নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামাজিক সচেতনতা / ইভটিজিং বিষয়ক নাটক
‘পরিবর্তনের হাওয়া’
তারিখ: ০৯.০১.২০১১খ্রিষ্টাব্দ
চরিত্র:
পুরুষ
১. রাসেল . . . . . . . . . . প্রতিবেশী স্কুল পড়–য়া ছেলে।
২. শাকিল . . . . . . . . . . মা মুছলিমার স্কুলগামী ছেলে।
৩. মোল্লা . . . . . . . . . .বয়স্ক ধর্মপ্রাণ ব্যক্তি।
৪. করিম . . . . . . . . . . মুছলিমার আত্মীয়, যুবক।
৫. চেয়ারম্যান . . . . . . . . . . ইউপি চেয়ারম্যান।
৬. শিশির . . . . . . . . . . ডাক্তারনীর ভাই, তরুণ যুবক।
৭. জালাল . . . . . . . . . . ধূর্ত, উশৃঙ্খল।
৮. কামিল . . . . . . . . . . ধূর্ত, উশৃঙ্খল ।
৯. মোশারফ . . . . . . . . . . ধূর্ত, উশৃঙ্খল।
১০. কয়েকজন গ্রাম পুলিশ . . . . . . . . . .
নারী:
১০. মা: . . . . . . . . . . ডাক্তারনী, মধ্যবয়সী।
১১. মিনু: . . . . . . . . . . মেয়ে ঐ স্কুল পড়–য়া ।
১ম দৃশ্য
স্থান: ডাক্তার মুছলিমার বাড়ি
সময়: সকাল
[উন্মুক্ত মঞ্চ। মা মোমেনা মঞ্চে একা বসে কুলায় চাল নিয়ে ধান বাছতে থাকবে।]
মা: মিনু, ও মা মিনু ;কইরে কি করতাছস?
মিনু: (স্কুল ড্রেস ঠিক করতে করতে মঞ্চে প্রবেশ) মা, আমারে ডাকছ?
মা: হ্ ডাকছি। ইস্কুলে যাবি?
মিনু: যামু মা।
মা: (টাকা বাহির করে) যাওয়ার সময় তর মতিন চাচারে এই ট্যাকাগুলান দিয়ে যাস।
মিনু: মা, এই কাজটা আমারে দিয়ো না।
মা: ক্যান?
মিনু: মতিন চাচার দোকানে অনেক বখাটে পোলারা বইয়া থাকে। আমি ওইখান দিয়া গেলে ওরা এমনিতেই নানান রকমের কথা কয়। কি সব খারাপ খারাপ ঈঙ্গিত করে। আমার . . . . . খুব ভয় করে মা! (ভয়ে কান্নার চেষ্টা করবে)
মা: আচ্ছা,(মেয়েকে জড়িয়ে ধরে) তর যেতে হবে না। শাকিলকে পাঠাইতেছি। পথে-ঘাটে কোন সমস্যা হলে কোন কিছু লোকাইবিনা,বুঝঝত?
মিনু: মা,যেদিন শাহানা ,পারভিন ওরা স্কুলে না যায় সেদিন ওরা বাঘের মত আমারে খাওয়ার জন্য খুব কাছাকাছি চাইপা আসে। আমার সারা শরীরে কাঁপন শুরু হয়। আমি ভয়ে খুব জোরে হাঁটি। বিশ্বাস কর মা,আত্মাডা একবারে যেন হাতে নিয়ে হাঁটি। মা আমি অন্য স্কুলে ভর্তি হব;
মা: (মাথায় হাত দিয়ে ) মারে, ভয়ের কিছু নাই। তুই স্কুলে যা আমি আইজই সব ব্যবস্থা করতাছি। কোন ডর রাখিস না,যা। শাহানা, পারভিন Ñ ওদের সঙ্গে একসাথে যাবি আবার একসাথে আসবি।।
(মিনুর প্রস্থান)
(রাসেলের প্রবেশ)
রাসেল: শাকিল, ও শাকিল (তার মাকে) শাকিল স্কুলে যাইবো না?
(চাল থেকে ধান খুঁজতে থাকবে) ও তো আইজ এক সাপ্তা ধইরা স্কুলে যায় না।
মা: কও কি! এক সাপ্তা ধইরা স্কুলে যায় না? ওরে তো প্রতিদিনই স্কুলে পাঠাই। তাহলে যায় কই? আইচ্ছা, তুমি এক কাম কর বাবা Ñ ঐ পাশের বাসার সেলিমের সাথে সে খেলতেছে । ওরে একটু কষ্ট কইরা লইয়া আস।
রাসেল: জি আইচ্ছা।
মা: পুনরায় (চাল থেকে ধান খুঁজতে থাকবে)
(একটু পর রাসেল ও শাকিলের প্রবশ)
শাকিল: মা, আমারে ডাকছ?
মা: হ্, ডাকছি। তুমারে প্রতিদিন স্কুলে পাঠাই আর তুমি স্কুল ফাঁকি দিয়া কই যাও?
শাকিল: (মাথা নিচু করে) নিরুত্তর
মা: কও তুমি কই যাও?
শাকিল: মা, আমার পড়ালেকা ভাল লাগে না।
মা: ক্যান ভালো লাগে না?
শাকিল: যে ইস্কুলে পড়ি ঐ স্কুল বালো না। পঁচা। ইস্কুলডাও কেমুন পুরান। আর স্যারেরা . . . . . . . . . .
মা: স্যারেরা কি?
শাকিল: স্যারেরা খুব মারে মা ! লাম্বা লাম্বা জালি বেত দিয়া মারে, চুলে ধইরাও মারে, এইযে দেখ, এক সাপ্তা আগে পিঠের মধ্যে মারছিল, এহনও কালা অইয়া রইছে। আমার ঐ স্কুলে যাইতে বালা লাগে না মা । মনিগো স্কুল কি বালা!! ওগ স্যারেরা,ওগো আপারাও কি বালা! কোন সময় ওগরে মারে না। খুব আদর কইরা পড়ায়। মা, আমি ওগ স্কুলে ভর্তি অইমু, নইলে পড়–ম না।
মা: রাসেল, ইস্কুলে কি স্যারেরা খুব মারে?
রাসেল: হ্ খালা। এই দেহ আমারেও মাইরা হাত ফুলাইয়া ফালাইছে! (হাত দেখাবে) আমারও ইস্কুলে যাইতে ভালো লাগে না, কিš ‘ কি করমু ইস্কুলে না গেলে বড় ভাইয়েও খুব মারে,বকা দেয়। খালা, আমারে আর ওরে মিতুগো স্কুলে ভর্তি করাইয়া দেও। হুনছি,মিতুর স্কুলের স্যারেরা আদর কইরা পড়ায়। কেউরে মারে না।
মা: ( চিন্তার ভাব করে,আনমনে) স্যারেরা কি তাইলে নতুন আইন জানে না যে, স্কুলে বেত নেওন নিষেধ!! (১৪.০১.২০১১খ্রিষ্টাব্দ,প্রথম আলো ) আর তাছাড়া, এইডা তো মানবাধিকার বিরোধী কর্ম।
শাকিল: মা, মানবাধিকার কি?
মা: মানবাধিকার অইল মানুষের মৌলিক অধিকার। একজন মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য সমাজের কাছে,রাষ্ট্রের কাছে মানুষের কিছু ন্যায্য অধিকার থাকে। আর ঐ অধিকারগুলাই অইল মৌলিক অধিকার।
রাসেল: খালা,জান বুবুরে না ঐ দোকান পাড়ে বইয়া থাকা বেটারা খুপ খারাপ খারাপ কথা কয়। তাগরে কিছু কইলে মারবার আহে,ভয় দেখায় চাক্কু দিয়া। ঐ রাস্তা দিয়া যাইতে অহন আমার খুব ভয় করে।
মা: আজকে স্কুলে যাও দেখি মিতুদের স্কুলে তোমাদের ভর্তি করা যায় কিনা!
(প্রস্থান)
(মঞ্চে একা পায়চারি করে) চেয়ারম্যানকে আইজকাই এই বখাটে পোলাদের সম্পর্কে জানানো দরকার। মোল্লা চাচারে, করিম ভাইরে সাথে নেওন দরকার।
. . . . . মজিদ মাস্টারের সাথেও একবার দেখা করা দরকার। কয়দিকে যাব? ... হ্যাঁ, শিশিরকে একবার মাস্টারের কাছে পাঠিয়ে দেখি। যদি শিকদের মধ্যে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে তবে তো বাচ্চাদের স্কুল থেকে নিয়ে আসার দরকার নেই।
(প্রস্থান)
স্থান: প্রধান শিকের কক্ষ
সময়: অপরাহ্ণ
উপকরণ: টেবিল,চেয়ার
শিশির: আস্সালামু আলাইকুম। আসতে পারি স্যার?
প্রধান শিক: ওয়ালাইকুম আসসালাম। আসুন। . . . বসুন।
শিশির: কেমন আছেন স্যার?
প্রধান শিক: হ্যাঁ ভাল।
(নেপথ্যে ছাত্রকে প্রহারের শব্দ, ছাত্রের তীব্র চিৎকার, একটু পর বেত হাতে সহকারী শিকের প্রবেশ)
শিশির: আস্সালামু আলাইকুম।
সহকারী শিক: ওয়ালাইকুম আচছালাম।
শিশির: কি হয়েছে হাসেম সাব? ছেলেটা ওভাবে চিৎকার করছিল কেন?
সহকারী শিক: ছাওয়ালডা এতো ছয়তান বুঝবার পারছেন, স্কুল তো মিছ করে,পড়া দিবার পারেই না,আবার তার উপর কি করে জানেন? (ঈঙ্গিত) আমারে আইন ছিকাবার আহে,বাচ্চা পোলার ছাহস কত! দিছি উচ্ছারকম, আড্ডিগুড্ডি পাইয়া গেছে ! কয় স্কুলে বেত ব্যবহার করনে ছরকারের নিছেদ আছে। . . . হারামজাদা, শোওর কোনহানকার!
শিশির: ছেলেটি তো ঠিকই বলেছে;
সহকারী শিক:কি কইবার লাগচেন?
শিশির: দেখুন হাসেম সাহেব, আমার কলেজের অধ্য প্রায়ই বলতেন, আমরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে এই শিাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করছি;সে কারণে আমাদের সবারই নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। আর সে আঞ্চলিক ভাষা দিয়ে যদি আমরা সবাই কাস করাই, তবে তা হয়ত অনেকেই বুঝবে, আবার হয়ত অনেকেই বুঝবে না। সুতরাং সেই দৃষ্টিকোন থেকে আমাদের অন্তত শিাপ্রতিষ্ঠানের ভিতরে আঞ্চলিক ভাষা পরিহার করা উচিত। .. .. আচ্ছা হাসেম সাহেব, যদি কিছু মনে না করেন তবে আপনাকে একটি প্রশ্ন করতাম;
সহকারী শিক: হ্যাঁ করবার পারে. .হ্যাঁ করেন।
শিশির: আচ্ছা,একজন বাচ্চা স্কুলে না আসার পিছনে আপনি কাকে দায়ী করবেন?
সহকারী শিক: বাচ্চারে, গার্জেনরে।
শিশির: (মুচকি হেসে), আমার তো মনে হয় আপনার চিন্তাধারার মধ্যে ভুল রয়েছে। একজন বাচ্চা স্কুলে না আসার পিছনে প্রধান কারণ তার স্কুলের শিক,তার শিাপ্রতিষ্ঠান;
সহকারী শিক:বুঝি নাইক্কা! .. . . বু বু বুঝি নাই!
শিশির: কোমলমতি বাচ্চাদের মনও থাকে কোমল, তারা যদি শিার মধ্যে আনন্দ খুঁজে না পায় তবে তারা ধীরে ধীরে স্কুল বিমুখ হয়। আর তার উপর যদি তাদের,আরও প্রহার করা হয় তবে স্কুল এবং পড়া উভয়ের প্রতিই তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী শিকের প্রচণ্ড প্রহারের কারণে ভয়ে মারাও যাচ্ছে। এই কারণে আগে থেকেই স্কুলে বেত ব্যবহার করা নিষেধ ছিল,এখন অবশ্য হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায় প্রকাশ হয়েছে। সকল শিাপ্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার বেত ব্যবহার করা নিষেধ,শারীরিক,মানসিক সকল প্রকার শাস্তিই মানবাধিকার বিরোধী কর্ম হিসেবে গণ্য হবে। (মোবাইলে রিং বেজে উঠবে) আমাকে একটু যেতে হচ্ছে। আসছি সার।
সহকারী শিক:চা খেয়ে যান?
শিশির: না অন্য একদিন। আসসালামু আলাইকুম। (প্রস্থান)
প্রধান শিক: আসলেই আমাদের সংশোধন হওয়া উচিত। আমারা যদি আধুনিক না হই,যুগোপযোগী না হই, তবে বাচ্চাদের আধুনিক বা যুগোপযোগী করে গড়ে তুলবো কেমন করে? আর তাদের প্রতি আমাদের আচরণ আরও বন্ধুসুলভ হওয়া উচিত তাই না?
সহকারী শিক: ঠিকই কইছেন। (জিহ্বা কামড় দিয়ে),জ্বি স্যার।
প্রধান শিক: চলুন, ছুটির ঘণ্টা পড়ে গেছে। আজকের মত যাওয়া যাক।
সহকারী শিক: চলেন।
২য় দৃশ্য:
স্থান: চেয়ারম্যানের অফিস
সময়: বিকেল বেলা
মা: আস্সালামু আলাইকুম
চেয়ারম্যান: ওয়ালাইকুম আস্সালাম। আরে ডাক্তার ভাবী যে, আসেন আসেন, বসেন। (বসার পরে) তারপর ভাবী Ñ কি মনে করে?
মামুকাভিনয় কথোপকথন), এখন আপনিই বলুন, এই পরিস্থিতিতে কোন অভিভাবক তাদের বাচ্ছাদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে সম্মত হবে? প্রতি মুহূর্তে তাদের রাস্তায় নিরাপত্তাহীনতায় থাকতে হয়।
চেয়ারম্যান: ভাবী, আপনি কোন দুঃশ্চিন্তা করবেন না। আমি কালকের মধ্যেই এর ব্যবস্থা করব।
মোল্লা:চেয়ারম্যান সাব, ওগরে এমন শাস্তি দিবেন যাতে অন্যান্য বখাটেরা উপযুক্ত শিা পায়।
করিম:চাচা তুমি ঠিকই কইছ, ওগরে উচিত শিা দিতে না পারলে আমাগো বোন ভাতিজিরা স্কুল কলেজ ছাইরাই দিব।
চেয়ারম্যান: দেখুন,আমার প্রশাসনের প থেকে, আমার ব্যক্তিগত প থেকে যতদূর করার আছে,আমি সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করব। তাছাড়া, আমি চাচ্ছি আপনাদের নিয়েও এই বিষয়ে একটি মিটিং করব। আমরা সবাই যদি সচেতন না হই, নীতিবান না হই, তবে কিন্তু একা একা কারো পে এটি রোধ করা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রথমে যেটি করতে হবে Ñ আমদের নিজেদের সন্তানদেরকে আগে বোঝাতে হবে। কেননা আমাদের অবুঝ সন্তানরাই তো এসব করছে। যারা বখাটেপনা করছে, স্কুল - কলেজগামী ছাত্রীদের উত্তক্ত করছে তারা কিন্তু আমাদেরই সন্তান। বাইরের কেউ নয়। সঠিক শিার অভাবেই তাদের এই নৈতিক অধঃপতন হয়েছে। তাদের নৈতিক শিা দিয়েও গড়ে তুলতে হবে। পরিবর্তনের হাওয়া তাদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য আমাদের ভিতরেই সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
সে যাই হোক, আপনারা কোন দুঃশ্চিন্তা করবেন না। আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মা:তাহলে আমরা এখন আসি।
মোল্লা: হ্ চেয়ারম্যান সাব, তাহলে আমরা এখন আসি। আস্সালামু আলাইক্মু।
(প্রস্থান)
চেয়ারম্যান: যাই, উএনও সাহেবের কাছে বিষয়টি আলোচনা করি গিয়ে।
(প্রস্থান)
৩য় দৃশ্য
স্থান: স্কুলে যাওয়ার রাস্থা
সময়: পরদিন সকাল
(মঞ্চে জালাল,কামিল,মোশারফ রাস্তায় দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছে)
জালাল: এই জানিস, আমার দাদা একবার বিরাট এক মাছ শিকার করেছিল। ২০০০ জন মানুষ সে মাছ বয়ে এনেছে।
কামিল: আরে! আমার দাদার বিরাট একটা পুকুর ছিল। তিনদিন তিনরাত লাগত সে পুকুরের এক মাথা থেকে অন্য মাথায় যেতে।
জালালহেসে) বলিস কি ! এত বড় আবার পুকুর হয় নাকি?
কামিল: তোর দাদার মাছ যদি এত বড় হয় তবে তার জন্য তো বড় পুকুর থাকা চাই। নাকি?
মোশারফ: ছালারা চাপা মারতাছস! . . . . ঐ দেখ পাখি আইতাছে!
(মিনুর প্রবেশ)
জালাল: এই সুন্দরী আইজ যাবি। (মুকাভিনয়)
মিনু: আচ্ছা আপনাদের ঘরে মা বোন নাই। এভাবে রাস্তায় মেয়েদের উত্তক্ত করেন কেন?
কামিল: মা বোইন আছে কিন্তুক বউ নাই। (সবার অট্ট হাসি), আসনা সুন্দরী আমরা . . . . . . .
মিনু: ছিঃ ছিঃ (থুথু নিপে করার চেষ্টা)
মোশারফ: এই ছেমরিয়ে কি করবার লাগচে দেকচ্চ। ইজ্জত পেলাস্টিক বানাইয়া ফালাইছে। ওই জালাইল্লা, কামিল্লা, বইছা বইছা আঙুল চুছবি। এই ছেমরিরে ওঠাইয়া ল্। ধর।
মিনু: সাবধান, (চিৎকার করে) কেউ আমাকে ধরার চেষ্টা করবে না।
[কয়েকজন গ্রাম পুলিশসহ,চেয়ারম্যানের,মিনুর মা,মোল্লা ,করিমের প্রবেশ।]
মিনু: মা! মা!! (কান্না করে জড়িয়ে ধরবে)
মা:আয় মা,কাদিস না। ওদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।
চেয়ারম্যান: আমি সব দেখেছি, সব শুনেছি। গতকাল রাত্রে তোমাদের অভিভাবকদের দিয়ে তোমাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও তোমরা আজ এখানে এসে মেয়েদের উত্তক্ত করছ। তোমাদের পুলিশে দেব।
মোশারফ: ফাইছা গেলাম দেখা যায়।
চেয়ারম্যান: এই তোর বাবার নাম কি?
মোশারফ: নিরুত্তর।
জালাল: (ভয়ে) আমাদের ভুল হয়ে গেছে। আমাদের মাফ করে দেন।
চেয়ারম্যান: এই ওদের হাত বেঁধে থানায় নিয়ে যা।
(সকলের প্রস্থান)
যবনিকা
২| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন:
ব্লগে আমি নতুন। আপন সুপরামর্শের আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন। **খাটাস
©somewhere in net ltd.
১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৯
খাটাস বলেছেন: ভালই লাগল। নাটকের চেয়ে সামাজিক সচেতনতা মুলক গল্প লিখলে বেশি ভাল হয়। শুভ কামনা।