নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....
কালো মানেই কৌতূহল। ঐশী কৌতূহল মেটাতেই হোক আর জীবনকে উপভোগের সরঞ্জাম হিসেবেই হোক, বেছে নিয়েছে কালোকে। কালোর কাছে আলোর এই হেরে যাওয়ার কারণ বলেছেন মানবাধিকার কর্মী মাহমুদা খাতুন।
‘কারণ আমরা তাকে সুশিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা তাকে সুপথে পরিচালিত করতে ব্যর্থ হয়েছি। ঐশী দিয়ে এই অন্ধকারে পদযাত্রার শুরু হলো। এই ঐশী আমার হতে পারত। আমি তাকে নৈতিকতা, মূল্যবোধে সুশিক্ষিত করে তুলতে পারিনি। এমনকি জীবনবোধের সঠিক ধারণাও দিতে ব্যর্থ হয়েছি তাকে। এ দায় একা স্বপ্না-মাহফুজের নয়। এ দায় সমাজের। এ দায় রাষ্ট্রের। আমরা তাকে শেখাতে পারিনি। আমরা তাকে দেখাতে পারিনি সুনীল আকাশ। খোলা মাঠ। এর বদলে তার হাতে তুলে দিয়েছি যন্ত্র। সে যন্ত্রে ছোট্ট মনিটরে আকাশ দেখে। ছোট্ট কিবোর্ড আর মাউস তার খেলার সাথী। এমনকি আমরা তাকে এটাও জানতে দেইনি যে, তার পাশেই বস্তিতে যে ছেলে বা মেয়েটি আছে, সে দু’বেলা খেতে পেল কি না।
কর্মজীবী বাবা-মা তার প্রিয় সন্তানের নৈতিক-অনৈতিক সব আবদার রক্ষা করছেন। ভুলেই যাচ্ছেন কী তার হাতে তুলে দেয়া উচিত, কী উচিত নয়। কোন উপকরণ কী পরিমাণে সন্তানের হাতে দিতে হয় কোনো কোনো সময় সে কথাও ভুলে যাচ্ছেন তারা।
অর্থের পেছনে ছুটতে ছুটতে সন্তান নামের এই সম্পদটিকে আমরা ফেলে রাখছি অরক্ষিতভাবে। সমাজও এর জন্য কম দায়ী নয়। আগে আমরা এত ডিজে পার্টি আর কাব দেখিনি। এখন অহরহ চোখে পড়ে এগুলো। অবাধে চলে এখানে ড্রাগের বিকিকিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী এক অজানা কারণে টেরও পাচ্ছে না।
সমাজের এই অবস্থার জন্য কিছুটা হলেও দায়ী ধর্মের অনুশাসন না মানার প্রবণতা।
প্রতিটি ধর্ম মানুষকে শিক্ষা দেয় স্থিতিশীলতার। সহনশীলতার। কিন্তু আমাদের মধ্যে ধর্মের প্রতি বিরূপ মনোভাব এখন বেশ সক্রিয়। এটাও সামাজিক অস্থিরতার আর একটি কারণ। আমাদের এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে ধর্মীয় শিক্ষার অবশ্যই প্রয়োজন আছে। প্রয়োজন আছে পারিবারিক শিক্ষারও।
সমাজে সুশিক্ষা বিস্তার করতে পারলে এই বিষবৃক্ষ হয়তো পুরোপুরি নির্মূল হবে না। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’ বিষবৃক্ষই বলি। আর সুনামি ঝড়ই বলি। একে প্রতিরোধ করা না গেলে এক দিন এই বৃক্ষই গ্রাস করে নেবে গোটা সমাজকে। তখন সচেতন করার মতো আর কেউ হয়তো এই সমাজে অবশিষ্ট থাকবে না। ঝড়ের যে কালো গোটা সমাজকে গ্রাস করছে, তার হাত থেকে আমাদের সন্তানকে বাঁচাতে খুব বেশি সময় হাতে নেই আমাদের। আমরা আশাবাদী। ঝড়ের কালো কখনোই রবির আলোর বিরুদ্ধে জয়ী হবে না।
লিখেছেনঃ
নাহিদ আনজুম সিদ্দিকী
http://www.dailynayadiganta.com
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: আমাদের দেশের এক শ্রেনীর মানুষ হালাল-হারাম বিচার না করেই কোটি কোটি টাকা কামাই করছে। তাদের সন্তানেরাও সেই টাকা দুইহাতে খরচ করছে। হারামের টাকা খেয়ে ওরা মানুষরুপী অমানুষে পরিনত হচ্ছে। তাদের সন্তানেররাও সুসন্তান না হয়ে কুসন্তান হচ্ছে--এক সময় নিজেররা সন্তানের হাতে বলি হচ্ছে-------------------তাই সবাইকে হালাল পথে ইনকাম করতে হবে।
২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
নতুন বলেছেন: সমাজের মানুষের মনের লোভ আর দায়ছাড়া ভাবের প্রতিফলন এই ঐশী.... আমাদের সমাজে এমন আরো ঐশী আছে.... হয়তো খুন করেনাই তাই আমরা জানিনা...
সমাজের মানুষ মাদক বিক্রি করছে.... যারা দেখছে তারা কিছুই বলছেনা... পুলিশ মাদক বিক্রির টাকার ভাগ নিচ্ছে... মাঝারী/পাতি নেতারা মাদক ব্যবসা পালনে সাহাজ্য করছে....
নৈতিক অবক্ষয়ের চুড়ায় উঠার জন্য সামাজিক প্রতিযোগিতা আমাদের...
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: এখন হাত বাড়ালেই মাদক পাওয়া যায়--------এর জন্য কারা দায়ী?
মাদক ব্যবসায়ীরা বেশীর ভাগ রাজণৈতিক ছত্রছায়ায় থাকে। পুলিশ তাদেরকে প্রশ্রয় দেয়। তাদের কাছ টাকা আদায় করে। মাঝে মধ্যে কয়েকজনকে ধরে থানায় নিয়ে যায়---কিছু দিন পর বের হয়ে আবারও পুরানো পেশায় জড়িয়ে পড়ে। আর আমাদের দেশেল সুশীল সমাজ এই সব নিয়ে মাথা ঘামায় না------রাজনীতিবীদদের সময় নাই-----------------তারা ব্যস্ত গদি নিয়ে------------এই সুযোগে আমাদের যুব সমাজ এখন ধংসের পথে------------
৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪
আদম_ বলেছেন: "কারণ আমরা তাকে সুশিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা তাকে সুপথে পরিচালিত করতে ব্যর্থ হয়েছি।"
তাইলেতো সবাইরে মাফ কইরা দিতে হয়। যারা বস্তিতে থাকে তাদের তো কিছুই নাই, তারাও এক সময় অপরাধী হয়, ঔ ছেমরির তো খাওয়া পরার ব্যবস্থা ছিলো, ভালো ইসকুলেও পড়তো।
আপনার পাকচরণে আমার একখানা আবাল প্রশ্ন
সুশিক্ষা বলতে আপনি কি বুঝেন?
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৬
সিটিজি৪বিডি বলেছেন: শুধুমাত্র পাঠ বই পড়লে শিক্ষিত হওয়া যায় না। তার পাশাপাশি ধর্মীয় শিক্ষারও প্রয়োজন আছে। কোন কাজটা করলে ভাল হবে কোন কাজটা করলে খারাপ হবে শিক্ষা দিতে হবে। বর্তমানে নেশা জাতীয় দ্রব্যেগুলো হাতের নাগালেই---------------তাই কিশোর-কিশোরীদেরকে নেশার কুফল সমম্পকে জানাতে হবে।
৪| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৯
নতুন বলেছেন: আদম_ বলেছেন: "কারণ আমরা তাকে সুশিক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা তাকে সুপথে পরিচালিত করতে ব্যর্থ হয়েছি।"
আপনার কাছে সুশিক্ষা মনে হইতেছে ডিগ্রী আর বড় সাটিফিকেট?????
অনেক বস্তির ছেলে মা তার ছেলেকে সেখায় বাবা চুরি করিসনা...
গরিব হইলেই সবার স্বভাব খারাপ হয়না...
নৈতিক শিক্ষার শুরু হয় পরিবার থেকে... স্কুলে এখন সাটিফিকেট দেয়...
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫
অচেনা আগন্তুক বলেছেন: সবাই কি ঐশির জন্য দরদের বাণে ভাসছে নাকি????
দায় দায় দায়?
দায় পরিবারের নয়.. সমাজের রাষ্ট্রের...সব বাকোয়াজ!!!!!
তার বাবা কিভাবে সপ্তাহে এক লাখ- মাসে চার লাখ টাকা হাত খরচ দিতে শুধু একটা মেয়েকে?????
কোথ্থেকে আসতো এই টাকা????
কিভাবে খরচ করত? তা কি দেখতো না???
ব্যক্তিক লোভ এবং লালসার পরিণতিকে সমাজের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া কতটা যৌক্তিক?????
আরো সৎ যে পুলিশ াফিসাররা আছে- কই তাদের মেয়েরাতো ডিজে পার্টিতে যায়না?
তারাতো ইয়াবা খায় না?
তাই তাদের হাতে তাদের পিতা-মাতাও নিহত হয়না!!!
ঐশীর কঠোর শাস্তি হওয়া দরকার। পাশাপাশি একজন পুলীশ কর্মকর্তার বেতন কত? তার অন্য আয়ের উৎস কি?
কিভাবে মেয়েকে এক টাকা হাত খরচ দিত?
তাহলে তার পারিবিরক খরচ মাসে কত ছিল????
ভাইটাল প্রশ্ন গুলো এড়িয়ে শুধু আবেগের কচকচানি?????