নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবাস জীবন (দুবাই)-ধর্ম-স্বাস্থ্য-টিপস-আমার কথা--

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।

সিটিজি৪বিডি

আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....

সিটিজি৪বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হে প্রবাসী স্বামী! আবার তুমি আসবে ফিরে আমায় কথা দাও

২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৫



হে প্রবাসী স্বামী! আবার তুমি আসবে ফিরে আমায় কথা দাও



দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই প্রতিবছর কাজের সন্ধানে হাজারো শিক্ষিত-অশিক্ষিত যুবক মধ্যেপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকায় পাড়ি জমাচ্ছেন। জীবনের গুরত্বপূর্ন সময়টি প্রবাসে ব্যয় করেন। সোনার হরিণের পেছনে ছুটতে ছূটতে অনেক প্রবাসী যুবকের বিয়ের বয়স পার হয়ে যায়। পরিবারের সদস্যদের আহবানে কোন এক সময় বিয়ে করতে দেশে ছুটে যান। দুই মাস অথবা তিন মাসের ছুটি নিয়ে দেশে গিয়ে পাত্রী দেখতে দেখতেই ছুটির দিনগুলি শেষ প্রান্তে এসে যায়। তাই তাড়াহুড়ো করেই বিয়ের কাজটি সম্পূর্ন করতে হয়। একসময় প্রবাসী পাত্রের অনেক কদর ছিল। বর্তমানে সেই চিত্র পাল্টেছে। বর্তমানে প্রবাসী পাত্রের চাহিদা খুব একটা নাই বললেই চলে। সবাই দেশীয় পাত্রের হাতে কন্যা তুলে দিতে পছন্দ করেন। তাই বলে প্রবাসীরা অবিবাহিত থাকেন না। তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা জীবন-সঙ্গীনী ঠিক করে রেখেছেন এবং তাদের সাথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।



তবে সমস্যার কথা হলো বিয়ের অল্প কিছু দিন পরে নতুন বউয়ের হাতের মেহেদীর রং মুছতে না মুছতে প্রবাসী স্বামীকে আবারও কর্মস্থলে চলে যেতে হয়। আর চলে যাওয়ার মুহুত্বটি খুবই বেদনাদায়। নববধুটি কান্নায় বুক ভাসাতে থাকে। গুনগুন করে গাইতে থাকে‍‍ "সুখ তুমি কি বড় জানতে ইচ্ছে করে"---একসময় নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে। সংসারে স্বামীর অনপুস্থিতিকে মেনে নেই। স্বামী দুরে থাকার কষ্টটাকে ভুলতে থাকে। কোন কোন পরিবারে শশুর-শাশুড়ী, দেবর-ননদের নির্যাতন সহ্য করতে হয়। কয়েকমাস পরেই নিজের মধ্য আরেকজনের অস্তিত্ব খুজে পায়। এই কঠিন সময়ে স্বামী পাশে নেই বলে সারাক্ষণ মন খারাপ করে। তারপর কোন একদিন একটি ফুটফুটে সন্তানের মা হয়।



সন্তানের প্রবাসী বাবাটি কলিজার টুকরার একটি ছবি পাবার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সন্তানকে আদর করতে না পারার জন্য কাঁদতে থাকে। এই কান্না দেশের কেউ শুনতে পায় না। সন্তান মায়ের আদরে বড় হতে থাকে। বাবার অনাদরে বেড়ে উঠা সন্তান বাবাকে পাবার জন্য ব্যাকুল হতে থাকে। বাবাটি আসছি আসছি বলেই দুই তিন চার বছর পার করে দেয়। কয়েক মাসের ছুটিতে দেশে গিয়ে ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আবারও কর্মস্থলে ফিরে আসতে হয়। এইভাবেই লাখো প্রবাসীদের সংসার জীবন চলছে।



মু. নূরনবী (ঢাকা) লিখেছেনঃ---

একবার এয়ারপোর্ট গেলাম সেজে মামাকে রিসিভ করার জন্য। বিমান লেটে ল্যান্ড করবে জানতে পেরে এয়ারপোর্টে সিভিল লোকের জন্য যতটা ঘুরা যায় ততটা ঘুরে সময় কাটানোর চেষ্টা করলাম। হাঁটতে হাঁটতে কতদূর যেতেই দেখলাম শাড়ী পরা এক তরুণী অনেক জোরে শব্দ করে কান্নাকাটি করছে। আর পাশের সবাই তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করছে। পাশের একজনকে জিজ্ঞাসা করতে যা জানলাম, তা হলো সদ্য বিবহাহিতা তরুণীর প্রাণপ্রিয় স্বামী বিদেশে চলে যাচ্ছে। আর তাতেই নবপরিণীতা এই তরুণীর অশ্রু বিসর্জন। আমাদের প্রচলিত সমাজে এ বিষয়টা লজ্জার হলেও..এমন অনেককে দেখেছি নীরবে অশ্র“ ফেলে স্বামীর পথপানে চেয়ে থাকে।



==========================================

আমাদের দেশের ৮০ লাখের বেশী মানুষ কেন প্রবাসী ?

আমাদের এই ছোট দেশে প্রতিদিন বেকার যুবকের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষিত ও অশিক্ষিত বেকার যুবকরা দেশে ভাল কাজ না পেয়েই প্রবাসের দিকে ছুটেন। কেউ সখের বসে পরিবার-পরিজন থেকে দুরে থাকতে চায় না। পরিস্থিতিই প্রবাসী হতে বাধ্য করে।



প্রবাসীদের সুঃখ-দুঃখঃ

প্রবাসীদের সুখ বলতে প্রতিবছর একমাস অথবা দুইমাসের ছুটিতে দেশে গিয়ে পরিবারকে সময় দিতে পারে। বেশীর ভাগ প্রবাসী পরিবারের কোন কঠিন সময়ে পাশে থাকতে পারে না। প্রিয়জনদের মৃত্যুতে অংশগ্রহন হতে পারে না। কোন সামাজিক অনুষ্টানে অংশ গ্রহন করতে পারে না।



প্রবাসীদের অবদানঃ

প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স দিয়ে সরকার দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করছে। বিদেশ থেকে প্রতিমাসে হাজার হাজার ডলার আসছে। সেই ডলার দিয়ে সরকার বিদেশী রিন পরিশোধসহ নানান উন্নয়নমুলক কাজ করছে। প্রবাসীদের প্রেরিত অর্থ দিয়ে নতুন নতুন দালান-কোটা, মার্কেট, মসজিদ মাদ্রাসা গড়ে উঠছে। প্রবাসীরা বিভিন্ন উৎপাদনমুখী খাতে অর্থ বিনিয়োগ করছে।



প্রবাসীদেরকে শ্রদ্ধা করুনঃ

পত্রিকার পাতা ওল্টালেই বিভিন্ন সংবাদ দেখতে পায়। তার মধ্যে প্রবাসী স্ত্রীর উপর নির্যাতন, প্রবাসীর সন্তানকে অপহরণ, প্রবাসীর ঘরে ডাকাতি ইত্যাদি। সরকার কারো বেড রুম পাহারা দিতে না পারলেও অন্তত নির্যাতিত পরিবারকে শান্তনা বা নির্যাতনকারীকে উপযুক্ত শাস্তি পারে। পরিবারকে একটু নিরাপত্তা দিতে পারলেই প্রবাসীরা নিশ্চিন্ত ঘুমাতে পারবেন।



আপনার পরিবার বা আত্বীয়স্বজন কেউ প্রবাসী হলে তার খোজ-খবর রাখুন। মাঝে মধ্যে ফোন করুন। এসএসএস করুন। প্রবাসী পরিবারের যে কোন দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। প্রবাসীকে ঘৃনা নয়,ভালবাসুন, শ্রদ্ধা করুন।



প্রবাসে এসে প্রতারিত হবেন নাঃ

গত ২৭.০৩.২০১২ দুবাই আন্তজাতিক বিমান বন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ ৩০ জন বাংলাদেশীকে আটক করে। দালাল ও এয়ারপোর্টের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জাল ভিসা নিয়ে ওরা দুবাই হয়ে ইউরোপ যেতে চাইছিল। কিন্ত দুবাই ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদেরকে আটক করে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। ইতিমধ্যে ৬জন দেশে ফেরত গেছে। বাকীদের কয়েক দিনের মধ্য ফেরত পাঠাবে। ওরা নাকি প্রতিজন ৬ লাখ টাকা করে দালালকে দিয়েছিল। প্রতারিত হয়ে এখন সবাই দেশে চলে যাবে। আর দালালরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। এই দুঃসংবাদটি মিডিয়াতে আসবে না।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ফাহিম আহমদ বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন,,,, পড়ে মুগ্ধ জামাল ভাই ধন্যবাদ

২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ফাহিম ভাই। আপনাকে খুব মিস করি।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মশিউর .রহমান বলেছেন: কেন যেন আপনার লেখা পড়ে শরীলের সবকয়টা লুম খাড়া হইয়া গেছে দারুন লেখেছেন ভাই।

২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: বাস্তব কাহিনীগুলো পড়লে শরীরের লোম কাড়া হবেই ভাই। প্রবাসীদের জন্য দোয়া করুন।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: ভাল লিখছেন....... ++

২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০২

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ। আজকাল সামুতে মন্তব্য খুব একটা আশা করা যায় না। এক সময় এক একটি পোষ্টে শত শত কমেন্টস আসতো। আমি ২০০৮ সাল থেকেই সাম ইন এ আছি। ব্লগারের সংখ্যা বাড়ার সাথে প্রতি মিনিটেই নতুন নতুন পোষ্ট আসছে তাতে করে সবার লিখা পড়া ও মন্তব্য করা হয় না। আর কমেস্ট না পেলে লিখতে ইচ্ছে করে না ।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:০৭

তোমোদাচি বলেছেন: প্রবাস জীবন অর্ধমৃতের জীবন! ভালবাসার সব মানুষ গুলো থেকে আলাদা থাকার জীবন, যত উন্নতই হোক না কেন শান্তি নাই...

২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১২

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: শান্তি নাই কোথাও শান্তি নাই

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৫

মদন বলেছেন: ++++

২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৯

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ মদন ভাই।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৭

মশিউর .রহমান বলেছেন: ভাই আমিও ৮০ লাখের মাঝে ১জন

২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ৮:২০

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আপনার প্রবাস জীবন সুখের হোক এই কামনা করি ।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:১৯

হনলুলু বলেছেন: প্রবাসী ভাইদের সালাম আর তাদের আত্মত্যাগকে শ্রদ্ধা । খুব খারাপ লাগছে এই লেখাটি পড়ে ।
আল্লাহ তাদের সবাইকে ভালো রাখুক ।

তাদের পরিবারের সবাইকে হেফাজত করুক ।

৩১ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:৫৪

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আমিন।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:২৬

দেশী পোলা বলেছেন: যে দেশে যাইবেন সে দেশের আলো হাওয়া খাইয়া আল্লার শোকরানা গোজার করবেন, রিজিক আসতেছে প্রবাস থেইকা, নুন খাইতেছেন প্রবাসের, তাইলে এত কান্নাকাটি কেন?

৩১ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:৫৩

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আপনার প্রবলেম কি?

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৪৫

বরফ গলা পািন বলেছেন: +

৩১ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:৫২

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৫:২৯

দুঃখ বিলাসি বলেছেন: তোমোদাচি বলেছেন: প্রবাস জীবন অর্ধমৃতের জীবন! ভালবাসার সব মানুষ গুলো থেকে আলাদা থাকার জীবন, যত উন্নতই হোক না কেন শান্তি নাই...

সহমত।

৩১ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:৫২

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৫:৫৮

মেলবোর্ন বলেছেন: আপনার পরিবার বা আত্বীয়স্বজন কেউ প্রবাসী হলে তার খোজ-খবর রাখুন। মাঝে মধ্যে ফোন করুন। এসএসএস করুন। প্রবাসী পরিবারের যে কোন দুঃসময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। প্রবাসীকে ঘৃনা নয়,ভালবাসুন, শ্রদ্ধা করুন--

মাঝে মাঝে মনে হয় সব দায়িত্ব প্রবাসিদের দেশে গেলে সবাই ভিড় করে কর জন্য কি গিফট আনলাম তাই... ফিরে এলে একটা এসএমএস ও পাইনা ফোন আমাদেরই করতে হয় খবর আমাদেরই নিতে হয় প্রবাসি বন্ধু ভাই আত্বীয় কি দুই টাকার এস এম এসের ও প্রপ্য না ---- একজনের কাছে এই কথাটা শুনেছিলাম ২ বছর আগে সিডনিতে এখনো মনে গেথে আছে। আমি হয়ত এত ভাবিনি তবে ভাবলে কথাটা সত্য হয়ে যাবে বলে ভাবতে চাইনা।

৩১ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:৫১

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: সবাই শুধু গিফটের জন্য আসে থাকে------------না পেলে কত কিছু বলে

১২| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ ভোর ৬:৪৯

দিশেহারা আমি বলেছেন: আপনার লেখাটায় বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।
ভালো লাগল
++++


প্রবাসীদের প্রেরিত রেমিটেন্স দিয়ে সরকার দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করছে।
এই কথাটা মানতে কষ্ট হয়। ১২ বছর ধরে কামলা দিচ্ছি প্রবাসে। প্রথম যখন টাকা পাঠিয়েছিলাম তখন ১ ডলার = ৪৭ টাকা ছিল আর এখন ১ ডলার ৮০ টাকার উপরে। :(
প্রায় ১ কোটি মানুষ ,বছরের পর বছর ধরে বিদেশ থেকে কষ্ট করে কুড়িয়ে কুড়িয়ে টাকা পাঠায়। আর ২ রানী ও ২ শাহজাদা বস্তা করে টাকা বিদেশে পাচার করে।
এতদিন কামলা দিয়েও দেশের অর্থনীতিতে কোন অবদানই রাখতে পারলাম না। :( :(

৩১ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:৫০

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আমাদের কথা কেউ শুনে নারে ভাই।

১৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৩৫

কলমবাঁশ বলেছেন: খুবই চমৎকার লিখেছেন।

৩১ শে মার্চ, ২০১২ সকাল ১১:৪৯

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.