নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবন্ধ

১৯ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮







একবিংশ শতাব্দী ও বিদ্যাসাগরের শিক্ষাচিন্তা



কাল প্রবাহমান। যুগে যুগে পৃথিবীতে আবির্ভাব ঘটে মহা মনীষীদের। যুগের চিন্তাধারাকে তারা শৈল্পিক ও নান্দনিক করে অগ্রগতির পথে নিয়ে যায়,তাঁদের চিন্তা ও সংস্কার কর্মে সমাজ পরিপুষ্ট হয়। সমাজকে যারা উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যায়,নতুন দিক নির্দেশনা প্রদান করে,সংস্কৃতিকে যারা উৎকর্ষমণ্ডিত করে পরিশীলিত রূপদান করে,যাদের চিন্তাধারা সমকাল থেকেও উন্নত মহাকালের পত্রগর্ভে তাঁদের নাম লেখা থাকে স্বর্ণাক্ষরে। একযুগ অস্ত যায় আর-এক যুগের উদয় হয় ইতিহাসে। উদীয়মান যুগে অস্তমিত যুগের উচ্ছিষ্ট ও ঐতিহ্য মুছে যায় না। বিগতকালের গর্ভেই আজ ও আগামীকালের জন্ম হয়। বাংলাদেশে আধুনিক কাল বা নবযুগের বিকাশ হয়েছে সেইভাবে।



নবযুগের মেঘাবৃত সূর্যোদয়কে যাঁরা অভিনন্দন জানালেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম প্রধান ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তিনি ১৮২০ সালের২৬শে সেপ্টেম্বর বীরসিংহ গ্রাম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মাতার নাম ভগবতী দেবী।তাঁর পিতার নাম ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঈশ্বরচন্দ্রের জীবনে শক্তির ও প্রেরণার নির্ঝরিণী ছিলেন মা। প্রকৃতপক্ষে তাঁর মা ছিলেন তার জীবনের ‘ডায়নামো’ আর পিতা ঠাকুরদাশ ছিলেন তাঁর ‘টিচার’ ও ‘ট্রেনার’। কত দিন কত অভাব,অভিযোগ নিয়ে এসে মার কাছে তিনি দাঁড়িয়েছেন। মা বলে ডাক দিয়ে বলেছেন :‘মা! তুই বল না মা কি করি?’ মা বলতেন:‘ন্যায় ও সত্যের পথে সিত্মর হয়ে দাঁড়িয়ে যা ভাল মনে করবি ,তাই করবি বাবা! তার চেয়ে বড় শাস্ত্র কিছু নেই।’ ছেলেবেলা থেকেই তিনি মাকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করতেন। এ প্রসঙ্গে কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য বলেছেন: ‘ইংরাজিতে যাহাকে affectation বলে বিদ্যাসাগরের সেটি আদও ছিল না;যাহাকে যেভাবে একবার দেখিয়াছেন,বাহ্যিক লোক দেখান বৃত্তির বশবর্তী হইয়া সেটা পরিবর্তন করিতে তাঁহার যেন ভাল লাগিত না । তিনি আপনার মাকে ছেলেবেলা হইতেই যে ‘তুই’ সম্বোধন করিতেন মৃত্যুকাল পর্যমত্ম তাহার পরিবর্তন করেন নাই। ইহা আমি তাঁহার নিজের মুখে শুনিয়াছি।’













বিদ্যাসাগরের তরুণ বয়সের ছবি



তিনি শিশুদের শিক্ষার ব্যাপারে যথেষ্ঠ অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন। সে ১৯৫৫ সালের কথা । তিনি তখন সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি শিশুদের মাতৃভাষা শিক্ষার জন্য বর্ণ পরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগ রচনা করেন। শিশুদের নীতি শিক্ষা দেবার জন্য তিনি প্রথম ও দ্বিতীয় ভাগের মধ্যে কয়েকটি ছোট ছোট পাঠ রচনা করে সংযোজন করেন। বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগের একটি পাঠে গোপালের,আর একটি পাঠে রাখালের গল্প আছে। গল্প দু’টিতে তিনি গোপালের ভাল দিক এবং রাখালের মন্দ দিক তুরে ধরেন। বাঙালি মাত্রেই গল্প দু’টি জানে।



ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার ব্যাপারে তিনি যেমন যত্নবান ছিলেন,তেমনি শিক্ষকদের শিক্ষাদান সম্পর্কেও ছিলেন সচেতন। ক্লাসে ছাত্রদের শাসিত্ম দেওয়ার তিনি ঘোর বিরোধী ছিলেন যে কোন অপরাধের জন্যই হোক ক্লাসের অন্যান্য সহপাঠীদের সামনে কোন ছাত্রকে শাসিত্ম দেওয়া তিনি একবারে পছন্দ করতেন না। তাতে কিশোর বালক-বালিকাদের মনে আঘাত লাগে এবং ক্রমাগত আঘাত লাগার ফলে বালকের সেই বোধশক্তিও ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। তার ফলে সেই বালক-বালিকাদের অমত্মনির্হিত মানব চরিত্রের পূর্ণ বিকাশ হয় না ।

আধুনিক মনোবিজ্ঞান ও শিক্ষাবিজ্ঞানের যুগে একালের শিক্ষাবিদরা এসব কথা জানেন। কিন্তু আধুনিক শিক্ষার জন্মকালে বিদ্যাসাগরই সর্বপ্রথম এই নীতি আমাদের দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রয়োগ করেন। ‘... যে রাখালের মত হইবে সে লেখাপড়া শিখিতে পারিবে না’-একথা বর্ণপরিচয়ের পাঠকদের কাছে দৃষ্টামত্মসরূপ উল্লেখ করলেও, কখনো তিনি দুরমত্ম বালকদের অবহেলা বা অপমান করতেন না। তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তিনি পরিষ্কার নির্দেশ দিয়ে দিতেন ,ছেলে-মেয়েদের যেন কখনো এইভাবে শাসিত্ম দেওয়া না হয়। তখনকার দিনে শিক্ষকরা এই ধরনের শাসিত্ম দিতে একটুও দ্বিধাবোধ করতেন না। বালকরা যে ভবিষ্যতের ছোট ছোট মানুষ ,তাদের মধ্যেও যে মানবিক মান অপমানবোধ আছে,সে সম্বন্ধে কোন কান্ডজ্ঞানই ছিল না শিক্ষকদের। তখনকার কথা তো বহু দূরের কথা,একালেও স্কুল,কলেজগুলোর অবস্থা শোচনীয়। একটু খেয়াল করলেই আমার কথার সত্যতা মিলবে।

এদেশে এখনো এমন স্কুল, কলেজ রয়েছে যেখানে এখনো শিক্ষকবৃন্দ বেত হাতে নিয়ে ক্লাস করান। শিক্ষকবৃন্দ নির্বিচারে ছাত্রদের দন্ড দেন। বিদ্যাসাগরই প্রথম এদেশের রাখালদের মানুষ বলে বিবেচনা করেন এবং শিক্ষকদেরও বিবেচনা করার উপদেশ দেন। কিন্তু তাঁর নির্দেশ ও উপদেশ লঙ্ঘন করে একবার তারই প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিন ইন্সটিটিউশনে(শ্যামপুকুর শাখা) একটি ঘটনা ঘটে। মেট্রোপলিটন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একবার একটি ছেলেকে বেঞ্চের উপর দাঁড় করিয়ে দেন। খবরটি বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কানে পৌঁছতেই তিনি দ্রুত চটি পায়ে দিয়ে উর্ধ্বশ্বাসে বাদুড় বাগান থেকে শ্যামপুকুরে হেঁটে চলে যান। খবর পেয়ে এতদূর বিচলিত হয়েছিলেন তিনি যে, পাল্কি ডেকে পাল্কিতে চড়ে যাবারও সময় হয়নি তাঁর। স্কুলে পৌঁছে তিনি প্রধান শিক্ষককে ডেকে পাঠান এবং সমস্ত বৃত্তান্ত অবগত হয়ে তাঁকে তখনই পদচ্যুত করেন। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ,এমনকী প্রতিবেশীরা পর্যমত্ম তাঁকে বিশেষ অনুনয়- বিনয় করেন। তিনি অটল থাকেন। কয়েকজন শিক্ষক পদত্যাগ করবেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাতেও তিনি বিচলিত হন না। তাঁদের পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করে তিনি পরদিন নতুন শিক্ষক নিয়োগ করেন।

সামান্য ঘটনা! কিন্তু এরকম সামান্য ছোট ছোট ঘটনার ভিতর দিয়েই মানব চরিত্রের অসামান্য দিক উজ্জ্বল হয়ে চোখের সামনে ফুটে ওঠে। একজন দূরমত্ম রাখালের অপমানের জন্য বিদ্যাসাগর অবিচলিত চিত্তে এতদূর করেছিলেন এবং তাও যৌবনে নয শেষ জীবনে। মানুষ তা সে যত ক্ষুদ্র,যত নগণ্য মানুষই হোক,বিদ্যাসাগরের কাছে সবচেয়ে বড় পরিচয় ছিল সে মানুষ। সেই মানুষকে যখন কেউ অবহেলা,অপমান করত,তখন রাগে তিনি দিশেহারা হয়ে যেতেন। রাখালদের মত দুরন্ত বালক-বালিকাদেরও যে আত্মসম্মানবোধ আছে এবং তাদের সেই বোধ যে সস্নেহে জাগিয়ে তোলা উচিত,নির্দয়ের মত দমন করা উচিত নয়, এ কথা বিদ্যাসাগর বুঝতেন এবং অন্যদের বোঝাতে চেষ্টা করতেন,বিশেষ করে শিক্ষকদের। শিক্ষার ক্ষেত্রে সারা জীবন তিনি এই নীতি প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন ।

১৮৪১ খ্রিষ্টাব্দ ২৯ডিসেম্বর,লালদিঘির ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান পণ্ডিতের পদে নিযুক্ত হন। তখন তাঁর বয়স ২২ বছর আর ফোর্ট উইলিয়ামের বয়স ৪২ বছর। এতদিন ধরে এদেশের পন্ডিতদের সঙ্গে ইংরেজ সিবিলিয়ানদের একটা প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটেছে। তখন ভারতীয় ও ইউরোপীয় জীবনের ভাবধারা ও সামাজিক আদর্শের আদান প্রদান হয়েছে । কেবল গোল দিঘির হিন্দু কলেজেই হয়নি লাল দিঘির ফোর্ট উইলিয়াম কলেজেও হয়েছে। যে বাংলা ভাষায় আজ আমরা তর্ক-বিতর্ক করি,সাহিত্য রচনা করি, তার জন্মস্থান ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করেছিলেন লর্ড ওয়েলেসলি। চাকরিতে যোগদানের পর নানাবিধ কারণে তিনি ১৬ জুলাই ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে পদত্যাগ করেন। অবশ্য চাকরি থেকে ইসত্মফা দেওয়ার পর রসময়বাবু বলেছিলেন - ‘বিদ্যাসাগর যে চাকরিটা ছেড়ে দিলে এখন খাবে কি?’

লোকমুখে কথাটা যখন বিদ্যাসাগরের কানে পৌঁছল,তখন তিনি নির্লিপ্তের মত বললেন: ‘রসময়বাবুকে বলো,বিদ্যাসাগর আলু পটল বেঁচে খাবে ।’ অবশ্য তাকে আলু-পটল বেঁচে খেতে হয়নি? তাছাড়া যে কোন স্বাধীন পেশা তার জন্য ছিল কল্যাণকর পেশা।

স্বাতন্ত্র্য ও ব্যক্তিস্বাধীনতা ছিল তাঁর আত্মমর্যাদা বিচারের অন্যতম মানদন্ড। বিদ্যাসাগরের মূলধন ছিল বিদ্যা। বিদ্যাই তাঁর স্বোপার্জিত মূলধন এবং তিনি ছিলেন বিদ্যার ব্যাপারি। মনে রাখা দরকার যে চিত্ত দান করলে কমে যায়,কিন্তু বিদ্যা যত দান করা যায় তত বাড়তে থাকে। বিত্ত অপহরণ করা যায় বিদ্যা করা যায় না। বিত্তের মূলধন বাণিজ্যে খাটালে মুনাফার আকারে তা বাড়তে থাকে কিন্তু বিদ্যার মূলধনে বাণিজ্যিক মুনাফা কি?



ধনতান্ত্রিক বাণিজ্যের যুগে মূলমন্ত্র হল অবাধ বাণিজ্য এবং তার প্রধান মূলধন বিত্ত ও বিদ্যা। ধনতান্ত্রিক যুগ কেবল পণ্য বণিকের যুগ নয়,বিদ্যা বণিকেরও যুগ। নবযুগের বণিকের ব্যক্তিগত উদ্যম ও স্বাতন্ত্রবোধ বিদ্যাসাগরের পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল। সুতরাং বিদ্যার মূলধন নিয়োগ করে বিদ্যাবণিক হওয়াই বাঞ্ছনীয় মনে করলেন।



বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার হার উভয়ই যে দ্রুত বেড়ে চলেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে তা সমাধান প্রকল্পে ব্যাঙের ছাতার মতই গড়ে উঠছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একশ্রেণীর পুঁজিবাদীরা তাতে বিনিয়োগও করে যাচ্ছে যথেষ্ট পরিমাণে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান এবং পরিবেশ কতটুকু ত্বরাণ্ণিত হচ্ছে সে দিকে অবশ্য তাদের বিশেষ খেয়াল নেই। আবার অনেক সমাজসেবীরাও বিদ্যাবাণিজ্যের দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে। ভদ্রতার মুখোশের আড়ালে তাদের পুঁজিবাদী মনমানসিকতাও অবশ্য গৌণ হয়ে থাকে। তদের মূল ভাষ্য হচ্ছে ,তারা সমাজের সেবার জন্য এটা করে থাকে কিন্তু একটু সূক্ষদৃষ্টি নিয়ে দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে যে,প্রকৃত পক্ষে সেবাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য নয় সেবার আড়ালে অর্থ বাণিজ্যই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য।

আমার কথার যথার্থতার পক্ষে কিছু যুক্তি পেশ করছি: ১. ছাত্রছাত্রীদের বলা হয় সেবাই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য কিন্তু যখন দ্রব্য মূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়,বাজার চড়া হওয়ায় এবং নানাবিধ কারণে সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ের বেতন দিতে অপারগ হয় তখন তাদের শুনতে হয় নানা রকম গঞ্জনা এবং অচিরেই তাদের (কর্তপক্ষের) ভদ্রতার মুখোশ উন্মোচিত হয়। ২. ছাত্রছাত্রীদের আকৃষ্ট করার কারণে কর্তপক্ষেরা সিলেবাসটাকেও ইংরেজিতে প্রনয়ণ করেন মুখ্যত অভিভাবকদের ইংরেজির প্রতি আকৃষ্ট করে ছাত্রছাত্রীদের করায়ত্ত করা। ৩. অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই সেমিষ্টারের কথা বলে উচ্চতর শিক্ষাপদ্ধতি বা আধুনিক পদ্ধতির কথা বলা হয়; মূলত এই পদ্ধতিটার নেপথ্যেও রয়েছে অর্থবাণিজ্যের হাত যা আপতদৃষ্টিতে ধরা পড়ে না। ৪. অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাত্রছাত্রী আকৃষ্ট করার জন্য ইউনিভার্সিটি শব্দটি ফলাও আকারে প্রাচার করে। ৫. এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে হাজার টাকা বেতন রূপে নেওয়া হয়, পরীক্ষার ফিস এবং ফ্রম ফিলাপের টাকাও অপরিমিত মাত্রায় নেওয়া হয়। ৬. নামে মাত্র দারিদ্র তহবিল গঠন করে যা থেকে অধিকাংশ দারিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীরাই সাহায্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। ৭. এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নামমাত্র বেতন দিয়ে দারিদ্র মেধাবী তরুণ-তরুণীদের চাকুরি দেওয়া হয়, যদিও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতনের দিগুণ হারে টাকা(বেতন) আদায় করা হয়ে থাকে। ৮. বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানের দিকে বিশেষ খেয়াল না দিয়ে প্রতিষ্ঠানের বাইরের চাকচিক্যের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়ে থাকে যাতে করে অভিভাবক শ্রেণী এবং ছাত্রছাত্রীদের সহজেই আকৃষ্ট করা যায়।

৯. আবার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের তুলনায় শিক্ষকবৃন্দের এবং কর্মচারীদের সংখ্যাই বেশি। যথেষ্ট জনবল দেখিয়ে এখানেও অভিভাবক শ্রেণীদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা হয়। ১০. আধুনিক শিক্ষার নামে যা করা হচ্ছে তা প্রকৃত আধুনিক শিক্ষা নয় একে পোশাকি আধুনিকতা বলা যায়।



সর্বোপরি বলা যায়, একবিংশ শতাব্দীর শিক্ষা এবং শিক্ষার চিন্তা যুগকে যেথায় আধুনিকতার দিকে নিয়ে যাবে সেথায় শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ অবশ্যই সুষ্ঠু বিকাশের পথে অমত্মরায় রূপে কাজ করবে। অপুষ্টির কারণে যেমন সমত্মান বিকলাঙ্গভাবে বেড়ে ওঠে,স্বাভাবিক বিকাশ যেমন তার হয় না তেমনি (শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের কারণে ) মানসম্মত শিক্ষার অভাবেও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অপরিপক্ক ভাবে, বিকলাঙ্গ হয়ে বেড়ে উঠবে।

































ক্ক

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.