নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রাক নির্বাচনি পরীক্ষা চলছে। খুব ভোরে উঠেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কলেজে যাওয়ার। কিন্তু বাহিরে সেকি বৃষ্টি! সেই সাথে বজ্রপাত!! থামার নামটি পর্যন্ত নেই। এদিকে গাড়ি ধরার সময়ও প্রায় চলে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ঝুঁকি নিয়েই বের হলাম।এই ঝড়-ঝঞ্জার দিনে অনুভব করলাম- মনের কোথায় যেন একটুকরো সাহস ও প্রত্যাশার দীপশিখা নিভৃতে জ্বলছিল। হৃদয়ের গহীনে একগুচ্ছ প্রত্যাশা, আজ হয়ত সেরা একটি কাজ, মহৎ একটি কাজ করার সেই কাঙ্ক্ষিত দিন আজ!
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই কলেজে গিয়ে পৌঁছলাম। পরীক্ষাও শুরু হল, ডিউটিও দিতে থাকলাম। কিন্তু অস্থির মন, প্রত্যাশিত, চিন্তাশীল দৃষ্টি কেবলি জানালা ভেদ করে অফিসের পানে কিংবা রাস্তার পানে বিচরণ করছিল। কোথাও কোন শিশুর আগমন ঘটে কিনা সে অপেক্ষায়। কিন্তু হায়! ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে যায়। পরীক্ষাও শেষ হয়ে যায়। তখন পর্যন্তও কলেজে কোন শিশুর আগমন ঘটেনি! আগমন ঘটেনি কোন অভিভাবকের!
অপেক্ষার প্রহর বাড়তেই থাকে। এই বুঝি সেই সেই দেবতুল্য শিশু জসীম উদদীন আসছে! স্কুলে ভর্তি হওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুত হয়ে বলছে- স্যার আমি স্কুলে বর্তি অইাম! কিন্তু হায়! এ যেন কেবলি নিজের মনকে নিজে প্রবোধ দেয়া। ডিউটি শেষ করে একে একে প্রায় সকল শিক্ষকই বিদায় নিলেন। আমি তখনও সেই ছেলেটির প্রতীক্ষায় কলেজে অপেক্ষমাণ।
ধীরে ধীরে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। অফিস সহকারীরা কলেজের সকল রুম বন্ধ করে আমার সামনে এসে মুচকি হেসে বলছে- স্যার কি আজ থেকে যাবেন? আমি ঈষৎ লজ্জিত হয়ে বললাম- না, না, সেকি! চলুন আমরা একসাথেই বেরুই।
আমি বেরিয়ে এলাম। কিন্তু মাঝে মাঝেই কলেজ পানে ফিরে ফিরে তাকাচ্ছি। কী জানি কোন পথ দিয়ে সেই ছেলেটি তার অভিভাবকে নিয়ে এসে আবার হাজির হয়! ভেতরে ভেতরে এক সীমাহীন রিক্তের বেদনা নিয়ে ফিরে এলাম। ড্রাইভার তার কথা রাখেনি, ছেলেটিও তার কথা রাখেনি। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত উক্তিটি মনে পড়ে গেল- ... কেই কথা রাখেনি, কেউ কথা রাখে না! আসলেই কি কেউ কথা রাখে না?
হতাশ; তবুও কিন্তু মনে মনে এখনো প্রতীক্ষা প্রহর গুণছি। মন বরছে সেই ছেলেটি কোন একদিন আসবে।
---------------------
মুনশি আলিম
০৪.০৯.২০১৫
জকিগঞ্জ, সিলেট
২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫
কালীদাস বলেছেন: সুন্দর!