নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

উত্তরাধুনিকতা ও কবি জফির সেতুর কবিতা (সমালোচনা) পর্ব – ৭

২৮ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৪





আধুনিক ও উত্তরাধুনিক কবিতার বৈশিষ্ট্যের কিছু তুলনামূলক আলোচনা নিম্নে দেওয়া হল:



 বিষয়কেন্দ্রিকতার অভাব। অধুনান্তিক কবিতায় কোন নির্দিষ্ট বিষয়কেন্দ্র, ভাবনাকেন্দ্র, cebtral theme নেই।



 পোস্ট মর্ডান কবিতায় যুক্তি কাঠামো অনুপস্থিত থাকবে। কবিতাটি হবে। কবিতা শেষ হলেও মনে হবে শেষ হয় নি।



 অধুনান্তিক কবিতা বহুরৈখিক,বহুকৌণিক,বহুত্তবাদী ও বিদিশাময়। যে কোন দিকে ছড়িয়ে পড়ার অভিমুখ খোলা।



 সাম্রাজ্যবাদী চিন্তাচেতনা থেকে উত্তরাধকিার সূত্রে প্রাপ্ত আধুনিক কবিতা ছিল ব্যক্তিকেন্দ্রিক। অধুনান্তিক কবিতায় সেই আমি-র অনুপস্থিতি।



 জীবনের যে কোন এলাকা থেকে অধুনান্তিক কবিতায় কবি তার মালমশলা ও উপাদান সংগ্রহ করে নিতে পারেন। এটা কবিতায় চলবে না, ওটা কবিতায় চলবে না এই মান্যতা এই মান্যতা কবি বা পাঠক আর আগ্রাহ্য করবে না।



 পোস্টমর্ডান কবি জানেন বাস্তবকে নকল করা যায় না। ফলে পোস্টমর্ডান হাইপাররিয়েলিটি সৃষ্টি করে চলেছে।



 অনেকই আজকাল কবিতাকে এমনভাবে শেষ করেন যাতে বোঝা যায় কবিতাটি অসমাপ্ত।



 জীবনের যে কোন বাকফসলই ডিসকোর্স। আধুনিক কবিতায় এই ডিসকোর্সের ডিকনস্ট্রাকশন বা অবিনির্মান করা হয়।



 অধুনান্তিক কবিতায় প্রতীক এড়িয়ে যাওয়া বা প্রতীক ভেঙ্গে যাওয়ার ঝোঁক।



 অধুনান্তিক কবিতায় কোন আদর্শ খাড়া করতে চায় না। সে কোন যাত্রার সংকেত দেয়।



 অধুনান্তিক সম্ভাবনার পরিসর খোলা রাখে।হিউরোটোপিয়ার কথা বলে।

 অধুনান্তিকতা কোনপূর্ব নির্ধারিত তত্ত্ব নয়। জীবনকে দেখে শুনে তার লক্ষণগুলোর যোগসূত্র ঠাউরে নিয়ে অধুনান্তিকতার যাত্রার ঝুলি। অধুনান্তিকতা কোন আন্দোলন নয়, একটি কালখণ্ডের প্রবণতা।



 পোস্টমর্ডান কবিতায় ভাষার নিজস্ব গুরুত্ব মান্য করা হয়।



 পোস্টমর্ডান কবিতার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ যুক্তিফাটল বা লজিক্যাল ক্র্যাক বা লজিক্যাল ক্লেফটের উপস্থিতি।



 আধুনিতা যদি সাজানো বাগান হয় তাহলে পোস্টমর্ডান কবিতা হল রাইজোম্যাটিক অর্থাৎ ঘাসের মত।



 পোস্টমর্ডান কবিতায় ইমেজ তৈরি সম্ভব নয়।



 পোস্টমর্ডান কবিতা যে কোন সীমাকে ছাপিয়ে যেতে চায়। ফলে কোন নির্দিষ্ট সংজ্ঞায় তাকে ধরে রাখা সম্ভব নয়।



 কবির রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে কবিতাকে যুক্ত করা আর সম্ভব নয়।



 পোস্টমর্ডান কবিতা অভেদ, অখণ্ডতা মহাসাম্যের দ্বারা প্রতিস্থাপিত। বাইনারি অপোজিট বা বৈপরীত্যবোধ দিয়ে তাকে চিহ্নিত করা সম্ভব নয়।



 আধুনিক কবিতায় ছিল হিউম্যানিস্ট চেতনার প্রতিফলন। যেখানে মানুষের জয়গান গাওয়া হয়েছে। আজ কীটপতঙ্গ, পশুপাখি, গুল্মলতা, কাপ-ডিস-চামচ, ফ্রিজ, ডিনার, টেবিল, অ্যাসট্রে, নাকছবি, ওয়েবসাইট, আলুচাষ, যতিচিহ্ন সবই কবিতার বিষয়। একটি মাত্র দিক তার লক্ষ্য নয়। কবি বিদিশামণ্ডল।



 উৎস: পোস্টমর্ডান বাংলা কবিতা, ভূমিকা- প্রভাত চৌধুরী

 উত্তরাধুনিক কবিতা (সম্পাদনা)- অমিতাভ গুপ্ত

 উত্তরাধুনিক চেতনার ভূমিকা- ঐ

 পোস্টমর্ডান ভাবনা ও অন্যান্য –পার্থপ্রতিম বন্দ্যোপাধ্যায়

 পোস্টমর্ডান ও উত্তরাধুনিক বাংলা কবিতা পরিচয় – নিতাই জানা

 উত্তর আধুনিক কবিতা (সম্পাদনা) বীরেন্দ্র চক্রবর্তী

 কবিতার অন্তর্যামী- খোন্দকার আশরাফ হোসেন।





(চলবে )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.