নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবাস জীবন (দুবাই)-ধর্ম-স্বাস্থ্য-টিপস-আমার কথা--

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।

সিটিজি৪বিডি

আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....

সিটিজি৪বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যু সবাইকে পাকড়াও করবে তাই প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তত থাকুনঃ

২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯

একদিন আমাদের সবাইকে পরপারে চলেই যেতে হবে। এই পৃথিবীতে কেউ বেঁচে থাকবে না। আমরা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য কতইনা সংগ্রাম করছি। কিন্ত একদিন মৃত্যু সবাইকে পাকড়াও করবে তাই প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তত থাকতে হবে আর কবরই হবে কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের আগামী দিনের বাড়ী



মৃত্যু সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের বানী ঃ



‍" মৃত্যুর লক্ষ্য হলো সবাইকে আল্লাহতায়ালার কাছে ফিরিয়ে নেয়া এবং আমারই কাছে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।" (সূরা-আম্বিয়া, আয়াত-৩৫)



"তোমরা যেখানেই থাকো না কেন মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই যদি তোমরা সুদৃঢ় দুর্গের ভেতরও অবস্থান করো, তবুও।" (সূরা-নিসা, আয়াত-৭৮)



"আমি তোমাদের মাঝে মৃত্যুকে নির্ধারণ করেছি।" (সূরা-ওয়াকিয়াহ, আয়াত-৬০)



মৃত্যু যন্ত্রনা সম্পর্কে নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেন ঃ



" তরবারীর তিন শ'টি আঘাতের যন্ত্রনা একত্র করলে যা দাঁড়াবে, মৃত্যু যন্ত্রনা তার চেয়েও অনেক বেশী কষ্ট দায়ক বিবেচিত হবে।" (ইবনে আবিদ-দুনিয়া)











শিক্ষা ঃ আমাদেরকে প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি থাকতে হবে। মনে করতে হবে আজকের নামাযই শেষ নামায, আজকের দিনই শেষ দিন। আর প্রতিদিন মৃত্যুকে স্বরণ করতে হবে।







পুলসিরাত কি?



হাশরের ময়দানে বেহেশত ও দোযখ এনে উপস্থিত করা হবে। বেহেশত উঁচু স্থানে আর দোযখ রাখা হবে গভীর নিম্নে। দোযখের উপর পুল স্থাপন করা হবে সেটিই পুলসিরাত নামে পরিচিত।

ঐ পুলের শেষ প্রান্তে বেহেশত অবস্থিত। বেহেশতে যেতে হলে সেই পুলটি পেরিয়ে যেতে হবে। মানুষের নেকি-বদি ওজন এবং হিসাব-নিকাশের পর সকল লোকজনকে বলা হবে, তোমরা এখন নিজ নিজ স্থানে চলে যাও। ফিরিস্তাগন আল্লাহর নির্দেশে বান্দাগনকে পুলসিরাত দেখিয়ে দিয়ে বলবে এই তোমাদের পথ। এই পুল পেরিয়েই তোমাদেরকে যেতে হবে। কিন্তু সবার জন্য ঐ পুল পার হওয়া সম্ভব হবে না। পাপীরা সেটাকে চুল থেকেও চিকন দেখতে পাবে। তাদের জন্য সেটি হবে অত্যন্ত ধারালো। তারা ঐ পুলে আরোহণ করা মাত্রই তাদের পদদ্বয় কেটে তারা নিন্মস্থ দোযখে পড়ে যাবে। আর নেককারদের জন্য হবে সুপ্রশস্থ সুগম পথ। তারা তাদের নেকীর তারতম্যানুয়াযী কেউবা বিজলীর মত মুহুত্বে পুলসিরাত অতিক্রম করবে। কেউ বা বায়ূ বেগে, আবার কেউবা দ্রত দৌড়ে, কেউবা ধীর মন্তর গতিতে হেঁটে হেঁটে পুল পার হয়ে তাদের গন্তব্স্থল বেহেশতে পৌঁছে যাবে।



আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনে বলেন- ‍" যেদিন আমি পরহেগারদিগকে মেহেরবান আল্লাপাকের কাছে মেহমানের ন্যায় জামাত জমাত সমবেত করিব এবং অপরাধী দিগকে পিপাসিত অবস্থায় জাহান্নামের দিকে চালিত করিব।" (সূরা মারইয়াম, আয়াত ৮৫-৮৬)



আল্লাহপাক আরো বলেন-" তাহাদিগকে জাহান্নামের পথে চালিত কর এবং তাহাদিগকে থামাও কারণ তাহাদিগকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হইবে।" (সূরা ছাফফাত, আয়াত ২৪)



রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন- পুলসিরাত জাহান্নামের মধ্যখানে স্থাপন করা হইবে। রাসুলের মধ্য আমিই সর্ব প্রথম স্বীয় উম্মত লইয়া ইহা অতিক্রম করিব। সে দিন নবী রাসুলগন ব্যতীত অন্য কেহ কথা বলিবে না। প্রত্যেক নবী বলিতে থাকিবে হায় আল্লাহ! নিরাপত্তা দান করুন। হায় আল্লাহ! নিরাপত্তা দান করুন।





পুলসিরাত পার হতে হলে আমাদের করণীয় কি কিঃ



* অবশ্যই আল্লাহ ও তার রাসুল (স.) উপর ঈমান আনতে হবে, আখিরাতকে বিশ্বাস করতে হবে।



* আমৃত্যু পাঁচ ওয়াক্ত নামায অবশ্যই পড়তে হবে।



* রমযান মাসে রোযা রাখতে হবে।



* যাকাত প্রদান করতে হবে।



* হজ্জ ফরজ হলে হজ্ব পালন করতে হবে।



* হালাল উপার্জন করতে হবে ও হারামকে বর্জন করতে হবে।



* সুদ, ঘুষ, দুর্ণিতি থেকে নিজেকে ও পরিবারকে রক্ষা করতে হবে।



* আত্বীয়-স্বজনের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। বিপদাপদে তাদের সাহায্য এগিয়ে আসবে হবে।



* সর্বোপরি কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনকে পরিচালিত করতে পারলেই পুলসিরাত পার হওয়া যাবে।



হে আল্লাহ !আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তওফিক দান করুন।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +১১/-১

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৪৫

অয়ন031 বলেছেন: তবু আমরা ভুলে যাই , আফসোস! ধন্যবাদ মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ।
+

২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৪

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আপসুস!!! আমরা মৃত্যুকে ভুলে যায়...........

২| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৪৭

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: হুম, আজকেও ১৬০ জন মারা গেছে ভারতে। :(

২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৫

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: এই নিউজটা দেখেই পোষ্টটা দিলাম ভাই...

৩| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১২:৫৮

আহছানউল্লাহ বলেছেন: ঠিক কিছুক্ষণ আগে ইমাম গাজ্জালী রহ: এর একটি বই পড়ছিলাম মূত্য সম্পর্কিত।

২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৫

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ভাল করেছেন...লিংক থাকলে দিন। আমিও পড়বো।

৪| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:০৯

সজীব আকিব বলেছেন: মরে যেতে মঞ্চায়্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য্য।

২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৬

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: এভাবে বলতে নেই.. বরং বেশীদিন বাঁচার জন্য প্রার্থনা করুন।

৫| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:১৬

শায়মা বলেছেন: মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে।:(



তবুও আপনি বলেছেন মনে রাখবো। :(

২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৬

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: হুম! মনে রাখতেই হবে। কোন উপায় নেই।

৬| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ১:২৩

রাজসোহান বলেছেন: :|

২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৭

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: চিন্হটা কিসের হাসির নাকি কান্নার?

৭| ২২ শে মে, ২০১০ দুপুর ২:০৩

এস এম শাখওয়াত আহমেদ বলেছেন: মনে থাকেনা। ভুলে যাই , আফসোস!

২২ শে মে, ২০১০ বিকাল ৫:২৮

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: প্রতিদিন মনে রাখতে হবে যে মৃত্যু যে কোন সময় আপনার দরজায় আসবেই। তাই প্রতিদিন নামায পড়ে বেশী দিন বাচাঁর জন্য প্রার্থনা করুন ।

৮| ২২ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৫

পলাশমিঞা বলেছেন: আমি অন্তত এক বার হলেও মৃতু‍্যকে স্মরণ করি কারণ আমি আমার মাওলার সাথে দেখা করতে চাই।


লিংকের জন‍্য অনেক ধন‍্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। প্রতিদিন বিশবার স্বরণ করতে হবে। (হাদিসে আছে)

৯| ২২ শে মে, ২০১০ রাত ৮:০৯

মোহাম্মদ লোমান বলেছেন:
উপকারী পোস্ট ++++++++++++

মৃত্যু থেকে পালানোর কোন রাস্তা নাই।

‘মৃত্যু’ একটি মাত্র শব্দ, অতপর সব হয়ে যাবে স্তব্ধ। আমি মৃত্যূর প্রান্তে র’ব যবে, মৃত্যু আমার হবেই হবে।.....

২২ শে মে, ২০১০ রাত ৮:৩৮

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: মৃত্যু থেকে পালানোর কোন রাস্তা নাই। ঠিক বলেছেন লোকমান ভাই। তাই নিজেকে প্রতিদিন প্রস্তুত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দোয়া করবেন যাতে বিনা কষ্টেই আমাদের মৃত্যু হয়।

১০| ২৩ শে মে, ২০১০ রাত ২:৪৭

তুষারকনা বলেছেন: আজকে সকালেই আমার হাসবেন্ড এর সাথে যাবার সময় সোবহানবাগ মসজিদের পেছনে কবরস্থানটা দেখতেছিলাম।আমার হাসবেন্ড বললো,মানুষ কে কবর দেবার পর যখন সবাই চলে যেতে থাকে ,তখন নাকি মৃত ব্যাক্তি চিৎকার করে বলতে থাকে আমাকে ছেড়ে যেওনা,আমাকে ছেড়ে যেওনা।মানুষজন কবর ছেড়ে ৪০ কদম দুরে চলে যাবার পর থেকেই নাকি কবর আযাব শুরু হয়ে যায়।

জানিনা এই কথাটা শোনার পর থেকেই কেন জানি মৃত্যুভয় তাড়া করতেছে,আর এই মাত্র আপনার পোস্ট চোখে পড়লো।

আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়াত করুন...

২৩ শে মে, ২০১০ সকাল ১০:৩৪

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: কবরের আযাব সন্পর্কে আরেকদিন পোষ্ট লিখব। আসলে ক্ষণস্খায়ী এই পৃথিবীতে আমাদেরকে প্রতিদিন সৎকর্ম-নামায-রোযা- অথ্যাৎ যত ভাল কাজ আছে করে যেতে হবে কারন আগামী কাল বাঁচার কোন সম্ভাবনা নেই। তাই তো বলি প্রতিদিন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.