নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১.
বর্তমান সরকার শিক্ষক ও শিক্ষাবান্ধব। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তে শিক্ষার উপকরণ থেকে শুরু করে অনেক কিছুরই আমূল পরিবর্তন হয়েছে। বেসরকারি শিক্ষকদেরও হয়েছে; কিন্তু তা বাস্তব চাহিদার প্রেক্ষাপটে অনেকটাই কম। সরকার যেমন দেশ ও শিক্ষার উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঠিক তেমনি বাংলাদেশে বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসাগুলোও দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে। সরকার সর্বক্ষেত্রেই চায় নিরঙ্কুস উন্নয়ন, স্বচ্ছতা, মেধার পরিপূর্ণ বিকাশ। আর এ লক্ষ্যেই সরকারের বাস্তবমুখী শ্লোগান—‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’।
সত্যিকার অর্থে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ একটি শ্লোগান, একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন। এটা অপ্রিয় সত্য যে, বাংলাদেশ এখন ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলছে। একুশ শতকে বাংলাদেশকে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। রাষ্ট্রকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে মানসম্মত শিক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থার প্রয়োজন। অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষাব্যবস্থার জাতীয়করণ বাইরে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, বাংলাদেশে কোনো সরকারের পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থারও আমূল পরিবর্তন হয়। পরিবর্তন হয় ইতিহাস-ঐতিহ্যের। একটি সভ্যদেশের জন্য ঘনঘন শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন মোটেও শুভলক্ষণ নয়। যেহেতু শিক্ষা এবং শিক্ষাবিভাগ উভয়ই রাষ্ট্রের তথা জাতির জন্য অপরিহার্য বিষয় সেহেতু এর জন্য সর্বজনীন আইন এবং শিক্ষানীতি প্রয়োজন।
২.
দেশে প্রতিবছর প্রায় ৬৫ হাজারের মতো শিক্ষার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে বের হচ্ছে। তন্মধ্যে বিসিএসের মাধ্যমে হাতেগোনা শিক্ষার্থীদের চাকরি হচ্ছে। পিএসসির মাধ্যমে ননক্যাডারের পদসংখ্যাও সন্তোষজনক নয়। বাংলাদেশে পাসকৃত গ্র্যাজুয়েটদের প্রায় ৬০% শতাংশই বেকার। এভাবে বেকারের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়েই চলছে। কিছুসংখ্যক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এ বেকারত্ব হ্রাসে কিছুটা সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলছে। কিন্তু তা কতটুকুইবা তাঁদের অভাব মিটাচ্ছে সেটাও এখন ভেবে দেখার সময় এসেছে।
অনেকটা নিরুপায় হয়েই গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করা তরুণরা বিদেশে পাড়ি জমায় নতুবা প্রাইভেট বা বেসরকারি পেশায় জড়িত হয়ে পড়ে। বাংলাদেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমন তরুণের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। বিশেষ করে পেশাগত দিক থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জড়িত এসব তরুণ-তরুণীর মানবেতর জীবনযাপন যেকোনো বিবেকবান মানুষকে ভাবিয়ে তুলবে।
সারা দেশে প্রায় ১৯ হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাড়ে তিন হাজার কলেজ ও সাড়ে ৯ হাজার মাদ্রাসা রয়েছে। আরও খোলাসা করে বললে বলতেই হয়—দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৪৭টি। যেখানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা চার লাখ ৬৯ হাজার ৮৪৪ জন। নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সাড়ে ৭ হাজারেরও অধিক (সূত্র : দৈনিক আমাদের সময় :: ২৬ জানুয়ারি ২০১৭)। দীর্ঘদিন থেকে এমপিও বন্ধ। বিশেষ করে শাখা শিক্ষকদের প্রায় ১৮ বছর যাবৎ এমপিও নাই। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষ শিক্ষক। এরা সকলেই বেসরকারি শিক্ষক নামে পরিচিত।
নানাদিক থেকে অবহেলিত এই শিক্ষকগণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবি তুললেই একটি মহল নানা ছলছুতোয় তাঁদের অপপ্রচারে মারিয়া হয়ে ওঠে। একটি স্বাধীন দেশের প্রতিটি নাগরিকেরই শিক্ষা, খাদ্য, বস্ত্র বাসস্থান, চিকিৎসাসহ মৌলিক অধিকারের সুযোগ থাকা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষকগণও মানুষ। তাঁদেরও পরিবার-পরিজন আছে। তাঁদেরও সাধ-আহলাদ আছে। একটি নির্দিষ্ট সময়ে বেতন-ভাতা পাবার নৈতিক দাবি তারাও করতে পারে। রাষ্ট্রেরও উচিত শিক্ষকদের সে দিকটার প্রতি একটু সুনজর দেওয়া।
৩.
ভুক্তভোগী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারিরা চরম বৈষম্যের শিকার। রাষ্ট্রীয় অবহেলার যন্ত্রণায় তাঁরা দিনকে দিন পিষ্ট হচ্ছে! এ বৈষম্যের শিকার থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীকরণ বা শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ। সকল প্রতিষ্ঠানেই মেধার পাশাপাশি এখন তদবিরের বিষয়টাও ওপেন সিক্রেট! এ রাহুপ্রভাব থেকে শিক্ষকরাও মুক্ত নন। এটা অপ্রিয় সত্য যে, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে এমএ পাস ছাত্রের চাকরির জন্য মেট্রিক ফেইল নেতার সুপারিশ লাগে!
আমেরিকার মতো উন্নত দেশে শিক্ষক ও বিজ্ঞানীগণ ভিআইপি হিসেবে গণ্য হন। ফ্রান্সের আদালতে শিক্ষকগণকে চেয়ারে বসতে দেওয়া হয়। জাপানে একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করতে বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন হয়। তারা মনে করে শিক্ষক মূল্যায়িত হলে গোটা জাতিই মূল্যায়িত হয়।
বাংলাদেশের এ যাবৎ কোনো আন্দোলনই ব্যর্থ হয়নি। ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৬৯, ১৯৭১, ২০১৩ সাল। উল্লিখিত সালগুলো নিজের অধিকার, বৈষম্য দূর করা, রেজিস্ট্রার প্রাইমারি জাতীয়করণ করার আন্দোলনের জন্য স্মরণীয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও স্বপ্ন ছিল সকল শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা।
দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার শিক্ষাবান্ধব এবং দূরদর্শী চিন্তাভাবনার কারণেই লাখ লাখ প্রাথমিক শিক্ষক সরকারীকরণে উন্নিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তাঁর নির্দেশে ২৮৫ কলেজ এবং ৪২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণের সকল স্তর অতিক্রম করে এখন শুধু গেজেটের অপেক্ষা করছে।
৪.
১৯৭৩ সালে এক ঘোষণায় ৩৬১৬৫ জন শিক্ষকের বেতনের ভার কাঁধে তুলে নিয়েছিল রাষ্ট্র। ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ হয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে ১ লাখ তিন হাজার ৮৪৫ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারি হয়েছিল। ১৯৭৮-২০১০ সাল পর্যন্ত ৭টি শিক্ষাকমিশন গঠিত হয়। ২০১৮ সালের মধ্যে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তা পুরোপুরি অর্জিত হলে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হবে।
১৯৭৬-১৯৮১ সালে তৎকালীন সরকার বেসরকারি শিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে মূল বেতন ৫০%-এ উন্নিত করে। ১৯৯০-৯১ সালে এসে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অটো বেতনভাতা বাড়লেও সরকার নীরব ছিল বেসরকারি শিক্ষকদের ব্যাপারে। পরবর্তীতে আবারও বেসরকারি শিক্ষকরা অধিকার আদায়ে মাঠে নামে। তাঁদের আন্দোলনের চাপে সেবার শিক্ষকদের মূল বেতন ৭০%-এ উন্নিত করা হয়। একইভাবে ১৯৯১-৯৫ সালে উন্নিত হয় ৮০%-এ। ১৯৯৬-২০০০ সালে উন্নিত হয় ৯০%-এ। ২০০১-২০০৫ সালে উন্নিত হয় ১০০%-এ। বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষকরা কেবল মূল বেসিকের সঙ্গে চিকিৎসাভাতা বাবদ ৫০০ টাকা ও বাড়িভাড়া বাবদ ১০০০ টাকা পায়। যা দিয়ে বাড়ি ভাড়া তো দূরের কথা বারান্দাও ভাড়া করা সম্ভব নয়! বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষকেরা শিক্ষাভাতা, টিফিনভাতা ও পাহাড়িভাতা পান না। টাইমস্কেল, সিলেকশনগ্রেড, উচ্চতর বেতনস্কেল, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল, উৎসব ভাতা, অবসর সুবিধা, বদলি—কোনো সুবিধাই বর্তমানে তাঁরা পান না। তাঁদের পদোন্নতির কোনো ব্যবস্থা নেই।
প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের নাভিশ্বাস আরও বেড়ে গেছে। এরই মধ্যে আবার অষ্টম জাতীয় বেতনকাঠামোতে বর্তমানে টাইমস্কেল পরিপূর্ণভাবে রহিত করা হয়েছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এ ব্যাপারে পূর্ণ সুবিধা পেলেও বেসরকারি শিক্ষকরা এখনও এ থেকে যোজন-যোজন মাইল দূরে! আদৌ এ থেকে উত্তরণ ঘটবে কিনা সে প্রত্যাশাও অনেকটা ক্ষীণ!
এছাড়াও সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমফিল/পিএইচডিধারী শিক্ষকগণের জন্য আলাদা সুযোগ-সুবিধা রয়েছে; কিন্তু বেসরকারি এমফিল/পিএইচডিধারী শিক্ষকগণ এরূপ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিধি-ব্যবস্থায় সবচেয়ে অযৌক্তিক নিয়ম দেখা যায় প্রমোশনের ক্ষেত্রে। এই প্রমোশনটা আবার অনুপাত ভিত্তিতে হয়ে থাকে। দীর্ঘ আট বছর পর টাইমস্কেল। এখন আবার তাও নেই! সবচেয়ে আপত্তিকর বিষয় হলো প্রমোশন প্রক্রিয়া। ইন্টারমিডিয়েট কলেজে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে দুইজন সহকারি অধ্যাপক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন আর ডিগ্রি কলেজগুলোতে প্রতি সাতজনের মধ্যে দুইজন। বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া তাঁর বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাইড-এ উল্লেখ করেন—বেসরকারি কলেজশিক্ষক কর্মচারীর বেতনের সরকারি অংশ ও জনবল কাঠামোর ১৯৯৫ এর শিক্ষা মন্ত্রণালয় শাখা ১১ : ১১/বিবিধ-৫/৯৪/ (অংশ-৬)/৩৯৫ মোতাবেক পরিপত্রের ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারায় বলা হয়েছে : “মোট শিক্ষক সংখ্যার ৫:২ অনুপাতে প্রভাষকের মধ্য হতে নির্ধারিত সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োজিত হবেন। এতে মোট পদসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না (মিয়া, ২০১৬ : ১৩১)।
৫.
আমরা যদি যুদ্ধবিধ্বস্ত ভিয়েতনামের দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাব শিক্ষাখাতে তাঁদের বিনিয়োগ জিডিপির ৬.৬ শতাংশ। সেখানে আমাদের বিনিয়োগ দক্ষিণ এশিয়ার সর্বনিম্ন। মাত্র ২.২ শতাংশ। জিডিপির অন্তত ৬ শতাংশ ও জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করলে আমরা সার্কভুক্ত দেশের সাথে পাল্লা দিতে পারব।
ইউনেস্কোর সমীক্ষা অনুযায়ী শিক্ষাখাতের ব্যয় ৬.৬ শতাংশ হওয়া উচিত। বাংলাদেশে স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে শিক্ষাখাতে বাজেটের ২১ শতাংশ বরাদ্দ থাকত। এখন তা কমিয়ে ১১ শতাংশে নামানো হয়েছে। পরবর্তী ২০১৪-১৫ সালের বাজেটে শিক্ষাখাতে ১১.৬৬ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এই বরাদ্দ শিক্ষামন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়—এ দুই মন্ত্রণালয়ে বণ্টন করা হয়েছে। যদিও মোট পরিমাপের দিক থেকে শিক্ষা বাজেট বেড়েছে, কিন্তু শতাংশ হিসাবে শিক্ষাবাজেটে বরাদ্দের হার গত পাঁচ অর্থবছরে ক্রমাগত কমেছে। সারাবিশ্বে যখন শিক্ষাবাজেট বাড়ছে আমাদের দেশে তখন ক্রমেই কমতে শুরু করেছে। অথচ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষাকেই সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। কারণ শিক্ষাই একমাত্র দেশকে পশ্চাৎপদতা থেকে মুক্ত করতে পারে। সঠিকভাবে শিক্ষাখাতে ব্যয় হলে তা দেশের উৎপাদনশীল কর্মকাণ্ডকে নিঃসন্দেহে গতিশীল করে। এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় দক্ষ মানবসম্পদের কেবল যোগান দেয় না বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সঠিকমাত্রার মানবসম্পদ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭২.৩%। বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে হলে দেশে জ্ঞান-বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও ভাষাগতভাবে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের সন্তানদের সুনাগরিক করে গড়ে তুলতে বেসরকারি শিক্ষকদের পরিশ্রমের শেষ নেই। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে তাঁদের বেতনের নামে যা দেওয়া হয় তা হলো অনুদান! মূলত অনুদান শব্দটি কৃপা বা করুণা অর্থেই ব্যবহৃত হয়। এদেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীই রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আর রাষ্ট্রীয় সম্পদের যাঁরা রক্ষণাবেক্ষণ করে সভ্যভব্য করে তোলে তাঁরা মোটেও কৃপারপাত্র নন। কোনো সভ্যদেশেই শিক্ষকের বেতনকে ‘অনুদান’ হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। যেহেতু কোনো দেশের শিক্ষকই করুণার পাত্র নন। তাঁদের অনুদান নয়, প্রয়োজন ন্যায্য বেতন।
দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে বিরাজমান সব সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ বা শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। একইভাবে মাধ্যমিক থেকে তদুর্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করলেই শিক্ষার যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে। আরও বেশি বেশি মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আসবেন। আর তখনই দেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হবে।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৬
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৩
দেলোয়ার হোসেইন সেলিম বলেছেন: লেখাটি অনেক তথ্যবহুল হয়েছে বন্ধু। চালিয়ে যাও।
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮
সৃষ্টিশীল আলিম বলেছেন: ধন্যবাদ বন্ধুবর। অফুরন্ত ভালোবাসা ও শুভকামনা।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর আলোচনা করেছেন ভাই। ভালো চিন্তাভাবনা।
উল্লেখিত সমস্যার সমাধান হোন প্রত্যাশা
শুভকামনা আপনার জন্য