![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
খাওয়ার তিন আদবঃ
হযরত আমর বিন সালামা (রাঃ) বর্ণনা করেন, হুজুর (সাঃ) আমাকে হুকুম করেছেন, "খানা খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম স্বরণ করো। অথ্যাৎ "বিসমিল্লাহ" বলে খাওয়া আরম্ভ করো। ডান হাতে খাও এবং বরতনের ঐ অংশ খেকে খাও যা তোমার নিকটবর্তী। হাত বাড়িয়ে অপরের দিক থেকে খেয়োনা।"
অপর হাদীসে হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ যখন খানা খেতে শুরু করে, তখন যেন সে আল্লাহর নাম নেয়। আর কেউ যদি বিসমিল্লাহ বলা ভুলে যায় এবং পরে খানা খাওয়ার মাঝে স্বরণ হয়, তখন যেন সে "বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু" বলে।" (আবু দাউদ)
বড় বা কোন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি আগে খাওয়া শুরু করবেঃ
হযরত হুযায়ফা (রাঃ) বলেন, আমরা যখন হুজুর (সাঃ) এর সঙ্গে খাওয়ায় শরীক হতাম, তখন আমাদের নিয়ম এই ছিল যে, যতণ পর্যন্ত নবীজি (সাঃ) আহার শুরু না করতেন, ততণ পর্যন্ত আমরা খাদ্যের দিকে হাত বাড়াতাম না, বরং আমরা সবাই অপোয় থাকতাম। অতঃপর যখন তিনি খানা শুরু করতেন, তখন আমরা ও শুরু করতাম।
খাওয়ার পর দু'আ পড়া দ্বারা গুনাহ মোচন হয়ঃ
হযরত মুআজ বিন আনাস (রাঃ) বলেন, হুজুর (সাঃ) এরশাদ করেছেন, "যে ব্যক্তি খাওয়ার পর নিম্মোক্ত দোয়াটি পড়বে, তার পেছনের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে।" (তিরমিযী)
"সকল প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার, যিনি আমাকে এই খাবার খাওয়ালেন এবং যিনি তা আমাকে আমার কোনরূপ শক্তি ও সামর্থ ব্যতিরেকেই দান করলেন।"
খাদ্যের দোষ না ধরিঃ
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, হুজুর (সাঃ) কখনও কোনো খাবারের দোষ ধরেননি। আর কখনো কোন খাবারকে খারাপ বলেন নি। তাঁর যদি ইচ্ছা হতো, তাহলে তিনি খেয়ে নিতেন, ইচ্ছা না হলে রেখে দিতেন। (বুখারী)
খাওয়ার সময় মেহমান এলে তখন ?
হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, "একজনের খাবার দুজনের জন্য যতেষ্ট। আর দু’জনের খাবার চার জনের জন্য যতেষ্ট এবং চারজনের খাবার আট জনের জন্য যতেষ্ট।" (মুসলিম)
আহারের পর বরতন চেটে খাওয়াঃ
হযরত জাবের (রাঃ) বলেন. রাসুল (সাঃ) আঙ্গূল ও বরতন চেটে খেতে হুকুম করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, "তোমরা জানো না যে, তোমাদের খাবারের কোন অংশে বরকত আছে।" (মুসলিম)
তিন আঙ্গূল দিয়ে খাওয়া সুন্নতঃ
নবীজি (সাঃ) এর সাধারণ অভ্যাস ছিল তিন আঙ্গুল দিয়ে খাবার গ্রহণ করা। অথ্যাৎ -বৃদ্ধা তজ্জনী ও মধ্যমা - এই তিনটি অঙ্গুলীযোগে তিনি লোকমা তুলে নিতেন।
স্বরণীয় যে, রাসুল (সাঃ) কখনও কখনও চার আঙ্গূল দিয়েও খেয়েছেন। এক বর্ণনায় পাওয়া যায়, তিনি পাঁচ আঙ্গুল দিয়েও খেয়েছেন। এতে প্রয়োজনে চার বা পাঁচ আঙ্গুল দিয়ে খাওয়ার বৈধতা প্রকাশ করাই উদ্দেশ্য। তিন আঙ্গুল দিয়ে খাওয়াই নবীজির (সাঃ) এর স্বাভাবিক অভ্যাস ছিল। (মুসলিম)
হারাম খাবার যে জন্য নিষিদ্ধঃ
আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেছেন যাতে তারা একমাত্র তারই ইবাদত করে, এবং তাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যেন আল্লাহ তায়ালা যা রিযক দিয়েছেন তার মধ্যে থেকে হালাল ভক্ষন করে, অপবিত্র ও হারাম থেকে বেঁচে থাকে।
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ যারা অনুসরণ করে রাসুলের (সাঃ), যে উম্মী নবী, যার গুনাবলী তারা নিজেদের কাছে তাওরাত ও ইঞ্জিলে লিখিত পায়, যে তাদের সৎ কাজের আদেশ দেয় ও বারণ করে অসৎ কাজ থেকে এবং তাদের জন্য পবিত্র বস্তু হালাল করে আর অপবিত্র বস্তু হারাম করে। (সুরা আল আরাফ, আয়াত ১৫৭)
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করুন তিনি যেন আমাদের দোয়া কবুল করেন। রাসুল (সাঃ) উত্তরে বললেন,"হে আনাস! তুমি তোমার উপার্জন পবিত্র (হালাল) করো তা হলে তোমার দোয়া কবুল হবে।" কোন ব্যক্তি যদি এক লোকমা হারাম খাবার তার মুখে তুলে নেয় তাহলে চল্লিশ দিন তার দোয়া কবুল হয় না।"
ইসলামের সর্ব্বোত্তম আমল কি?
হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বর্ণনা করেন, জনৈক ব্যক্তি নবীজী (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করল, ইসলামের সর্বোত্তম আমল কি? উত্তরে তিনি বললেন- (ক্ষুধার্তদের) খাবার খাওয়ানো এবং চেনা অচেনা সকলকে সালাম দেওয়া।" (ইবনে দাউদ)
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১
তানভির আহমদ বাপ্পী বলেছেন: সুন্দর লেখা, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৮
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: সুন্দর লেখায় পাঠক সংখ্যা কম থাকে... আশাকরি আমার পূর্বের পোষ্ট্গুলি পড়বেন।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ১:২২
তারিকুল ঐক্য বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটা পোস্টের জন্য।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১১ বিকাল ৫:২৮
ফ।ম।হাসান বলেছেন: ভাল লেগেছে।ধন্যবাদ।