নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রবাস জীবন (দুবাই)-ধর্ম-স্বাস্থ্য-টিপস-আমার কথা--

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই।

সিটিজি৪বিডি

আজকের দিনই শেষ দিন মনে করতে হবে..কারন হঠাৎ করেই একদিন মরতে হবে.. কেয়ামত পর্যন্ত কবরে থাকতে হবে.. হাশরের মাঠে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে হবে.. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত কর্মকান্ডের হিসাব দিতে হবে.. পুলসিরাত পার হতে হবে.. তারপর....... জান্নাত অথবা জাহান্নামই হবে আসল ঠিকানা....

সিটিজি৪বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

۞۞ আজ সকালে ঘুরে এলাম The Bangladesh Consulate General of Dubai দেখে এলাম প্রবাসী ভাইদের কষ্টের করুন দৃশ্য ۞۞

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫



আজ সকালে একটি জরুরী কাজে দুবাই কনসুল্যাটে গিয়ে দেখলাম ভোর বেলা থেকেই দুবাই কনসুল্যাট ভবন এর মেইন রোড়ে কয়েকশ প্রবাসী বাংলাদেশী ভাই দাড়িয়ে আছে। সকাল ৮ টায় গেইট খোলা মাত্র সবাই ধাক্কাধাক্কি করে ভবনের ভিতরে প্রবেশ করে।



ভবনের ভিতরে খোলা আকাশের নীচে রোদের মধ্যে সবাই টোকেন সংগ্রহের জন্য পাথরের উপর জন্য দাড়িয়ে থাকে। এক একটি লাইনে কয়েকশ মানুষ থাকে।



বেশীর ভাগ প্রবাসীরা মেশিন রিডেবল পাসপোট (এমআরপি) তৈরী করতে দুবাই কনসু্ল্যাটে আসে। এসেই তাদের ভোগান্তি শুরু হয়।



লাইন-১ ঃ টাকা জমা দেবার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা খোলা আকাশের নীচে লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়।



লাইন-২ ঃ টাকা জমা দিয়ে রশিদ সংগ্রহ করে ফিঙ্গার প্রিন্ট এর তারিখ জানার জন্য আবারও লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়।



লাইন-৩ ঃ নির্ধারিত তারিখে আবারও দুবাই কনস্যুলেট ভবনে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্টের টোকেন সংগ্রহ করতে লাইনে দাড়াতে হয়।



লাইন-৪ঃ টোকেন সংগ্রহ করে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেবার জন্য আবারও লাইনে দাড়াতে হয়।



লাইন-৫ ঃ পাসপোট ডেলিভারী নেবার জন্য আবারও কনস্যুলেট ভবনে গিয়ে টোকেন সংগ্রহ করে পাসপোট নিতে হয়।



উপরোক্ত কাজগুলো করতে গিয়ে প্রবাসীদেরকে তিন-চার দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুবাই কনসুল্যাটে অবস্থান করতে হয়।



সারজাহ, আল-আইন, রাস আল খাইমা, ফুজিরা, উম্মুল খাইয়াম ও আজমানে কনসুল্যাটের শাখা না থাকায় তাদেরকে অনেক কষ্ট করে দুবাইতে আসতে হয়। বারবার আসা যাওয়া করতে গিয়ে তাদের অনেক টাকা খচর হয়।



সংযুক্ত আরব অমিরাতে ১০ লক্ষের ও বেশী প্রবাসীদের জন্য মাত্র দুটি শাখা যতেষ্ট নয়। আল-আইন, ফুজিরা. সারজা, আজমান, উম্মুল খাইয়াম, রাস-আল খাইমাতেও অফিস থাকা দরকার। অথবা সেখানকার টাইপিষ্ট দোকান গুলোকেও দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। তারা প্রবাসীদের কাছ থেকে পুরাতন পাসপোট, ছবি ও জন্ম নিবন্ধন সংগ্রহ করে মাত্র একদিন কনসুল্যাটে এসে প্রয়োজনীয় কাজগুলো করে পাসপোট ডেলিভারী দিতে পারে। তাতে করে দুর-দুরান্ত থেকে প্রবাসী ভাইয়েরা বারবার আসার ঝামেলা থেকে সবাই রক্ষা পাবে।



এমআরপি করতে গিয়ে প্রবাসী ভাইদের কষ্ট দেখে আমি খুব ব্যথিত হয়েছি। আমি জানি আমার এই ম্যাসেজ তাদের কানে পৌছাবে না। তারপরেও আপনাদেরকে শেয়ার করলাম।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮

এম এম কামাল ৭৭ বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো। দেশের মানুষ শুধু সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে কষ্টই করে গেল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: কনসুল্যাটে গিয়ে বুঝতে পারবেন অব্যবস্থাপনার চিত্র।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

নতুন বলেছেন: এই সব সমস্যার সমাধানের জন্য তো কেউই চেস্টা করে না... :(

অন লাইনে আবেদন করে সিরিয়াল দেওয়া, ব্যাংকে টাকা জমার ব্যবস্হা করলে এই ভীড় অনেক কমে যাবে...

কিন্তু ব্যবস্হা করবে কে?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৩

সিটিজি৪বিডি বলেছেন: যে কাজটি মাত্র কয়েক ঘন্টায় হওয়ার কথা সেই কাজটি করতে এখন তিন দিনের সারাদিন ব্যয় করতে হয়। তাও আবার রোদের মধ্যে দাড়িয়ে থেকে ।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২০

পারাবত বলেছেন: রিয়াদেও একি হাল

৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮

েবনিটগ বলেছেন: X(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.