নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়ি এবং লেখি

সৃষ্টিশীল আলিম

ক্ষুদে সাহিত্যিক, সৃষ্টির নেশায় উন্মুখ

সৃষ্টিশীল আলিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবনের ছাড়পত্র - মুনশি আলিম

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৪৮






প্রায় পনেরো দিন থেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিকটাত্মীয়দের সেবায় ব্যস্ত ছিলাম। যথাসম্ভব তাদের কোনরূপ দুশ্চিন্তার মধ্যে থাকতে দিইনি। অজান্তে করে থাকলে নিঃসন্দেহে এ আমার ব্যর্থতা, এ আমার দীনতা! যথাসম্ভব শাররীক, মানসিক, অর্থনৈতিক ও বিবিধ সহযোগিতার মাধ্যমে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার চেষ্টা করেছি।

সময় বহতা নদীর মতো এগিয়ে চলে। সাথে আমরাও। মহাকালের রহস্যময় জটিল ঘূর্ণাবর্তে সময় একসময় হার মানে রোগীর কাছে, ডাক্তার একসময় হার মানে রোগের কাছে, আমরাও এক সময় হার মানি সম্পর্কের কাছে। হার মানতে চাই না, কিন্তু হার মানতে হয়।

পরিচিত হলাম নতুন একটি রোগের সাথে। ‘থ্যালাসেমিয়া’ অর্থাৎ রক্তস্বল্পতা। ছোট্ট ফুটফুটে শিশুর ‘থ্যালাসেমিয়া’!

স্বাভাবিক নিয়মে রক্তের লোহিত কনিকাগুলো ১২০ দিন বেঁচে থাকে। কিন্তু থ্যালাসেমিয়া রোগীদের লোহিত কণিকা অনেক আগেই মরে যায়। থ্যালাসেমিয়া রোগীর শরীর সাধারণত রক্ত কণিকা উপযুক্ত পরিমাণ তৈরি করতে অক্ষম। ফলে আক্রান্তদের শরীরে মারাত্মক রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। মূলত এটাই থ্যালাসেমিয়া রোগ।

• সবসময় ভীষণরকম রক্তস্বল্পতা থাকে।
• ৬ সপ্তাহ পর পর রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়।
• সারাজীবনই ওষধ ও ইনজেকশনের প্রয়োজন হয়।

রোগটি অবশ্য নতুন নয়; কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রথম পরিচিত হয়েছি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অনেক বিষয়েই প্রভূত উন্নতি হলেও এই রোগের ক্ষেত্রে এখনো তেমন উন্নতি সাধন সম্ভব হয়নি। একেবারে রোগটি নির্মূল করা সম্ভব কিনা- প্রশ্ন করলে ডাক্তার মহোদয় ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থেকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন- নাহ্!

বড় আশ্চর্য বিষয় হলো- ৪২ দিন পর পর রোগীকে রক্ত দিতেই হবে নতুবা এই অনিন্দ্য সুন্দর পৃথিবীর আলো-বাতাস থেকে অচিরেই রোগীকে বিদায় নিতে হবে।

ভাবছি সেই ফুটফুটে শিশুটির কথা। যার হাসির সমুদ্রে সমস্ত দিন অবগাহন করা যায়। যার দিকে তাকালে পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ হাসিমুখে মেনে নেওয়া যায়। নেশাগ্রস্তের মতো অফুরন্ত সময় হাসপাতালের করিডোরে কাটানো যায়!

হায় ভাগ্যবিধাতা! শিশুটি হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেও ছাড়পত্র পেল না এই কঠিন রোগ থেকে! চারদিকে অন্ধকার নেই, তবু জীবন-অন্ধকার! এখন প্রতিটা মুহূর্তেই কঠিন থেকে ক্রমশ কঠিনতর হয়ে উঠছে তার বেঁচে থাকা!

-----------------------------
১৩.০৩.২০১৬
জালালাবাদ রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ,
পাঠানটুলা, সিলেট।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৮

সায়ান তানভি বলেছেন: জীবন নিষ্ঠুর

২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৮

সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: জীবন জীবনের মতো চলছে।

৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৩১

বিজন রয় বলেছেন: জীবন কখনো কখনো নিষ্ঠুর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.