করা হয় মজফফরপুরে। দেশাত্মবোধে উদ্বুদ্ধ দুই তরুণ বিপ্লবী জীবনের কঠিন ব্রত পালন করতে রওনা দিলেন মজফফরপুর। দুজনে আশ্রয় নিলেন কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশের একটি হোটেলে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা কিংসফোর্ডের গতিবিধি লক্ষ করতে থাকেন। কিংসফোর্ডের বাসভবনের পাশেই ইউরোপিয়ান ক্লাব। অফিস আর ক্লাব ছাড়া কিংসফোর্ড বাইরে যেতেন না। ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল। সেদিন কিংসফোর্ডের খেলার সঙ্গী ছিলেন অ্যাডভোকেট কেনেডির স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে। রাত আটটার দিকে খেলা শেষ করে মিস ও মিসেস কেনেডি কিংসফোর্ডের গাড়ির মতো হুবহু দেখতে আরেকটি গাড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলেন। বাইরে আগে থেকেই দুই বিপ্লবী প্রস্তুত ছিলেন। গাড়িটি ফটক পার হতে না হতেই প্রচণ্ড শব্দে পুরো শহর কাঁপিয়ে একটি বোমা বিস্ফোরিত হলো। কেনেডির স্ত্রী ও তাঁর মেয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। বিধ্বস্ত গাড়িটি এক পাশে উল্টে পড়ে। যাঁকে হত্যার জন্য বোমার বিস্ফোরণ, সেই কিংসফোর্ডের অক্ষত গাড়িটি মাত্র কয়েক হাত দূরে দাঁড়িয়ে।

বোমা নিক্ষেপ করেই দুই বিপ্লবী ছুটলেন দুই দিকে। পরদিন সকালে ওয়াইসি রেলস্টেশনে পুলিশের হাতে ধরা পড়লেন ক্ষুদিরাম। ওদিকে প্রফুল্ল চাকীও পুলিশের হাতে ধরা পড়তেই তড়িঘড়ি করে নিজের পিস্তলের গুলিতে আত্মহত্যা করলেন। ক্ষুদিরাম গ্রেপ্তার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গোটা শহর যেন মুহূর্তে ভেঙে পড়ল। পুলিশবেষ্টিত ক্ষুদিরামকে একনজর দেখতে হাজারো লোক ভিড় জমাল ওয়াইসি রেলস্টেশনে। উৎসুক জনতার উদ্দেশে ক্ষুদিরামের কণ্ঠে তখন ধ্বনিত হলো বজ্রনিনাদ বন্দেমাতরম...। অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই তরুণ বিপ্লবীকে নিয়ে ব্রিটিশ সরকার অনেকটা বিপাকেই পড়ে যায়। যত দিন যাচ্ছিল, সারা ভারতে ক্ষুদিরামকে নিয়ে এক ধরনের উন্মাদনা তৈরি হচ্ছিল। ব্রিটিশের মাথা থেকে সেই বোঝা নেমে যায় সেদিন, যেদিন মামলায় ভারতীয় দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারা মোতাবেক ক্ষুদিরামের মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়। ক্ষুদিরামকে তাঁরা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সেই রায় কার্যকর করেছিল ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট ।

আজ ক্ষুদিরাম নেই, কিন্তু সারা ভারতের মানুষের হূদয়ে ক্ষুদিরাম যে স্বাধীনতার অগ্নিমশাল প্রজ্বালন করেছিলেন, শত চেষ্টা করেও ব্রিটিশ সরকার তা নেভাতে পারেনি। এখানেই ক্ষুদিরামের সার্থকতা। তাঁর মৃত্যুর এত বছর পর এসেও যখন হাটে-মাঠে-ঘাটে পথ চলতে প্রায়ই বাউল, সাধক ও কবিয়ালদের কণ্ঠে আচমকা শুনতে পাই, ‘একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি’, তখন মনে হয়, দেশের জন্য ক্ষুদিরামের এ আত্মদান বৃথা যায়নি। তাঁর মতো ক্ষুদিরামদের কারণেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ একদিন ভারতবর্ষ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। তাঁর মতো লাখো ক্ষুদিরামের জীবনের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা পেয়েছি আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। সে জন্য ক্ষুদিরামের মৃত্যু নেই। দেশের প্রতিটি মুক্তিকামী মানুষের হূদয়ে ক্ষুদিরাম তাই বেঁচে থাকবেন অনাদিকাল।

মন্তব্য ২৭ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৪০

মাহীন jm বলেছেন: এখনকার বাংলার সমাজে আরো একটা ক্ষুদিরাম দরকার

২| ২০ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১১:৫৩

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে লাল সালাম।

৩| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৭

রবি_জল বলেছেন: বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে লাল সালাম।



ক্ষুদিরামকে তাঁরা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সেই রায় কার্যকর করেছিল ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট আজকের এই দিনে।

কিন্তু ভাই আজকেতো ১১ আগস্ট না, আজকে ২০ জুলাই।


সব জায়গায় কপি - পেস্ট দিতে নাই। X(

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২১

রাথাল বলেছেন: ভাই নিজে থেকে তো এটা লিখা সম্ভব না।
গত বছর ফেইসবুকে পেয়ে ছিলাম দিলাম একটু আগে .... মানে আজ...
আপনি চাইলে ইচ্ছা মত কপি - পেস্ট করেন আমার কোন আপত্তি নাই সবাই জানলে ই হল.....
ধন্যবাদ

৪| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:০৮

জিয়াউল হক বলেছেন: আচ্ছা তিনি 'শহীদ' হলেন কি ভাবে? তাকে শহীদ কেন বলা হবে? 'শাহাদাত' ইসলামের একটা অতি উচ্চ মর্যাদাপূর্ণ স্থান। উচ্চ বা অনুচ্চ যাই হোক না কেন, তার সাথে ক্ষুদিরামের তো কোন সম্পর্ক নেই, থাকার কথাও নয়। তিনি তো ইসলামকে স্বীকারই করেন নি। তা হলে অযথা কেন তাকে টেনে হেঁচেড় ইসলামের একটা উচ্চ মর্যাদায় বসাচ্ছেন? এটার দ্বারা কি তার বিশ্বাস, তার ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করছেন না?

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২৭

রাথাল বলেছেন: দুঃখিত ...ধর্মের এ ব্যাপারটি আমার জানা নেই তাই বলতে পারছি না

৫| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৪৩

বৈকুন্ঠ বলেছেন: ক্ষুদিরামরে শহীদ কওয়ায় তার ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ করা হৈতাসে নাকি আপনের ইসলামি অনুবুতিতে লাগতাসে??? হাচা কৈবেন কিন্তু জিয়া্উল হক ছাগু। ফরজ থুইয়া নফল নিয়া টানাটানি করাই হৈল গরুখোর ছাগ্লা মুসলমানদের প্রধান কাজ। পুরা পোস্টের কোন অংশই চোখে পরলো না। একজন দেখলো কপিপেস্ট আরেকজন দেখল শহীদ শব্দের ব্যাবহার। গরু ছাগলে সামু ভৈরা গেসে

৬| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫৩

জিয়াউল হক বলেছেন: ও দাদা বৈকুন্ঠ, এত ক্ষেপেচেন কেন গো? আমি কি ভূল কিচু বলেচি? তা যদি শাহাদত এতই প্রিয় হয়,ম তা হলে দরজা তো খোলাই আচে দাদা, কলেমা পড়ে ঢুকে পড়ুন না, কেউ মানা করবে না। আর তা না করে যদি মুসলমানদের সাথে বেশী বেশী সম্পর্ক রাখেন তবে মেষে কিন্তু গো মুত্র পানে শ্রাদ্ধ করা নাগবে গো! স্ত্রাসীরে শহীদ বানিয়ে লাভটা কি হবে শুনি?

৭| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:১৭

রবি_জল বলেছেন: @ জিয়াউল হক

আপনিতো ভাই পুরাই মৌলবাদি স্টাইলে!! সে টাকার জন্য সন্ত্রাসি করে নাই , আমাদের স্বাধীনতার জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করছে।

@ বৈকুন্ঠ
সব জায়গাই পন্ডিটি ভালা না। আমি কেবল লেখক কে তথ্যগত ভূলের কথা বলছিলাম। লেখক কে শুধু " আজকের এই দিনে" কথাটা এডিড করতে কইছি । চোখ খুইলা আবার পড়।

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:২৫

রাথাল বলেছেন: জি এডিড করেছি......ধন্যবাদ

৮| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৩২

জিয়াউল হক বলেছেন: @রবি_জল

আপনি আমাদের বলতে কাদের বোঝচ্ছেন? তিনি মা কালীর সামনে অগ্নীশপথ নিয়ত কি গিয়ে কি বাক্য উচ্চারণ করেছিলেন, তার কাছে দেশ বলতে কোন দেশ কাদের দেশ এবং সেই চেতনার মধ্যে মুসলমানদের অবস্থানটা কেমন ছিল, কতটুকু ছিল, সে বিষয়গুলো আগে একটু জেনে নিন দয়া করে। বৃহত্তর ভারতীয়, হিন্দুত্ববাদী চেতনায় উজচ্জীবিতি ও পরিচালিত ছিল তার পূরো জীবন। ভারতের জন্য, হিন্দু জাতিয়তাবাদের জন্য তার অবদানকে তো আমি অস্বীকার করছিনা। তার কোন প্রয়োজনও দেখি না। আমি কেবল এটুকু বলতে চাইছি যে তার সাথে আমার কোন, বৃহত্তর মুসলিসম সম্প্রদায়ের কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। আর তাকে কেন শহীদ কেন বলা হবে, সেটাই আমার প্রশ্ন ছিল আদতে।

আপনি আমাকে মৌলবাদী বলেছেন? আলহামদুলিল্লাহ। আমি গর্বিত। জেনে রাখুন, আমার মূল হলো ইসলাম। এর সেই মলকে আঁকড়ে ধরে আমি মৌলবাদী।

যদি অনুমতি দেন, বিনয়ের সাথেঞ একটা কথা বলে দেই আপনাকে, জ্ঞান থাকলেই হয়না, সেই জ্ঞানটা কতটা স্বচ্ছ, ও পূর্ণ, সেটাও কিন্তু অনেক বড় একটা প্রশ্ন। আমাকে ভূল বুঝবেন না। বিষয়টা নিয়ে আর নয়।

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫১

রাথাল বলেছেন: ভাই ধর্ম নিজের ব্যাপার........আপনি মারা গেলে যদি অন্য ধর্মের কেউ উপকৃত হয় তাহলে তারা আপনাকে সন্মান করবে না???

অসন্মান করার শিক্ষা ইসলাম দেয় না ....

৯| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৪৭

আমি তুমি আমরা বলেছেন: +++

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১:৫৩

রাথাল বলেছেন: :)

১০| ২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ২:৩৯

আবুল মোকারম বলেছেন: রবি_জল বলেছেন: বিপ্লবী ক্ষুদিরামকে লাল সালাম।



ক্ষুদিরামকে তাঁরা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সেই রায় কার্যকর করেছিল ১৯০৮ সালের ১১ আগস্ট আজকের এই দিনে।

কিন্তু ভাই আজকেতো ১১ আগস্ট না, আজকে ২০ জুলাই।


সব জায়গায় কপি - পেস্ট দিতে নাই।
সহমত!

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৩৪

রাথাল বলেছেন: ভাই আমি কপি - পেস্ট করেছি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য...

আপনিত নিজে লিখে কমেন্টস্ করতে ও পারলেন না...............

১১| ২১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:০৮

রাজদরবার বলেছেন: ক্ষুদিরামের আসল শপথ কার্যকর হলে আজকে এই বাংলাদেশ ভারতের অধীনে হতো। লেখককে বলছি, ক্ষুদিরাম যেই সংগঠনের সাথে জড়িত ছিল তাই স্বাধীন ভারতে বিজেপি আরএসএস বজরং দল হয়েছে।

ক্ষুদিরাম একজন হিন্দু মৌলবাদী সন্ত্রাসী।
হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল সে এবং তারাই ছিল তৎকালীন দাঙ্গাসমূহের হোতা।

১২| ২১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৪:২৫

রাজদরবার বলেছেন: ক্ষুদিরামদের বিষয়ে মাওলানা ভাসানীর উক্তি

১৯৭৬ সালের মাঝামাঝি ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক ছিল সর্বনিম্ন পর্যায়ে, বলতে গেলে বৈরিতামূলক। মওলানা ভাসানী গুরুতর অসুস্থ। হাসপাতালে চিকি ৎ সাধীন। আমি তাঁর সাক্ষা ৎ কার নিতে গিয়েছিলাম। ভাসানীর সাক্ষাৎ কার মানে শুধু তিনিই বলে যাবেন, আর কারও কথা বলার উপায় নেই। কোনো রকমে তাঁকে একটু থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, ‘এই দেশের মানুষের মুক্তির জন্য আশি বছর যাব ৎ লড়াই-সংগ্রাম করলেন, জেলজুলুম সহ্য করলেন, শেষ পর্যস্ত কী পেলেন? আপনি কি সন্তুষ্ট, না হতাশ?’

তাঁর কথার মধ্যে উটকো প্রশ্ন করলে তিনি ধমক দিতেন। বহু বড় বড় ক্ষমতাবান মানুষকে তাঁর ধমক খেতে হয়েছে। মওলানা আমাকে বকা দিলেন না, কোনো রকম রাগেরও প্রকাশ দেখা গেল না তাঁর মধ্যে। একটু চুপ করে রইলেন। ছ্যাঁচা পান মুখে দিলেন। অনেকটা অপ্রত্যাশিত নরম বেদনাহত কণ্ঠে বললেন, ‘বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের মধ্যে অনুশীলন দলের হিন্দু-সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে কাজ করেছি। লক্ষ্য ছিল, ইংরেজ শাসকদের এ দেশ থেকে বিতাড়িত করব। এ দেশের মানুষই এ দেশ চালাবে। সুখ-দুঃখ যা-ই থাক কপালে, আমাদের ভাগ্য আমরাই গড়ে তুলব। একপর্যায়ে দেখলাম, সন্ত্রাসবাদীরা বেশি দূর যেতে পারবে না। ওদের নীতি-আদর্শের ভিত্তি বড় দুর্বল। বড় সংকীর্ণ ও সাম্প্রদায়িক। এ দেশের ৫২ ভাগ কৃষক তাঁতি জেলে কামার কুমারের কথা ওরা ভাবে না। ওদের থেকে বিদায় নিলাম।’

আমরা পাক হানাদারদের ঘৃণা করি। হিন্দু হানাদারদের কেন ঘৃণা করব না? সাকি তারা হিন্দু বলেই কি তাদের সাতখুন মাফ হয়ে যাবে? এবং সাম্প্রদায়িকতার অভিযোগও তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়! আর মুসলমানদের পান থেকে চুন খসলেই তাকে সাম্প্রদায়িক বলে অভিযুক্ত করা হয়।

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:০৬

তারেক বলেছেন: শহীদ তারাই যারা একমা্ত্র আল্লাহর জন্য জীবন দিয়েছে। ক্ষুদিরাম এই উপমহাদেশে মানুষের জন্য অনেক করেছে। আমরা তার কাছে চির কৃতঞ্জ,চির ঋনি। বৃটিশ অত্যাচারি শাসকদের বিরুদ্ধে তিনি যেভাবে রুখে দাড়িয়েছিলেন তা এক বিশাল ইতিহাস। এজন্য তার প্রতি রইল লাল সালাম। কিন্তু তিনি কখনই শহীদ হওয়ার মর্তবা লাভ করবেন না,। কারন তিনি আল্লাহর জন্য শহীদ হন নাই। তিনি তো আল্লহকেই বিশ্বাস করতেন না। সুতরাং তার নামের সাথে শহীদ শব্দটি লাগানো যাবে না। এটা শুধুমা্ত্র মুসলমানরদের জন্য।

@ বৈকুন্ঠ ,জিয়াউল হক ভাই যা বলেছেন ঠিক বলেছেন। আপনার এত লাগে কেন।

@রবি_জল ভাই ক্ষুদিরাম টাকার জন্য সংগ্রাম করে নাই , এটা ঠিক আছে। কিন্তু শহীদ হতে হলে ২ টা জিনিস লাগে: ১। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ২। শুধুমা্ত্র আল্লাহর জন্য জীবন দিতে হবে। এই দুইটার কোনটাই ক্ষুদিরামের নাই। তবে অবশ্যই সে অনেক সম্মানিত আমাদের কাছে। আমরা তার কাছে অনেক ঋনি,যেটা কোন দিন শোধ হবে না। সুতরাং জিয়াউল হক ভাই কোন মৌলবাদী স্টাইলে কিছুই বলে নাই , উনি ঠিকই বলেছেন।

লেখক বলেছেন ভাই ধর্ম নিজের ব্যাপার........আপনি মারা গেলে যদি অন্য ধর্মের কেউ উপকৃত হয় তাহলে তারা আপনাকে সন্মান করবে না???

অসন্মান করার শিক্ষা ইসলাম দেয় না ....


ভাই ধর্ম নিজ নিজ ব্যাপার। ইসলাম কখনই মানুষকে অসম্মান করা শিক্ষা দেয় না । আমাদের নবী অন্য র্ধমের এবং র্ধমানুসারীদের প্রতি ভাল ধারনা রাখা ও ভাল ব্যবহার করার নির্দেশ তিনি আমাদের দিয়েছেন। কিন্তু তাই বলে একজন
বে -ইমানদার অমুসলিমকে কখনই শহীদ বলা যাবে না। যারা দেশমাতৃকা রক্ষা করার জন্য মারা যায় তাদের অনেক সম্মান। কিন্তু তাই বলে ক্ষুদিরামকে কখনই শহীদ ক্ষুদিরাম বলা যাবে না।

২১ শে জুলাই, ২০১২ রাত ৯:৩০

রাথাল বলেছেন: জী আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি .... শহিদ শব্দ টি এডিট করা হয়েছে
ধন্যবাদ

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৫:৩৭

বীরেনদ্র বলেছেন: খুদিরাম ছিলেন বিপ্লবী। দেশের জন্য প্রান দিয়েছেন। তাকে একজন দেশপ্রেমিক বিপ্লবী হিসেবেই দেখা উচিত।

তিনি হিন্দু ছিলেন না মুসলমান ছিলেন, মা কালি না আল্লাহ'র বান্দা ছিলেন, তাকে শহীদ বলা উচিত কিনা এ সমস্ত প্রশ্নই অবান্তর।

যিনি প্রধান পরিচয়কে রেখে অন্য কিছু নিয়ে টানাটানি করেন, আসলে তিনি নিজে কি বা কতটা যুক্তি যুক্ত?


১৫| ২১ শে জুলাই, ২০১২ ভোর ৬:০৬

একলা বগ বলেছেন: খুদিরাম এবং ভুলক্রমে নিহত ইংরেজ কর্মকর্তার স্ত্রী ও সন্তানের জন্য সমবেদনা।

১৬| ২১ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৪৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ক্ষুদিরামকে লাল ছালাম

১৭| ২১ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ৯:৫০

স্তব্ধতা' বলেছেন: দারুন পোষ্ট।খালি কিছু নাপাক মুখের কারনে গন্ধ ছুটছে।++++

১৮| ২১ শে জুলাই, ২০১২ সকাল ১০:৩৮

টিকলু বলেছেন: অবিরামের দ্বীপ চলন মা ক্ষুদিরামের ফাঁসি....

১৯| ২১ শে জুলাই, ২০১২ দুপুর ২:০৬

আলী আহামমদ (সুমন) বলেছেন: ক্ষুদিরাম ছিলেন বিপ্লবী। দেশের জন্য প্রান দিয়েছেন। তাকে একজন দেশপ্রেমিক বিপ্লবী হিসেবেই দেখা উচিত।এটা ঠিক আছে। আমরা তাকে ছোট বেলা থেকেই দেশপ্রেমিক বিপ্লবী ক্ষুদিরাম হিসাবেই জানি।কিন্তু আমরা কখনো কাউকে শহীদ ক্ষুদিরাম বসু বলতে শুনি নাই।এই প্রথম শুনলাম।যিনি এটা লিখছেন আর যিনি এটা পোস্ট করছেন তারা কি হিন্দু ধর্মের না মুসলিম ধর্মের? তারা কি জানে শহীদ কাকে বলে? শহীদের অর্থ কি? না জেনে না শুনে একজন লিখে ফেললো আর আরেকজন কপি পেস্ট করে দিলো।ফাইযলামি করার একটা শিমা আছে।
ঐ মিয়া বৈকুন্ঠ,আপনি কাদের গরু ছাগল বলেন,আপনিতো একটা আস্তো পাঠা।একজন মুসলমানের নামের আগে মোহাম্মদ লাগানো যায়,একজন হিন্দু ধর্মের বা অন্য ধর্মের লোকের নামের আগে কি মোহাম্মদ লাগানো যায়? জেনেশুনে কথা বলবেন, না জেনে কথা বলবেন না।
চে গুয়েভারা একজন বিপ্লবী জননেতা।তাকে কি কেউ আজ পর্যন্ত শহীদ চে গুয়েভারা বলছে? আপনি কি কাউকে বলতে শুনছেন?

২০| ২২ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১০:৫০

ঠোঁট কাটা বন্ধু বলেছেন: রাজদরবার বলেছেন: ক্ষুদিরাম একজন হিন্দু মৌলবাদী সন্ত্রাসী। হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের সাথে জড়িত ছিল সে এবং তারাই ছিল তৎকালীন দাঙ্গাসমূহের হোতা।

উটমুত্রের সাথে খেজুরের রস মিশাইয়া খাইছস, তাই উল্টাপাল্টা কথা কইতাছস। মৌলবাদী হইতে গেলে জামাত করা লাগে না। ক্ষুদিরাম কে ছিল, কি ছিল এটা বুঝতে হলে মুমিনীয় চিন্তা ভাবনা ছেড়ে মানুষের মত চিন্তা কর। আদম-হাওয়ার পোলা-মাইয়ার ইনসেস্টের ফসলগুলা ক্ষুদিরামের কীর্তি বুঝতে পারবো----এটা অবশ্য আশা করাও ঠিক না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.