নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুনশি আলিমের রম্যগল্প \'খাদক মহাপুরুষ\'

২৪ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:১১






এক.

শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি কোন এক রাত। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার, নিজের হাতটি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। আকাশের অবস্থাও তেমন ভালো নয়। গুড়ু গুড়ু মেঘ ডাকছে। হয়ত শিঘ্রই বৃষ্টি নামবে। আমি আমার রুমে বসে পড়ছিলাম। ঠিক মধ্যরাতে মামা রুবজ এ রহমান আমার রুমের দরজায় টোকা দিয়ে ফিসফিস করে বললেন-
- ভাগিনা, এখটু জলদি আয়
- আইরাম
- দূর বেটা! আরো জলদি...
মামার যেন আর তর সইছে না। আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না। হঠাৎ এত রাতে তলব কেন! অবশ্য প্রায়শই তিনি আমাকে ভরকে দেওয়ার জন্য উদ্ভট উদ্ভট কাজ করেন। আমার অবশ্য তাতে বেশ একটা খারাপও লাগে না। কাছে যেতেই মামা বললেন- কঞ্জুস মিষ্টিয়ালার বাড়িত যাইমু।
-খেনে?
তার গাছে যে সুন্দর সুন্দর ডাব ধরছে, সফরি ধরছে, ডালিম ধরছে ... তর মনে অর নি। আমি যে তান কাছে এখটা সফরি এমনিতেই খাইতাম চাইছলাম আর তাইন আমারে খারা বেইজ্জত খরছলা! তর মনে অরনি?
- জি অয় মামা (একটু দ্বিধান্বিত স্বরে)
- মামার অফমান ভাগনার অফমান নায় নি?
- জি অয়
- এই অফমানের বদলা নিতাম, মামারে থোরা হেল্প খরতায়; ফারবায় নায়নি বাবা?
- জি অয়, ফারতাম না মানে ... ।

মামা সম্মোহনী স্বরে এমনভাবে কথাগুলো উপস্থাপন করছেন যে আমি আর না করতে পারিনি। বরং উনার উৎসাহে আমিও দ্বিগুণ উৎসাহিত হয়েছি। মামা লম্বা রশি ও কয়েকটি বস্তা সাথে নিলেন। হাতে নিলেন লম্বা একটি চাপাতি ও আরেকটি যেন কালো কালো কী! আমার রুমের দরজার এক ফাঁক দিয়ে বের হওয়া ঈষৎ আলোয় চাপাতি চকচক করছিল। তা দেখে তো ভয়ে আমার গলা প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা! তার উপর কালো কালো ওটা যে কী ধরনের হাতিয়ার তা জিজ্ঞেস করার মতো সৎ সাহস তখন আমার মোটেও ছিল না। যাইহোক, মামা আমাকে ফিসফিসিয়ে বুঝিয়ে দিলেন আমার পরবর্তী করণীয়। উল্টাপাল্টা কিছু করলে আমার কী খেসারত আসতে পারে তাও আমাকে চাপাতি হাতাতে হাতাতে ইঙ্গিত করে বুঝিয়ে দিলেন।

আমার নিঃশ্বাসের বেগ ঘন থেকে ঘনতর হয়ে ওঠছে। হাপানি রোগীদের যেমন হয় আর কি! কাউকে কিছু বলতেও পারছি না, চিৎকারও করতে পারছি না, কিংবা দৌড় দেওয়ার মতো সাহসটা পর্যন্তও হারিয়ে ফেলেছি। অগত্যা মামাকেই অনুসরণ করতে শুরু করলাম।

দুই.

এলাকাতে মামার বেশ খ্যাতি ছিল। এই খ্যাতিটা সু-খ্যাতি না কু-খ্যাতি তাও সঠিক করে বলতে পারি না! তিনি খুব ডিম খেতে পারতেন। এক বসাতেই শ’খানেক ডিম সাবার করে ফেলতে পারতেন। শুধু কি ডিম? কেউ যদি মিষ্টি খাওয়া নিয়ে বাজি ধরতো, কিংবা ভাত, পোলাও... তবে সে নিশ্চিতই হারতো। একবার এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে তো মামা সবাইকে তাজ্জব বানিয়ে দিয়েছিলেন।

সেদিন এক টেবিলে আমরা ছিলাম চারজন। দুইজন ওয়েটারটা একটু পরপর খানি নিয়ে আসছে। খানি দিয়ে যেতে দেরি হয় কিন্তু তা সাবার করতে দেরি হয় না! আমরা এক আধবার মুখে দিতে না দিতেই দেখি বাকী সব খানি সাবার! মামার অবস্থা দেখে আমাদের তো চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। মনে মনে আমি একটু ভয়ও পেলাম। বলের মধ্যে বেশি বাতাস ঢুকালে যেমন তা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনি বেশি খেলে মামারও ঐরকম অবস্থা হওয়ার সম্ভাবনাটাও উড়িয়ে দেওয়ার মতো নয়! খাচ্ছে মামা, কিন্তু ভয় পাচ্ছি আমি। ওয়েটাররা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ল। তারা গিয়ে মালিককে বলল। পরিস্থিতি আচ করতে পেরে মালিক নিজে এসে আর খাবার নাই বলে ক্ষমা প্রার্থনা করলো। এই কথাটি এক এক করে বিয়ের সব অতিথিরাই জেনে গেল।

এরপর জামাই বাবুকে রেখে দলে দলে মানুষ মামাকেই দেখা শুরু করলো। এ এক খাদক মহাপুরুষ! অবস্থা বেগতিক দেখে মামাকে নিয়ে সেদিন দ্রুত প্রস্থান করলাম। দ্রুত প্রস্থান করলে কী হবে, সেদিনই সারা এলাকা বা তার পাশের এলাকা বা তার পাশের এলাকা, এভাবে কয়েক এলাকাজুড়ে মামার এই খ্যাতি ছড়িয়ে পড়লো। সেই থেকে এলাকাবাসীরা আড়ালে-আবডালে তাকে ‘খাদক’, ‘খাদক রুবজ’ বা ‘খাদক মহাপুরুষ’ বলে ডাকতো!

এক কথায় মামা ছিলেন সেইরাম একজন খাদক! মানে প্রথম শ্রেণির খাদক! মামার দেখাদেখি শত চেষ্টা করেও আমি দশের বেশি ডিম গিলতে পারিনি। বেশি ডিম খেলে নাকি বেশি বুদ্ধি হয়, সেই সাথে সাহস আর শক্তির কথা নাই বা বললাম। মামা প্রায়শই এই কথাগুলো ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বলতেন। ভালো ছাত্রছাত্রীরা যেমন রুটিন মেনে পড়াশোনা করে তেমনি মামা রুবজ এ রহমানও আমাকে ঐ কথাগুলো প্রত্যেহ রুটিনমাফিক বলতেন! কোন অপারেশনে যাওয়ার আগে অন্তত পঞ্চাশটি ডিম তিনি সাবার করে যেতেন। যাতে শক্তি, সাহস ও বুদ্ধির কোন ঘাটতি না পড়ে!

আজ এই মধ্যরাতে বের হওয়ার সময়ও তিনি এমনটি করে এসেছেন। ফিসফিস করে কথা বলার সময়ও তার মুখ থেকে ডিমের গন্ধ বের হয়ে আসছিল। আর সে কারণেই আমি আর কথা বাড়াতে চাইনি। পৃথিবীর বিভিন্ন শ্রেণির নামী-দামি মানুষও কুসংস্কারে বিশ্বাস করে। সেদিক থেকে আমি একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানুষ হয়েও সে বলয়ের বাইরে যেতে পারিনি। আমিও মনে করি, মামা ডিম খেয়ে বাসা থেকে বের হলেই যে কাজের জন্যই তিনি বের হয়েছেন, সেটির সফলতা অবশ্যম্ভাবী! লোকলজ্জার ভয় যতটুকু না ছিল তার চেয়ে বেশি ছিল মামার মাইরের ভয়! সুযোগ পেলেই ওনি চটকনা মারেন। শুধু কী চটকনা, কানমলা, চুলের লতি ধরে টানাসহ বিভিন্ন প্রকারের নিত্যনতুন শাস্তি উদ্ভাবন করতেন। উনি চটকনা মারলেই সেদিন নাকি হয়ে যেত বিশ্ব চটকনা দিবস! কানমলা দিলে বিশ্ব কানমলা দিবস!... এভাবে যা করতেন সেটাই নাকি সেদিন বিশ্ব দিবসে পরিণত হত!

সব অপারেশনেই ওনার কিছু না কিছু মার খেয়েছি। আজকে যে কপালে কী আছে তা সঠিক করে বলতে পারি না। মনে মনে বিশ্ববিখ্যাত জ্ঞানীগুণীদের আত্মবিশ্বাসের মন্ত্র জপতে জপতে সামনের দিকে রওয়ানা দিলাম।

তিন.

অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম। আমাকে মিষ্টিওয়ালার বাড়ি থেকে বেশ একটু দূরে রশির মাথা ধরে বসে থাকতে বললেন। রাত সম্ভবত কাটায় কাটায় বারোটা। এমন সময় নাকি গাছে চড়তে হয় না! ঘর থেকে বেরও হতে হয় না! মামা কিন্তু ওসব কিছুই বিশ্বাস করেন না। যদিও আমি ব্যক্তিগতভাবে ভূতপ্রেতে বিশ্বাস করি না, কিন্তু কাটায় কাটায় ঠিক বারোটার সময় তাও বহুল আলোচিত সেই হিজল গাছের নিচে আমায় বসিয়ে যাওয়ায় আমারও খুব একটা ভালো লাগছিলো না। আশে পাশে কিছু একটা শব্দ পেলেই আমি চমকে ওঠি। পরক্ষণেই আবার নিজেকে প্রবোধ দেই- দূর ওসব কিছু নয়! কুসংস্কারমাত্র!

দিনের বেলা ঠিক বারোটার সময়ই এলাকার মানুষজন এই হিজল গাছ তলাতে আসার সাহস করে না, এখানে আসলেই নাকি কোন না কোন একটা রোগে আক্রান্ত হয়, আর এখন তো রাত, তাও আবার কাটায় কাটায় রাত বারোটা! গরমের লেশও নেই, তবুও আমি একটু একটু ঘামতে শুরু করি। হিজল গাছ ও তদসংশ্লিষ্ট কুসংস্কারগুলো মনে না করতে অন্য বিষয়গুলো স্মৃতিতে আনার চেষ্টা করি। প্রিয়ার কথা হ্যাঁ, তার ডায়রির কথা, বেচারি! ১০০ পৃষ্ঠা জুড়ে তার লেখা চিঠির কথা মনে করতে থাকি। স্মৃতির নৈবেদ্য হাতড়ে দূর থেকে দূরান্তরে প্রবেশ করতে থাকি। রোমান্টিকতার সর্বোচ্চ শিখরে... ।

মনে পড়ছে ডায়রি দেওয়ার সময় আলতো করে তার হাত ছুঁয়ে দিয়েছিলাম। আশেপাশে কেউ ছিল কিনা সেজন্য বারবার চতুর্দিকে লাটিমের মতো চোখ বুলাচ্ছিলাম। আমি মনে করতে থাকি তার রক্তিম ঠোঁটের কথা। আমি হাত দিয়ে তার কোমল ঠোঁট স্পর্শ করবো এমন স্মৃতির আবহ মনে আনতেই রশিতে জোরে টান লাগলো। উপর থেকে দেখলাম জোড়ায় জোড়ায় ডাব রশি বেয়ে আমার হাতে এসে নামছে।

কী আশ্চর্য! বিজ্ঞানী নিউটন, আইনস্টাইন, প্লেটো, এরিস্টটল সবাই যেন মামার অভিনব চুরিবিদ্যার কাছে ফেইল! আমি রশি একটু টানটান করে রাখতেই জোড়ায় জোড়ায় ডাবগুলো দ্রুত আমার হাতে আসতে থাকে। একহাত দিয়ে তা বস্তায় ভরতে থাকি। এভাবে কতক্ষণ কাজ করলাম ঠিক মনে নেই, তবে দেখলাম চারটি বস্তা ভরে গেছে!

এরই মাঝে আকাশে মাঝে মাঝেই বিজলী চমকাচ্ছে। ভাব দেখে মনে হচ্ছে, এই বুঝি ঝড়ো বৃষ্টি নামবে। দেখতেই দেখতেই দমকা হাওয়া শুরু হয়ে গেল। সত্যি সত্যিই একটু পর শুরু হলো প্রবল বৃষ্টি। সেকি বৃষ্টি! আমার তখন মামার জন্য ভয় করতে লাগলো। কোন অঘটন ঘটলে এলাকাতে আর মুখ দেখানো যাবে না। মনে মনে মামার ফিরে আসাটা কামনা করছিলাম।
দ্বিতীয় অপারেশন হিশেবে মামা পেয়ারা সব পেরে সুচতুরভাবে বস্তায় ভরলেন। ততক্ষণে বৃষ্টিও প্রায় শেষ হওয়ার পথে। এমন সময় মিষ্টিওয়ালা একবার কাশ দিয়ে ওঠলেন। তার বউও একবার কাশ দিয়ে উঠলেন। কোন দরকার বশত বাইরে বের হতে পারে এমন সম্বাবনার জন্যও মামা প্রস্তুত ছিলেন।

মিষ্টিওয়ালা ছিলো যক্ষা রোগী। কাশ একবার উঠলে যেন আর থামতেই চায় না। অনেক দূর থেকে তার কাশের শব্দও আমার কানে ভেসে এল। অজানা ভয়ে আমি তো প্রায় মরহুম হওয়ার পথে! এই বুঝি মামা আমার ধরা পড়লো! একবার ধরা পড়লে সারা জীবনের অর্জন করা মান-ইজ্জত সব ধূলোয় মিশে যাবে। আমি সাধারণতই প্রার্থনা করি না। কিন্তু এ সময় কেন যে কায়মন বাক্যে প্রার্থনা করা শুরু করলাম। মামা যাতে দ্রুত ফিরে আসে।

এর কয়েক মিনিটের মাথায় দেখলাম, মামা ফিরে এলেন। নিজেকে তখন উপমহাদেশের সবচেয়ে আধ্যাত্মিক দরবেশ মনে হল! মামা ফিসফিস করে বললেন- চল। আমাদের বাড়ির পুকুরের পাশে ঘন জঙ্গলে মাটিচাপা দিয়ে রাখতে হবে। যে কথা সেই কাজ। মামা তিন বস্তা একাই নিলেন। আমাকে দিলেন এক বস্তা।
যত দ্রুত যেতে পারি ততই যেন মঙ্গল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা আমাদের কাজ শেষ করে ঘরে ফিরলাম। রাতে নানাবিধ চিন্তা করতে করতে আমার আর ঘুম হলো না।

চার.

পরের দিন। সকাল বেলা। মামা ও তার দশ পনেরজন বন্ধু মিলে মিষ্টিওয়ালার বাড়ির দিকে রওয়ানা দিল। যাওয়ার সময় বললেন- তুইন আর বাদ থাখতে কেনে? আইয়ো, মজা দেখবে নে! আমি ছোট্ট শিশুর মতো তাদের অনুসরণ করতে থাকি। কিন্তু আমার যেন পা আর চলতেই চায় না! রাতে যে কী অন্যায় করেছি তা মনে হতেই নিজের ভিতরে অনুতাপ জড়ো হতে থাকে। আমি মামাকে বললাম- আফনারা যাউক্কা, আমি ফরে যাইমুনে...। কথাটি শেষ না হতেই মামা আমার দিকে এমনভাবে তাকালেন যে, বাকী কথাগুলো আর শেষ করাটাও অন্যায় মনে হল!

মিষ্টিওয়ালার বাড়ির পাশ দিয়েই প্রধান সড়ক। আমরা তার বাড়ির কাছাকাছি যেতেই দেখলাম তার বাড়িতে এই ভোরবেলাতেই বেশ জটলা। বেশ কিছু মানুষ জড়ো হয়েছে। কেউ কেউ মুখ টিপে হাসছে, কেউ বা নাক চেপে একটু দূরে দারিয়ে রয়েছে। আবার কেউ কেউ খুনসুটিতে মেতে ওঠছে। সবার কথাকে ম্লান করে দিয়ে মিষ্টিওয়ালার বউয়ের কর্কশ গলার শ্রাব্য অশ্রাব্য ভাষার গালির শব্দ দূর থেকে দূরান্তরে ভেসে যাচ্ছিল। মিষ্টিওয়ালার স্ত্রীর কণ্ঠ বেশ ভরাট। অনেকটা পুরুষালি! এজন্যই হয়ত গ্রামের অধিকাংশ মানুষ আড়ালে-আবডালে তাকে ‘বেটাইন মহিলা’ ডাকে!

আমরা সেখানে যেতেই তিনি যেন আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন। মিষ্টিওয়ালার বাড়িতে গিয়ে তো আমার চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। এ কী কাণ্ড! মিষ্টিওয়ালার ঘরের দরজা থেকে শুরু করে সারা উঠান জুড়ে শুধু গু আর গু ! আর সে গু’য়ের ওপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বেশ কিছু কাচা-পাকা পেয়ারা, ডালিম ও দুএকটি ডাব। অবস্থা দেখে মনে হবে যেন এইমাত্র মিষ্টিওয়ালার বাড়িতে প্রবল গু’য়ের বৃষ্টি হয়েছে!
মামার বন্ধুরা তো হেসেই খুন! কী আর মহিলাকে সান্ত্বনা দিবে! গু’য়ের গন্ধে কী আর সেখানে থাকা যায়... আমরাও নাক চেপে হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসলাম। মহিলা তখনোও বকেই চলছে- শুয়রের বাচ্চাইন, কুত্তার বাচ্চাইন... ।

ঘটনার আজ এতদিন পর ভাবছি, আমার খাদক মামা কী করে সারা উঠান জুড়ে পায়খানা করে ভরালেন! মামাকে কথাটি বলতেই মামা অট্ট হাসিতে ফেটে পড়লেন। হাসতে হাসতে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে বললেন- সবই আমার প্রিয় ভাগিনা, উপমহাদেশের প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক পীর হয়রত মাওলানা মুনশি আলিমের আশির্বাদ! মামার কথা শেষ হতেই আমি অট্ট হাসিতে ফেটে পড়ি, আবার আমার শেষ হতেই মামার শুরু হয়। হাসছি তো হাসছিই ...।

----------------------------
মুনশি আলিম
২৪.০৫.২০১৫
শিবগঞ্জ, সিলেট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.