নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কাব্য: “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’
কবি জফির সেতুর “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ এর কাব্য বিশ্লেষণ
“বৃক্ষ তোমার নাম কী?” - ফলে পরিচয়। কবি জফির সেতুর ক্ষেত্রেও যেন কথাটি শতভাগ সত্যি। অনলাইন প্রযুক্তির যুগে এখন আর কবি সাহিত্যিকদের লেখা পর্দার আড়ালে থাকে না, কোন না কোনভাবে তা মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বেশির ভাগ পরিচিত সাহিত্যিকরাই মিডিয়ার সৃষ্টি। একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব রাজনীতিতে যখন শুরু হয়েছে নতুন মেরুকরণ ঠিক তখনি কাব্য সাহিত্যেও তার প্রভাব লক্ষ্য করার মতো। রাজনীতিতে যেমন সিন্ডিকেট রয়েছে, তেমনি রয়েছে ব্যবসায়-বাণিজ্যে। ধীরে ধীরে সে প্রভাব সাহিত্যেও পড়া শুরু হয়েছে। কোন কোন পত্রিকাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে সাহিত্য বলয়। আবার কোন কোন সাহিত্যের ছোটকাগজকে কেন্দ্র করেও যে সাহিত্য বলয় গড়ে ওঠছে না তা কিন্তু সহসা হলফ করে বলা যাবে না।
তরুণ কবি জফির সেতু কোন প্রকার বলয়ে বিশ্বাস না করলেও একেবারে বলয়ের বাহিরেও নন।। তিনি নিজেও গোষ্ঠীকে লালন করেন। তাঁর সৃষ্ট ‘কথাপরম্পরা’ গোষ্ঠী এর যথেষ্ট প্রমাণ রাখে। এটি একটি সাহিত্যমোদী সৃষ্টিশীল গোষ্ঠী। কেবল একই মতাদর্শের সাহিত্যিকরাই তার গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে। মূলত বিশ্বমানের সাহিত্যিকদের নির্দিষ্ট কোন দেশ নেই, জাতি নেই। তারা যেমন সকল কালের তেমনি সকল সমাজেরও। অতএব বলা যায়, বিশ্বমানের হতে হলে ক্ষুদে বলয় অনেক সময়ই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
যদিও তিনি তাঁর কবিতাগুলোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে যথেষ্ট চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। আধুনিকতার পথ অতিক্রম করে যে সব কবিরা উত্তরাধুনিকতার পথে বিচরণ করছেন জফির সেতু তাঁদের মধ্যে অন্যতম। নিজের ভাব, ভাষা, প্রকরণ, উপমার প্রয়োগে তিনি বেশ সিদ্ধহস্ত।
“ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কবি জফির সেতুর ১২তম কাব্য। এটি প্রকাশিত হয়েছে ঘাস প্রকাশনা সিলেট থেকে। প্রকাশকাল: জুন, ২০১৫। এক ফর্মার বই অথচ এটি একটি ব্যতিক্রমধর্মী কাব্য। প্রকাশ কর্মকারের চিত্র অবলম্বনে প্রচ্ছদ করেছেন ইবনে মাহমুদ। এতে মোট প্যারা রয়েছে ৩১টি। নাম ভূমিকার পংক্তিটি বিশেষণের অতিশায়ন হিশেবে ব্যবহৃত হয়েছে ১৩ বার। অবশ্য প্রচ্ছদের করুণ দশা দেখলে প্রথম প্রথম এটিকে অনেকটা ‘হটকেক’ তথা চটি বইয়ের মতোই মনে হবে! কিন্তু ঐ যে বললাম, যারা কেবল প্রচ্ছদ দেখেই বই কিনে তাদের জন্য বিষয়টি মোটেও সুখকর নয়! বইটির বিশেষত্ব কিন্তু অন্য জায়গায়। তা যেমন প্রকরণে তেমনি বিষয়বস্তুতে।
যারা গতানুগতিক পথে হাঁটেন না, জফির সেতু তাদের অন্যতম। মূলত প্রধান কবি সাহিত্যিকরা কারো নির্দেশিত পথে হাঁটেন না, তাঁরা নিজেরা পথ সৃষ্টি করে নেন। কবি জফির সেতুও সেরকমই একজন কবি। যদিও তাঁকে কবি বললে তাঁর অন্যান্য প্রকাশিত গ্রন্থগুলোকে অস্বীকার করা হয়!
তিনি গল্পগ্রন্থও লিখেছেন। তাঁর গল্পগ্রন্থের নাম ‘বাবেলের চূড়া’ (২০১৩), প্রবন্ধের নাম: লোক পুরাণের বিনির্মান ও অন্যান্য (২০০৯)। তিনি শেষ্ঠ কবিতা: দিলওয়ার (২০১১), নন্দলাল শর্মা (২০১২), সিলেটী বিয়ের গীত (২০১৩) নামে বেশ কয়েকটি বই সম্পাদনাও করেছেন।
তাঁর প্রথম বই ‘বহুবর্ণ রক্তবীজ (২০০৪) থেকে ১২তম বই “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস (২০১৫)’ এর যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। অনেকটা আকাশ পাতাল তফাত! এই পার্থক্যের মূল হেতু যেমন ভাষার সরলীকরণে, প্রকরণে তেমনি বিষয়বস্তুতেও। তাঁর প্রকাশিত
কাব্যের তালিকা নিম্নরূপ:
বহুবর্ণ রক্তবীজ (২০০৪)
সহস্র ভোল্টের বাঘ (২০০৬)
স্যানাটোরিয়াম (২০০৮)
তাঁবুর নিচে দূতাবাস (২০১১)
সিন্ধুদ্রাবিড়ের ঘোটকী (২০১২)
জাতক ও দণ্ডকারণ্য(২০১৩)
সুতো দিয়ে বানানো সূর্যেরা (২০১৪)
Turtle Has No Wings (2014)
ময়ূর উজানে ভাসো (২০১৪)
ডুমুরের গোপন ইশারা (২০১৪)
প্রস্তরলিখিত (২০১৫)
ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস (২০১৫)
তাঁর প্রকাশিত কাব্যের তালিকা থেকে দেখা যায় যে, কেবল ২০১৪ সালেই তাঁর প্রকাশিত কাব্যের সংখ্যা চার! খ্যাতিমান হুমায়ুন আহমদের মতো তিনিও যেন একই পথে হেঁটে চলেছেন। তবে অপ্রিয় সত্য হল, বাংলাদেশে কথাসাহিত্যের বাজার এবং কবিতার বাজার যেমন এক নয় তেমনি কথাসাহিত্যের পাঠক এবং কবিতার পাঠকও এক নয়। গড় জরিপে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে কথাসাহিত্যের কদরই বেশি।
বইমেলা ও অন্যান্য জরিপ থেকে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে একজন খ্যাতমান কবির কাব্যও চারশত এর অধিক চলে না; যেখানে কথাসাহিত্যের খরিদদার প্রায় কয়েক হাজার! যদিও খরিদদার দিয়ে সাহিত্যের বিচার চলে না, তবু তা উপেক্ষা করাটাও নিছক বোকামি! ২০১৪ সালে উনি যেন অনেকটা ভুল পথেই হেঁটেছেন। ঘন ঘন প্রকাশনা বা বেশি প্রকাশনা একজন কবিকে মোটেও সাহিত্যের উঁচু জায়গায় স্থায়ী আসন দিতে পারে না। এটি অনায়াসেই স্বীকার্য যে, বেশি সন্তানের চেয়ে কম সন্তানই ভালো, যদি সে সন্তানটাকে মানুষের মতো মানুষ করা যায়।
একজন সৃষ্টিশীল কবির কাজই হলো নীরবে সৃষ্টি করা। সৃষ্টিতে যত বেশি দরদ দেওয়া হবে ততই সে সৃষ্টি সার্থক হবে। ঠিক অনেকটা বৃক্ষকে পরিচর্যা করার মতো! কবি জফির সেতু প্রথমত এবং প্রধানত একজন কবি। যদিও তাঁর অন্যান্য প্রকাশনা রয়েছে তথাপিও তিনি বর্তমান সময়ের একজন বহুল আলোচিত তরুণ কবি। নিজের সৃষ্টিকরা পথেই তিনি হেঁটে চলছেন নিজের মতো করে।
কবির লেখনীই তার প্রমাণ রাখে। “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কাব্যের নামকরণটি অবশ্যই ব্যতিক্রম। শুধুই নামেই ব্যতিক্রম নয়, প্রকরণে এবং বিষয়বস্তুতেও। ইংরেজি ভাষায় “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কথাটি একটি জঘন্য গালি হিশেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখন এ গালিটি কেবল ইংরেজি ভাষাতেই সীমাবদ্ধ নয়, সংস্কৃতির মিথস্ক্রিয়া তথা ভাষার মিথস্ক্রিয়ার ফলে এখন এ গালিটি বাংলা ভাষার নিজস্ব সম্পদ হয়ে দাঁড়িয়েছে বললে বেশি অত্যুক্তি হবে না!
কাব্যে মূলত এ গালির মধ্যে দিয়েই ফুটে উঠেছে সমাজের উচ্চ শ্রেণির প্রতি দলিত মানুষ তথা নিম্ন শ্রেণির প্রচণ্ড ক্ষোভ, ঘৃণা। কাব্যের বিষয়বস্তুর পরিসর খুবই ব্যাপক। এটি শুধু দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। হাঁটি হাঁটি পা পা করে সমস্ত পৃথিবীই যেন চড়াট করেছে।
জগৎবিখ্যাত কবি পাবলো নেরুদার একটি কাব্য ছিল - যার শুরু এবং শেষ হয়েছিল শুশু প্রশ্নে প্রশ্নে । কবি জফির সেতুর এই “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কাব্যটি যেন সে কাব্যেরই অনেকটা ধারা ছুঁয়েছে। শুধু প্রশ্নে প্রশ্নে যে কবিতা হয় এবং তা দিয়ে যে পুরো কাব্য হয় পাবলো নেরুদা তা যেমন প্রমাণ করেছ ইংরেজি ভাষায় তেমনি জফির সেতুও প্রমাণ করেছেন বাংলা ভাষায়। বাংলা সাহিত্য সম্রাট উপাধি খ্যাত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ‘বিড়াল’ গল্পটিতে যেমন শাসক এবং প্রলেতারিয়েত শ্রেণিকে অত্যন্ত নিপুণভাবে রঙ্গ-ব্যাঙ্গের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন তেমনি কবি জফির সেতুও তাঁর “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কাব্যে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
তাঁর কাব্যে ভাষার সরলীকরণও নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে। নিচের কয়েকটি পংক্তিই তার প্রমাণ রাখে-
তুমি কি একটা ব্যক্তি?
তুমি একটা গোষ্ঠী?তুমি কি একটা আদর্শ?
তুমি কি একটা চক্র?
নাকি তুমি খোদ রাষ্ট্র?
তোমারও জিহ্বা আছে?
চোখ আছে দুইটা? নথ আছে?
আছে গোপনাঙ্গ? লিকলিকে শিড়দাঁড়া?
উৎস: ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস : পৃষ্ঠা- ৮
তাঁর কাব্যের বৈশিষ্ট্য ঠিক তাঁরই মতো স্বতন্ত্র। কাব্য বিশ্লেষণে কয়েকটি দিক ফুটে ওঠেছে। যেমন-
ক. সমকালীন বাস্তবতা,
খ.পুরাণ,
গ.ইতিহাস-ঐতিহ্যতা,
ঘ. প্রেম, প্রকৃতি,
ঙ. রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজনীতি,
চ. মানবিকতা,
ছ. বৈশ্বিক জটিলতা,
জ. দেশপ্রেম প্রভৃতি।
ঞ. শ্রেণি বৈষম্য
চ. বিবিধ
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়িতে গেল চারপাশটাকে যেমন মনে হয় রবীন্দ্রময় তেমনি কবি জফির সেতুর “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কাব্যটিকেও মনে হয় ‘তুমিময়’! ‘তুমি’ শব্দটি সর্বনাম হলেও এখানে কবি এত বেশিই তুমি ব্যবহার করেছেন যে, কাব্যটির মর্যাদা অনেকটাই ক্ষুণ্ন হয়েছে। যদিও তিনি ‘তুমি’ শব্দটিকে বিশেষণের অতিশায়ন হিশেবে ব্যবহার করেছেন।
আইনের দৃষ্টিতে যেমন সকলেই সমান তেমনি কবি জফির সেতুর দৃষ্টিতেও সকল শব্দই সমান। কোন শব্দের প্রতি বেশি দরদ বা কোনটার প্রতি কম তেমনটি মনে করেন না। মনের ভাব প্রকাশার্থে যে শব্দটি বেশি উপযুক্ত সে শব্দটিই তিনি বেশি ব্যবহার করেছেন।
যেমন
দেখো আমার পুরুষালি স্তন
দেখো আমার নাভিকুণ্ড
দেখো আমার কুঞ্জিত কালো চুল
দেখো আমার স্ফীত বুক
দেখো আমার কম্পিত ঠোঁট
দেখো আমার তীব্র আঙুল
দেখো আমার লৌহকঠিন লিঙ্গ
উৎস: ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস : পৃষ্ঠা- ৮
তিনি বিশ্বের উচ্চ শ্রেণিকে লক্ষ্য করে তাঁর তাবৎ প্রশ্ন, ক্ষোভ, ঘৃণা, শ্লেষ, বক্রোক্তি প্রকাশ করেন। তার চিন্তার পরিসর সহজেই হয়ে উঠেছে বিশ্বমানের। এক জায়গাতে তিনি স্থির থাকেননি। নিচের পুক্তিগুলো নিঃসন্দেহে তার প্রমাণ রাখে। যেমন:
তুমি সক্রেটিসকে বলেছ, চুপ
তুমি কোপার্নিকাসকে বলে, চুপ
তুমি ব্রুনোকে বলেছ, চুপ,
তুমি গ্যালিলিওকে বলেছ, চুপ
তুমি হুমায়ুন আজাদকে বলেছ, চুপ
কেননা, তুমি ভাবো তুমিই ঠিক
উৎস: ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস: পৃষ্ঠা- ১২
উপর্যুক্ত ‘তুমি কোপার্নিকাসকে বলে, চুপ’ পংক্তটিতে কেন যেন ক্রিয়াপদটির কারণে ছন্দপতন মনে হল। তবে সম্ভবত প্রিন্টিং ভুলের কারণেই ‘বলে’ ক্রিয়াপদটি এসেছে; যা হওয়া উচিত ছিল ‘বলেছ’।
ত্রিশের দশক থেকে দশকের হিশেব গণণা হলেও মূলত দশক দিয়ে সব কবিকে গণনা করা যায় না। জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে, পল্লি কবি জসীমউদদীনকে যেমন কোন দশকেই ফেলা যায় না, তেমনি আল মাহমুদকেও ফেলা যায় না। অথচ এরা প্রত্যেকই নিজ নিজ সৃষ্টিশীলতার কারণে বাংলা সাহিত্যে তথা বিশ্বসাহিত্যে উজ্জ্বল নক্ষত্রস্বরূপ। মোদ্দাকথা, সময় এসেছে ভেবে দেখার। দশকের বিচারে কাব্যবিশ্লেষণটা কতটা যুক্তিযুক্ত!
কবি তার কাব্যে অধিক ‘তুমি’র ব্যবহার করেছেন। যদিও এই তুমি বলতে বিশ্বের শাসক, শোষক, ভণ্ড শ্রেণিকেই বুঝিয়েছেন। নিজে থেকেছেন কথকরূপে প্রলেতারিয়েত দলে। অনেকটা ইনিয়ে বিনিয়ে, কখনোবা ক্ষোভের স্বরে, কখনো বা কথনরূপে তিনি কাব্যটির বর্ণনা করেছেন। যেমন:
তুমি কখনো অজ্ঞাতকুলশীল
তুমি কখনো একিলিস
তুমি কখনো দুর্যোধন
তুমি কখনো তৈমুর লং
তুমি কখনো নেপোলিয়ান
তুমি কখনো মুসোলিনী
তুমি কখনো হিটলার তুমি কখনো ইয়াহহিয়া
তুমি কখনো উঠে এসেছো পুরাণ থেকে
উৎস: ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস: পৃষ্ঠা: ১৩- ১৪
ত্রিশের, চল্লিশের, পঞ্চাশের, ষাটের, সত্তরে, আশির, নব্বইয়ের কিংবা শূন্য দশকের অনেক কবির কবিতা থেকেই মনের অজান্তে অনেক লাইন গেঁথে যায় কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, কবি জফির সেতুর “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কাব্যে কেন যেন সেরকম লাইনই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর মনে হল। হতে পারে এ আমার দীনতা!
তবে তাঁর এ কাব্যে যে তিনি নতুনত্ব আনয়নের চেষ্টা করেছেন তাতে বিন্দুমাত্রও সন্দেহ নেই। যদিও প্রকরণ এবং বিষয়বস্তুর ভিন্নতা সাহিত্যে স্থায়ী আসন দখলের একমাত্র মাপকাঠি নয় তথাপিও প্রকরণ এবং বিষয়বস্তুর কারণেই কবি জফির সেতুর “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কাব্যটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।
কবি জফির সেতুর “ইয়েস, ইউ ব্লাডি বাস্টার্ডস’ কাব্যটি সমকালীন সাহিত্য তথা মহাকালের জন্য নিঃসন্দেহে মাইলফলকস্বরূপ।
-----------------------
২০.০৬.২০১৫
মুনশি আলিম
জাফলং, সিলেট
ইমেইল: [email protected]
২| ২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:০৩
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: অফুরন্ত ধন্যবাদ।
হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২১ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:১৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে । সুন্দর বিশ্লেষণ সমেত কাব্যিক ব্যবচ্ছেদ করেছেন কবির ।