নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোটগল্প \'লোভ\'

১০ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ২:৩২











এক.

- কিরে গঙ্গা স্কুলে নাই যাবি?
- নাই যাব
- স্কুলে নাই গেলে হামার লগে কামে চল
- তর লগে হামি নাই যাব
- কেন নাই যাবি?
- হামার দেহিটা ভালা নাই লাগছে...

কথাটি বলেই গঙ্গা তার মাকে জড়িয়ে ধরে কানের কাছে গিয়ে ফিসফিস করে যেন কী বললো। গঙ্গার মা আর কিছু বললো না। কেবল গঙ্গার মাথায় স্নেহসিক্ত হাত রাখলো। এরপর এক দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। সে দীর্ঘশ্বাসে কতই না গোপন দুঃখ বাতাসের কুণ্ডলীতে গড়াতে গড়াতে বেরিয়ে যায়! এরপর একা একাই বাজারের দিকে রওয়ানা দিলো।

গঙ্গার মা রাধানগরের ক্ষুদ্র চা বিক্রেতা। বয়স প্রায় পঁয়ত্রিশ ছুঁইছুঁই করছে। নিজে খুবই কর্মঠ। এলাকাতে সে গঙ্গার মা নামেই পরিচিত। তার মূল নাম অর্পিতা দাশ। তার নিজের নামটি সে নিজে ছাড়া গ্রামের হয়ত শতকরা পঁচানব্বই জন মানুষই জানে না! শুধু গঙ্গার মা নয়, আমাদের সমাজের সব নারীদের পরিচয়ের পন্থাগুলোই যেন এরকম! তারা নিজের পরিচয়ে খুব কমই সমাজে পরিচিত। বিয়ের আগে পরিচিত হয় পিতার পরিচয়ে, বিয়ের পরে স্বামীর, আর স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের নামে! ফলে সমাজের কাছে তাদের ব্যক্তি পরিচয় থাকে অনেকটাই অজ্ঞাত।

গঙ্গার বাবা খগেন্দ্র চন্দ্র। এক ঝড়-ঝঞ্জার রাতে হঠাৎ স্ট্রোক করে। মাত্রাটা এত বেশি ছিল যে অনেক চেষ্টার পরও তাকে আর রক্ষা করা যায় নি। সেও প্রায় বছর খানেক হলো। স্বামীর মৃত্যুর পর অর্পিতা অনেকটাই ভেঙ্গে পড়েছিল। দ্বিধাগ্রস্থ শঙ্কিত ভবিষ্যৎ! যতদূর দৃষ্টি যায় কোথাও যেন আলো নেই, এক ঘোর অমানিশা ঘিরে রেখেছে তার চিন্তার বলয়। একবার মনে হল স্বামী-শোকে আত্মহত্যা করবে, কিন্তু পরক্ষণেই গঙ্গার মুখটি ছবির মতো তার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। ফলে সিদ্ধান্ত বদলায়। গঙ্গার জন্যই নতুন করে বাঁচার পণ করে।

খগেন্দ্রের মৃত্যুর পরের দিনই অর্পিতা নাকের ফুল ও কানের দুল খোলে ফেলেছে। অবশ্য ইচ্ছে করে নয়, সামাজিক চাপে পড়ে! স্ত্রীর পূর্বে স্বামীর প্রাণত্যাগকে সমাজে বেশ একটা শুভ চোখে দেখা হয় না। তাও যদি হয় নব বিবাহিত! পূজনীয় আত্মীয়রা ধর্ম রক্ষার্থে তাকে শাদা শাড়ি কিনে দিয়েছে। যাতে করে সে যৌবন জোয়ারে নতুন কোন পুরুষকে আকৃষ্ট করতে না পারে। অর্পিতার চোখের সামনে তার প্রতিবেশীরা সুন্দর সুন্দর রঙিন পোশাক পরে যখন যত্রতত্র ঘুরে বেড়ায় তখন তার মনের ভিতরটা হু হু করে ওঠে। তারও রঙ্গিন পোশাক পরতে ইচ্ছে করে। মনের আনন্দে পাখির মতো ডানা মেলতে ইচ্ছে করে।

সমাজের চলমান প্রথায় বশ্যতা স্বীকার করে তাকে শাদা কাপড় হয়; যাতে তাকে আর যুবতী বলে মনে না হয, যাতে তার দিকে আর কোন পুরুষ নতুন করে আকৃষ্ট না হয়। অর্থাৎ তার পোশাক পরিচ্ছদে কোনভাবেই যেন কামভাব আর না জাগে! পুরুষদের স্ত্রীরা মারা যাওয়ার পর তাদের কোন শাদা পোশাক পরতে হয় না, কেবল নারীদের বেলায়ই যেন তা খড়গের মতো করে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোন কোন অঞ্চলে এই সাদা কাপড়কে বিধবা কাপড়ও বলা হয়। বিধবারা তাদের পতিদের প্রাণত্যগের পর থেকেই সমাজে অনেকটা মূল্যহীন হয়ে পড়ে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও অর্পিতা এর পুরুটাই বুঝে!

বেশ কয়েকদিন ধরেই গঙ্গা অসুস্থ। আর সে কারণেই তারা স্কুলে যাওয়া হচ্ছে না। অর্পিতা চলে যাওয়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই গঙ্গার প্রচণ্ড পেটে ব্যথা শুরু হয়। মেয়েটির পেটে ব্যথা উঠা মাত্রই সে হাউমাউ করে চিৎকার শুরু করে দিল। ব্যথা কুলাতে না পেরে মাটিতে গড়া-গড়ি করতে থাকে। তার চিৎকার শোনে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এল। অর্পিতাকেও খবর দেওয়া হল। খবর পেয়ে পাগলের মতো দৌড়ে এল অর্পিতা।

স্থানীয় ডাক্তার-বদ্যি দেখানো হল। কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছে না। গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তাররা বলেই দিয়েছে-তাদের দ্বারা এই জটিল রোগের সুরাহা করা সম্ভব নয়। সেই সাথে এও পরামর্শ দিয়েছে, তাকে যেন শহুরে মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব-চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।

দুই.

হিরণ তালুকদার গঙ্গার মার প্রতিবেশী। এই রাধানগর এলাকার সেই সবচেয়ে প্রভাবশালী লোক। নিজের স্বার্থ- উদ্ধারের জন্য হেন কোন কাজ নেই যা করতে সে দ্বিধা-বোধ করে। বয়স যদিও প্রায় পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই করছে তবু তার যৌবনের উন্মাদনা যেন এতটুকুও কমে নি। মাঝে মাঝেই সে গঙ্গাদের বাড়ি আসা-যাওয়া করে। গঙ্গার মার সাথে মিষ্টি আলাপ জুড়ে বন্ধুত্ব গড়ার চেষ্টা করে। কথার ফাঁকে ফাঁকে দীর্ঘ দৃষ্টি নিয়ে অর্পিতার দিকে তাকায়। তার সে চাহনীর ভাঁজে ভাঁজে খেলা করে পৃথিবীর সব আদিমতা। প্রতিবেশীরা অনেকেই ব্যাপারটি আঁচ করতে পারলেও হিরণ তালুকদারের বিরুদ্ধে কেউ মুখ ফুটে কিছু বলে না। কেউ বা ভয়ে বলে না, আবার কেউ বা সমীহ করে কিছু বলে না।

গঙ্গার বাবা খগেন্দ্র চন্দ্র মৃত্যুর পূর্বে বেশ কিছু সম্পত্তি রেখে যান। তাতে গঙ্গাদের দিব্যি সংসার চলে যায়। মূলত হিরণ তালুকদারের লোভ যতটা না গঙ্গার মার দিকে তার চেয়ে বেশি লোভ তাদের সম্পত্তির দিকে। বাজারে গঙ্গাদের ভাল একটা দোকানও রয়েছে। দোকানটি চৌরাস্তার সম্মুখে থাকায় সবচেয়ে বেশি বেচা-কেনা হয়। ফলে সে দোকানের প্রতিও তার লোভ রয়েছে। ক্ষুধার্ত কুকুরের সামনে মাংস রাখলে সে যেমন ছটফট করে ঠিক তেমনি অবস্থা আরকি! দীর্ঘদিন থেকে দোকানটি দখল করার চিন্তাও তার মধ্যে কাজ করছে। কেবল উপযুক্ত সময়ের জন্যই অপেক্ষা!

অর্পিতার বিয়ের বয়স নয় বছর। বিয়ের আট-দশ বছরের মাথায় অনেকেই বুড়িয়ে যায়। কিন্তু অর্পিতার ক্ষেত্রটা যেন ভিন্ন! তার দিকে তাকালে মনেই হয় না সে বিবাহিত! বাহ্যিক গঠনশৈলিতে তাকে এখানো উঠন্তি বয়সের পূর্ণ যুবতী বলেই মনে হয়। হিরণ তালুকদারের মিষ্টি আলাপের মানে সে পুরোটাই বুঝে; শুধু সামাজিক অবস্থান এবং কলঙ্কের কথা ভেবেই সে ক্ষান্ত হয়।

আজ সন্ধ্যা-রাতেই হিরণ তালুকদার তার ঘরে এসেছে। বিদ্যুতের আলোয় সাদা কাপড় পরিহিত গঙ্গার মাকে ঠিক যেন ডানা কাটা পরিদের মতোই মনে হচ্ছে। হিরণ তালুকদার বসার পর থেকেই গঙ্গার অসুস্থতা নিয়ে বিভিন্ন কুশলাদি জিজ্ঞেস করে। তার কথার মধ্যে আন্তরিকতার ছোঁয়া সৃষ্টি করে। আবেগে ঘন থেকে ঘনতর হতে থাকে।

এরই মধ্যে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় সাথে সাথেই হিরণ তালুকদারের মাথা গরম হয়ে ওঠে। প্রাগৈতিহাসিক চিন্তায় সহসাই সে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। সময় ক্ষেপণ না করে তার শক্ত বাহুতে অর্পিতাকে জড়িয়ে ধরে। কৌশলী ভঙ্গিমায় ঠোঁটে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করে। হিরণের অকস্মাৎ এমন কর্মকাণ্ডে অর্পিতা প্রথমটায় ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায়; কিন্তু পরক্ষণেই সে দ্রুত মুখ ঘুরিয়ে হিরণের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নেয়। অবশ্য নিজেকে ছাড়িয়ে নিতেও তাকে অনেকটা বেগ পেতে হয়েছিল। সতীত্ব রক্ষার্থে হিরণের হাতে কামড় মারতে হয়েছিল। কামড়ের সাথে সাথেই হিরণ তাকে ছেড়ে দেয়।
এর একটু পরেই কাকতালীয়ভাবে বিদ্যুৎ এল। দেশের বিদ্যুতের অবস্থাও যেন কেমন! অতিথিদের মতো বিদ্যুৎও যেন মাঝে মাঝেই বেড়াতে আসে! বিদ্যুতিক লাল আলোতে লজ্জায় রাঙা হয়ে উঠে হিরণের মুখ। অর্পিতা হিরণের মুখে থুথু ফেলতে ফেলতে বলে-ছি! - তু আর হামার বাড়ি নাই আইবেক।

হিরণ লজ্জায়, অপমানে মাথা নিচু করে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। ইচ্ছে করলে সে হয়ত তাকে অনেক কিছুই বলতে পারতো, জোর করে অনেক কিছুই করতে পারতো; কিন্তু এসবের কিছুই সে করে নি। শুধু নিঃশব্দে সে বেরিয়ে গেল। কাটা দিয়ে যেমন কাটা তোলতে হয় তেমনি বিষ খেয়েও সময় সময়ে বিষ হজম করতে হয়- এ তথ্যটি ভালো করেই জানা আছে হিরণের।

অর্পিতা- গঙ্গাকে শহুরে মেডিকেলে নিয়ে যায়। শহরের কালচার সম্পর্কে ভালো জানা-শোনা আছে প্রতিবেশী সালেহার। আর এ কারণেই শহরে যাওয়ার সময় প্রতিবেশী সালেহা মাস্টারনীকে সাথে নিলো। হাসপাতালে কার সাথে কথা বলতে হবে, কী বলতে হবে সে সম্পর্কে ভালোই ধারণা রাখে সালেহা। ফলে অর্পিতাকে বেশি একটাবেগ পেতে হয় নি। ভর্তির সাথে সাথেই বড় ডাক্তার এসে গঙ্গাঁকে ভাল করে পরীক্ষা করে। ফলাফল জানতে চাইলে ডাক্তার বলে - ওর পেপটিক আলসার এবং কিডনিতে পাথর ও হয়েছে। সালেহা- এখন কি করা যায়?
- ওকে দুইবার অপারেশন করতে হবে।
- তাতে কত টাকা লাগবে?
- ৫০ হাজার টাকার মতো।
গঙ্গার মা - এতো ট্যাকা !
- দুটো অপারেশন করাতে হবে। বুঝতেই পারছেন অনেকটা ব্যয়-বহুল ব্যাপার। আমরা বড় জোর ৫ হাজার টাকা কমাতে পারি, এর বেশি সম্ভব নয়। আপনারা টাকা সংগ্রহ করে ৩-৪ দিনের ভিতরেই আসুন আমরা অপারেশনের ব্যবস্থা করব।

অর্পিতা অনেকটা হতাশ হয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। বাড়ি ফিরে দোকানের মালসহ ত্রিশ হাজার টাকা বিক্রি করে দেয়। বাকী বিশ হাজার টাকার জন্য সে আধা বিঘা জায়গা বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এত অল্প সময়ে তো জায়গার ভালো দাম মিলবে না। চিন্তায় পড়ে যায়। তবুও যে তাকে বিক্রি করতেই হবে! আধা বিঘা জায়গার দাম সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা দাম হয়, তাও হিরণ তালুকদারই সর্বোচ্চ দাম বলেছে। বাকী ৫ হাজার টাকার জন্য সে তার গলার হার ও কানের স্বর্ণের দুল বিক্রি করে দেয়।

শেষ পর্যন্ত হিরণ মিয়াই আধাবিঘা জমি কিনে নেয়। দলিল রেজিস্ট্রির সময় সালেহাকে থাকতে বলা হয়েছিল কিন্তু তার স্কুলে অডিট হওয়ার কারণে সে রেজিস্ট্রির সময় থাকতে পারে নি। আর এ সুযোগটাই কাজে লাগাল হিরণ। অর্পিতা সেরা সুন্দরী হলে কী হবে লেখাপড়ায় ছিল একেবারেই দুর্বল। পারিবারিক দৈন্যতায় পড়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া সম্ভব হয় নি। তাই সে রেজিস্ট্রি দলিলে টিপসই দিয়েছে।
পরের দিন। নিজে কিছু জানে না বলে সালেহার দ্বারস্থ হয়। সালেহার হাত ধরে মিনতির স্বরে বলে- তু না করিছ না বোন। সালেহাও পরম নির্ভরতার দৃষ্টি নিয়ে তার দিকে তাকায়। সালেহাকে সাথে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল অর্পিতা। নিরক্ষররা চিরকালই-এ রকম অক্ষর-জ্ঞান সম্পন্ন লোকেদের দ্বারস্থ হয়! অপারেশন শেষ হওয়ার দশদিন পর তারা বাড়ি ফিরে আসে।

তিন.

আষাঢ় মাসের শেষ প্রহর চলছে। জমিতে চাষ দেওয়ার এখনি উপযুক্ত সময়। আর এ কারণেই ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে জমিতে চাষ দেওয়ার জন্য ট্র্যাক্টর ভাড়া করে পাঠায়। কতটুকু চাষ হল তা দেখার জন্য একটু পর সে নিজেই জমি দেখতে আসে। জমিতে গিয়ে অর্পিতার তো চোখ কপালে উঠার মতো অবস্থা। না হয়েই বা উপায় কী! সব জমিই যে চাষ করা হয়েছে! কে চাষ দিল জিজ্ঞেস করতেই-হিজল গাছের নিচ থেকে হিরণ তামাক টানতে টানতে মুচকি হেসে বলল-
- আমি দিছি রে গো সোনা।
- তু কেনে দিলি?
- আমার ক্ষেতো আমি দিতাম নায়, তো মাইনশে দিবা নি?
- তোর ক্ষেত বলছিস, ইটা হামার লাগে?
- সোজা কথা বুঝছো নায় নি রে গো সোনা! উল্টাফাল্টা আর মাতিও না। হিতা দিন আর নাই! গত দশদিন আগে- তুমি আমার কাছে ঠান্ডা মাতায়, সজ্ঞানে, আট কিয়ার জমি বেছিছ, মনে ফড়ের নি?
- হামি তো আধা কিয়ার বেঁচেছি!
- আধ কিয়ার না গো আট কিয়ার বেঁচিছো, আমার কাছে দলিল আছে। তুমি চাইলে দেখতা পার!

হিরণের শেষ কথা শুনা মাত্রই অর্পিতা মাথা ঘুরে মাটিতে পড়ে যায়। এ যে কত বড় বেঈমানী! কত বড় জোচ্চরি! সরল প্রকৃতির হলেও অর্পিতা তা সহ্য করতে পারে নি। মুহূর্তেই জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়ে। সবাই তাকে ধরা ধরি করে মাথায় পানি ঢেলে হুশ করার চেষ্টা করে। জ্ঞান ফিরা মাত্রই সে দৌড়ে আজিজের কাছে যায়। আজিজ কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তার লিঙ্গ বরাবর সজোরে ঘুসি মেরে উন্মাদের মতো গালি দিতে থাকে। ঘুষি মারার সাথে সাথেই হিরণ চোখ উল্টে মাটিতে পড়ে যায়। হিরণের সুহৃদরা অনেকেই তখন কানাঘুষা শুরু করে দিয়েছে- তালুকদার বুঝি বা মারাই গেল!
অর্পিতা তখনও গালি দিয়েই চলছে- কুত্তিকা বাচ্চা, শুয়োরকা বাচ্চা, বেঈমানকা বাচ্চা... !

------------------
১২.০৩.২০১২
মুনশি আলিম
জাফলং, সিলেট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.