নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রম্যগল্প \'পাত্রী দেখা\'

২২ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:১৮




এক.
প্রচণ্ড গরম। মামা রুবজ এ রহমান ও আমি সবেমাত্র খেতে বসেছি। আমি এমনিতেই একটু বেশি ঘামি কিন্তু মামা সেদিক থেকে একেবারেই ভিন্ন। প্রচণ্ড গরমের সময়েও তার শরীর থেকে একফোটা ঘাম বের হয় না। অবস্থা দেখে মনে হবে তিনি যেন আগাগোড়াই প্লাস্টিকের মানুষ! যাইহোক, মামার প্লেটে কোথা থেকে যেন দুটি কালো মাছি এসে দুষ্টুমি শুরু করে দিল। মামা কিন্তু তাতে মোটেও বিচলিত নন। বরং খুউব করে উপভোগ করছেন। আমি তাকে সতর্কতামূলক কী একটা কথা বলতে গিয়েও আর শেষ করতে পারিনি, তিনি আমাকে থামিয়ে দিলেন। অতঃপর নিজেই শুরু করে দিলেন উনার তাত্ত্বিক দার্শনিক পদবাচ্য! বাড়িতে ওনার বেশ সুনাম ছিল। সবাই জানতো যে, তিনি বহুভাষাবিদ, দার্শনিক মানুষ। কেবল আমার ভেতরেই ছিল নড়বড়ে বিশ্বাস।
যাইহোক, মাছি দুটোকে দেখিয়ে বললেন ভাগিনা দেখছাই- মাছি দুইটা আমারে মহারাজ খইয়্যা মাতার। আমি তখন সাথে সাথেই মাছির দিকে তাকালাম। হ্যাঁ, তাই তো! কিন্তু কীসের কথা! মাছিও আবার কথা বলতে পারে নাকি! কী আশ্চর্য কথা!
কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, আমাকে ভরকে দেওয়ার জন্যই হয়ত মাছি দুটি দুই পায়ে বসেছে। তাদের সামনের দুই পা বড়ই অদ্ভুত। করজোরের মতো করে বসে মামার দিকে তাকিয়ে কেমন যেন অদ্ভুত গুঞ্জন তুলছে। মামা বলতে থাকেন- তারা খিতা মাতের জানছ নি?
- জি না
- খর- হুজুর, দুই ফাওয়ো ময়লা বেশি আনতাম ফারছি না, আফনে গোছা খরইন না যে, সামনের দিন বেশি আনমুনে!
মামার অদ্ভুত রসিকতায় আমি হাসবো না কাঁদবো ভেবে পেলাম। এর পর তিনিও মাছির মতো কেমন যেন গুঞ্জন করলেন। এরপর দেখলাম মাছিদ্বয় মুহূর্তেই উধাও হয়ে গেল। মামাকে এদিন আমার সত্যি সত্যিই বেশ বড় মাপের ঋষি বা সাধক বলে মনে হল। হুট করে মামা বললেন- ভাগিনা, আজখে আমার মাতাত খিতা খিতা খরের, বেশ বালা লাগের না। খলকে যাইমুনে। দার্শনিক মামার দিকে তাকিয়ে আমি কেবল নীরবে মাথা নাড়লাম।

দুই.
পরের দিন। সকালবেলা। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক দুজনেই বাসা থেকে বের হয়েছি। উপলক্ষ্য রাঙামাটি যাওয়া। মানে পাত্রী দেখা আর কি! অনেক দিন থেকেই পরিকল্পনা হচ্ছে। কিন্তু যাই যাই করেই আর যাওয়া হচ্ছে না। উল্লেখ্য যে, আমি ও মামা দুজনেই অবিবাহিত। শর্ত মোতাবেক পাত্রীর কাছে আমাদের দুজনের যে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে তার সাথেই বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে। যে কথা সেই কাজ। রিক্সা করে দুজনে জিন্দাবাজার পয়েন্টে এলাম।
মামার বেশন-ভূষণও ছিল দেখার মতো। সব কিছুই ছিল ধবধবে সাদা। সাদা পায়জামা, সাদা পাঞ্জাবি, সাদা জুতা, সাদা ব্রেসলেট, গলায় সাদা চেইন। সৌখিন নারীদের মতো প্রায়ই উনিও পোশাকের সাথে সবকিছু মিলিয়ে পরেন! আজকে সত্যি সত্যিই ওনাকে দেখতে বাংলা সিনেমার হিরোদের মতো লাগছে। ব্যক্তিগত কী একটা কাজ মিনিট দুয়েকের মধ্যে সেরে আমি দ্রুত মামার কাছে ফিরে এলাম। একি কাণ্ড! মামার মাথা, সাদা পাঞ্জাবি ও পায়জামার বিভিন্ন অংশে পানের পিক!
রাগে মামার চোখ তখন রক্তবর্ণ হয়ে ওঠেছে। তার এই অবস্থা দেখে আমি কথা বলার সব সাহস যেন হারিয়েই ফেললাম। সহসাই উপরের দিকে তাকিয়ে আমার কৌতূহলের মাত্রা আরও বেড়ে গেল। বেশ চকচকে বহুতল ভবন। আর এ ভবনটির টিক নিচেই মামা দাঁড়ানো ছিল। উপর থেকে কেউ হয়ত জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে এ জগন্য কাজটি করেছে। মামার বেশি রাগ উঠলে নিজেকে সামলাতে পারেন না। মুখ দিয়ে যা আসে তখন তাই বলেন। বাণী বর্ষণ করে আর কি! আজকেও তার ব্যত্যয় হলো না। আমি কেবল সাহস করে বললাম- মামা, উফরের সবগুন জানলা খোলা, কোন জানলা তাকি পানের পিক ফালাইছে কিলান খইবা? তাছাড়া, মাইনশে আপনার অবস্থা আর মুখর গালি হুনিয়া আশাআশি খররা। বাদ দেউক্কা না মামা, আমরা এখন শুভ খামো যাইরাম। আফনার ব্যাগর মধ্যে তো আরও জামা আছে। অন তাকি এখটা ফরইন না খেনে!
মামা কী বুঝে যেন হঠাৎ সুবোধ বালকের মতো থেমে গেলেন। আমি ক্ষীণস্বরে বললাম- মছজিদের বাতরুমে ঢুকিয়া পাঞ্জাবিখান বদলাইয়্যা আউক্কা। মামা ছোট্ট শিশুর মতো তাই করলেন। ভক্ত শিষ্য যেমন গুরুর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে মামাও কেন যেন আমার কথা সেরকম ভাবেই পালন করা শুরু করলেন! বুঝলাম, ভাগ্য সুপ্রসন্ন।
প্রায় আধঘণ্টা পর দুজনে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনে রওনা হলাম। মামা দিন কি রাত - গাড়িতে কিংবা ট্রেনে বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারেন না। ওনার আবার নাক ডাকার মতো ভয়ানাক অভ্যেস আছে। নাক ডাকা শুরু হলে মনে হবে ছোটখাট শব্দ করে ট্র্যাকটর যাচ্ছে! আশেপাশের মানুষদের তখন ঘুম একেবারেই হারাম হয়ে যায়। আমি যদিও মামার সাথে কথা বলে বলে তাকে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে যেন গুড়ে বালি! তিনি বেশিক্ষণ জেগে থাকতে পারলেন না। মজার বিষয় হলো উনি ঘুমের মধ্যেও আমার সাথে কথা বলে চললেন।
মামার ঘুম দেখে আমারও কেন যেন ঘুমুতে ইচ্ছে করলো। যদিও কিছুক্ষণ বই পড়তে চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তার ভয়ানক নাক ডাকার শব্দে পাঠে মনোনিবেশ করতে পারিনি। অনেকটা বাধ্য হয়ে আমিও ঘুমুতে চেষ্টা করি। এবং একসময় নানাবিধ চিন্তা করতে করতে আমিও কখন যেন ঘুমিয়ে পড়ি।

তিন.
বিকেল বেলা। ট্রেনে আর কোন যাত্রী নেই কেবল আমি আর মামা ছাড়া। টিকিট চেকার এসে আমাকে আলতো ধাক্কা মেরে ভরাট গলায় বললেন- হ্যালো, আপনারা কোথায় যাবেন? ট্রেন আর যাবে না। আমি চোখ কচলাতে কচলাতে তার দিকে তাকাই। বেশ বড়সর গোঁফওয়ালা মানুষ। দেখতে একেবারেই পাকিস্তানীদের মতো। মামাকে ধাক্কা দিয়ে বললাম- আর খত ঘুমাইতায়? ট্রেন কোনবেলা থামিগেছ, যাইতায় নায়নি রাঙামাটি না অন থাকি যাইতায়?
মামাও চোখ কচলাতে কচলাতে বললেন- অয় বেটা যাইমু। ফাগল অইগেলে নি? থোরা দম লো। এরপর মিনিট দুয়েকের মধ্যেই আমরা ট্রেন থেকে নেমে গেলাম। প্রচণ্ড খিদে পেয়েছে। না খেয়ে কোন অবস্থাতেই রাঙামাটির বাসে চড়া যাবে না। মামাকে খুব করে ধরলাম। মামা কিন্তু ধমক দিয়ে বললেন- ব্যাটা বাসাত তাকি বালা-বুড়া খাওয়াইয়া আনলাম, ঘণ্টা চার অইছে না আর এর মধ্যেও তুইন খাওয়ার লাগি ফাগল অই গেলি! খায়বে নে ব্যাটা হউরবাড়ি গিয়া! কথাটি বলেই মামা প্রসন্ন হাসি হাসলেন। এমন হাসির কারণে অনায়াসেই তার সাত ক্ষুণ মাফ করা যায়!
একটু চা-টা না হলেই নয়। দুজনেই রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেস হয়ে চা-নাস্তা খেলাম। বিল দিতে গিয়েই দুজনে মহাবিপদে পড়ে গেলাম। দুজনেরই মানিব্যাগ নেই! কী আশ্চর্য! মোবাইলও নেই। হায়রে বিপদ! রাগে তখন নিজের চুল নিজে ছিড়তে ইচ্ছে করলো। কিন্তু খুব শিঘ্রই শান্ত হয়ে গেলাম। উপায় খুঁজতে লাগলাম। কীভাবে এ বিপদ থেকে উত্তরণ পাওয়া যায়।
কাকতালীয়ভাবে আমার বুকপকেটে ৫০০ টাকার একটি নোট খুঁজে পেলাম। টাকাটি বের করতেই মামার চোখমুখে হাসির রেখা ফুটে ওঠলো। মামা কী যেন বুদ্ধি আটঁলেন। কেবল বললেন- অউ থোরা টেখাদি দুইজনে বাসাতও যাওয়া যাইত নায়, রাঙামাটিও যাওয়া যাইত নায়, বুজরেনি ভাগিনা? আমি শঙ্কাগ্রস্থ হয়ে মাথা নাড়ি। তিনি বলতে থাকেন- এখটা উপায় আছে। আমি খুব উৎকণ্ঠিত হয়ে বললাম -কিতা?
- থোরা হেল্প করবায় মামারে, ফারবায় নায়নি।
- কিতা হেল্প?
মামা কানে কানে যা বললেন আমার চোখ তখন কপালে উঠার মতো অবস্থা। কিন্তু মামার কথার উল্টোটি করতে গেলেই আমাকে উত্তম-মধ্যম খেতে হবে। কাজেই অনেকটা বাধ্য হয়ে আমি রাজি হয়ে গেলাম।
সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে প্রায়। মামা স্টেশন সংলগ্ন একটি খোলা জায়গায়- ডুগডুগি বাজিয়ে মজমা শুরু করে দিলেন। আমিই তার মজমার প্রথম দর্শক! আমার দেখাদেখি সেখানে ধীরে ধীরে মানুষ জমতে লাগলো। মানুষ বেশ জমে যাওয়ার পর শুরু করলেন মূল বক্তব্য।
বাজারে এইসব লোকদের ক্যাম্পাসার বলে। অনেকে আবার লেকচারারও বলে। আমি কিন্তু মোটেও তাদের লেকচারার বলার পক্ষপাতি নই। নিজে কলেজে লেকচারার হিশেবে আছি তো তাই! মামা শুদ্ধ ভাষায় তখনও বলে চলেছেন- যারা উঠলে বসতে পারেন না, বসলে উঠতে পারেন না, দীর্ঘদিন থেকে বাতের ব্যথা, কোমরে ব্যথা, পেশাবে জ্বালাপোড়া, মাথা ঝিমানি, ব্যবসায়ে আয়-বরকত নেই, রাতে ঘুমের ঘোরে উল্টাপাল্টা স্বপন দেখেন, সাপে কামড়ানি, ... তাদের এইসব সমস্যার জন্য রয়েছে আমার পীর আধ্যাত্মিক গুরু হয়রত মাওলানা মুনশি আলিমের হেকমতি তাবিজ আর হেকমতি বড়ি। বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর... বিশ্বাস করে একবার আপনি তাবিজ নিয়ে দেখেন আপনার সমস্যার সমাধান না হলে সব টাকা ফেরত দেয়া হবে। তাবিজ আর গুলির দাম মাত্র ত্রিশ টাকা। আজকে এখানে প্রথম বারের মতো আপনাদের দশ টাকা ছাড় দিচ্ছি। তাবিজ এবং গুলির দাম মাত্র বিশটাকা, বিশটাকা, বিশটাকা।
ব্যবসা জমানোর জন্য আমিই প্রথম মুখ খুললাম। বললাম- আমাকে একটা দিন। বলেই ২০ টাকার একটি নোট বের করে দিলাম। মামা দক্ষ ক্যাম্পাসারের মতো নিয়ম নীতি বলে দিলেন। এরপর দেখলাম একে একে অনেকেই কিনতে শুরু করলো। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রায় হাজার দুয়েকের মতো রুজি হয়ে গেল।
মজমা শেষ করে আমরা আবারও রেস্টুরেন্টে বসলাম। চা পান করতে করতে মামা শুদ্ধ ভাষায় বললেন- কেমন হলো ভাগিনা? মামাকে তখন রীতিমতো গুরু মানতে ইচ্ছে করলো। মনে হলো কয়েক হাজার বারও যদি মামার পায়ে ধরে সালাম করি তবেও বোধ করি তার প্রতি সম্মানের কমতি হয়ে যাবে!
মানিব্যাগের মধ্যে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড সবই ছিল। চুরি যাওয়ার পর একেবারেই যেন নিঃস হয়ে পড়েছিলাম। ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার পর গৃহকর্তার যেমন অবস্থা হয় তেমনি আর কি! যদিও মামার কাজটি পুরোপুরি অন্যায় আর ধোকাবাজি তবুও তাকে কেন যেন মাফ করে দিতে ইচ্ছে হলো। খাওয়া শেষ করে বেরিয়ে আসার সময় হাসতে হাসতে বললাম- মামা, সবতাও ঠিক আছে, খালি এখটা জাগাত আমার বেশি খারাফ লাগছে।
- কোনটারে ভাগিনা?
- ছাগলের ল্যাদা দি আফনে বড়ি না বানাইলেও ফারতা!
মামার তখন হাসি আর দেখে কে! হাসছে তো হাসছেই।
------------------
২২.০৫.২০১৫
মুনশি আলিম
জাফলং, সিলেট


মন্তব্য ১২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫১

হতাস৮৮ বলেছেন: অসাধারণ...... B-) B-) B-)

২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: অফুরন্ত ভালোবাসা রইল।

২| ২২ শে মে, ২০১৫ দুপুর ২:১২

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা রইল

৩| ২২ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৪১

বটের ফল বলেছেন: :) :D ;) =p~

২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: :) :D ধন্যবাদও শুভ কামনা

৪| ২২ শে মে, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩

অঅস্বাভাবিক এক মানুষ আমি বলেছেন: ভাল

২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: কেবলি ভালোবাসা ।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১২:২২

একুশে২১ বলেছেন: B-) B-) B-)

২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪১

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: :) ;) ধন্যবাদ জনাব

৬| ২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ৩:২৫

মোঃমোজাম হক বলেছেন: লিখে যান,একদিন দাম দিয়ে বই কিনবো :)

২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩২

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন:
ধন্যবাদ জনাব। কেন যেন আপনার কাছে আমার বইগুলো বিক্রি করতে ইচ্ছে করছে । :) :D B-) অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

৭| ২৪ শে মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪০

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.